আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৭২- কাফের ও ধর্মত্যাগী বিদ্রোহীদের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৬৩৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮২৫ - ৬৮২৬
২৮৪৮. স্বীকারোক্তিকারীকে ইমামের প্রশ্ন ‘তুমি কি বিবাহিত’?
৬৩৬৭। সাঈদ ইবনে উফায়র (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এল। তখন তিনি মসজিদে ছিলেন। এসে তাকে ডাক দিল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি যিনা করেছি, এতে সে নিজেকেই উদ্দেশ্য করেছে। তখন তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। কিন্তু সে ঐদিকেই সরে দাঁড়াল, যে দিকটি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে সম্মুখে করলেন, এবং বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি যিনা করেছি। তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন, আর সে এদিকেই এল, যেদিকে তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন। লোকটি যখন স্বীয় নফসের বিরুদ্ধে চারবার সাক্ষ্য প্রদান করল, তখন নবী (ﷺ) তাকে ডাকলেন। এরপর জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমার মধ্যে পাগলামী আছে কি? সে বলল, না, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, তাহলে তুমি কি বিবাহিত? সে বলল, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেনঃ তোমরা তাকে নিয়ে যাও এবং রজম করো।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, আমাকে এ হাদীস এমন ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন যিনি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, তার রজমকারীদের মধ্যে আমিও একজন ছিলাম। আমরা তাকে ঈদগাহে বা জানাযা আদায়ের স্থানে রজম করেছি। পাথরের আঘাত যখন তাকে ব্যাকুল করে তুলল, তখন সে দ্রুত দৌড়াতে লাগল। অবশেষে আমরা হাররা নামক স্থানে তার নাগাল পাই এবং তাকে রজম করি।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, আমাকে এ হাদীস এমন ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন যিনি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, তার রজমকারীদের মধ্যে আমিও একজন ছিলাম। আমরা তাকে ঈদগাহে বা জানাযা আদায়ের স্থানে রজম করেছি। পাথরের আঘাত যখন তাকে ব্যাকুল করে তুলল, তখন সে দ্রুত দৌড়াতে লাগল। অবশেষে আমরা হাররা নামক স্থানে তার নাগাল পাই এবং তাকে রজম করি।
باب سُؤَالِ الإِمَامِ الْمُقِرَّ هَلْ أَحْصَنْتَ
6825 - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ المُسَيِّبِ، وَأَبِي سَلَمَةَ: أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ مِنَ النَّاسِ وَهُوَ فِي المَسْجِدِ، فَنَادَاهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي زَنَيْتُ، يُرِيدُ نَفْسَهُ، فَأَعْرَضَ عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَنَحَّى لِشِقِّ وَجْهِهِ الَّذِي أَعْرَضَ قِبَلَهُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي زَنَيْتُ، فَأَعْرَضَ عَنْهُ، فَجَاءَ لِشِقِّ وَجْهِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي أَعْرَضَ عَنْهُ، فَلَمَّا شَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ، دَعَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَبِكَ جُنُونٌ» قَالَ: لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَقَالَ: «أَحْصَنْتَ» قَالَ: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «اذْهَبُوا بِهِ فَارْجُمُوهُ»
قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي مَنْ، سَمِعَ جَابِرًا، قَالَ فَكُنْتُ فِيمَنْ رَجَمَهُ، فَرَجَمْنَاهُ بِالْمُصَلَّى، فَلَمَّا أَذْلَقَتْهُ الْحِجَارَةُ جَمَزَ حَتَّى أَدْرَكْنَاهُ بِالْحَرَّةِ فَرَجَمْنَاهُ.
قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي مَنْ، سَمِعَ جَابِرًا، قَالَ فَكُنْتُ فِيمَنْ رَجَمَهُ، فَرَجَمْنَاهُ بِالْمُصَلَّى، فَلَمَّا أَذْلَقَتْهُ الْحِجَارَةُ جَمَزَ حَتَّى أَدْرَكْنَاهُ بِالْحَرَّةِ فَرَجَمْنَاهُ.

তাহকীক: