আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৭- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৩৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৯
২৪২। নামাযের অধ্যায়ঃ মি’রাজে কিভাবে নামায ফরয হল?
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ আমার কাছে আবু সুফিয়ান ইবনে হারব (রাযিঃ) হিরাকল-এর হাদীসে বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি এ কথাও বলেছেন যে, নবী (ﷺ) আমদেরকে নামায, সত্যবাদিতা ও চারিত্রিক পবিত্রতার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ আমার কাছে আবু সুফিয়ান ইবনে হারব (রাযিঃ) হিরাকল-এর হাদীসে বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি এ কথাও বলেছেন যে, নবী (ﷺ) আমদেরকে নামায, সত্যবাদিতা ও চারিত্রিক পবিত্রতার নির্দেশ দিয়েছেন।
৩৪২। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আবু যর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমার ঘরের ছাদ খুলে দেয়া হল। তখন আমি মক্কায় ছিলাম। তারপর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) এসে আমার বক্ষ বিদীর্ণ করলেন। আর তা যমযমের পানি দিয়ে ধুলেন। এরপর হিকমত ও ঈমানে পরিপূর্ণ একটি সোনার পাত্র নিয়ে আসলেন এবং তা আমার বক্ষে ঢেলে দিয়ে বন্ধ করে দিলেন। তারপর হাত ধরে আমাকে দুনিয়ার আসমানের দিকে নিয়ে চললেন। যখন দুনিয়ার আসমানে পৌঁছালাম, তখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আসমানের রক্ষককে বললেনঃ দরজা খোল। তিনি বললেনঃ কে? উত্তর দিলেনঃ আমি জিবরাঈল, আবার জিজ্ঞাসা করলেনঃ আপনার সঙ্গে আর কেউ আছে কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আমার সঙ্গে মুহাম্মাদ (ﷺ)। তিনি আবার বললেনঃ তাঁকে কি আহবান করা হয়েছে? তিনি উত্তরে বললেনঃ হ্যাঁ।
তারপর আসমান খোলা হলে আমরা প্রথম আসমানে উঠলাম। সেখানে দেখলাম, এক লোক বসে আছেন এবং অনেকগুলো মানুষের আকৃতি তাঁর ডান পাশে রয়েছে এবং অনেকগুলো মানুষের আকৃতি বাম পাশেও রয়েছে। যখন তিনি ডান দিকে তাকাচ্ছেন, হাসছেন আর যখন তিনি বাঁ দিকে তাকাচ্ছেন, কাঁদছেন। তিনি বললেনঃ খোশ আমদেদ, হে পুণ্যবান নবী! হে নেক সন্তান! আমি জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) কে জিজ্ঞাসা করলামঃ ইনি কে? তিনি বললেনঃ ইনি আদম (আলাইহিস সালাম)। আর তাঁর ডানে ও বাঁয়ে তাঁর সন্তানদের রুহ। ডান দিকের লোকেরা জান্নাতী আর বাঁ দিকের লোকেরা জাহান্নামী। এজন্য তিনি ডান দিকে তাকালে হাসেন আর বাঁ দিকে তাকালে কাঁদেন।
তারপর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আমাকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় আকাশে উঠলেন। সেখানে উঠে রক্ষক কে বললেনঃ দরজা খোল। তখন রক্ষক প্রথম আসমানের রক্ষকের অনুরূপ প্রশ্ন করলেন। তারপর দরজা খুলে দিলেন।
আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ এরপর আবু যর বলেনঃ তিনি (নবী ﷺ) আসমানসমূহে আদম (আলাইহিস সালাম), ইদরীস (আলাইহিস সালাম), মুসা (আলাইহিস সালাম), ঈসা (আলাইহিস সালাম), ও ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে পেলেন। আবু যর (রাযিঃ) তাঁদের অবস্থান নির্দিষ্টভাবে বলেন নি। কেবল এতটুকু বলেছেন যে, নবী (ﷺ) আদম (আলাইহিস সালাম)-কে প্রথম আসমানে এবং ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে ষষ্ঠ আসমানে পেয়েছেন।
আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ যখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) নবী (ﷺ)-কে ইদরীস (আলাইহিস সালাম) এর পাশ দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ইদরীস (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ খোশ আমদেদ! পুণ্যবান নবী এবং নেক ভাই! আমি জিজ্ঞাসা করলাম ইনি কে? জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ ইনি ঈদরীস (আলাইহিস সালাম)। তারপর আমি মুসা (আলাইহিস সালাম) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি বললেনঃ খোশ আমদেদ! পূণ্যবান নবী এবং নেক ভাই। আমি বললাম ইনি কে? জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ মুসা (আলাইহিস সালাম)। তারপর আমি ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি বললেনঃ খোশ আমদেদ! পুণ্যবান নবী ও নেক ভাই। আমি জিজ্ঞাসা করলাম ইনি কে? জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ ইনি ঈসা (আলাইহিস সালাম)।
তারপর ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি বললেনঃ খোশ আমদেদ! পুণ্যবান নবী এবং নেক সন্তান। আমি জিজ্ঞাসা করলাম ইনি কে? জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ ইনি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন যে, ইবনে হাযম আমাকে খবর দিয়েছেন ইবনে আব্বাস ও আবু হাব্বা আনসারী (রাযিঃ) উভয়ে বলেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তারপর আমাকে আরো উপরে উঠানো হল, আমি এমন এক সমতল স্থানে উপনীত হলাম, যেখান থেকে কলমের লেখার শব্দ শুনতে পেলাম। ইবনে হাযম (রাহঃ) ও আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তারপর আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করে দিলেন। আমি এ নিয়ে প্রত্যাবর্তনকালে যখন মুসা (আলাইহিস সালাম) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ আপনার উম্মতের উপর আল্লাহ কি ফরয করেছেন? আমি বললামঃ পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন। তিনি বললেনঃ আপনি আপনার রবের কাছে ফিরে যান। কারণ আপনার উম্মত তা আদায় করতে সক্ষম হবে না। আমি ফিরে গেলাম। আল্লাহ পাক কিছু অংশ কমিয়ে দিলেন। আমি মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আবার গেলাম আর বললামঃ কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেনঃ আপনি আবার আপনার রবের কাছে যান। কারণ আপনার উম্মত এও আদায় করতে সক্ষম হবে না। আমি ফিরে গেলাম। তখন আরো কিছু অংশ কমিয়ে দেওয়া হল। আবারও মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে গেলাম, এবারও তিনি বললেনঃ আপনি আবার আপনার রবের কাছে যান। কারণ আপনার উম্মত এও আদায় করতে সক্ষম হবে না। তখন আমি আবার গেলাম, তখন আল্লাহ বললেনঃ এই পাঁচই (সাওয়াবের দিক দিয়ে) পঞ্চাশ (গণ্য হবে)। আমার কথার কোন পরিবর্তন নেই। আমি আবার মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসলে তিনি আমাকে আবারও বলললেনঃ আপনার রবের কাছে আবার যান। আমি বললামঃ আবার আমার রবের কাছে যেতে আমি লজ্জাবোধ করছি। তারপর জিবরাঈল(আলাইহিস সালাম) আমাকে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। আর তখন তা বিভিন্ন রংে ঢাকা ছিল, যার তাৎপর্য আমার জানা ছিল না। তারপর আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাওয়া হল। আমি দেখলাম তাতে মুক্তার হার রয়েছে আর তার মাটি কস্তুরী।
তারপর আসমান খোলা হলে আমরা প্রথম আসমানে উঠলাম। সেখানে দেখলাম, এক লোক বসে আছেন এবং অনেকগুলো মানুষের আকৃতি তাঁর ডান পাশে রয়েছে এবং অনেকগুলো মানুষের আকৃতি বাম পাশেও রয়েছে। যখন তিনি ডান দিকে তাকাচ্ছেন, হাসছেন আর যখন তিনি বাঁ দিকে তাকাচ্ছেন, কাঁদছেন। তিনি বললেনঃ খোশ আমদেদ, হে পুণ্যবান নবী! হে নেক সন্তান! আমি জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) কে জিজ্ঞাসা করলামঃ ইনি কে? তিনি বললেনঃ ইনি আদম (আলাইহিস সালাম)। আর তাঁর ডানে ও বাঁয়ে তাঁর সন্তানদের রুহ। ডান দিকের লোকেরা জান্নাতী আর বাঁ দিকের লোকেরা জাহান্নামী। এজন্য তিনি ডান দিকে তাকালে হাসেন আর বাঁ দিকে তাকালে কাঁদেন।
তারপর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আমাকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় আকাশে উঠলেন। সেখানে উঠে রক্ষক কে বললেনঃ দরজা খোল। তখন রক্ষক প্রথম আসমানের রক্ষকের অনুরূপ প্রশ্ন করলেন। তারপর দরজা খুলে দিলেন।
আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ এরপর আবু যর বলেনঃ তিনি (নবী ﷺ) আসমানসমূহে আদম (আলাইহিস সালাম), ইদরীস (আলাইহিস সালাম), মুসা (আলাইহিস সালাম), ঈসা (আলাইহিস সালাম), ও ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে পেলেন। আবু যর (রাযিঃ) তাঁদের অবস্থান নির্দিষ্টভাবে বলেন নি। কেবল এতটুকু বলেছেন যে, নবী (ﷺ) আদম (আলাইহিস সালাম)-কে প্রথম আসমানে এবং ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে ষষ্ঠ আসমানে পেয়েছেন।
আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ যখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) নবী (ﷺ)-কে ইদরীস (আলাইহিস সালাম) এর পাশ দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ইদরীস (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ খোশ আমদেদ! পুণ্যবান নবী এবং নেক ভাই! আমি জিজ্ঞাসা করলাম ইনি কে? জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ ইনি ঈদরীস (আলাইহিস সালাম)। তারপর আমি মুসা (আলাইহিস সালাম) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি বললেনঃ খোশ আমদেদ! পূণ্যবান নবী এবং নেক ভাই। আমি বললাম ইনি কে? জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ মুসা (আলাইহিস সালাম)। তারপর আমি ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি বললেনঃ খোশ আমদেদ! পুণ্যবান নবী ও নেক ভাই। আমি জিজ্ঞাসা করলাম ইনি কে? জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ ইনি ঈসা (আলাইহিস সালাম)।
তারপর ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি বললেনঃ খোশ আমদেদ! পুণ্যবান নবী এবং নেক সন্তান। আমি জিজ্ঞাসা করলাম ইনি কে? জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ ইনি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন যে, ইবনে হাযম আমাকে খবর দিয়েছেন ইবনে আব্বাস ও আবু হাব্বা আনসারী (রাযিঃ) উভয়ে বলেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তারপর আমাকে আরো উপরে উঠানো হল, আমি এমন এক সমতল স্থানে উপনীত হলাম, যেখান থেকে কলমের লেখার শব্দ শুনতে পেলাম। ইবনে হাযম (রাহঃ) ও আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তারপর আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করে দিলেন। আমি এ নিয়ে প্রত্যাবর্তনকালে যখন মুসা (আলাইহিস সালাম) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ আপনার উম্মতের উপর আল্লাহ কি ফরয করেছেন? আমি বললামঃ পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন। তিনি বললেনঃ আপনি আপনার রবের কাছে ফিরে যান। কারণ আপনার উম্মত তা আদায় করতে সক্ষম হবে না। আমি ফিরে গেলাম। আল্লাহ পাক কিছু অংশ কমিয়ে দিলেন। আমি মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আবার গেলাম আর বললামঃ কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেনঃ আপনি আবার আপনার রবের কাছে যান। কারণ আপনার উম্মত এও আদায় করতে সক্ষম হবে না। আমি ফিরে গেলাম। তখন আরো কিছু অংশ কমিয়ে দেওয়া হল। আবারও মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে গেলাম, এবারও তিনি বললেনঃ আপনি আবার আপনার রবের কাছে যান। কারণ আপনার উম্মত এও আদায় করতে সক্ষম হবে না। তখন আমি আবার গেলাম, তখন আল্লাহ বললেনঃ এই পাঁচই (সাওয়াবের দিক দিয়ে) পঞ্চাশ (গণ্য হবে)। আমার কথার কোন পরিবর্তন নেই। আমি আবার মুসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসলে তিনি আমাকে আবারও বলললেনঃ আপনার রবের কাছে আবার যান। আমি বললামঃ আবার আমার রবের কাছে যেতে আমি লজ্জাবোধ করছি। তারপর জিবরাঈল(আলাইহিস সালাম) আমাকে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। আর তখন তা বিভিন্ন রংে ঢাকা ছিল, যার তাৎপর্য আমার জানা ছিল না। তারপর আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাওয়া হল। আমি দেখলাম তাতে মুক্তার হার রয়েছে আর তার মাটি কস্তুরী।
كتاب الصلاة
باب كَيْفَ فُرِضَتِ الصَّلاَةُ فِي الإِسْرَاءِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ حَدَّثَنِي أَبُو سُفْيَانَ فِي حَدِيثِ هِرَقْلَ فَقَالَ يَأْمُرُنَا- يَعْنِي النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالصَّلاَةِ وَالصِّدْقِ وَالْعَفَافِ
باب كَيْفَ فُرِضَتِ الصَّلاَةُ فِي الإِسْرَاءِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ حَدَّثَنِي أَبُو سُفْيَانَ فِي حَدِيثِ هِرَقْلَ فَقَالَ يَأْمُرُنَا- يَعْنِي النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالصَّلاَةِ وَالصِّدْقِ وَالْعَفَافِ
349 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: كَانَ أَبُو ذَرٍّ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " فُرِجَ عَنْ سَقْفِ بَيْتِي وَأَنَا بِمَكَّةَ، فَنَزَلَ جِبْرِيلُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَفَرَجَ صَدْرِي، ثُمَّ غَسَلَهُ بِمَاءِ زَمْزَمَ، ثُمَّ جَاءَ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ مُمْتَلِئٍ حِكْمَةً وَإِيمَانًا، فَأَفْرَغَهُ فِي صَدْرِي، ثُمَّ أَطْبَقَهُ، ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي، فَعَرَجَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا، فَلَمَّا جِئْتُ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا، قَالَ جِبْرِيلُ: لِخَازِنِ السَّمَاءِ افْتَحْ، قَالَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ هَذَا جِبْرِيلُ، قَالَ: هَلْ مَعَكَ أَحَدٌ؟ قَالَ: نَعَمْ مَعِي مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ، فَلَمَّا فَتَحَ عَلَوْنَا السَّمَاءَ الدُّنْيَا، فَإِذَا رَجُلٌ قَاعِدٌ عَلَى يَمِينِهِ أَسْوِدَةٌ، وَعَلَى يَسَارِهِ أَسْوِدَةٌ، إِذَا نَظَرَ قِبَلَ يَمِينِهِ ضَحِكَ، وَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ يَسَارِهِ بَكَى، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالِابْنِ الصَّالِحِ، قُلْتُ لِجِبْرِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا آدَمُ، وَهَذِهِ الأَسْوِدَةُ عَنْ يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ نَسَمُ بَنِيهِ، فَأَهْلُ اليَمِينِ مِنْهُمْ أَهْلُ الجَنَّةِ، وَالأَسْوِدَةُ الَّتِي عَنْ شِمَالِهِ أَهْلُ النَّارِ، فَإِذَا نَظَرَ عَنْ يَمِينِهِ ضَحِكَ، وَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ شِمَالِهِ بَكَى حَتَّى عَرَجَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الثَّانِيَةِ، فَقَالَ لِخَازِنِهَا: افْتَحْ، فَقَالَ لَهُ خَازِنِهَا مِثْلَ مَا قَالَ الأَوَّلُ: فَفَتَحَ، - قَالَ أَنَسٌ: فَذَكَرَ أَنَّهُ [ص:79] وَجَدَ فِي السَّمَوَاتِ آدَمَ، وَإِدْرِيسَ، وَمُوسَى، وَعِيسَى، وَإِبْرَاهِيمَ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ، وَلَمْ يُثْبِتْ كَيْفَ مَنَازِلُهُمْ غَيْرَ أَنَّهُ ذَكَرَ أَنَّهُ وَجَدَ آدَمَ فِي السَّمَاءِ الدُّنْيَا وَإِبْرَاهِيمَ فِي السَّمَاءِ السَّادِسَةِ، قَالَ أَنَسٌ - فَلَمَّا مَرَّ جِبْرِيلُ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِدْرِيسَ قَالَ: مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالأَخِ الصَّالِحِ، فَقُلْتُ مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا إِدْرِيسُ، ثُمَّ مَرَرْتُ بِمُوسَى فَقَالَ: مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالأَخِ الصَّالِحِ، قُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا مُوسَى، ثُمَّ مَرَرْتُ بِعِيسَى فَقَالَ: مَرْحَبًا بِالأَخِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ، قُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا عِيسَى، ثُمَّ مَرَرْتُ بِإِبْرَاهِيمَ، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالِابْنِ الصَّالِحِ، قُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا إِبْرَاهِيمُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ "، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: فَأَخْبَرَنِي ابْنُ حَزْمٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، وَأَبَا حَبَّةَ الأَنْصَارِيَّ، كَانَا يَقُولاَنِ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ثُمَّ عُرِجَ بِي حَتَّى ظَهَرْتُ لِمُسْتَوَى أَسْمَعُ فِيهِ صَرِيفَ الأَقْلاَمِ» ، قَالَ ابْنُ حَزْمٍ، وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَفَرَضَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى أُمَّتِي خَمْسِينَ صَلاَةً، فَرَجَعْتُ بِذَلِكَ، حَتَّى مَرَرْتُ عَلَى مُوسَى، فَقَالَ: مَا فَرَضَ اللَّهُ لَكَ عَلَى أُمَّتِكَ؟ قُلْتُ: فَرَضَ خَمْسِينَ صَلاَةً، قَالَ: فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ، فَإِنَّ أُمَّتَكَ لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ، فَرَاجَعْتُ، فَوَضَعَ شَطْرَهَا، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى، قُلْتُ: وَضَعَ شَطْرَهَا، فَقَالَ: رَاجِعْ رَبَّكَ، فَإِنَّ أُمَّتَكَ لاَ تُطِيقُ، فَرَاجَعْتُ فَوَضَعَ شَطْرَهَا، فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ، فَقَالَ: ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ، فَإِنَّ أُمَّتَكَ لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ، فَرَاجَعْتُهُ، فَقَالَ: هِيَ خَمْسٌ، وَهِيَ خَمْسُونَ، لاَ يُبَدَّلُ القَوْلُ لَدَيَّ، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى، فَقَالَ: رَاجِعْ رَبَّكَ، فَقُلْتُ: اسْتَحْيَيْتُ مِنْ رَبِّي، ثُمَّ انْطَلَقَ بِي، حَتَّى انْتَهَى بِي إِلَى سِدْرَةِ المُنْتَهَى، وَغَشِيَهَا أَلْوَانٌ لاَ أَدْرِي مَا هِيَ؟ ثُمَّ أُدْخِلْتُ الجَنَّةَ، فَإِذَا فِيهَا حَبَايِلُ اللُّؤْلُؤِ وَإِذَا تُرَابُهَا المِسْكُ "
হাদীস নং: ৩৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৫০
২৪২। নামাযের অধ্যায়ঃ মি’রাজে কিভাবে নামায ফরয হল?
৩৪৩। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ..... উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আল্লাহ তাআলা মুকীম অবস্থায় ও সফরে দুই রাক’আত করে নামায ফরয করেছিলেন। পরে সফরের নামায পূর্বের মত রাখা হল আর মুকীম অবস্থার নামায বৃদ্ধি করা হল।
كتاب الصلاة
باب كَيْفَ فُرِضَتِ الصَّلاَةُ فِي الإِسْرَاءِ
باب كَيْفَ فُرِضَتِ الصَّلاَةُ فِي الإِسْرَاءِ
350 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ المُؤْمِنِينَ، قَالَتْ: «فَرَضَ اللَّهُ الصَّلاَةَ حِينَ فَرَضَهَا، رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ، فِي الحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلاَةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلاَةِ الحَضَرِ»