আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৭৬- কৌশল গ্রহণ সংশ্লিষ্ট অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ৬৫০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৭৫
২৯২৭. হেবা ও শুফআর ব্যাপারে কৌশল অবলম্বন।
কোন কোন মনিষী বলেন, কেউ কেউ কৌশল করে এক হাজার বা ততোধিক দিরহাম হেবা করে এবং তা কয়েক বছর গ্রহীতার কাছে থেকে যায় এবং এতে কৌশল করে। এরপর হেবাকরী যদি আবার তা ফেরত নিয়ে আসে, তাহলে তাদের উভয়ের কারো উপর যাকাত ওয়াজিব হবে না।
আবু আব্দুল্লাহ (বুখারী) বলেনঃ তাহলে সে হেবার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিরুদ্ধাচরণ করল এবং যাকাত ফাঁকি দিল।
কোন কোন মনিষী বলেন, কেউ কেউ কৌশল করে এক হাজার বা ততোধিক দিরহাম হেবা করে এবং তা কয়েক বছর গ্রহীতার কাছে থেকে যায় এবং এতে কৌশল করে। এরপর হেবাকরী যদি আবার তা ফেরত নিয়ে আসে, তাহলে তাদের উভয়ের কারো উপর যাকাত ওয়াজিব হবে না।
আবু আব্দুল্লাহ (বুখারী) বলেনঃ তাহলে সে হেবার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিরুদ্ধাচরণ করল এবং যাকাত ফাঁকি দিল।
৬৫০৪। আবু নুআয়ম (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ দান করে আবার তাকে ফেরত নেয়া ব্যক্তির তুলনা যেন এমন একটি কুকুর, যে বমি করে তা আবার গলধঃকরণ করে। এরূপ খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন আমাদের জন্য কিছুতেই ঠিক নয়।
بَابٌ فِي الهِبَةِ وَالشُّفْعَةِوَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ: " إِنْ وَهَبَ هِبَةً، أَلْفَ دِرْهَمٍ أَوْ أَكْثَرَ، حَتَّى مَكَثَ عِنْدَهُ سِنِينَ، وَاحْتَالَ فِي ذَلِكَ، ثُمَّ رَجَعَ الوَاهِبُ فِيهَا فَلاَ زَكَاةَ عَلَى وَاحِدٍ مِنْهُمَا. فَخَالَفَ الرَّسُولَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الهِبَةِ، وَأَسْقَطَ الزَّكَاةَ
6975 - حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «العَائِدُ فِي هِبَتِهِ كَالكَلْبِ يَعُودُ فِي قَيْئِهِ، لَيْسَ لَنَا مَثَلُ السَّوْءِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৫০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৭৬
২৯২৭. হেবা ও শুফআর ব্যাপারে কৌশল অবলম্বন।
৬৫০৫। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কেবল ঐসব ভূমিতে শুফআর অধিকার সাব্যস্ত করেছেন, যেগুলো এখনো বন্টিত হয়নি। আর যখন সীমানা নির্দিষ্ট হয়ে যায় এবং রাস্তা নির্ধারিত হয়ে যায়, তখন আর শুফআর (অধিকার) থাকে না। কোন কোন লোক বলেন, প্রতিবেশী হওয়ার দরুনও শুফআর অধিকার সাব্যস্ত হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে যা দৃঢ়তার সাথে ব্যক্ত করলেন, তা আবার বাতিল করে দিলেন এবং বললেন, যদি কেউ কোন বাড়ী ক্রয় করার পর আশঙ্কা করে যে, প্রতিবেশী শুফআর অধিকারের ভিত্তিতে নিয়ে যাবে, তাই সে শত অংশের এক অংশ প্রথমে ক্রয় করে নেয়, তারপর বাকী অংশ ক্রয় করে। অথচ প্রতিবেশীর জন্য শুফআর অধিকার কেবল প্রথম অংশে ছিল। তাহলে বাড়ীর বাকী অংশে প্রতিবেশীর জন্য শুফআর অধিকার প্রতিষ্ঠিত থাকে না। এক্ষেত্রে সে এ কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারে।
باب فِي الْهِبَةِ وَالشُّفْعَةِ
6976 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: إِنَّمَا «جَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الشُّفْعَةَ فِي كُلِّ مَا لَمْ يُقْسَمْ، فَإِذَا وَقَعَتِ الحُدُودُ، وَصُرِّفَتِ الطُّرُقُ، فَلاَ شُفْعَةَ» وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ: " الشُّفْعَةُ لِلْجِوَارِ، ثُمَّ عَمَدَ إِلَى مَا شَدَّدَهُ فَأَبْطَلَهُ، وَقَالَ: إِنِ اشْتَرَى دَارًا، فَخَافَ أَنْ يَأْخُذَ الجَارُ بِالشُّفْعَةِ، فَاشْتَرَى سَهْمًا مِنْ مِائَةِ سَهْمٍ، ثُمَّ اشْتَرَى البَاقِيَ، وَكَانَ لِلْجَارِ الشُّفْعَةُ فِي السَّهْمِ الأَوَّلِ، وَلاَ شُفْعَةَ لَهُ فِي بَاقِي الدَّارِ، وَلَهُ أَنْ يَحْتَالَ فِي ذَلِكَ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৫০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৭৭
২৯২৭. হেবা ও শুফআর ব্যাপারে কৌশল অবলম্বন।
৬৫০৬। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আমর ইবনে শারীদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) এসে তাঁর হাত আমার কাঁধে রাখলেন। তারপর আমি তাঁর সাথে সা’দ (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। তখন আবু রাফি (রাযিঃ) মিসওয়ার (রাযিঃ) কে বললেন, আপনি কি ওকে এ কথা বলছেন যে, সে আমার ঐ ঘরটি ক্রয় করে নেবে, যে ঘরটি তাঁর বাড়ীতে রয়েছে। সা’দ (রাযিঃ) বললেন, আমি চারশ থেকে বেশী দেব না। তাও আবার কিস্তিতে দেব। আবু রাফি' (রাযিঃ) বললেন, আমাকে নগদ পাঁচশত দেয়া হচ্ছে, অথচ আমি তাকে দিচ্ছি না। আমি যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে না শুনতাম যে, প্রতিবেশী তার সংলগ্ন ভূমি ক্রয়ের ব্যাপারে সবচে বেশী হকদার, তাহলে আমি তা তোমার কাছে বিক্রি করতাম না। অথবা বলেছেন, তোমাকে আমি তা দিতাম না।
আমি সুফিয়ান (রাহঃ) কে বললাম যে, মা’মার তো এমনটি বলেননি। তিনি বললেন, কিন্তু তিনি আমাকে এমনটি বলেছেন।
কিছু সংখ্যক লোক বলেন, কেউ যদি কোন ভূমি বিক্রি করে, তাহলে কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করে শুফআর অধিকার বাতিল করে দিতে পারে। যেমন বিক্রেতা ক্রেতাকে বাড়িটি দান করে দেবে এবং তার সীমানা বর্ণনা করে ক্রেতার কাছে সোপর্দ করে দেবে। এরপর ক্রেতা বিক্রেতাকে এক হাজার দিরহাম দিয়ে দেবে। এমতাবস্থায়, শাফী’র জন্য তাতে শুফআর অধিকার থাকবে না।
আমি সুফিয়ান (রাহঃ) কে বললাম যে, মা’মার তো এমনটি বলেননি। তিনি বললেন, কিন্তু তিনি আমাকে এমনটি বলেছেন।
কিছু সংখ্যক লোক বলেন, কেউ যদি কোন ভূমি বিক্রি করে, তাহলে কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করে শুফআর অধিকার বাতিল করে দিতে পারে। যেমন বিক্রেতা ক্রেতাকে বাড়িটি দান করে দেবে এবং তার সীমানা বর্ণনা করে ক্রেতার কাছে সোপর্দ করে দেবে। এরপর ক্রেতা বিক্রেতাকে এক হাজার দিরহাম দিয়ে দেবে। এমতাবস্থায়, শাফী’র জন্য তাতে শুফআর অধিকার থাকবে না।
باب فِي الْهِبَةِ وَالشُّفْعَةِ
6977 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ الشَّرِيدِ، قَالَ: جَاءَ المِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى مَنْكِبِي، فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ إِلَى سَعْدٍ، فَقَالَ أَبُو رَافِعٍ، لِلْمِسْوَرِ: أَلاَ تَأْمُرُ هَذَا أَنْ يَشْتَرِيَ مِنِّي بَيْتِي الَّذِي فِي دَارِي؟ فَقَالَ: لاَ أَزِيدُهُ عَلَى أَرْبَعِ مِائَةٍ، إِمَّا مُقَطَّعَةٍ وَإِمَّا مُنَجَّمَةٍ، قَالَ: أُعْطِيتُ خَمْسَ مِائَةٍ نَقْدًا فَمَنَعْتُهُ، وَلَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «الجَارُ أَحَقُّ بِصَقَبِهِ» مَا بِعْتُكَهُ أَوْ قَالَ: مَا أَعْطَيْتُكَهُ قُلْتُ لِسُفْيَانَ: إِنَّ مَعْمَرًا، لَمْ يَقُلْ هَكَذَا، قَالَ: لَكِنَّهُ قَالَ لِي هَكَذَا وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ: «إِذَا أَرَادَ أَنْ يَبِيعَ الشُّفْعَةَ فَلَهُ أَنْ يَحْتَالَ حَتَّى يُبْطِلَ الشُّفْعَةَ، فَيَهَبَ البَائِعُ لِلْمُشْتَرِي الدَّارَ وَيَحُدُّهَا، وَيَدْفَعُهَا إِلَيْهِ، وَيُعَوِّضُهُ المُشْتَرِي أَلْفَ دِرْهَمٍ، فَلاَ يَكُونُ لِلشَّفِيعِ فِيهَا شُفْعَةٌ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৫০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৭৮
২৯২৭. হেবা ও শুফআর ব্যাপারে কৌশল অবলম্বন।
৬৫০৭। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আবু রাফি' (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, সা’দ (রাযিঃ) তার কাছ থেকে চারশ মিছকালের বিনিময়ে একটি ঘর ক্রয় করার জন্য দর করেন। তখন তিনি বলেন, যদি আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে না শুনতাম যে, “প্রতিবেশী তার সংলগ্ন ভূমি ক্রয়ের ব্যাপারে সবচে বেশী হকদার” তাহলে তোমাকে আমি তা দিতাম না।
কেউ কেউ বলেন, যদি কেউ বাড়ীর কোন অংশ ক্রয় করে এবং শুফআর অধিকার বাতিল করে দিতে চায়, তাহলে তার ছোট ছেলেকে তা দান করে দেবে। আর তখন তার ওপর কোন কসমও আসবে না।
কেউ কেউ বলেন, যদি কেউ বাড়ীর কোন অংশ ক্রয় করে এবং শুফআর অধিকার বাতিল করে দিতে চায়, তাহলে তার ছোট ছেলেকে তা দান করে দেবে। আর তখন তার ওপর কোন কসমও আসবে না।
باب فِي الْهِبَةِ وَالشُّفْعَةِ
6978 - حَدَّثَنَا [ص:28] مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ: أَنَّ سَعْدًا سَاوَمَهُ بَيْتًا بِأَرْبَعِ مِائَةِ مِثْقَالٍ، فَقَالَ: لَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «الجَارُ أَحَقُّ بِصَقَبِهِ» لَمَا أَعْطَيْتُكَ وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ: «إِنِ اشْتَرَى نَصِيبَ دَارٍ فَأَرَادَ أَنْ يُبْطِلَ الشُّفْعَةَ، وَهَبَ لِابْنِهِ الصَّغِيرِ، وَلاَ يَكُونُ عَلَيْهِ يَمِينٌ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: