আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৬৫- অনুমতি গ্রহণ - প্রদান সংক্রান্ত - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৫৮৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬২৬৭
৩৩২০. যে ব্যক্তি কারো ডাকে লাব্বাইকা এবং সা’দাইকা বলে জবাব দিল।
৫৮৩৩। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) বলেন, আমি একবার নবী (ﷺ) এর পেছনে তার সওয়ারীর উপর বসা ছিলাম। তখন তিনি আমাকে ডাকলেনঃ ওহে মুআয! আমি বললাম, লাব্বাইকা ওয়া সা’দাইকা। তারপর তিনি অনুরূপ তিনবার ডাকলেন। এরপর তিনি বললেনঃ তুমি কি জান যে, বান্দাদের উপর আল্লাহর হক কি? তিনি বললেনঃ তা হল বান্দারা তার ইবাদত করবে আর এতে তার সঙ্গে কোন কিছুকে শরীক করবে না। আবার কিছুক্ষণ চলার পর তিনি বললেনঃ ওহে মুআয! আমি জবাবে বললামঃ লাব্বাইকা ওয়া সা’দাইকা। তখন তিনি বললেনঃ তুমি কি জান যে, বান্দা যখন তার ইবাদত করবে, তখন আল্লাহর উপর বান্দাদের হক কি হবে? তিনি বললেনঃ তা হল এই যে, তিনি তাদের আযাব দিবেন না।
باب مَنْ أَجَابَ بِلَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ
6267 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ مُعَاذٍ، قَالَ: أَنَا رَدِيفُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «يَا مُعَاذُ» قُلْتُ: لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ، ثُمَّ قَالَ مِثْلَهُ ثَلاَثًا: «هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ اللَّهِ عَلَى العِبَادِ» قُلْتُ: لاَ، قَالَ: «حَقُّ اللَّهِ عَلَى العِبَادِ أَنْ يَعْبُدُوهُ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا» ثُمَّ سَارَ سَاعَةً، فَقَالَ: «يَا مُعَاذُ» قُلْتُ: لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ، قَالَ: " هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ العِبَادِ عَلَى اللَّهِ إِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ: أَنْ لاَ يُعَذِّبَهُمْ " حَدَّثَنَا هُدْبَةُ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ مُعَاذٍ، بِهَذَا
হাদীস নং: ৫৮৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬২৬৮
৩৩২০. যে ব্যক্তি কারো ডাকে লাব্বাইকা এবং সা’দাইকা বলে জবাব দিল।
৫৮৩৪। উমর ইবনে হাফস (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে ওয়াহব (রাহঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! আবু যর (রাযিঃ) রাবাযা নামক স্থানে আমাদের কাছে বর্ণনা করেন যে, একবার আমি নবী (ﷺ) এর সঙ্গে এশার সময় মদীনায় হাররা নামক স্থান দিয়ে পায়ে হেটে যাচ্ছিলাম। তখন আমরা ওহুদ পাহাড়ের সম্মুখীন হলে তিনি আমাকে বললেনঃ হে আবু যর! আমি এটা পছন্দ করি না যে, আমার নিকট ওহুদ পাহাড় পরিমাণ সোনা আসুক। আর ঋণ পরিশোধ পরিমাণ ব্যতীত এক দীনার পরিমাণ সোনাও একরাত অথবা তিনরাত পর্যন্ত আমার হাতে থেকে যাক।
বরং আমি এটা পছন্দ করি যে, আমি এগুলো আল্লাহর বান্দাদের এভাবে বিলিয়ে দেই। (কিভাবে দিবেন) তা তার হাত দিয়ে তিনি দেখালেন। তারপর বললেনঃ হে আবু যর! আমি বললামঃ লাব্বাইকা ওয়া সা’দাইকা, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন তিনি বললেনঃ দুনিয়াতে যারা অধিক সম্পদশালী, আখিরাতে তারা হবে অনেক কম সওয়াবের অধিকারী। তবে যারা তাদের সম্পদকে এভাবে, এভাবে খরচ করে। তারা হবে এর ব্যতিক্রম।
তারপর তিনি আমাকে বললেনঃ আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত হে আবু যর! তুমি এ স্থানেই থাকো। এখান থেকে কোথাও যেয়োনা। এরপর তিনি রওয়ানা হয়ে গেলেন, এমনকি আমার চোখের আড়ালে চলে গেলেন। এমনসময় আমি একটা শব্দ শুনলাম। এতে আমি শংকিত হয়ে পড়লাম যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন বিপদের সন্মুখীন হয়ে পড়লেন কিনা? তাই আমি সেদিকে অগ্রসর হতে চাইলাম। কিন্তু সাথে সাথেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিষেধাজ্ঞা যে, কোথাও যেয়োনা মনে পড়লো এবং আমি থেমে গেলাম। এরপর তিনি ফিরে আসলে আমি বললাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি একটা আওয়াজ শুনে শংকিত হয়ে পড়লাম যে, আপনি সেখানে গিয়ে কোন বিপদে পড়লেন কিনা। কিন্তু আপনার আদেশ স্মরণ করে থেমে গেলাম।
তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ তিনি ছিলেন জিবরাঈল। তিনি আমার নিকট এসে সংবাদ দিলেন যে, আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কোনকিছুকে শরীক না করে মারা যাবে, সে বেহেশতে প্রবেশ করবে। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদিও সে ব্যক্তি ব্যভিচার করে? যদিও সে ব্যক্তি চুরি করে? তিনি বললেনঃ সে যদিও ব্যভিচার করে, যদিও চুরি করে থাকে তবুও।
আ'মাশ (রাহঃ) বললেনঃ আমি যায়দকে বললাম, আমার কাছে খবর পৌছেছে যে, এ হাদীসের রাবী হলেন আবু দারদা রাঃ। তিনি বললেনঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এ হাদীসটি আবু যর রাঃ -ই রাবাযা নামক স্থানে আমার কাছে বর্ণনা করেছেন। আ'মাশ (রাহঃ) বলেন, আবু সালিহও আবুদ দারদা (রাযিঃ) সূত্রে আমার কাছে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আর আবু শিহাব আ'মাশ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেনঃ ‘তিন দিনের অতিরিক্ত’।
باب مَنْ أَجَابَ بِلَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ
6268 - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا وَاللَّهِ أَبُو ذَرٍّ، بِالرَّبَذَةِ قَالَ: كُنْتُ أَمْشِي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَرَّةِ المَدِينَةِ عِشَاءً، اسْتَقْبَلَنَا أُحُدٌ، فَقَالَ: «يَا أَبَا ذَرٍّ، مَا أُحِبُّ أَنَّ أُحُدًا لِي ذَهَبًا، يَأْتِي عَلَيَّ لَيْلَةٌ أَوْ ثَلاَثٌ، عِنْدِي مِنْهُ دِينَارٌ إِلَّا أَرْصُدُهُ لِدَيْنٍ، إِلَّا أَنْ أَقُولَ بِهِ فِي عِبَادِ اللَّهِ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا» وَأَرَانَا بِيَدِهِ، ثُمَّ قَالَ: «يَا أَبَا ذَرٍّ» قُلْتُ: لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «الأَكْثَرُونَ هُمُ الأَقَلُّونَ، إِلَّا مَنْ قَالَ هَكَذَا وَهَكَذَا» ثُمَّ قَالَ لِي: «مَكَانَكَ لاَ تَبْرَحْ يَا أَبَا ذَرٍّ حَتَّى أَرْجِعَ» فَانْطَلَقَ حَتَّى غَابَ عَنِّي، فَسَمِعْتُ صَوْتًا، فَخَشِيتُ أَنْ يَكُونَ عُرِضَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَرَدْتُ أَنْ أَذْهَبَ، ثُمَّ ذَكَرْتُ قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَبْرَحْ» فَمَكُثْتُ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، سَمِعْتُ صَوْتًا، خَشِيتُ أَنْ يَكُونَ عُرِضَ لَكَ، ثُمَّ ذَكَرْتُ قَوْلَكَ فَقُمْتُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ذَاكَ جِبْرِيلُ، أَتَانِي فَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ مَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِي لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا دَخَلَ الجَنَّةَ» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ، قَالَ [ص:61]: «وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ» قُلْتُ لِزَيْدٍ: إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّهُ أَبُو الدَّرْدَاءِ، فَقَالَ: أَشْهَدُ لَحَدَّثَنِيهِ أَبُو ذَرٍّ بِالرَّبَذَةِ. قَالَ الأَعْمَشُ، وَحَدَّثَنِي أَبُو صَالِحٍ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، نَحْوَهُ، وَقَالَ أَبُو شِهَابٍ، عَنِ الأَعْمَشِ: «يَمْكُثُ عِنْدِي فَوْقَ ثَلاَثٍ»