আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৭৬- কৌশল গ্রহণ সংশ্লিষ্ট অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৫০১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৭২
২৯২৫. কোন মহিলার জন্য স্বামী ও সতীনের বিরুদ্ধে কৌশল করা অপছন্দনীয় এবং এ ক্ষেত্রে নবী (ﷺ) এর ওপর যা নাযিল হয়েছে।
৬৫০১। উবাইদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিষ্টান্ন ও মধু পছন্দ করতেন এবং যখন আসরের নামায আদায় করে নিতেন, তখন তিনি তাঁর স্ত্রীদের কাছে ঘুরে বেড়াতেন এবং তাঁদের কাছে উপস্থিত হতেন। একদা তিনি হাফসা (রাযিঃ) এর ঘরে প্রবেশ করলেন এবং সাধারণত যত সময় তাঁর কাছে অবস্থান করতেন এর চেয়ে অধিক সময় তাঁর কাছে অবস্থান করলেন। তাই আমি এর কারণ জিজ্ঞাসা করলাম। তখন আমাকে বলা হল যে, তার স্বগোত্রীয় এক মহিলা এক কৌটা মধু হাদিয়া পাঠিয়েছে। এ থেকে তিনি আল্লাহর রাসূলকে কিছু পান করিয়েছেন। আমি মনে মনে বললাম, আল্লাহর কসম! আমরা অবশ্যই একটা কৌশল অবলম্বন করব।
এরপর আমি এ ব্যাপারে সাওদা (রাযিঃ) এর সাথে আলোচনা করলাম। আমি বললাম, যখন তিনি তোমার ঘরে আসবেন, তখন তিনি অবশ্যই তোমার সন্নিকটে যাবেন। এ সময় তুমি তাঁকে বলবে, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি মাগাফীর খেয়েছেন? তিনি অবশ্য না-ই বলবেন। তখন তুমি বলবে, তাহলে এ দুর্গন্ধ কিসের? আর রাসূল (ﷺ) এর কাছে তাঁর থেকে দুর্গন্ধ পাওয়া যাওয়াটা খুবই গুরুতর মনে হত। তখন তিনি বলবেনঃ হাফসা আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে। তখন তুমি তাঁকে বলবে, তাহলে ঐ মধুর পোকা “উরফুত” গাছের রস আহরণ করেছে। আর আমিও একই কথা বলব। হে সাফিয়া! তুমিও তাঁকে এ কথা বলবে।
যখন তিনি সাওদা (রাযিঃ) এর ঘরে এলেন, তখন সাওদা (রাযিঃ) বললেন, কসম ঐ সত্তার, যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। যখনই তিনি দরজার কাছে এলেন, তখনই আমি তোমার ভয়ে তোমার শিখানো কথাগুলো বলতে উদ্যত হলাম। এরপর তিনি যখন সন্নিকটে এলেন, তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি ‘মাগাফীর’ খেয়েছেন। তিনি বললেন, না। আমি বললাম, তাহলে এ দুর্গন্ধ কিসের? তিনি বললেন, হাফসা আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে। আমি বললাম, তাহলে এ মধুর পোকা “উরফুত” (বৃক্ষের) রস আহরণ করেছে।
আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন আমার ঘরে এলেন, তখন আমিও তাঁকে অনুরূপ কথা বললাম। এরপর তিনি সাফিয়া (রাযিঃ) এর ঘরে গেলেন, সেও তাঁকে অনুরূপ কথা বলল। পুনরায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন হাফসা (রাযিঃ) এর ঘরে প্রবেশ করলেন তখন তিনি তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনাকে মধু পান করতে দিব কি? তিনি বললেনঃ এর কোন প্রয়োজন নেই। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, সাওদা (রাযিঃ) বললঃ সুবহানাল্লাহ্! আমরা তা হারাম করে দিলাম। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, আমি সাওদা (রাযিঃ) কে বললামঃ চুপ কর।
باب مَا يُكْرَهُ مِنِ احْتِيَالِ الْمَرْأَةِ مَعَ الزَّوْجِ وَالضَّرَائِرِ وَمَا نَزَلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ
6972 - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحِبُّ الحَلْوَاءَ، وَيُحِبُّ العَسَلَ، وَكَانَ إِذَا صَلَّى العَصْرَ أَجَازَ عَلَى نِسَائِهِ فَيَدْنُو مِنْهُنَّ، فَدَخَلَ عَلَى حَفْصَةَ، فَاحْتَبَسَ عِنْدَهَا أَكْثَرَ مِمَّا كَانَ يَحْتَبِسُ، فَسَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ لِي: أَهْدَتْ لَهَا امْرَأَةٌ مِنْ قَوْمِهَا عُكَّةَ عَسَلٍ، فَسَقَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُ شَرْبَةً، فَقُلْتُ: أَمَا وَاللَّهِ لَنَحْتَالَنَّ لَهُ، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِسَوْدَةَ، قُلْتُ: إِذَا دَخَلَ عَلَيْكِ فَإِنَّهُ سَيَدْنُو مِنْكِ، فَقُولِي لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَكَلْتَ مَغَافِيرَ، فَإِنَّهُ سَيَقُولُ: لاَ، فَقُولِي لَهُ: مَا هَذِهِ الرِّيحُ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَشْتَدُّ عَلَيْهِ أَنْ يُوجَدَ مِنْهُ الرِّيحُ، فَإِنَّهُ سَيَقُولُ: سَقَتْنِي حَفْصَةُ شَرْبَةَ عَسَلٍ، فَقُولِي لَهُ: جَرَسَتْ نَحْلُهُ العُرْفُطَ، وَسَأَقُولُ ذَلِكِ: وَقُولِيهِ أَنْتِ يَا صَفِيَّةُ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى سَوْدَةَ، قُلْتُ: تَقُولُ سَوْدَةُ: وَالَّذِي لاَ إِلَهَ إِلَّا هُوَ، لَقَدْ كِدْتُ أَنْ أُبَادِرَهُ بِالَّذِي قُلْتِ لِي وَإِنَّهُ لَعَلَى البَابِ، فَرَقًا مِنْكِ، فَلَمَّا دَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَكَلْتَ مَغَافِيرَ؟ قَالَ: «لاَ» قُلْتُ: فَمَا هَذِهِ الرِّيحُ؟ قَالَ: «سَقَتْنِي حَفْصَةُ شَرْبَةَ عَسَلٍ» قُلْتُ: جَرَسَتْ نَحْلُهُ العُرْفُطَ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيَّ قُلْتُ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ، وَدَخَلَ عَلَى صَفِيَّةَ فَقَالَتْ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى حَفْصَةَ قَالَتْ لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلاَ أَسْقِيكَ مِنْهُ؟ قَالَ: «لاَ حَاجَةَ لِي بِهِ» قَالَتْ: تَقُولُ سَوْدَةُ: سُبْحَانَ اللَّهِ، لَقَدْ حَرَمْنَاهُ، قَالَتْ: قُلْتُ لَهَا: اسْكُتِي