আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৬৯- শপথ ও মান্নতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬২৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭০৮
২৭৮১. শপথের কাফফারা অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ এরপর এর কাফফারা দশজন দরিদ্রকে (মধ্যম ধরনের) আহার্য দান (৫ঃ ৮৯)। এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে হুকুম দিয়েছিলেন যখন এ আয়াত নাযিল হলঃ ফিদয়ার মধ্যে রোযা, সাদ্‌কা অথবা কুরবানী করা। ইবনে আব্বাস, আতা ও ইকরিমা থেকে বর্ণিত আছে যে, কুরআন মাজীদে যেখানে أَوْ أَوْ (অথবা অথবা) শব্দ আছে, কুরআনের অনুসারীদের জন্য সেখানে ইখতিয়ার রয়েছে।
নবী (ﷺ) কা’ব (রাযিঃ) কে ফিদয়া আদায়ের ব্যাপারে ইখতিয়ার দিয়েছিলেন।
৬২৫১। আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) ......... কা'ব ইবনে উজরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা নবী (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তিনি বললেনঃ কাছে এসো। আমি তার নিকটে গেলাম। তখন তিনি বললেনঃ তোমাকে কি তোমার উকুন যন্ত্রণা দিচ্ছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ রোযা অথবা সাদ্‌কা অথবা কুরবানী করে ফিদয়া আদায় কর।
ইবনে আউন আইয়ুব থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, রোযা হচ্ছে তিন দিন, কুরবানী হল একটি বকরী আর মিসকীনের সংখ্যা হল ছয়।
كِتَابُ كَفَّارَاتِ الأَيْمَانِ بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ} [المائدة: 89] وَمَا أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ نَزَلَتْ: {فَفِدْيَةٌ مِنْ صِيَامٍ، أَوْ صَدَقَةٍ، أَوْ نُسُكٍ} [البقرة: 196] وَيُذْكَرُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ وَعَطَاءٍ، وَعِكْرِمَةَ: «مَا كَانَ فِي القُرْآنِ أَوْ أَوْ، فَصَاحِبُهُ بِالخِيَارِ» وَقَدْ خَيَّرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَعْبًا فِي الفِدْيَةِ "
6708 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، قَالَ: أَتَيْتُهُ - يَعْنِي النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَ: «ادْنُ» فَدَنَوْتُ، فَقَالَ: «أَيُؤْذِيكَ هَوَامُّكَ» قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: «فِدْيَةٌ مِنْ صِيَامٍ، أَوْ صَدَقَةٍ، أَوْ نُسُكٍ» وَأَخْبَرَنِي ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ أَيُّوبَ، قَالَ: «صِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ، وَالنُّسُكُ شَاةٌ، وَالمَسَاكِينُ سِتَّةٌ»