আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৬৬- দুআ - যিকরের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৫৯৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৩৯১
৩৪০০. বারবার দুআ করা।
৫৯৪৯। ইবরাহীম ইবনে মুনযির (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উপর যাদু করা হল। এমনকি তার খেয়াল হতো যে, তিনি একটা কাজ করেছেন, অথচ তিনি তা করেননি। সেজন্য তিনি আল্লাহর কাছে দুআ করলেন। এরপর তিনি (আয়েশা রাযিঃ কে) বললেনঃ তুমি জানতে পেরেছ কি? আমি যে বিষয়টা আল্লাহর কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলাম, তা তিনি আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন। আয়েশা (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তা কি? তিনি বললেনঃ (স্বপ্নের মধ্যে) আমার নিকট দু’জন লোক আসলেন এবং একজন আমার মাথার কাছে, আরেকজন আমার উভয় পায়ের কাছে বসলেন। তারপর একজন তার সাথীকে জিজ্ঞাসা করলেন, এ ব্যক্তির রোগটা কি? তখন অপরজন বললেনঃ তিনি যাদুতে আক্রান্ত। আবার তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তাকে কে যাদু করেছে? অপরজন বললেনঃ লাবীদ ইবনে আ'সাম। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, তা কিসের মধ্যে করেছে? তিনি বললেন, চিরুনী, ছেড়া চুল ও কাঁচা খেজুর গাছের খোশার মধ্যে। পূনরায় তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ এটা কোথায়? তিনি বললেনঃ যুরাইক গোত্রের ‘যারওয়ান’ নামক কূপের মধ্যে।
আয়েশা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেখানে গেলেন এবং (তা কূপ থেকে বের করিয়ে নিয়ে) আয়েশার কাছে ফিরে এসে বললেনঃ আল্লাহর কসম! সেই কূপের পানি যেন মেহেদী নিংড়ানো পানি এবং এর (নিকটস্থ) খেজুর গাছগুলো ঠিক যেন শয়তানের মাথা। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিরে এসে তার কাছে কূপের বিস্তারিত অবস্থা জানালেন।
তখন আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি এ ব্যাপারটা লোকসমাজে প্রকাশ করে দিলেন না কেন? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা তো আমাকে রোগমুক্ত করেছেন। সুতরাং আমি লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিস্তার করা পছন্দ করি না।
ঈসা ইবনে ইউনুস ও লাঈস ইবনে সা'দ (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) কে যাদু করা হলে তিনি বারবার দুআ করলেন, এরপর বাকি হাদীস অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
আয়েশা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেখানে গেলেন এবং (তা কূপ থেকে বের করিয়ে নিয়ে) আয়েশার কাছে ফিরে এসে বললেনঃ আল্লাহর কসম! সেই কূপের পানি যেন মেহেদী নিংড়ানো পানি এবং এর (নিকটস্থ) খেজুর গাছগুলো ঠিক যেন শয়তানের মাথা। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিরে এসে তার কাছে কূপের বিস্তারিত অবস্থা জানালেন।
তখন আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি এ ব্যাপারটা লোকসমাজে প্রকাশ করে দিলেন না কেন? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা তো আমাকে রোগমুক্ত করেছেন। সুতরাং আমি লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিস্তার করা পছন্দ করি না।
ঈসা ইবনে ইউনুস ও লাঈস ইবনে সা'দ (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) কে যাদু করা হলে তিনি বারবার দুআ করলেন, এরপর বাকি হাদীস অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
باب تَكْرِيرِ الدُّعَاءِ
6391 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُنْذِرٍ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طُبَّ، حَتَّى إِنَّهُ لَيُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهُ قَدْ صَنَعَ الشَّيْءَ وَمَا صَنَعَهُ، وَإِنَّهُ دَعَا رَبَّهُ، ثُمَّ قَالَ: «أَشَعَرْتِ أَنَّ اللَّهَ قَدْ أَفْتَانِي فِيمَا اسْتَفْتَيْتُهُ فِيهِ» فَقَالَتْ عَائِشَةُ: فَمَا ذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " جَاءَنِي رَجُلاَنِ، فَجَلَسَ أَحَدُهُمَا عِنْدَ رَأْسِي، وَالآخَرُ عِنْدَ رِجْلَيَّ، فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: مَا وَجَعُ الرَّجُلِ؟ قَالَ: مَطْبُوبٌ، قَالَ: مَنْ طَبَّهُ؟ قَالَ: لَبِيدُ بْنُ الأَعْصَمِ، قَالَ: فِي مَاذَا؟ قَالَ: فِي مُشْطٍ وَمُشَاطَةٍ وَجُفِّ طَلْعَةٍ، قَالَ: فَأَيْنَ هُوَ؟ قَالَ: فِي ذَرْوَانَ " - وَذَرْوَانُ بِئْرٌ فِي بَنِي زُرَيْقٍ - قَالَتْ: فَأَتَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى عَائِشَةَ، فَقَالَ: «وَاللَّهِ لَكَأَنَّ مَاءَهَا نُقَاعَةُ الحِنَّاءِ، وَلَكَأَنَّ نَخْلَهَا رُءُوسُ الشَّيَاطِينِ» قَالَتْ: فَأَتَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهَا عَنِ البِئْرِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَهَلَّا أَخْرَجْتَهُ؟ قَالَ: «أَمَّا أَنَا فَقَدْ شَفَانِي اللَّهُ، وَكَرِهْتُ أَنْ أُثِيرَ عَلَى النَّاسِ شَرًّا» زَادَ عِيسَى بْنُ يُونُسَ، وَاللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «سُحِرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَعَا وَدَعَا» وَسَاقَ الحَدِيثَ

তাহকীক: