আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৬৯- শপথ ও মান্নতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৬২৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭০৭
২৭৮১. কসম ও মান্নতের মধ্যে ভূমি, বকরী, কৃষি ও আসবাবপত্র শামিল হয় কি ?
এবং ইবনে উমর (রাযিঃ) এর হাদীস; তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর কাছে একদা উমর (রাযিঃ) আরয করলেন যে, আমি এরূপ একখণ্ড জমি লাভ করেছি যার চেয়ে উৎকৃষ্ট কোন মাল কখনও আমি পাইনি। তিনি বললেনঃ তুমি যদি চাও তবে মূল মালটিকে রেখে দিয়ে (তার থেকে অর্জিত লাভটুকু) দান করে দিতে পার।
আবু তালহা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর কাছে আরয করলেন যে, আমার নিকট বায়রুহা নামক আমার বাগানটি সবচেয়ে প্রিয়, তার দেওয়ালটি হচ্ছে মসজিদে নববীর সম্মুখে।
এবং ইবনে উমর (রাযিঃ) এর হাদীস; তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর কাছে একদা উমর (রাযিঃ) আরয করলেন যে, আমি এরূপ একখণ্ড জমি লাভ করেছি যার চেয়ে উৎকৃষ্ট কোন মাল কখনও আমি পাইনি। তিনি বললেনঃ তুমি যদি চাও তবে মূল মালটিকে রেখে দিয়ে (তার থেকে অর্জিত লাভটুকু) দান করে দিতে পার।
আবু তালহা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর কাছে আরয করলেন যে, আমার নিকট বায়রুহা নামক আমার বাগানটি সবচেয়ে প্রিয়, তার দেওয়ালটি হচ্ছে মসজিদে নববীর সম্মুখে।
৬২৫০। ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে খায়বরের যুদ্ধের দিন বের হলাম। আমরা মাল, আসবাবপত্র ও কাপড়-চোপড় ব্যতীত স্বর্ণ বা রৌপ্য গনিমত হিসাবে পাইনি। যুবাইব গোত্রের রিফাআ ইবনে যায়দ নামক এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে একটি গোলাম হাদিয়া দিলেন, যার নাম ছিল মিদআম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ওয়াদিউল কুরার দিকে রওয়ানা হলেন। তিনি যখন ওয়াদিউল কুরায় পৌছলেন, তখন মিদআম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সওয়ারীর হাওদা থেকে মালপত্রগুলি নামাচ্ছিল। তখন অকস্মাৎ একটি তীর এসে তার গায়ে বিদ্ধ হল এবং তাতে সে মারা গেল। লোকেরা বলল, এ লোকটির জন্য জান্নাতের সুসংবাদ। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কখনও না, কসম ঐ মহান সত্তার, যার হাতে আমার প্রাণ! খায়বরের যুদ্ধের দিন গনিমতের মাল থেকে বণ্টনের পূর্বে যে চাঁদরটি সে সরিয়েছিল,স তার গায়ে তা লেলিহান শিখা হয়ে জ্বলবে। এ কথাটি যখন লোকেরা শুনতে পেল, তখন এক ব্যক্তি একটি বা দু’টি ফিতা নিয়ে নবী (ﷺ) এর কাছে এসে হাযির হল। তখন তিনি বললেনঃ এ হচ্ছে জাহান্নামের একটি ফিতা বা জাহান্নামের দু’টি ফিতা।
بَابٌ: هَلْ يَدْخُلُ فِي الأَيْمَانِ وَالنُّذُورِ الأَرْضُ، وَالغَنَمُ، وَالزُّرُوعُ، وَالأَمْتِعَةُوَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: قَالَ عُمَرُ، لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَصَبْتُ أَرْضًا لَمْ أُصِبْ مَالًا قَطُّ أَنْفَسَ مِنْهُ؟ قَالَ: «إِنْ شِئْتَ حَبَّسْتَ أَصْلَهَا وَتَصَدَّقْتَ بِهَا» وَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ، لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَحَبُّ أَمْوَالِي إِلَيَّ بَيْرُحَاءَ، لِحَائِطٍ لَهُ، مُسْتَقْبِلَةِ المَسْجِدِ
6707 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ الدِّيلِيِّ، عَنْ أَبِي الغَيْثِ مَوْلَى ابْنِ مُطِيعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ خَيْبَرَ، فَلَمْ نَغْنَمْ ذَهَبًا وَلاَ فِضَّةً، إِلَّا الأَمْوَالَ وَالثِّيَابَ وَالمَتَاعَ، فَأَهْدَى رَجُلٌ مِنْ بَنِي الضُّبَيْبِ، يُقَالُ لَهُ رِفَاعَةُ بْنُ زَيْدٍ، لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غُلاَمًا، يُقَالُ لَهُ مِدْعَمٌ، فَوَجَّهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى وَادِي القُرَى، حَتَّى إِذَا كَانَ بِوَادِي القُرَى، بَيْنَمَا مِدْعَمٌ يَحُطُّ رَحْلًا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:144]، إِذَا سَهْمٌ عَائِرٌ فَقَتَلَهُ، فَقَالَ النَّاسُ: هَنِيئًا لَهُ الجَنَّةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَلَّا، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، إِنَّ الشَّمْلَةَ الَّتِي أَخَذَهَا يَوْمَ خَيْبَرَ مِنَ المَغَانِمِ، لَمْ تُصِبْهَا المَقَاسِمُ، لَتَشْتَعِلُ عَلَيْهِ نَارًا» فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ النَّاسُ جَاءَ رَجُلٌ بِشِرَاكٍ - أَوْ شِرَاكَيْنِ - إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " شِرَاكٌ مِنْ نَارٍ - أَوْ: شِرَاكَانِ مِنْ نَارٍ - "

তাহকীক: