আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৭- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৪৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৮ - ৪৮০
৩২৯। মসজিদ ও অন্যান্য স্থানে এক হাতের আঙুল অন্য হাতের আঙুলে প্রবেশ করানো
৪৬৪। হামিদ ইবনে উমর (রাহঃ) .... ইবনে উমর বা ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) এক হাতের আঙুল অন্য এক হাতের আঙুলে প্রবেশ করান।
আসিম ইবনে আলী (রাহঃ) থাকে বর্ণিত, আসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেনঃ আমি এ হাদীস আমার পিতা থেকে শুনেছিলাম, কিন্তু আমি তা স্মরণ রাখতে পারিনি। এরপর এ হাদীসটি আমাকে ঠিকভাবে বর্ণনা করেন ওয়াকিদ (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে। তিনি বলেনঃ আমার পিতাকে বলতে শুনেছি যে, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ হে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর! যখন তুমি নিকৃষ্ট লোকদের সাথে অবস্থান করবে, তখন তোমার অবস্থা কি হবে?
হুমায়দী (র) তাঁর ‘আল জাম‘উ বাইনাস সাহীহায়ন' গ্রন্থে ইব্ন ‘উমর (রা) থেকে বর্ণিত হাদীসে এরূপ বর্ণনা করেন, “নবী এক হাতের আঙুল আর এক হাতের আঙুলে প্রবেশ করান এবং বলেন : হে 'আবদুল্লাহ্! যখন তুমি নিকৃষ্ট লোকদের মধ্যে অবস্থান করবে তখন তোমার অবস্থা কি হবে ? তাদের অঙ্গীকার পূরণ করা হবে না ও আমানতে খেয়ানত করা হবে এবং তাদের মতানৈক্য দেখা দিবে। আর তারা এরূপ হয়ে যাবে এবং তিনি এক হাতের আঙুল আর এক হাতে প্রবেশ করান। ‘আবদুল্লাহ্ (রা) বললেন : “ইয়া রাসূলাল্লাহ, তখন আমি কি করব? তিনি বললেন, যা তুমি শরী'আতসম্মত বলে জান তা গ্রহণ কর, আর যা শরী'আতবিরোধী বলে মনে করবে তা বর্জন করবে। আর তুমি নিজকে নিজে বাঁচাবে, আর সাধারণ লোককে তাদের অবস্থার উপর ছেড়ে দিবে।—‘উমদাতুল কারী, ৪খ, পৃ. ২৬০
আসিম ইবনে আলী (রাহঃ) থাকে বর্ণিত, আসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেনঃ আমি এ হাদীস আমার পিতা থেকে শুনেছিলাম, কিন্তু আমি তা স্মরণ রাখতে পারিনি। এরপর এ হাদীসটি আমাকে ঠিকভাবে বর্ণনা করেন ওয়াকিদ (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে। তিনি বলেনঃ আমার পিতাকে বলতে শুনেছি যে, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ হে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর! যখন তুমি নিকৃষ্ট লোকদের সাথে অবস্থান করবে, তখন তোমার অবস্থা কি হবে?
হুমায়দী (র) তাঁর ‘আল জাম‘উ বাইনাস সাহীহায়ন' গ্রন্থে ইব্ন ‘উমর (রা) থেকে বর্ণিত হাদীসে এরূপ বর্ণনা করেন, “নবী এক হাতের আঙুল আর এক হাতের আঙুলে প্রবেশ করান এবং বলেন : হে 'আবদুল্লাহ্! যখন তুমি নিকৃষ্ট লোকদের মধ্যে অবস্থান করবে তখন তোমার অবস্থা কি হবে ? তাদের অঙ্গীকার পূরণ করা হবে না ও আমানতে খেয়ানত করা হবে এবং তাদের মতানৈক্য দেখা দিবে। আর তারা এরূপ হয়ে যাবে এবং তিনি এক হাতের আঙুল আর এক হাতে প্রবেশ করান। ‘আবদুল্লাহ্ (রা) বললেন : “ইয়া রাসূলাল্লাহ, তখন আমি কি করব? তিনি বললেন, যা তুমি শরী'আতসম্মত বলে জান তা গ্রহণ কর, আর যা শরী'আতবিরোধী বলে মনে করবে তা বর্জন করবে। আর তুমি নিজকে নিজে বাঁচাবে, আর সাধারণ লোককে তাদের অবস্থার উপর ছেড়ে দিবে।—‘উমদাতুল কারী, ৪খ, পৃ. ২৬০
باب تَشْبِيكِ الأَصَابِعِ فِي الْمَسْجِدِ وَغَيْرِهِ
478 - حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، حَدَّثَنَا وَاقِدٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَوْ ابْنِ عَمْرٍو: «شَبَكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصَابِعَهُ»
480 - وَقَالَ عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، سَمِعْتُ هَذَا الحَدِيثَ مِنْ أَبِي، فَلَمْ أَحْفَظْهُ، فَقَوَّمَهُ لِي وَاقِدٌ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي وَهُوَ يَقُولُ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو كَيْفَ بِكَ إِذَا بَقِيتَ فِي حُثَالَةٍ مِنَ النَّاسِ بِهَذَا»
وفي عمدة القاري شرح صحيح البخاري (4/ 260)
ولفظه في جمع الحميدي في مسند ابن عمر شبك النبي أصابعه وقال كيف أنت يا عبد الله إذا بقيت في حثالة من الناس قد مرجت عهودهم وأماناتهم واختلفوا فصاروا هكذا وشبك بين أصابعه قال فكيف أفعل يا رسول الله قال تأخذ ما تعرف وتدع ما تنكر وتقبل على خاصتك وتدعهم وعوامهم.
480 - وَقَالَ عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، سَمِعْتُ هَذَا الحَدِيثَ مِنْ أَبِي، فَلَمْ أَحْفَظْهُ، فَقَوَّمَهُ لِي وَاقِدٌ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي وَهُوَ يَقُولُ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو كَيْفَ بِكَ إِذَا بَقِيتَ فِي حُثَالَةٍ مِنَ النَّاسِ بِهَذَا»
وفي عمدة القاري شرح صحيح البخاري (4/ 260)
ولفظه في جمع الحميدي في مسند ابن عمر شبك النبي أصابعه وقال كيف أنت يا عبد الله إذا بقيت في حثالة من الناس قد مرجت عهودهم وأماناتهم واختلفوا فصاروا هكذا وشبك بين أصابعه قال فكيف أفعل يا رسول الله قال تأخذ ما تعرف وتدع ما تنكر وتقبل على خاصتك وتدعهم وعوامهم.
হাদীস নং: ৪৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮১
৩২৯। মসজিদ ও অন্যান্য স্থানে এক হাতের আঙুল অন্য হাতের আঙুলে প্রবেশ করানো
৪৬৫। খাল্লাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) .... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ একজন মু’মিন আরেকজন মু’মিনের জন্য ইমারততুল্য, যার এক অংশ অপর অংশকে শক্তিশালী করে থাকে। এ বলে তিনি এক হাতের আঙুল অপর হাতের আঙ্গুলের মধ্যে প্রবেশ করালেন।
باب تَشْبِيكِ الأَصَابِعِ فِي الْمَسْجِدِ وَغَيْرِهِ
481 - حَدَّثَنَا خَلَّادُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ المُؤْمِنَ لِلْمُؤْمِنِ كَالْبُنْيَانِ يَشُدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا» وَشَبَّكَ أَصَابِعَهُ
হাদীস নং: ৪৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮২
৩২৯। মসজিদ ও অন্যান্য স্থানে এক হাতের আঙুল অন্য হাতের আঙুলে প্রবেশ করানো
৪৬৬। ইসহাক (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার আমাদের বিকালের এক নামাযে ইমামতি করলেন। ইবনে সীরীন (রাহঃ) বলেনঃ আবূ হুরায়রা (রা) নামাযের নাম বলেছিলেন, কিন্তু আমি তা ভুলে গিয়েছি। আবূ হুরায়রা (রা) বলেন : তিনি আমাদের নিয়ে দু’রাকআত নামায আদায় করে সালাম ফিরালেন। তারপর মসজিদে রাখা এক টুকরা কাঠের উপর ভর দিয়ে দাঁড়ালেন। তাঁকে রাগান্বিত মনে হচ্ছিল। তিনি তাঁর ডান হাত বাঁ হাতের উপর রেখে এক হাতের আঙুল অপর হাতের আঙুলের মধ্যে প্রবেশ করালেন। আর তাঁর ডান গাল বাম হাতের পিঠের উপর রাখলেন। যাঁদের তাড়া ছিল তাঁরা মসজিদের দরজা দিয়ে বাইরে চলে গেলেন। সাহাবীগণ বললেনঃ নামায কি সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে? উপস্থিত লোকজনের মধ্যে আবু বকর (রাযিঃ) এবং উমর (রাযিঃ)-ও ছিলেন। কিন্তু তাঁরা নবী (ﷺ) এর সঙ্গে কথা বলতে ভয় পেলেন।
আর লোকজনের মধ্যে লম্বা হাত বিশিষ্ট এক ব্যক্তি ছিলেন, যাকে “যুল-ইয়াদাইন” বলা হতো, তিনি বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কি ভুলে গেছেন, নাকি নামায সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে? তিনি বললেনঃ আমি ভুলিনি এবং নামায সংক্ষেপও করা হয়নি। এরপর (অন্যদের) জিজ্ঞাসা করলেনঃ যুল-ইয়াদাইনের কথা কি ঠিক? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। তারপর তিনি এগিয়ে এলেন এবং নামাযের বাদপড়া অংশটুকু আদায় করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন ও তাকবীর বললেন এবং স্বাভাবিকভাবে সিজদার মতো বা একটু দীর্ঘ সিজদা করলেন। তারপর তাকবীর বলে মাথা উঠালেন। পরে আবার তাকবীর বললেন এবং স্বাভাবিকভাবে সিজদার মতো বা একটু দীর্ঘ সিজদা করলেন। তারপর তাকবীর বলে মাথা উঠালেন। লোকেরা প্রায়ই ইবনে সীরীন (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করতো “পরে কি তিনি সালাম ফিরিয়েছিলেন?” তখন ইবনে সীরীন (রাহঃ) বলতেনঃ আমার কাছে বর্ণনা করা হয়েছে যে, ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) বলেছেনঃ তারপর তিনি সালাম ফিরিয়েছিলেন।
আর লোকজনের মধ্যে লম্বা হাত বিশিষ্ট এক ব্যক্তি ছিলেন, যাকে “যুল-ইয়াদাইন” বলা হতো, তিনি বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কি ভুলে গেছেন, নাকি নামায সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে? তিনি বললেনঃ আমি ভুলিনি এবং নামায সংক্ষেপও করা হয়নি। এরপর (অন্যদের) জিজ্ঞাসা করলেনঃ যুল-ইয়াদাইনের কথা কি ঠিক? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। তারপর তিনি এগিয়ে এলেন এবং নামাযের বাদপড়া অংশটুকু আদায় করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন ও তাকবীর বললেন এবং স্বাভাবিকভাবে সিজদার মতো বা একটু দীর্ঘ সিজদা করলেন। তারপর তাকবীর বলে মাথা উঠালেন। পরে আবার তাকবীর বললেন এবং স্বাভাবিকভাবে সিজদার মতো বা একটু দীর্ঘ সিজদা করলেন। তারপর তাকবীর বলে মাথা উঠালেন। লোকেরা প্রায়ই ইবনে সীরীন (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করতো “পরে কি তিনি সালাম ফিরিয়েছিলেন?” তখন ইবনে সীরীন (রাহঃ) বলতেনঃ আমার কাছে বর্ণনা করা হয়েছে যে, ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) বলেছেনঃ তারপর তিনি সালাম ফিরিয়েছিলেন।
باب تَشْبِيكِ الأَصَابِعِ فِي الْمَسْجِدِ وَغَيْرِهِ
482 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، قَالَ: حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِحْدَى صَلاَتَيِ العَشِيِّ - قَالَ ابْنُ سِيرِينَ: سَمَّاهَا أَبُو هُرَيْرَةَ وَلَكِنْ نَسِيتُ أَنَا - قَالَ: فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ سَلَّمَ، فَقَامَ إِلَى خَشَبَةٍ مَعْرُوضَةٍ فِي المَسْجِدِ، فَاتَّكَأَ عَلَيْهَا كَأَنَّهُ غَضْبَانُ، وَوَضَعَ يَدَهُ اليُمْنَى عَلَى اليُسْرَى، وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ، وَوَضَعَ خَدَّهُ الأَيْمَنَ عَلَى ظَهْرِ كَفِّهِ اليُسْرَى، وَخَرَجَتِ السَّرَعَانُ مِنْ أَبْوَابِ المَسْجِدِ، فَقَالُوا: قَصُرَتِ الصَّلاَةُ؟ وَفِي القَوْمِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، فَهَابَا أَنْ يُكَلِّمَاهُ، وَفِي القَوْمِ رَجُلٌ فِي يَدَيْهِ طُولٌ، يُقَالُ لَهُ: ذُو اليَدَيْنِ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَسِيتَ أَمْ قَصُرَتِ الصَّلاَةُ؟ قَالَ: «لَمْ أَنْسَ وَلَمْ تُقْصَرْ» فَقَالَ: «أَكَمَا يَقُولُ ذُو اليَدَيْنِ» فَقَالُوا: نَعَمْ، فَتَقَدَّمَ فَصَلَّى مَا تَرَكَ، ثُمَّ سَلَّمَ، ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَكَبَّرَ، ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَكَبَّرَ، فَرُبَّمَا سَأَلُوهُ: ثُمَّ سَلَّمَ؟ فَيَقُولُ: نُبِّئْتُ أَنَّ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ، قَالَ: ثُمَّ سَلَّمَ

তাহকীক: