আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৬২- চিকিৎসা - তদবীরের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৫৩৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৫৭৫২
৩০৪৩. যে ব্যক্তি ঝাড়-ফুঁক করে না
৫৩৪১। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক দিন নবী করীম (ﷺ) আমাদের নিকট আগমন করেন এবং বলেনঃ আমার সামনে (পূর্ববর্তী নবীগণের) উম্মতদের পেশ করা হল। (আমি দেখলাম) একজন নবী (ﷺ) যাচ্ছেন, তার সাথে রয়েছে মাত্র একজন লোক এবং আর একজন নবী যার সঙ্গে রয়েছে দু’জন লোক। অন্য এক নবীকে দেখলাম, তার সঙ্গে আছে একটি দল, আর একজন নবী তার সাথে কেউ নেই। আবার দেখলাম, একটি বিরাট দল যা দিগন্ত জুড়ে আছে। আমি আকাঙ্ক্ষা করলাম যে, এ বিরাট দলটি যদি আমার উম্মত হতো। বলা হলো: এরা হলেন মুসা (আলাইহিস সালাম) ও তার কওম। এরপর আমাকে বলা হলঃ এদিকে দেখুন। দেখলাম, একটি বিরাট দল দিগন্ত জুড়ে ছেয়ে আছে। আবার বলা হলোঃ এ দিকে দেখুন। ওদিকে দেখুন। দেখলাম বিরাট বিরাট দল দিগন্ত জুড়ে ছেয়ে আছে। বলা হলঃ ঐ সবই আপনার উম্মত এবং ওদের সাথে সত্তর হাজার লোক এমন আছে যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে।

এরপর লোকজন এদিক ওদিক চলে গেল। নবী করীম (ﷺ) আর তাদের (সত্তর হাজারের) ব্যাখ্যা করে বলেননি। নবী করীম (ﷺ) -এর সাহাবীগণ এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু করে দিলেন। তারা বলাবলি করলেন আমরা তো শিরকের মধ্যে জন্মলাভ করেছি, পরে আল্লাহ ও তার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর উপর ঈমান এনেছি। বরং এরা আমাদের সন্তানরাই হবে। নবী করীম (ﷺ) -এর কাছে এ কথা পৌছলে তিনি বলেনঃ তারা (হবে) ঐ সব লোক যারা অবৈধভাবে মঙ্গল-অমঙ্গল নির্ণয় করে না, ঝাড়-ফুঁক করে না এবং আগুনে পোড়ানো লোহার দাগ লাগায় না, আর তারা তাদের রবের উপর একমাত্র ভরসা রাখে। তখন ‘উক্কাশা ইবনে মিহসান (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললো: ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি কি তাদের মধ্যে আছি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তখন আর একজন দাঁড়িয়ে বললোঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি কি তাদের মধো আছি? তিনি বললেনঃ এ ব্যাপারে উক্কাশা তোমাকে অতিক্রম করে গেছে।
باب مَنْ لَمْ يَرْقِ
5752 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا فَقَالَ: " عُرِضَتْ عَلَيَّ الأُمَمُ، فَجَعَلَ يَمُرُّ النَّبِيُّ مَعَهُ الرَّجُلُ، وَالنَّبِيُّ مَعَهُ الرَّجُلاَنِ، وَالنَّبِيُّ مَعَهُ الرَّهْطُ، وَالنَّبِيُّ لَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ، وَرَأَيْتُ سَوَادًا كَثِيرًا سَدَّ الأُفُقَ، فَرَجَوْتُ أَنْ تَكُونَ أُمَّتِي، فَقِيلَ: هَذَا مُوسَى وَقَوْمُهُ، ثُمَّ قِيلَ لِي: انْظُرْ، فَرَأَيْتُ سَوَادًا كَثِيرًا سَدَّ الأُفُقَ، فَقِيلَ لِي: انْظُرْ هَكَذَا وَهَكَذَا، فَرَأَيْتُ سَوَادًا كَثِيرًا سَدَّ الأُفُقَ، فَقِيلَ: هَؤُلاَءِ أُمَّتُكَ، وَمَعَ هَؤُلاَءِ سَبْعُونَ أَلْفًا يَدْخُلُونَ الجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ " فَتَفَرَّقَ النَّاسُ وَلَمْ يُبَيَّنْ لَهُمْ، فَتَذَاكَرَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: أَمَّا نَحْنُ فَوُلِدْنَا فِي الشِّرْكِ، وَلَكِنَّا آمَنَّا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَلَكِنْ هَؤُلاَءِ هُمْ أَبْنَاؤُنَا، فَبَلَغَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «هُمُ الَّذِينَ لاَ يَتَطَيَّرُونَ، وَلاَ يَسْتَرْقُونَ، وَلاَ يَكْتَوُونَ، وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ» فَقَامَ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ فَقَالَ: أَمِنْهُمْ [ص:135] أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «نَعَمْ» فَقَامَ آخَرُ فَقَالَ: أَمِنْهُمْ أَنَا؟ فَقَالَ: «سَبَقَكَ بِهَا عُكَاشَةُ»