আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৭- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৪১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭
২৮৯। জাহিলী যুগের মুশরিকদের কবর খুঁড়ে ফেলে মসজিদ নির্মাণ করা।
নবী (ﷺ) বলেছেনঃ ইয়াহুদীদের উপর আল্লাহর অভিশাপ, তারা নবীগণের কবরকে মসজিদ বানিয়েছে।
আর কবরের উপর নামায আদায় করা মাকরূহ হওয়া প্রসঙ্গে।
উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ)-কে একটি কবরের কাছে নামায আদায় করতে দেখে বললেন: কবর! কবর! কিন্তু তিনি তাঁকে নামায পুনরায় আদায় করতে বলেন নি।
নবী (ﷺ) বলেছেনঃ ইয়াহুদীদের উপর আল্লাহর অভিশাপ, তারা নবীগণের কবরকে মসজিদ বানিয়েছে।
আর কবরের উপর নামায আদায় করা মাকরূহ হওয়া প্রসঙ্গে।
উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ)-কে একটি কবরের কাছে নামায আদায় করতে দেখে বললেন: কবর! কবর! কিন্তু তিনি তাঁকে নামায পুনরায় আদায় করতে বলেন নি।
৪১৫। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, উম্মে হাবীবা ও উম্মে সালামা (রাযিঃ) হাবশায় তাঁদের দেখা একটি গির্জার কথা বলেছিলেন, যাতে বেশ কিছু মূর্তি ছিল। তাঁরা উভয়ে বিষয়টি নবী (ﷺ) এর নিকট বর্ণনা করলেন। তিনি ইরশাদ করলেনঃ তাদের অবস্থা ছিল এমন যে, কোন সৎ লোক মারা গেলে তারা তার কবরের উপর মসজিদ বানাতো। আর তার ভিতরে ঐ লোকের মূর্তি তৈরী করে রাখতো। কিয়ামতের দিন তারাই আল্লাহর কাছে সবচাইতে নিকৃষ্ট সৃষ্টি বলে গণ্য হবে।
بَابُ هَلْ تُنْبَشُ قُبُورُ مُشْرِكِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَيُتَّخَذُ مَكَانَهَا مَسَاجِدَ لِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَعَنَ اللَّهُ الْيَهُودَ، اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ وَمَا يُكْرَهُ مِنَ الصَّلاَةِ فِي الْقُبُورِ. وَرَأَى عُمَرُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يُصَلِّي عِنْدَ قَبْرٍ فَقَالَ الْقَبْرَ الْقَبْرَ. وَلَمْ يَأْمُرْهُ بِالإِعَادَةِ
427 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ المُؤْمِنِينَ، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ، وَأُمَّ سَلَمَةَ ذَكَرَتَا كَنِيسَةً رَأَيْنَهَا بِالحَبَشَةِ فِيهَا تَصَاوِيرُ، فَذَكَرَتَا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «إِنَّ أُولَئِكَ إِذَا كَانَ فِيهِمُ الرَّجُلُ الصَّالِحُ فَمَاتَ، بَنَوْا عَلَى قَبْرِهِ مَسْجِدًا، وَصَوَّرُوا فِيهِ تِلْكَ الصُّوَرَ، فَأُولَئِكَ شِرَارُ الخَلْقِ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ القِيَامَةِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮
২৮৯। জাহিলী যুগের মুশরিকদের কবর খুঁড়ে ফেলে মসজিদ নির্মাণ করা।
৪১৬। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ...... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) মদীনায় পৌঁছে প্রথমে মদীনার উচ্চ এলাকায় অবস্থিত বনু আমর ইবনে আউফ’ নামক গোত্রে উপনীত হন। তাদের সঙ্গে নবী (ﷺ) চৌদ্দ দিন (অপর বর্ণনায় চব্বিশ দিন) অবস্থান করেন। তারপর তিনি বনু নাজ্জারকে ডেকে পাঠালেন। তারা কাঁধে তলোয়ার ঝুলিয়ে উপস্থিত হল। আমি যেন এখনো সে দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি যে, নবী (ﷺ) ছিলেন তার বাহনের উপর, আবু বকর (রাযিঃ) সে বাহনেই তাঁর পেছনে আর বনু নাজ্জারের দল তাঁর আশেপাশে।
অবশেষে তিনি আবু আইয়্যুব আনসারী (রাযিঃ) এর ঘরের সামনে অবতরণ করলেন। নবী (ﷺ) যেখানেই নামাযের ওয়াক্ত হয় সেখানেই নামায আদায় করতে পছন্দ করতেন এবং তিনি ছাগল-ভেড়ার খোয়াড়েও নামায আদায় করতেন। এখন তিনি মসজিদ তৈরী করার নির্দেশ দেন। তিনি বনু নাজ্জারকে ডেকে বললেনঃ হে বনু নাজ্জার! তোমরা আমার কাছ থেকে তোমাদের এই বাগিচার মূল্য নির্ধারণ কর। তারা বললোঃ না, আল্লাহর কসম, আমরা এর দাম নেব না। এর দাম আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছেই আশা করি।
আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ আমি তোমাদের বলছি, এখানে মুশরিকদের কবর এবং ভগ্নাবশেষ ছিল। আর ছিল খেজুরের গাছ। নবী (ﷺ) এর নির্দেশে মুশরিকদের কবর খুঁড়ে ফেলা হল। তারপর ভগ্নাবশেষ সমতল করে দেওয়া হল, খেজুর গাছগুলো কেটে ফেলা হল এবং এর দুই পাশে পাথর বসানো হল। সাহাবীগণ পাথর তুলতে তুলতে ছন্দোবদ্ধ কবিতা আবৃত্তি করছিলেন। আর নবী (ﷺ)-ও তাঁদের সাথে ছিলেন। তিনি তখন বলছিলেনঃ
اللَّهُمَّ لاَ خَيْرَ إِلاَّ خَيْرُ الآخِرَهْ فَاغْفِرْ لِلأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَهْ
হে আল্লাহ! আখিরাতের কল্যাণ ছাড়া (প্রকৃতপক্ষে) আর কোন কল্যাণ নেই। আপনি আনসার ও মুহাজিরগণকে ক্ষমা করে দিন।
অবশেষে তিনি আবু আইয়্যুব আনসারী (রাযিঃ) এর ঘরের সামনে অবতরণ করলেন। নবী (ﷺ) যেখানেই নামাযের ওয়াক্ত হয় সেখানেই নামায আদায় করতে পছন্দ করতেন এবং তিনি ছাগল-ভেড়ার খোয়াড়েও নামায আদায় করতেন। এখন তিনি মসজিদ তৈরী করার নির্দেশ দেন। তিনি বনু নাজ্জারকে ডেকে বললেনঃ হে বনু নাজ্জার! তোমরা আমার কাছ থেকে তোমাদের এই বাগিচার মূল্য নির্ধারণ কর। তারা বললোঃ না, আল্লাহর কসম, আমরা এর দাম নেব না। এর দাম আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছেই আশা করি।
আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ আমি তোমাদের বলছি, এখানে মুশরিকদের কবর এবং ভগ্নাবশেষ ছিল। আর ছিল খেজুরের গাছ। নবী (ﷺ) এর নির্দেশে মুশরিকদের কবর খুঁড়ে ফেলা হল। তারপর ভগ্নাবশেষ সমতল করে দেওয়া হল, খেজুর গাছগুলো কেটে ফেলা হল এবং এর দুই পাশে পাথর বসানো হল। সাহাবীগণ পাথর তুলতে তুলতে ছন্দোবদ্ধ কবিতা আবৃত্তি করছিলেন। আর নবী (ﷺ)-ও তাঁদের সাথে ছিলেন। তিনি তখন বলছিলেনঃ
اللَّهُمَّ لاَ خَيْرَ إِلاَّ خَيْرُ الآخِرَهْ فَاغْفِرْ لِلأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَهْ
হে আল্লাহ! আখিরাতের কল্যাণ ছাড়া (প্রকৃতপক্ষে) আর কোন কল্যাণ নেই। আপনি আনসার ও মুহাজিরগণকে ক্ষমা করে দিন।
بَابُ هَلْ تُنْبَشُ قُبُورُ مُشْرِكِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَيُتَّخَذُ مَكَانَهَا مَسَاجِدَ
428 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَدِينَةَ فَنَزَلَ أَعْلَى المَدِينَةِ فِي حَيٍّ يُقَالُ لَهُمْ بَنُو عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، فَأَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِمْ أَرْبَعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى بَنِي النَّجَّارِ، فَجَاءُوا مُتَقَلِّدِي السُّيُوفِ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَاحِلَتِهِ، وَأَبُو بَكْرٍ رِدْفُهُ وَمَلَأُ بَنِي النَّجَّارِ حَوْلَهُ حَتَّى أَلْقَى بِفِنَاءِ أَبِي أَيُّوبَ [ص:94]، وَكَانَ يُحِبُّ أَنْ يُصَلِّيَ حَيْثُ أَدْرَكَتْهُ الصَّلاَةُ، وَيُصَلِّي فِي مَرَابِضِ الغَنَمِ، وَأَنَّهُ أَمَرَ بِبِنَاءِ المَسْجِدِ، فَأَرْسَلَ إِلَى مَلَإٍ مِنْ بَنِي النَّجَّارِ فَقَالَ: «يَا بَنِي النَّجَّارِ ثَامِنُونِي بِحَائِطِكُمْ هَذَا» ، قَالُوا: لاَ وَاللَّهِ لاَ نَطْلُبُ ثَمَنَهُ إِلَّا إِلَى اللَّهِ، فَقَالَ أَنَسٌ: فَكَانَ فِيهِ مَا أَقُولُ لَكُمْ قُبُورُ المُشْرِكِينَ، وَفِيهِ خَرِبٌ وَفِيهِ نَخْلٌ، فَأَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقُبُورِ المُشْرِكِينَ، فَنُبِشَتْ، ثُمَّ بِالخَرِبِ فَسُوِّيَتْ، وَبِالنَّخْلِ فَقُطِعَ، فَصَفُّوا النَّخْلَ قِبْلَةَ المَسْجِدِ وَجَعَلُوا عِضَادَتَيْهِ الحِجَارَةَ، وَجَعَلُوا يَنْقُلُونَ الصَّخْرَ وَهُمْ يَرْتَجِزُونَ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَهُمْ، وَهُوَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ لاَ خَيْرَ إِلَّا خَيْرُ الآخِرَهْ فَاغْفِرْ لِلْأَنْصَارِ وَالمُهَاجِرَهْ»