আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৬৭- নম্রতা ও যুহদের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬০৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫২২
৩৪৫৬. হাশরের অবস্থা।
৬০৭৮। মুআল্লা ইবনে আসাদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ কিয়ামতের দিন মানুষের হাশর হবে তিন প্রকারে। একদল তো হবে আল্লাহ তাআলার প্রতি আশিক ও দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত বান্দাদের। দ্বিতীয় দল হবে দু’জন, তিনজন, চারজন বা দশজন এক উটের উপর আরোহণকারী। আর অবশিষ্ট যারা থাকবে, আগুন তাদেরকে একত্রিত করে নেবে। যেখানে তারা থামবে, আগুনও তাদের সাথে সেখানে থামবে। তারা যেখানে রাত্রি যাপন করবে, আগুনও সেখানে তাদের সাথে রাত্রি যাপন করবে। তারা যেখানে সকাল করবে, আগুনও সেখানে তাদের সাথে সকাল করবে। যেখানে তাদের সন্ধ্যা হবে, আগুনেরও সেখানে সন্ধ্যা হবে।
باب كَيْفَ الْحَشْرُ
6522 - حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " يُحْشَرُ النَّاسُ عَلَى ثَلاَثِ طَرَائِقَ: رَاغِبِينَ رَاهِبِينَ، وَاثْنَانِ عَلَى بَعِيرٍ، وَثَلاَثَةٌ عَلَى بَعِيرٍ، وَأَرْبَعَةٌ عَلَى بَعِيرٍ، وَعَشَرَةٌ عَلَى بَعِيرٍ، وَيَحْشُرُ بَقِيَّتَهُمُ النَّارُ، تَقِيلُ مَعَهُمْ حَيْثُ قَالُوا، وَتَبِيتُ مَعَهُمْ حَيْثُ بَاتُوا، وَتُصْبِحُ مَعَهُمْ حَيْثُ أَصْبَحُوا، وَتُمْسِي مَعَهُمْ حَيْثُ أَمْسَوْا "
হাদীস নং: ৬০৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫২৩
৩৪৫৬. হাশরের অবস্থা।
৬০৭৯। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর নবী! অধোবদন অবস্হায় কাফেরদেরকে কিভাবে হাশরের ময়দানে উঠানো হবে? তিনি বললেনঃ দুনিয়াতে যে মহান সত্ত্বা (মানুষকে) দু’পায়ের উপর হাটাতে পারেন, তিনি কি কিয়ামতের দিন অধোবদন করে হাটাতে সক্ষম নন? তখন কাতাদা (রাযিঃ) বললেনঃ আমাদের রবের ইজ্জতের কসম! হ্যাঁ, অবশ্যই পারেন।
باب كَيْفَ الْحَشْرُ
6523 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ البَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ رَجُلًا قَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، كَيْفَ يُحْشَرُ الكَافِرُ عَلَى وَجْهِهِ؟ قَالَ: «أَلَيْسَ الَّذِي أَمْشَاهُ عَلَى الرِّجْلَيْنِ فِي الدُّنْيَا قَادِرًا عَلَى أَنْ يُمْشِيَهُ عَلَى وَجْهِهِ يَوْمَ القِيَامَةِ» قَالَ قَتَادَةُ: بَلَى وَعِزَّةِ رَبِّنَا
হাদীস নং: ৬০৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫২৪
৩৪৫৬. হাশরের অবস্থা।
৬০৮০। আলী (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি নবী (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয়ই তোমরা খালি পা, উলঙ্গ ও খাতনাবিহীন অবস্থায় আল্লাহ তাআলার সঙ্গে মিলিত হবে।
সুফিয়ান বলেনঃ এ হাদীসকে ঐ সমস্ত হাদীসের অন্তর্ভুক্ত মনে করা হয়, যা ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে স্বয়ং শুনেছেন।
باب كَيْفَ الْحَشْرُ
6524 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ عَمْرٌو: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّكُمْ مُلاَقُو اللَّهِ حُفَاةً عُرَاةً مُشَاةً غُرْلًا» قَالَ سُفْيَانُ: هَذَا مِمَّا نَعُدُّ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، سَمِعَهُ مِنَ النَّبِيِّ
হাদীস নং: ৬০৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫২৫
৩৪৫৬. হাশরের অবস্থা।
৬০৮১। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে মিম্বরের ওপর দাঁড়িয়ে খুতবা দিতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ নিশ্চয়ই তোমরা আল্লাহ তাআলার সঙ্গে মুলাকাত করবে খালি পা, উলঙ্গ ও খাতনাবিহীন অবস্থায়।
باب كَيْفَ الْحَشْرُ
6525 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ عَلَى المِنْبَرِ، يَقُولُ: «إِنَّكُمْ مُلاَقُو اللَّهِ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلًا»
হাদীস নং: ৬০৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫২৬
৩৪৫৬. হাশরের অবস্থা।
৬০৮২। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) আমাদের মাঝে খুতবা দিতে দাঁড়ালেন। এরপর বললেন, নিশ্চয়ই তোমাদের হাশর করা হবে খালি পা, উলঙ্গ ও খাতনাবিহীন অবস্থায়। আয়াতঃ كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা বলেনঃ যেভাবে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছি তেমনিভাবে দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করব। আর কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) কে পোশাক পরিধান করানো হবে। আমার উম্মত থেকে কিছুলোককে আনা হবে আর তাদেরকে আনা হবে বামওয়ালাদের (বাম হাতে আমলনামা প্রাপ্তদের) ভিতর থেকে। তখন আমি বলব, হে প্রভু! এরা তো আমার উম্মত। এরপর আল্লাহ বলবেন, নিশ্চয়ই তুমি জান না, তোমার পরে এরা কি করেছে। তখন আমি আরয করব, যেমন আরয করেছে নেককার বান্দা অর্থাৎ ঈসা (আলাইহিস সালাম), আয়াতঃ وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دُمْتُ فِيهِمْ ......... الْحَكِيمُ অর্থাৎ যতদিন আমি তাদের মাঝে ছিলাম, আমি তাদের ওপর সাক্ষী ছিলাম ...الْحَكِيمُ পর্যন্ত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ এরপর জবাব দেওয়া হবে, এরা সর্বদাই দ্বীন থেকে পৃষ্ঠ প্রদর্শনের ওপর বিদ্যমান ছিল।
باب كَيْفَ الْحَشْرُ
6526 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ المُغِيرَةِ بْنِ النُّعْمَانِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَامَ فِينَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ، فَقَالَ: " إِنَّكُمْ مَحْشُورُونَ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلًا: {كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ} [الأنبياء: 104] الآيَةَ، وَإِنَّ أَوَّلَ الخَلاَئِقِ يُكْسَى يَوْمَ القِيَامَةِ إِبْرَاهِيمُ، وَإِنَّهُ سَيُجَاءُ بِرِجَالٍ مِنْ أُمَّتِي فَيُؤْخَذُ بِهِمْ ذَاتَ الشِّمَالِ، فَأَقُولُ: يَا رَبِّ أَصْحَابِي، فَيَقُولُ: إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ، فَأَقُولُ كَمَا قَالَ العَبْدُ الصَّالِحُ: {وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دُمْتُ فِيهِمْ} [المائدة: 117]- إِلَى قَوْلِهِ - {الحَكِيمُ} [البقرة: 32] قَالَ: فَيُقَالُ: إِنَّهُمْ لَمْ يَزَالُوا مُرْتَدِّينَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ "
হাদীস নং: ৬০৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫২৭
৩৪৫৬. হাশরের অবস্থা।
৬০৮৩। কায়স ইবনে হাফস (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মানুষকে হাশরের ময়দানে উঠানো হবে খালি পা, উলঙ্গ ও খাতনাবিহীন অবস্থায়। আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! তখন তো পুরুষ ও নারীগণ একে অপরের প্রতি দৃষ্টিপাত করবে। তিনি বললেনঃ এরূপ ইচ্ছা করার চাইতেও কঠিন হবে তখনকার অবস্থা।
باب كَيْفَ الْحَشْرُ
6527 - حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الحَارِثِ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ أَبِي صَغِيرَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي القَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «[ص:110] تُحْشَرُونَ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلًا» قَالَتْ عَائِشَةُ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ يَنْظُرُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ؟ فَقَالَ: «الأَمْرُ أَشَدُّ مِنْ أَنْ يُهِمَّهُمْ ذَاكِ»
হাদীস নং: ৬০৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫২৮
৩৪৫৬. হাশরের অবস্থা।
৬০৮৪। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমরা কোন এক তাবুতে নবী (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ তোমরা বেহেশতীদের এক-চতুর্থাংশ হবে, এটা কি তোমরা পছন্দ কর? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি আবার বললেনঃ তোমরা বেহেশতীদের এক-তৃতীয়াংশ হবে, এটা কি তোমরা পছন্দ কর? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ শপথ ঐ মহান সত্তার, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! আমি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশী যে, তোমরা বেহেশতীদের অর্ধেক হবে। আর এটা চিরন্তন সত্য যে, বেহেশতে কেবলমাত্র মুসলমানগণই প্রবেশ করতে পারবে। আর মুশরিকদের মুকাবিলায় তোমরা হচ্ছ এমন, যেমন কাল ষাড়ের চামড়ার উপর শুভ্র (সাদা) পশম। অথবা লাল ষাড়ের চামড়ার ওপর কাল পশম।
باب كَيْفَ الْحَشْرُ
6528 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ فِي قُبَّةٍ، فَقَالَ: «أَتَرْضَوْنَ أَنْ تَكُونُوا رُبُعَ أَهْلِ الجَنَّةِ» قُلْنَا: نَعَمْ، قَالَ: «أَتَرْضَوْنَ أَنْ تَكُونُوا ثُلُثَ أَهْلِ الجَنَّةِ» قُلْنَا: نَعَمْ، قَالَ: «أَتَرْضَوْنَ أَنْ تَكُونُوا شَطْرَ أَهْلِ الجَنَّةِ» قُلْنَا: نَعَمْ، قَالَ: «وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا نِصْفَ أَهْلِ الجَنَّةِ، وَذَلِكَ أَنَّ الجَنَّةَ لاَ يَدْخُلُهَا إِلَّا نَفْسٌ مُسْلِمَةٌ، وَمَا أَنْتُمْ فِي أَهْلِ الشِّرْكِ إِلَّا كَالشَّعْرَةِ البَيْضَاءِ فِي جِلْدِ الثَّوْرِ الأَسْوَدِ، أَوْ كَالشَّعْرَةِ السَّوْدَاءِ فِي جِلْدِ الثَّوْرِ الأَحْمَرِ»
হাদীস নং: ৬০৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫২৯
৩৪৫৬. হাশরের অবস্থা।
৬০৮৫। ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম আদম (আলাইহিস সালাম) কে ডাকা হবে। তিনি তার বংশধরকে দেখতে পাবেন। তখন তাদেরকে বলা হবে, ইনি হচ্ছেন তোমাদের পিতা আদম (আলাইহিস সালাম)। জবাবে তারা বলবে, হাযির! হাযির! আমরা আপনার খিদমতে হাযির! এরপর তাকে আল্লাহ বলবেন, তোমার জাহান্নামী বংশধরকে বের কর। তখন আদম (আলাইহিস সালাম) বলবেন, প্রভূ হে! কি পরিমাণ বের করব? আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ প্রতি একশ থেকে নিরানব্বই জনকে বের কর। তখন সাহাবাগণ বলে উঠলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! প্রতি একশ থেকে যখন নিরানব্বই জনকে বের করা হবে, তখন আর আমাদের মাঝে বাকী থাকবে কি? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই অন্যান্য সকল উম্মতের তূলনায় আমার উম্মত হল কাল ষাড়ের গায়ের শুভ্র পশমের ন্যায়।
باب كَيْفَ الْحَشْرُ
6529 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَوْرٍ، عَنْ أَبِي الغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " أَوَّلُ مَنْ يُدْعَى يَوْمَ القِيَامَةِ آدَمُ، فَتَرَاءَى ذُرِّيَّتُهُ، فَيُقَالُ: هَذَا أَبُوكُمْ آدَمُ، فَيَقُولُ: لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ، فَيَقُولُ: أَخْرِجْ بَعْثَ جَهَنَّمَ مِنْ ذُرِّيَّتِكَ، فَيَقُولُ: يَا رَبِّ كَمْ أُخْرِجُ، فَيَقُولُ: أَخْرِجْ مِنْ كُلِّ مِائَةٍ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ " فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِذَا أُخِذَ مِنَّا مِنْ كُلِّ مِائَةٍ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ، فَمَاذَا يَبْقَى مِنَّا؟ قَالَ: «إِنَّ أُمَّتِي فِي الأُمَمِ كَالشَّعَرَةِ البَيْضَاءِ فِي الثَّوْرِ الأَسْوَدِ»