আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৬৪- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৫৭৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৭২
৩২৫৯. কেউ কাউকে ‘দূর হও’ বলা।
৫৭৪১। আবুল ওয়ালীদ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইবনে সা'ঈদকে (অপর বর্ণনায় ইবনে সাইয়্যাদ এসেছে) বললেনঃ আমি তোমার জন্য একটি কথা গোপন রেখেছি, তুমি বলতো, সেটা কি? সে বললঃ ‘দুখ’, তখন তিনি বললেনঃ দূর হও।
باب قَوْلِ الرَّجُلِ لِلرَّجُلِ اخْسَأْ
6172 - حَدَّثَنَا أَبُو الوَلِيدِ، حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ زَرِيرٍ، سَمِعْتُ أَبَا رَجَاءٍ، سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِابْنِ صَائِدٍ: «قَدْ خَبَأْتُ لَكَ خَبِيئًا، فَمَا هُوَ؟» قَالَ: الدُّخُّ، قَالَ: «اخْسَأْ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৭৩ - ৬১৭৫
৩২৫৯. কেউ কাউকে ‘দূর হও’ বলা।
৫৭৪২। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) একদল সাহাবীসহ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ইবনে সাইয়্যাদের নিকট গমন করেন। তারা সেখানে গিয়ে তাকে বনু মাগালার দূর্গের পাশে ছেলেদের সাথে খেলায় মত্ত পেলেন। তখন সে বালেগ হওয়ার কাছাকাছি বয়সে পৌঁছেছে। সে নবী (ﷺ) এর আগমন টের পেল না, যতক্ষণ না রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর হাত দিয়ে তার পিঠে মারলেন। তারপর তিনি বললেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আমিই আল্লাহর রাসূল? তখন সে নবী (ﷺ) এর দিকে তাকিয়ে বললঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি উম্মি সম্প্রদায়ের রাসূল। এরপর ইবনে সাইয়্যাদ বললঃ আপনি কি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, আমিই আল্লাহর রাসূল? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ধাক্কা মেরে বললেন, আমি আল্লাহ ও তার রাসূলদের উপর ঈমান রাখি।
তারপর আবার তিনি ইবনে সাইয়্যাদকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কী দেখতে পাও? সে বললঃ আমার নিকট সত্যবাদী ও মিথ্যাবাদী উভয়ই আসেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ বিষয়টি তোমার উপর এলোমেলো করে দেয়া হয়েছে। এরপর নবী (ﷺ) তাকে বললেনঃ আমি তোমার (পরীক্ষার) জন্য কিছু গোপন রাখছি। সে বললঃ তা ‘দুখ’। তখন তিনি বললেনঃ দূর হও। তুমি কখনো তোমার ভাগ্যকে অতিক্রম করতে পারবে না। উমর (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি তার ব্যাপারে আমাকে অনুমতি দেন যে, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেই। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এ যদি সেই (দাজ্জালই) হয়ে থাকে, তবে তার উপর তোমাকে ক্ষমতা দেওয়া হবে না। আর এ যদি সে না হয়ে থাকে, তবে তাকে হত্যা করা তোমার জন্যই ভাল হবে না।
সালিম (রাহঃ) বলেনঃ এরপর আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি যে, এ ঘটনার পর একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং উবাই ইবনে কা'ব (রাযিঃ) সেই খেজুর বাগানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন, যেখানে ইবনে সাইয়্যাদ ছিল। অবশেষে যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাগানে প্রবেশ করলেন, তখন তিনি খেজুরের কাণ্ডের আড়ালে আড়ালে চলতে লাগলেন। তার লক্ষ্য ছিল যে, ইবনে সাইয়্যাদ তাকে দেখার আগেই যেন তিনি তার কিছু কথাবার্তা শুনে নিতে পারেন। এ সময় ইবনে সাইয়্যাদ তার বিছানায় একখানা চাঁদর মুড়ি দিয়ে শুয়েছিল। আর তার চাদরের ভেতর থেকে বিড়বিড় শব্দ শোনা যাচ্ছিল। ইতিমধ্যে ইবনে সাইয়্যাদের মা নবী (ﷺ) কে দেখল যে, তিনি খেজুরের কাণ্ডের আড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে আসছেন। তখন তার মা তাকে ডেকে বললোঃ ওহে সাফ! –এটা তার ডাক নাম ছিল– এই যে মুহাম্মাদ (ﷺ)। তখন ইবনে সাইয়্যাদ (যে বিষয়ে মগ্ন ছিল তা থেকে) বিরত হল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যদি তার মা তাকে সতর্ক না করত, তবে তার (রহস্য) প্রকাশ পেয়ে যেত।
রাবী সালিম রাহঃ আরও বলেনঃ আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন যে, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবাদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আল্লাহ তাআলার যথোপযুক্ত প্রশংসার পর দাজ্জালের উল্লেখ করে বললেনঃ আমি তোমাদের তার সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছি। প্রত্যেক নবীই এর সম্পর্কে তার কওমকে সতর্ক করে গিয়েছেন। আমি এর সম্পর্কে এমন কথা বলছি, যা অন্যকোন নবী তার কওমকে বলেননি। তোমরা জেনে রাখ, সে কানা; কিন্তু আল্লাহ তাআলা কানা নন।
তারপর আবার তিনি ইবনে সাইয়্যাদকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কী দেখতে পাও? সে বললঃ আমার নিকট সত্যবাদী ও মিথ্যাবাদী উভয়ই আসেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ বিষয়টি তোমার উপর এলোমেলো করে দেয়া হয়েছে। এরপর নবী (ﷺ) তাকে বললেনঃ আমি তোমার (পরীক্ষার) জন্য কিছু গোপন রাখছি। সে বললঃ তা ‘দুখ’। তখন তিনি বললেনঃ দূর হও। তুমি কখনো তোমার ভাগ্যকে অতিক্রম করতে পারবে না। উমর (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি তার ব্যাপারে আমাকে অনুমতি দেন যে, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেই। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এ যদি সেই (দাজ্জালই) হয়ে থাকে, তবে তার উপর তোমাকে ক্ষমতা দেওয়া হবে না। আর এ যদি সে না হয়ে থাকে, তবে তাকে হত্যা করা তোমার জন্যই ভাল হবে না।
সালিম (রাহঃ) বলেনঃ এরপর আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি যে, এ ঘটনার পর একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং উবাই ইবনে কা'ব (রাযিঃ) সেই খেজুর বাগানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন, যেখানে ইবনে সাইয়্যাদ ছিল। অবশেষে যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাগানে প্রবেশ করলেন, তখন তিনি খেজুরের কাণ্ডের আড়ালে আড়ালে চলতে লাগলেন। তার লক্ষ্য ছিল যে, ইবনে সাইয়্যাদ তাকে দেখার আগেই যেন তিনি তার কিছু কথাবার্তা শুনে নিতে পারেন। এ সময় ইবনে সাইয়্যাদ তার বিছানায় একখানা চাঁদর মুড়ি দিয়ে শুয়েছিল। আর তার চাদরের ভেতর থেকে বিড়বিড় শব্দ শোনা যাচ্ছিল। ইতিমধ্যে ইবনে সাইয়্যাদের মা নবী (ﷺ) কে দেখল যে, তিনি খেজুরের কাণ্ডের আড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে আসছেন। তখন তার মা তাকে ডেকে বললোঃ ওহে সাফ! –এটা তার ডাক নাম ছিল– এই যে মুহাম্মাদ (ﷺ)। তখন ইবনে সাইয়্যাদ (যে বিষয়ে মগ্ন ছিল তা থেকে) বিরত হল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যদি তার মা তাকে সতর্ক না করত, তবে তার (রহস্য) প্রকাশ পেয়ে যেত।
রাবী সালিম রাহঃ আরও বলেনঃ আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন যে, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবাদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আল্লাহ তাআলার যথোপযুক্ত প্রশংসার পর দাজ্জালের উল্লেখ করে বললেনঃ আমি তোমাদের তার সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছি। প্রত্যেক নবীই এর সম্পর্কে তার কওমকে সতর্ক করে গিয়েছেন। আমি এর সম্পর্কে এমন কথা বলছি, যা অন্যকোন নবী তার কওমকে বলেননি। তোমরা জেনে রাখ, সে কানা; কিন্তু আল্লাহ তাআলা কানা নন।
باب قَوْلِ الرَّجُلِ لِلرَّجُلِ اخْسَأْ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ انْطَلَقَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَهْطٍ مِنْ أَصْحَابِهِ قِبَلَ ابْنِ صَيَّادٍ، حَتَّى وَجَدَهُ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ فِي أُطُمِ بَنِي مَغَالَةَ، وَقَدْ قَارَبَ ابْنُ صَيَّادٍ يَوْمَئِذٍ الْحُلُمَ، فَلَمْ يَشْعُرْ حَتَّى ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ظَهْرَهُ بِيَدِهِ ثُمَّ قَالَ " أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ ". فَنَظَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ الأُمِّيِّينَ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ صَيَّادٍ أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ فَرَضَّهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " آمَنْتُ بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ ". ثُمَّ قَالَ لاِبْنِ صَيَّادٍ " مَاذَا تَرَى ". قَالَ يَأْتِينِي صَادِقٌ وَكَاذِبٌ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خُلِّطَ عَلَيْكَ الأَمْرُ ". قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي خَبَأْتُ لَكَ خَبِيئًا ". قَالَ هُوَ الدُّخُّ. قَالَ " اخْسَأْ، فَلَنْ تَعْدُوَ قَدْرَكَ ". قَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَأْذَنُ لِي فِيهِ أَضْرِبْ عُنُقَهُ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنْ يَكُنْ هُوَ لاَ تُسَلَّطُ عَلَيْهِ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ هُوَ فَلاَ خَيْرَ لَكَ فِي قَتْلِهِ ". قَالَ سَالِمٌ فَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ انْطَلَقَ بَعْدَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ الأَنْصَارِيُّ يَؤُمَّانِ النَّخْلَ الَّتِي فِيهَا ابْنُ صَيَّادٍ، حَتَّى إِذَا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَفِقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَّقِي بِجُذُوعِ النَّخْلِ، وَهْوَ يَخْتِلُ أَنْ يَسْمَعَ مِنِ ابْنِ صَيَّادٍ شَيْئًا قَبْلَ أَنْ يَرَاهُ، وَابْنُ صَيَّادٍ مُضْطَجِعٌ عَلَى فِرَاشِهِ فِي قَطِيفَةٍ لَهُ فِيهَا رَمْرَمَةٌ أَوْ زَمْزَمَةٌ، فَرَأَتْ أُمُّ ابْنِ صَيَّادٍ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ يَتَّقِي بِجُذُوعِ النَّخْلِ، فَقَالَتْ لاِبْنِ صَيَّادٍ أَىْ صَافِ ـ وَهْوَ اسْمُهُ ـ هَذَا مُحَمَّدٌ. فَتَنَاهَى ابْنُ صَيَّادٍ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ تَرَكَتْهُ بَيَّنَ ". قَالَ سَالِمٌ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي النَّاسِ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ ذَكَرَ الدَّجَّالَ فَقَالَ " إِنِّي أُنْذِرُكُمُوهُ، وَمَا مِنْ نَبِيٍّ إِلاَّ وَقَدْ أَنْذَرَ قَوْمَهُ، لَقَدْ أَنْذَرَهُ نُوحٌ قَوْمَهُ، وَلَكِنِّي سَأَقُولُ لَكُمْ فِيهِ قَوْلاً لَمْ يَقُلْهُ نَبِيٌّ لِقَوْمِهِ، تَعْلَمُونَ أَنَّهُ أَعْوَرُ، وَأَنَّ اللَّهَ لَيْسَ بِأَعْوَرَ ".
قَالَ أَبُو عَبْد اللَّهِ خَسَأْتُ الْكَلْبَ بَعَّدْتُهُ خَاسِئِينَ مُبْعَدِينَ
قَالَ أَبُو عَبْد اللَّهِ خَسَأْتُ الْكَلْبَ بَعَّدْتُهُ خَاسِئِينَ مُبْعَدِينَ