আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৬- তায়াম্মুমের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৫
২৩৯। জুনুবী ব্যক্তির রোগ বৃদ্ধির, মৃত্যুর বা তৃষ্ণার্ত থেকে যাওয়ার আশঙ্কা বোধ হলে তায়াম্মুম করা।
বর্ণিত আছে যে, এক শীতের রাতে আমর ইবনু’ল আস (রাযিঃ) জুনুবী হয়ে পড়লে তায়াম্মুম করলেন। আর (এ প্রসঙ্গে) তিনি এই আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ তোমরা নিজেদের হত্যা করো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু। (৪ : ২৯) এরপর নবী (ﷺ) এর কাছে বিষয়টি উল্লেখ করা হলে তিনি তাকে দোষারোপ করেন নি।
৩৩৮। বিশর ইবনে খালিদ (রাহঃ) ..... আবু ওয়াইল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আবু মুসা (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ (জুনুবী) পানি না পেলে কি নামায আদায় করবে না? আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেনঃ হ্যাঁ, আমি এক মাসও যদি পানি না পাই তবে নামায আদায় করব না। এ ব্যাপারে লোকদের যদি অনুমতি দেই তা হলে তাঁরা একটু শীত বোধ করলেই এরূপ করতে থাকবে। অর্থাৎ তায়াম্মুম করে নামায আদায় করবে। আবু মুসা (রাযিঃ) বললেনঃ তাহলে উমর (রাযিঃ)-এর সামনে আম্মার (রাযিঃ)-এর কথার তাৎপর্য কি হবে? তিনি উত্তরে বললেনঃ উমর (রাযিঃ) আম্মার (রাযিঃ)-এর কথায় তুষ্ট হয়েছেন বলে আমি মনে করি না।
بَابٌ: إِذَا خَافَ الجُنُبُ عَلَى نَفْسِهِ المَرَضَ أَوِ المَوْتَ، أَوْ خَافَ العَطَشَ، تَيَمَّمَ وَيُذْكَرُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ العَاصِ: " أَجْنَبَ فِي لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ، فَتَيَمَّمَ وَتَلاَ: {وَلاَ تَقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا} [النساء: 29] فَذَكَرَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يُعَنِّفْ "
345 - حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ غُنْدَرٌ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ: قَالَ أَبُو مُوسَى لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ: «إِذَا لَمْ يَجِدِ المَاءَ لاَ يُصَلِّي؟» قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: لَوْ رَخَّصْتُ لَهُمْ فِي هَذَا كَانَ إِذَا وَجَدَ أَحَدُهُمُ البَرْدَ قَالَ: هَكَذَا - يَعْنِي تَيَمَّمَ - وَصَلَّى، قَالَ: قُلْتُ: «فَأَيْنَ قَوْلُ عَمَّارٍ لِعُمَرَ؟» قَالَ: إِنِّي لَمْ أَرَ عُمَرَ قَنِعَ بِقَوْلِ عَمَّارٍ
হাদীস নং: ৩৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৬
২৩৯। জুনুবী ব্যক্তির রোগ বৃদ্ধির, মৃত্যুর বা তৃষ্ণার্ত থেকে যাওয়ার আশঙ্কা বোধ হলে তায়াম্মুম করা।
৩৩৯। উমর ইবনে হাফস (রাহঃ) .... শাকীক ইবনে সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আব্দুল্লাহ ইবনে মাস’উদ ও আবু মুসা (রাযিঃ)-এর কাছে ছিলাম। তাঁকে আবু মুসা (রাযিঃ) বললেনঃ হে আবু আব্দুর রহমান। কেউ জুনুবী হলে যদি পানি না পায় তবে কি করবে? তখন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেনঃ পানি না পাওয়া পর্যন্ত নামায আদায় করবে না। আবু মুসা (রাযিঃ) বললেনঃ তাহলে আম্মার (রাযিঃ) এর কথার উত্তরে আপনি কি বলবেন? তাঁকে যে নবী (ﷺ) বলেছিলেন (তায়াম্মুম করে নেয়া) তোমার জন্য যথেষ্ট ছিল। আব্দুল্লাহ ইবনে মাস’উদ (রাযিঃ) বললেনঃ তুমি দেখ না উমর (রাযিঃ) আম্মারের এই কথায় সন্তুষ্ট ছিলেন না? আবু মুসা (রাযিঃ) পুনরায় বললেনঃ আম্মারের কথা বাদ দিলেও তায়াম্মুমের আয়াতের কি ব্যাখ্যা করবেন? আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর কোন উত্তর দিতে পারলেন না। তিনি তবুও বললেনঃ আমরা যদি লোকদের তার অনুমতি দিয়ে দেই তাহলে আশঙ্কা হয়, কারো কাছে পানি ঠাণ্ডা মনে হলেই তায়াম্মুম করবে। রাবী আ’মাশ (রাহঃ) বলেনঃ আমি শাকীক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এ কারণে কি তায়াম্মুম অপছন্দ করেছিলেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
باب إِذَا خَافَ الْجُنُبُ عَلَى نَفْسِهِ الْمَرَضَ أَوِ الْمَوْتَ أَوْ خَافَ الْعَطَشَ، تَيَمَّمَ
346 - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ: سَمِعْتُ شَقِيقَ بْنَ سَلَمَةَ، قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ، وَأَبِي مُوسَى، فَقَالَ لَهُ أَبُو مُوسَى: أَرَأَيْتَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِذَا أَجْنَبَ فَلَمْ يَجِدْ مَاءً، كَيْفَ يَصْنَعُ؟ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: لاَ يُصَلِّي حَتَّى يَجِدَ المَاءَ، فَقَالَ أَبُو مُوسَى: فَكَيْفَ تَصْنَعُ بِقَوْلِ عَمَّارٍ حِينَ قَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَانَ يَكْفِيكَ» قَالَ: أَلَمْ تَرَ عُمَرَ لَمْ يَقْنَعْ بِذَلِكَ، فَقَالَ أَبُو مُوسَى: فَدَعْنَا مِنْ قَوْلِ عَمَّارٍ كَيْفَ تَصْنَعُ بِهَذِهِ الآيَةِ؟ فَمَا دَرَى عَبْدُ اللَّهِ مَا يَقُولُ، فَقَالَ: إِنَّا لَوْ رَخَّصْنَا لَهُمْ فِي هَذَا لَأَوْشَكَ إِذَا بَرَدَ عَلَى أَحَدِهِمُ المَاءُ أَنْ يَدَعَهُ وَيَتَيَمَّمَ فَقُلْتُ لِشَقِيقٍ فَإِنَّمَا كَرِهَ عَبْدُ اللَّهِ لِهَذَا؟ قَالَ: «نَعَمْ»