আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৬৯- শপথ ও মান্নতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ৬১৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৪৬
২৭৫২. তোমরা পিতা-পিতামহের কসম করবে না।
৬১৯১। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) কে কোন বাহনের উপর আরোহণ অবস্থায় পেলেন। তিনি তখন তাঁর পিতার নামে কসম করছিলেন। তিনি বললেনঃ সাবধান! আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে তোমাদের পিতৃপূরুষদের নামে কসম করতে নিষেধ করেছেন। কেউ যদি কসম করতে চায়, সে যেন আল্লাহর নামে কসম করে নতুবা চুপ থাকে।
باب لاَ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ
6646 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَدْرَكَ عُمَرَ بْنَ الخَطَّابِ، وَهُوَ يَسِيرُ فِي رَكْبٍ، يَحْلِفُ بِأَبِيهِ، فَقَالَ: «أَلاَ إِنَّ اللَّهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ، مَنْ كَانَ حَالِفًا فَلْيَحْلِفْ بِاللَّهِ أَوْ لِيَصْمُتْ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৪৭
২৭৫২. তোমরা পিতা-পিতামহের কসম করবে না।
৬১৯২। সাঈদ ইবনে উফায়র (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমর (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তোমাদের পিতা-পিতামহের নামে কসম করতে নিষেধ করেছেন। উমর (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম! যখন থেকে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ কথা বলতে শুনেছি, তখন থেকে আমি স্বেচ্ছায় বা ভুলক্রমে কখনো তাদের নামে কসম করিনি।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেছেনঃ أَوْ أَثَارَةٍ مِنْ عِلْمٍ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, জ্ঞানগত বিষয় নকল করা। অনুরূপ উকায়ল, যুবায়দী ও ইসহাক কালবী (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইবনে উয়াইনা ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) নবী (ﷺ) উমর (রাযিঃ) কে বলেছেন।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেছেনঃ أَوْ أَثَارَةٍ مِنْ عِلْمٍ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, জ্ঞানগত বিষয় নকল করা। অনুরূপ উকায়ল, যুবায়দী ও ইসহাক কালবী (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইবনে উয়াইনা ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) নবী (ﷺ) উমর (রাযিঃ) কে বলেছেন।
باب لاَ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ
6647 - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: قَالَ سَالِمٌ: قَالَ ابْنُ عُمَرَ: سَمِعْتُ عُمَرَ، يَقُولُ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ» قَالَ عُمَرُ: فَوَاللَّهِ مَا حَلَفْتُ بِهَا مُنْذُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ذَاكِرًا وَلاَ آثِرًا قَالَ مُجَاهِدٌ: {أَوْ أَثَارَةٍ مِنْ عِلْمٍ} [الأحقاف: 4] : يَأْثُرُ عِلْمًا تَابَعَهُ عُقَيْلٌ، وَالزُّبَيْدِيُّ، وَإِسْحَاقُ الكَلْبِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَقَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ، وَمَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، سَمِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُمَرَ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৪৮
২৭৫২. তোমরা পিতা-পিতামহের কসম করবে না।
৬১৯৩। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের পিতা-পিতামহদের নামে কসম করো না।
باب لاَ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ
6648 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬১৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৪৯
২৭৫২. তোমরা পিতা-পিতামহের কসম করবে না।
৬১৯৪। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... যাহদাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের গোত্র জারম এবং আশআরী গোত্রের মাঝে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব ছিল। আমরা (একদা) আবু মুসা আশআরীর সঙ্গে ছিলাম। তার কাছে খাবার পেশ করা হল, যার মাঝে ছিল মুরগীর গোশত। তাইমুল্লাহ গোত্রের এক লাল রঙের ব্যক্তি তাবুর কাছে ছিল। সে দেখতে গোলামদের মত। তিনি তাকে খাবারে অংশগ্রহণ করার জন্য আহবান করলেন। তখন সে লোকটি বলল, আমি এ মুরগীকে এমন কিছু খেতে দেখেছি, যার কারণে আমি একে ঘৃণা করছি। তাই আমি কসম করেছি যে, মুরগী আর খাব না। তিনি বললেনঃ ওঠ, আমি এ সম্পর্কে অবশ্যই তোমাকে একখানা হাদীস শুনাবো। একদা আমি কতিপয় আশআরীর সঙ্গে বাহন সংগ্রহের জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এলাম। তখন তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি তোমাদেরকে বাহন দিতে পারব না। আর বাহনযোগ্য এমন কিছুই আমার কাছে নেই। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে গনিমতের কিছু জন্তু এল। তিনি আমাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন এবং বললেনঃ আশআরী লোকগুলো কোথায়? এরপর আমাদের জন্য পাঁচটি উৎকৃষ্ট মানের সুদানি উট দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করলেন।
আমরা যখন চলে এলাম তখন চিন্তা করলাম, আমরা এ কি করলাম? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তো কসম করেছিলেন আমাদেরকে বাহন দেবেন না বলে। আর তার কাছে তখন কোন বাহন ছিলও না। কিন্তু এরপর তিনি তো আমাদেরকে আরোহণের জন্য বাহন দিলেন। আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কসমের কথা ভুলে গিয়েছি। আল্লাহর কসম! এ বাহন আমাদের কোন কল্যাণে আসবে না। সুতরাং আমরা তার কাছে ফিরে গেলাম এবং তাকে বললাম যে, আমাদেরকে আপনি আরোহন করাবেন এ উদ্দেশ্যে আমরা আপনার কাছে এসেছিলাম। আপনি কসম করেছিলেন যে, আপনি আমাদেরকে কোন বাহন দিবেন না। আর আপনার কাছে তখন এমন কোনকিছু ছিলও না, যাতে আমাদেরকে আরোহণ করাতে পারেন। তখন তিনি বলেছিলেনঃ আমি তোমাদেরকে আরোহণ করাইনি বরং আল্লাহ তাআলা করিয়েছেন। আল্লাহর কসম! আমি যখন কোন কসম করি আর তার অন্যটির মাঝে যদি অধিক মঙ্গল দেখতে পাই, তাহলে যা মঙ্গলজনক তাই বাস্তবায়িত করি এবং আমি কসম ভঙ্গ করি (ও কাফফারা আদায় করি)।
আমরা যখন চলে এলাম তখন চিন্তা করলাম, আমরা এ কি করলাম? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তো কসম করেছিলেন আমাদেরকে বাহন দেবেন না বলে। আর তার কাছে তখন কোন বাহন ছিলও না। কিন্তু এরপর তিনি তো আমাদেরকে আরোহণের জন্য বাহন দিলেন। আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কসমের কথা ভুলে গিয়েছি। আল্লাহর কসম! এ বাহন আমাদের কোন কল্যাণে আসবে না। সুতরাং আমরা তার কাছে ফিরে গেলাম এবং তাকে বললাম যে, আমাদেরকে আপনি আরোহন করাবেন এ উদ্দেশ্যে আমরা আপনার কাছে এসেছিলাম। আপনি কসম করেছিলেন যে, আপনি আমাদেরকে কোন বাহন দিবেন না। আর আপনার কাছে তখন এমন কোনকিছু ছিলও না, যাতে আমাদেরকে আরোহণ করাতে পারেন। তখন তিনি বলেছিলেনঃ আমি তোমাদেরকে আরোহণ করাইনি বরং আল্লাহ তাআলা করিয়েছেন। আল্লাহর কসম! আমি যখন কোন কসম করি আর তার অন্যটির মাঝে যদি অধিক মঙ্গল দেখতে পাই, তাহলে যা মঙ্গলজনক তাই বাস্তবায়িত করি এবং আমি কসম ভঙ্গ করি (ও কাফফারা আদায় করি)।
باب لاَ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ
6649 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَهَّابِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، وَالقَاسِمِ التَّمِيمِيِّ، عَنْ زَهْدَمٍ، قَالَ: كَانَ بَيْنَ هَذَا الحَيِّ مِنْ جَرْمٍ وَبَيْنَ الأَشْعَرِيِّينَ وُدٌّ وَإِخَاءٌ، فَكُنَّا عِنْدَ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، فَقُرِّبَ إِلَيْهِ طَعَامٌ فِيهِ لَحْمُ دَجَاجٍ، وَعِنْدَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَيْمِ اللَّهِ، أَحْمَرُ كَأَنَّهُ مِنَ المَوَالِي، فَدَعَاهُ إِلَى الطَّعَامِ، فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُهُ يَأْكُلُ شَيْئًا فَقَذِرْتُهُ، فَحَلَفْتُ أَنْ لاَ آكُلَهُ، فَقَالَ: قُمْ فَلَأُحَدِّثَنَّكَ عَنْ ذَاكَ، إِنِّي أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَفَرٍ مِنَ الأَشْعَرِيِّينَ نَسْتَحْمِلُهُ، فَقَالَ: «وَاللَّهِ لاَ أَحْمِلُكُمْ، وَمَا عِنْدِي مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ» فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَهْبِ إِبِلٍ فَسَأَلَ عَنَّا، فَقَالَ: «أَيْنَ النَّفَرُ الأَشْعَرِيُّونَ» فَأَمَرَ لَنَا بِخَمْسِ ذَوْدٍ غُرِّ الذُّرَى، فَلَمَّا انْطَلَقْنَا قُلْنَا: مَا صَنَعْنَا؟ حَلَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ يَحْمِلُنَا وَمَا عِنْدَهُ مَا يَحْمِلُنَا، ثُمَّ حَمَلَنَا، تَغَفَّلْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمِينَهُ، وَاللَّهِ لاَ نُفْلِحُ أَبَدًا، فَرَجَعْنَا إِلَيْهِ فَقُلْنَا لَهُ: إِنَّا أَتَيْنَاكَ لِتَحْمِلَنَا، فَحَلَفْتَ أَنْ لاَ تَحْمِلَنَا، وَمَا عِنْدَكَ مَا تَحْمِلُنَا، فَقَالَ: «إِنِّي لَسْتُ أَنَا حَمَلْتُكُمْ، وَلَكِنَّ اللَّهَ حَمَلَكُمْ، وَاللَّهِ لاَ أَحْلِفُ عَلَى يَمِينٍ، فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا، إِلَّا أَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَتَحَلَّلْتُهَا»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: