আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৭৩- রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৪১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৮০
২৮৭৩. কাউকে হত্যা করা হলে তার উত্তরাধিকারীগণ দু’রকমের শাস্তির যেকোন একটি প্রয়োগের অধিকার লাভ করে।
৬৪১৪। আবু নুআয়ম (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, খুযাআ গোত্রের লোকেরা এক ব্যক্তিকে হত্যা করল। আব্দুল্লাহ ইবনে রাজা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের বছর খুযাআ গোত্রের লোকেরা জাহিলী যুগের স্বগোত্রীয় নিহত ব্যক্তির প্রতিশোধ হিসেবে বনু লাঈস গোত্রের এক ব্যক্তিকে হত্যা করল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়ালেন এবং বললেনঃ আল্লাহ তাআলা মক্কা থেকে হস্তীদলকে রুখেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আপন রাসূল ও মুমিনদেরকে কর্তৃত্ব দান করেছেন। জেনে রেখো! মক্কা আমার পূর্বে কারো জন্য হালাল হয়নি, আর আমার পরও কারো জন্য হালাল হবে না। জেনে রেখো! আমার ক্ষেত্রে তা দিনের কিছু সময়ের জন্য হালাল করা হয়েছে। সাবধান! তা আমার এ সময়ে এমন সম্মানিত, তার কাঁটা উপড়ানো যাবে না, তার বৃক্ষ কাটা যাবে না, তাতে পড়ে থাকা বস্তু মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্য ব্যতীত তুলে নেয়া যাবে না। আর যার কাউকে হত্যা করা হয় সে দু’প্রকার দণ্ডের যেকোন একটি প্রয়োগের ইখতিয়ার লাভ করবে। হয়ত রক্তপণ গ্রহণ করা হবে, নতুবা কিসাস নেয়া হবে। এ সময় ইয়ামানবাসী এক ব্যক্তি দাঁড়াল, যাকে আবু শাহ বলা হয়। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে লিখে দিন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা আবু শাহকে লিখে দাও। তারপর কুরাইশ গোত্রের এক ব্যক্তি দাঁড়াল। আর বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ইযখির ব্যতীত। কেননা, আমরা তা আমাদের ঘরে, আমাদের কবরে ব্যবহার করি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ইযখির ব্যতীত।
উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) শায়বান (রাহঃ) থেকে الْفِيلِ (হস্তী) এর ব্যাপারে আবু নুআয়ম (রাহঃ) এর অনুসরণ করেছেন। কেউ কেউ আবু নুআয়ম (রাহঃ) থেকে القتل শব্দ নকল করেছেন। উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) إِمَّا أَنْ يُقَادَ এর পরে أَهْلُ الْقَتِيلِ শব্দও বর্ণনা করেছেন।
بَابُ مَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ
6880 - حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: «أَنَّ خُزَاعَةَ قَتَلُوا رَجُلًا» وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ، حَدَّثَنَا حَرْبٌ، عَنْ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ: أَنَّهُ عَامَ فَتْحِ مَكَّةَ، قَتَلَتْ خُزَاعَةُ رَجُلًا مِنْ بَنِي لَيْثٍ، بِقَتِيلٍ لَهُمْ فِي الجَاهِلِيَّةِ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " إِنَّ اللَّهَ حَبَسَ عَنْ مَكَّةَ الفِيلَ، وَسَلَّطَ عَلَيْهِمْ رَسُولَهُ وَالمُؤْمِنِينَ، أَلاَ وَإِنَّهَا لَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ قَبْلِي، وَلاَ تَحِلُّ لِأَحَدٍ بَعْدِي، أَلاَ وَإِنَّمَا أُحِلَّتْ لِي سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ، أَلاَ وَإِنَّهَا سَاعَتِي هَذِهِ حَرَامٌ، لاَ يُخْتَلَى شَوْكُهَا، وَلاَ يُعْضَدُ شَجَرُهَا، وَلاَ يَلْتَقِطُ سَاقِطَتَهَا إِلَّا مُنْشِدٌ، وَمَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ: إِمَّا يُودَى وَإِمَّا يُقَادُ " فَقَامَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ اليَمَنِ، يُقَالُ لَهُ أَبُو شَاهٍ، فَقَالَ: اكْتُبْ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:6]: «اكْتُبُوا لِأَبِي شَاهٍ» ثُمَّ قَامَ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِلَّا الإِذْخِرَ، فَإِنَّمَا نَجْعَلُهُ فِي بُيُوتِنَا وَقُبُورِنَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِلَّا الإِذْخِرَ» وَتَابَعَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ شَيْبَانَ فِي الفِيلِ قَالَ بَعْضُهُمْ: عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ: «القَتْلَ» وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: «إِمَّا أَنْ يُقَادَ أَهْلُ القَتِيلِ»
হাদীস নং: ৬৪১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৮১
২৮৭৩. কাউকে হত্যা করা হলে তার উত্তরাধিকারীগণ দু’রকমের শাস্তির যেকোন একটি প্রয়োগের অধিকার লাভ করে।
৬৪১৫। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনী ইসরাঈলদের মধ্যে কিসাসের বিধান বলবত ছিল। তাদের মধ্যে রক্তপণের বিধান ছিল না। তবে আল্লাহ এ উম্মতকে বললেনঃ "নর হত্যার ব্যাপারে তোমাদের জন্য কিসাসের বিধান দেয়া হয়েছে ...... কিন্তু তার ভাইয়ের পক্ষ হতে কিছুটা ক্ষমা প্রদর্শন করা হলে" পর্যন্ত (২ঃ ১৭৮)। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, ক্ষমা প্রদর্শনের অর্থ হল ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার ক্ষেত্রে রক্তপণ গ্রহণ করা। তিনি বলেন, আর প্রচলিত প্রথার অনুসরণ করার অর্থ হচ্ছে, যুক্তিসঙ্গত দাবি ও সদয়ভাবে দিয়াত আদায় করা।
بَابُ مَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ
6881 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: " كَانَتْ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ قِصَاصٌ وَلَمْ تَكُنْ فِيهِمُ الدِّيَةُ، فَقَالَ اللَّهُ لِهَذِهِ الأُمَّةِ: {كُتِبَ عَلَيْكُمُ القِصَاصُ} [البقرة: 178] فِي القَتْلَى - إِلَى هَذِهِ الآيَةِ - {فَمَنْ عُفِيَ لَهُ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ} [البقرة: 178] " قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «فَالعَفْوُ أَنْ يَقْبَلَ الدِّيَةَ فِي العَمْدِ» قَالَ: {فَاتِّبَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ} [البقرة: 178] «أَنْ يَطْلُبَ بِمَعْرُوفٍ وَيُؤَدِّيَ بِإِحْسَانٍ»