আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৭৪- আল্লাহদ্রোহী ও ধর্মত্যাগীদেরকে তওবার প্রতি আহবান ও তাদের সাথে যুদ্ধ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৪৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৩৩
২৯০৪. যারা মনোরঞ্জনের নিমিত্তে খারিজীদের সাথে যুদ্ধ ত্যাগ করে এবং এজন্য যে, যাতে করে লোকেরা তাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ না করে।
৬৪৬৪। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) কোনকিছু বন্টন করছিলেন। ঘটনাক্রমে আব্দুল্লাহ ইবনে যুল খুওয়ায়সিরা তামিমী এল এবং বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ইনসাফ করুন। তিনি বললেনঃ আফসোস তোমার জন্য, আমি যদি ইনসাফ না করি, তাহলে আর কে ইনসাফ করবে? উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বললেন, আমাকে অনুমতি দিন, তার গর্দান উড়িয়ে দেই। তিনি বললেনঃ তাকে ছেড়ে দাও, তার আরো সাথীবৃন্দ রয়েছে। যাদের নামাযের তুলনায় তোমরা তোমাদের নামাযকে তুচ্ছ মনে করবে। যাদের রোযার তুলনায় তোমরা তোমাদের রোযাকে তুচ্ছ মনে করবে। তারা দ্বীন থেকে এরূপ বেরিয়ে যাবে, যেমন তীর শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়। তীরের পরে লক্ষ্য করলে তাতে কিছু পাওয়া যায় না। তীরের মুখের বেষ্টনীর প্রতি লক্ষ্য করলেও কিছু পাওয়া যায়না। তীরের কাঠের অংশের দিকে তাকালে তাতেও কিছু পাওয়া যায় না। বরং তীর তীব্র গতিতে বেরিয়ে যাওয়ার দরুন তাতে মল ও রক্তের দাগ পর্যন্ত লাগে না।
তাদের পরিচয় এই যে, তাদের একটি লোকের একটি হাত অথবা বলেছেন, একটি স্তন হবে মহিলাদের স্তনের ন্যায়। অথবা বলেছেন, বাড়তি গোশতের টুকরার ন্যায়। লোকদের মধ্যে বিরোধের সময় তাদের আবির্ভাব হবে।
আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি তা নবী (ﷺ) থেকে শুনেছি। এবং এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আলী (রাযিঃ) তাদেরকে হত্যা করেছিলেন। আমি তখন তাঁর সাথে ছিলাম। তখন নবী (ﷺ) প্রদত্ত বর্ণনার অনুরূপ ব্যক্তিকে আনা হয়েছিল। তিনি বলেনঃ ওর সম্পর্কেই নাযিল হয়েছেঃ ওদের মধ্যে এমন লোক আছে, যে সাদ্‌কা সম্পর্কে তোমাকে দোষারোপ করে (৯ঃ ৫৮)।
باب مَنْ تَرَكَ قِتَالَ الْخَوَارِجِ لِلتَّأَلُّفِ، وَأَنْ لاَ يَنْفِرَ النَّاسُ عَنْهُ
6933 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ: بَيْنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْسِمُ، جَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ذِي الخُوَيْصِرَةِ التَّمِيمِيُّ، فَقَالَ: اعْدِلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَقَالَ: «وَيْلَكَ، وَمَنْ يَعْدِلُ إِذَا لَمْ أَعْدِلْ» قَالَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ: دَعْنِي أَضْرِبْ عُنُقَهُ، قَالَ: " دَعْهُ، فَإِنَّ لَهُ أَصْحَابًا، يَحْقِرُ أَحَدُكُمْ صَلاَتَهُ مَعَ صَلاَتِهِ، وَصِيَامَهُ مَعَ صِيَامِهِ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ، يُنْظَرُ فِي قُذَذِهِ فَلاَ يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ، ثُمَّ يُنْظَرُ فِي نَصْلِهِ فَلاَ يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ، ثُمَّ يُنْظَرُ فِي رِصَافِهِ فَلاَ يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ، ثُمَّ يُنْظَرُ فِي نَضِيِّهِ فَلاَ يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ، قَدْ سَبَقَ الفَرْثَ وَالدَّمَ، آيَتُهُمْ رَجُلٌ إِحْدَى يَدَيْهِ، أَوْقَالَ: ثَدْيَيْهِ، مِثْلُ ثَدْيِ المَرْأَةِ، أَوْقَالَ: مِثْلُ البَضْعَةِ تَدَرْدَرُ، يَخْرُجُونَ عَلَى حِينِ فُرْقَةٍ مِنَ النَّاسِ " قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: أَشْهَدُ سَمِعْتُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَشْهَدُ أَنَّ عَلِيًّا، قَتَلَهُمْ، وَأَنَا مَعَهُ، جِيءَ بِالرَّجُلِ عَلَى النَّعْتِ الَّذِي نَعَتَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فَنَزَلَتْ فِيهِ: {وَمِنْهُمْ مَنْ يَلْمِزُكَ فِي الصَّدَقَاتِ} [التوبة: 58]
হাদীস নং: ৬৪৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৩৪
২৯০৪. যারা মনোরঞ্জনের নিমিত্তে খারিজীদের সাথে যুদ্ধ ত্যাগ করে এবং এজন্য যে, যাতে করে লোকেরা তাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ না করে।
৬৪৬৫। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... য়ুসাইর ইবনে আমর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাহল ইবনে হুনাইফ (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি নবী (ﷺ) কে খারিজীদের সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছেন কি? তিনি বললেন, আমি তাকে বলতে শুনেছি, আর তখন তিনি তাঁর হাত ইরাকের দিকে বাড়িয়েছিলেন যে, সেখান থেকে এমন একটি কওম বের হবে, যারা কুরআন পড়বে সত্য, কিন্তু তা তাদের গলদেশ অতিক্রম করবে না। তারা ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাবে, যেমন তীর শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়।
باب مَنْ تَرَكَ قِتَالَ الْخَوَارِجِ لِلتَّأَلُّفِ، وَأَنْ لاَ يَنْفِرَ النَّاسُ عَنْهُ
6934 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَاحِدِ، حَدَّثَنَا الشَّيْبَانِيُّ، حَدَّثَنَا يُسَيْرُ بْنُ عَمْرٍو، قَالَ: قُلْتُ لِسَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، هَلْ سَمِعْتَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: فِي الخَوَارِجِ شَيْئًا؟ قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ، وَأَهْوَى بِيَدِهِ قِبَلَ العِرَاقِ: «يَخْرُجُ مِنْهُ قَوْمٌ يَقْرَءُونَ القُرْآنَ، لاَ يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الإِسْلاَمِ مُرُوقَ السَّهْمِ مِنَ الرَّمِيَّةِ»