আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৬৬- দুআ - যিকরের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৫৯৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৩৭২
৩৩৮৬. মহামারী ও রোগ যন্ত্রণা দূর হওয়ার দুআ করা।
৫৯৩২। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) দুআ করতেনঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি যেভাবে মক্কাকে আমাদের জন্য প্রিয় করে দিয়েছেন, মদীনাকেও সেরূপ অথবা এর চাইতে বেশী আমাদের কাছে প্রিয় করে দিন। আর মদীনার জ্বর “জুহফা” নামক স্থানের দিকে সরিয়ে দিন। ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদের মাপের ও ওজনের পাত্রে বরকত দিন।
باب الدُّعَاءِ بِرَفْعِ الْوَبَاءِ وَالْوَجَعِ
6372 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا المَدِينَةَ كَمَا حَبَّبْتَ إِلَيْنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ، وَانْقُلْ حُمَّاهَا إِلَى الجُحْفَةِ، اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مُدِّنَا وَصَاعِنَا»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৩৭৩
৩৩৮৬. মহামারী ও রোগ যন্ত্রণা দূর হওয়ার দুআ করা।
৫৯৩৩। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, বিদায় হজ্জের সময় আমি রোগে আক্রান্ত হয়ে মরণাপন্ন হয়ে পড়েছিলাম। নবী (ﷺ) সেসময় আমাকে দেখতে এলেন। তখন আমি বললামঃ আমি যে রোগ-ষন্ত্রনায় আক্রান্ত তা তো আপনি দেখছেন। আমি একজন ধনবান লোক। আমার একটি মেয়ে ছাড়া আর কেউ ওয়ারিশ নেই। তাই আমি কি আমার দু’তৃতীয়াংশ মাল সাদ্কা করে দিতে পারি? তিনি বললেনঃ না। আমি বললামঃ তবে অর্ধেক মাল? তিনি বললেনঃ এক তৃতীয়াংশ অনেক। তোমার ওয়ারিসদের লোকের কাছে ভিক্ষার হাত প্রসারিত করার মত অভাবী রেখে যাওয়ার চাইতে তাদের ধনবান রেখে যাওয়া তোমার জন্য অনেক উত্তম। আর তুমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য যা কিছুই ব্যয় করবে, নিশ্চয়ই তার প্রতিদান দেওয়া হবে। এমনকি (সে উদ্দেশ্যে) তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে লুকমাটি তুলে দিয়ে থাকো, তোমাকে এরও প্রতিদান দেওয়া হবে।
আমি বললামঃ তা হলে আমার সঙ্গীগণের পরেও কি আমি বেঁচে থাকব? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই তুমি তাদের পরে বেঁচে থাকলে তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য যা কিছু নেক আমল করো না কেন, এর বিনিময়ে তোমার মর্যাদা ও সম্মান আরও বেড়ে যাবে। আশা করা যায় যে, তুমি আরও কিছুদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকবে। এমনকি তোমার দ্বারা অনেক কওম উপকৃত হবে। আর অনেক কওম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারপর তিনি দুআ করলেনঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি আমার (মুহাজির) সাহাবীগণের হিজরতকে বহাল রাখুন। আর তাদেরকে পশ্চাতে ফিরিয়ে দিয়েন না। সা’দ ইবনে খাওলা (রাযিঃ) এর দূর্ভাগ্য (কারণ তিনি ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও বিদায় হজ্জের সময় মক্কায় মারা যান)। সা’দ (রাযিঃ) বলেনঃ মক্কাতে ওফাতের কারণে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন।
আমি বললামঃ তা হলে আমার সঙ্গীগণের পরেও কি আমি বেঁচে থাকব? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই তুমি তাদের পরে বেঁচে থাকলে তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য যা কিছু নেক আমল করো না কেন, এর বিনিময়ে তোমার মর্যাদা ও সম্মান আরও বেড়ে যাবে। আশা করা যায় যে, তুমি আরও কিছুদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকবে। এমনকি তোমার দ্বারা অনেক কওম উপকৃত হবে। আর অনেক কওম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারপর তিনি দুআ করলেনঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি আমার (মুহাজির) সাহাবীগণের হিজরতকে বহাল রাখুন। আর তাদেরকে পশ্চাতে ফিরিয়ে দিয়েন না। সা’দ ইবনে খাওলা (রাযিঃ) এর দূর্ভাগ্য (কারণ তিনি ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও বিদায় হজ্জের সময় মক্কায় মারা যান)। সা’দ (রাযিঃ) বলেনঃ মক্কাতে ওফাতের কারণে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন।
باب الدُّعَاءِ بِرَفْعِ الْوَبَاءِ وَالْوَجَعِ
6373 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّ أَبَاهُ، قَالَ: عَادَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ، مِنْ شَكْوَى أَشْفَيْتُ مِنْهُ عَلَى المَوْتِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بَلَغَ بِي مَا تَرَى مِنَ الوَجَعِ، وَأَنَا ذُو مَالٍ، وَلاَ يَرِثُنِي إِلَّا ابْنَةٌ لِي وَاحِدَةٌ، أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَيْ مَالِي؟ قَالَ: «لاَ» قُلْتُ: فَبِشَطْرِهِ؟ قَالَ: «الثُّلُثُ كَثِيرٌ، إِنَّكَ أَنْ تَذَرَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَذَرَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ، وَإِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللَّهِ إِلَّا أُجِرْتَ، حَتَّى مَا تَجْعَلُ فِي فِي امْرَأَتِكَ» قُلْتُ: أَأُخَلَّفُ بَعْدَ أَصْحَابِي؟ قَالَ: «إِنَّكَ لَنْ تُخَلَّفَ، فَتَعْمَلَ عَمَلًا تَبْتَغِي بِهِ وَجْهَ اللَّهِ، إِلَّا ازْدَدْتَ دَرَجَةً وَرِفْعَةً، وَلَعَلَّكَ تُخَلَّفُ حَتَّى يَنْتَفِعَ بِكَ أَقْوَامٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُونَ، اللَّهُمَّ أَمْضِ لِأَصْحَابِي هِجْرَتَهُمْ، وَلاَ تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ، لَكِنِ البَائِسُ سَعْدُ ابْنُ خَوْلَةَ» قَالَ سَعْدٌ: رَثَى لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَنْ تُوُفِّيَ بِمَكَّةَ