আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৭- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৪৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৯
৩৪১। সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমকারীকে মুসল্লীর বাধা দেয়া উচিত।
ইবনে উমর (রাযিঃ) তাশাহহুদে বসা অবস্থায় এবং কা'বা শরীফেও (অতিক্রমকারীকে) বাধা দিয়েছেন এবং তিনি বলেন, সে অতিক্রম করা থেকে বিরত থাকতে অস্বীকার করে লড়তে চাইলে মুসল্লী তার সাথে লড়বে।
ইবনে উমর (রাযিঃ) তাশাহহুদে বসা অবস্থায় এবং কা'বা শরীফেও (অতিক্রমকারীকে) বাধা দিয়েছেন এবং তিনি বলেন, সে অতিক্রম করা থেকে বিরত থাকতে অস্বীকার করে লড়তে চাইলে মুসল্লী তার সাথে লড়বে।
৪৮৫। আবু মা’মার (রাহঃ) ও আদম ইবনে আবু ইয়াস (রাহঃ) .... আবু সালেহ সাম্মান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আবু সা’ঈদ খুদরী (রাযিঃ)-কে দেখেছি। তিনি জুম'আর দিন লোকদের জন্য সুতরা হিসাবে কোন কিছু সামনে রেখে নামায আদায় করছিলেন। আবু মুআইত গোত্রের এক যুবক তাঁর সামনে দিয়ে যেতে চাইল। আবু সা’ঈদ খুদরী (রাযিঃ) তার বুকে ধাক্কা মারলেন। যুবকটি লক্ষ্য করে দেখলো যে তাঁর সামনে দিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন পথ নেই। এজন্য সে পুনরায় তাঁর সামনে দিয়ে যেতে চাইল। এবার আবু সা’ঈদ খুদরী (রাযিঃ) প্রথম বারের চাইতে জোরে ধাক্কা দিলেন। ফলে আবু সা’ঈদ (রাযিঃ)-কে তিরস্কার করে সে মারওয়ানের কাছে গিয়ে আবু সা’ঈদ (রাযিঃ)-এর ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল। এদিকে তার পরপরই আবু সা’ঈদ (রাযিঃ)-ও মারওয়ানের কাছে গেলেন। মারওয়ান তাঁকে বললেনঃ হে আবু সা’ঈদ! তোমার এই ভাতিজার কি ঘটেছে? তিনি জবাব দিলেনঃ আমি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের কেউ যদি লোকদের জন্য সামনে সুতরা রেখে নামায আদায় করে, আর কেউ যদি তার সামনে দিয়ে যেতে চায়, তাহলে যেন সে তাকে বাধা দেয়। সে যদি না মানে, তবে সে ব্যক্তি (মুসল্লী) যেন তার সাথে মুকাবিলা করে, কারণ সে শয়তান।
بَابٌ: يَرُدُّ المُصَلِّي مَنْ مَرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ وَرَدَّ ابْنُ عُمَرَ: فِي التَّشَهُّدِ وَفِي الكَعْبَةِ، وَقَالَ: «إِنْ أَبَى إِلَّا أَنْ تُقَاتِلَهُ فَقَاتِلْهُ»
509 - حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ [ص:108]، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ح وَحَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ المُغِيرَةِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ العَدَوِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ السَّمَّانُ، قَالَ: رَأَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الخُدْرِيَّ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ يُصَلِّي إِلَى شَيْءٍ يَسْتُرُهُ مِنَ النَّاسِ، فَأَرَادَ شَابٌّ مِنْ بَنِي أَبِي مُعَيْطٍ أَنْ يَجْتَازَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَدَفَعَ أَبُو سَعِيدٍ فِي صَدْرِهِ، فَنَظَرَ الشَّابُّ فَلَمْ يَجِدْ مَسَاغًا إِلَّا بَيْنَ يَدَيْهِ، فَعَادَ لِيَجْتَازَ، فَدَفَعَهُ أَبُو سَعِيدٍ أَشَدَّ مِنَ الأُولَى، فَنَالَ مِنْ أَبِي سَعِيدٍ، ثُمَّ دَخَلَ عَلَى مَرْوَانَ، فَشَكَا إِلَيْهِ مَا لَقِيَ مِنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَدَخَلَ أَبُو سَعِيدٍ خَلْفَهُ عَلَى مَرْوَانَ، فَقَالَ: مَا لَكَ وَلِابْنِ أَخِيكَ يَا أَبَا سَعِيدٍ؟ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ إِلَى شَيْءٍ يَسْتُرُهُ مِنَ النَّاسِ فَأَرَادَ أَحَدٌ أَنْ يَجْتَازَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَلْيَدْفَعْهُ فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: