আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৬৪- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৫৭০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৩৪
৩২৪৬. মেহমানের হক।
৫৭০৪। ইসহাক ইবনে মানসুর (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন নবী (ﷺ) আমার নিকট এসে বললেনঃ আমাকে কি এ খবর জানানো হয়নি যে, তুমি সারারাত নামাযে কাটাও। আর সারাদিন রোযা পালন কর। তিনি বললেনঃ তুমি (এরকম) করো না। রাতের কিছু অংশ নামায আদায় কর, আর ঘুমাও। কয়েকদিন রোযা পালন কর, আর কয়েকদিন ইফতার কর (রোযা ভঙ্গ কর)। তোমার উপর তোমার শরীরের হক আছে, তোমার উপর তোমার চোখের হক আছে, তোমার উপর তোমার মেহমানের হক আছে, আর তোমার উপর তোমার স্ত্রীরও হক আছে। নিশ্চয়ই তুমি তোমার আয়ু লম্বা হওয়ার আশা কর। সুতরাং প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোযা পালনই তোমার পক্ষে যথেষ্ট।
কেননা, নিশ্চয়ই প্রতিটি নেক কাজের বদলে তার দশগুণ পরিমাণ সওয়াব দেওয়া হয়। সুতরাং এভাবে সারা বছরেই রোযার সওয়াব পাওয়া যায়। তখন আমি কঠোর ব্যবস্থা চাইলে, আমাকে কঠোর ব্যবস্থা দেয়া হলো। আমি বললাম, এর চেয়েও বেশী পালনের সামর্থ আমার আছে। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি প্রতি সপ্তাহে তিনদিন রোযা পালন কর। তখন আমি আরও কঠোর ব্যবস্থা চাইলে, আমাকে কঠোর ব্যবস্থা দেওয়া হল। আমি বললাম, আমি এর চেয়েও বেশী রোযার সামর্থ রাখি। তিনি বললেনঃ তবে তুমি আল্লাহর নবী দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযা পালন কর। আমি বললাম, ইয়া নবীয়্যাল্লাহ! দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযা কিরকম? তিনি বললেনঃ অর্ধবছর রোযা পালন।
কেননা, নিশ্চয়ই প্রতিটি নেক কাজের বদলে তার দশগুণ পরিমাণ সওয়াব দেওয়া হয়। সুতরাং এভাবে সারা বছরেই রোযার সওয়াব পাওয়া যায়। তখন আমি কঠোর ব্যবস্থা চাইলে, আমাকে কঠোর ব্যবস্থা দেয়া হলো। আমি বললাম, এর চেয়েও বেশী পালনের সামর্থ আমার আছে। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি প্রতি সপ্তাহে তিনদিন রোযা পালন কর। তখন আমি আরও কঠোর ব্যবস্থা চাইলে, আমাকে কঠোর ব্যবস্থা দেওয়া হল। আমি বললাম, আমি এর চেয়েও বেশী রোযার সামর্থ রাখি। তিনি বললেনঃ তবে তুমি আল্লাহর নবী দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযা পালন কর। আমি বললাম, ইয়া নবীয়্যাল্লাহ! দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযা কিরকম? তিনি বললেনঃ অর্ধবছর রোযা পালন।
باب حَقِّ الضَّيْفِ
6134 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَقُومُ اللَّيْلَ وَتَصُومُ النَّهَارَ» قُلْتُ: بَلَى، قَالَ: «فَلاَ تَفْعَلْ، قُمْ وَنَمْ، وَصُمْ وَأَفْطِرْ، فَإِنَّ لِجَسَدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، وَإِنَّ لِعَيْنِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، وَإِنَّ لِزَوْرِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، وَإِنَّ لِزَوْجِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، وَإِنَّكَ عَسَى أَنْ يَطُولَ بِكَ عُمُرٌ، وَإِنَّ مِنْ حَسْبِكَ أَنْ تَصُومَ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ، فَإِنَّ بِكُلِّ حَسَنَةٍ عَشْرَ أَمْثَالِهَا، فَذَلِكَ الدَّهْرُ كُلُّهُ» قَالَ: فَشَدَّدْتُ فَشُدِّدَ عَلَيَّ، فَقُلْتُ: فَإِنِّي أُطِيقُ غَيْرَ ذَلِكَ، قَالَ: «فَصُمْ مِنْ كُلِّ جُمُعَةٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ» قَالَ: فَشَدَّدْتُ فَشُدِّدَ [ص:32] عَلَيَّ، قُلْتُ: أُطِيقُ غَيْرَ ذَلِكَ، قَالَ: «فَصُمْ صَوْمَ نَبِيِّ اللَّهِ دَاوُدَ» قُلْتُ: وَمَا صَوْمُ نَبِيِّ اللَّهِ دَاوُدَ؟ قَالَ: «نِصْفُ الدَّهْرِ»