আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৬১- রোগীদের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৫২৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৬১
২৯৯৩. রোগীর সামনে কী বলতে হবে এবং তাকে কী জবাব দিতে হবে
৫২৫৯। কাবীসা (রাহঃ) ......... ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘উদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী করীম (ﷺ) -এর অসুস্থতার সময় তার কাছে এলাম। এরপর তাঁর শরীরে হাত বুলালাম। এ সময় তিনি কঠিন জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। আমি বললাম: আপনি কঠিন জ্বরে আক্রান্ত এবং এটা এ জন্য যে আপনার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সাওয়াব। তিনি বললেন: হ্যাঁ! কোন মুসলিম ব্যক্তির উপর কোন কষ্ট আপতিত হলে তার উপর থেকে গুনাহগুলো এভাবে ঝরে যায়, যেভাবে বৃক্ষ থেকে পাতা ঝরে যায়।
باب مَا يُقَالُ لِلْمَرِيضِ وَمَا يُجِيبُ
5661 - حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنِ الحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَرَضِهِ فَمَسِسْتُهُ، وَهُوَ يُوعَكُ وَعْكًا شَدِيدًا، فَقُلْتُ: إِنَّكَ لَتُوعَكُ وَعْكًا شَدِيدًا، وَذَلِكَ أَنَّ لَكَ أَجْرَيْنِ؟ قَالَ: «أَجَلْ، وَمَا مِنْ مُسْلِمٍ يُصِيبُهُ أَذًى، إِلَّا حَاتَّتْ عَنْهُ خَطَايَاهُ، كَمَا تَحَاتُّ وَرَقُ الشَّجَرِ»
হাদীস নং: ৫২৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৬২
২৯৯৩. রোগীর সামনে কী বলতে হবে এবং তাকে কী জবাব দিতে হবে
৫২৬০। ইসহাক (রাহঃ) ......... ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক রোগীকে দেখার জন্য তার কাছে প্রবেশ করলেন। তখন তিনি বলেনঃ কোন ক্ষতি নেই, ইনশাআল্লাহ গুনাহ থেকে তোমার পবিত্রতা লাভ হবে। রোগী বলে উঠলঃ কখনো না বরং এটি এমন জ্বর, যা এক অতি বৃদ্ধের গায়ে টগবগ করছে আশঙ্কা হয় যেন তাকে কবরে পৌঁছাবে। নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ হ্যাঁ, হবে তাই।
باب مَا يُقَالُ لِلْمَرِيضِ وَمَا يُجِيبُ
5662 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَى رَجُلٍ يَعُودُهُ، فَقَالَ: «لاَ بَأْسَ طَهُورٌ إِنْ شَاءَ اللَّهُ» فَقَالَ: كَلَّا، بَلْ حُمَّى تَفُورُ، عَلَى شَيْخٍ كَبِيرٍ، كَيْمَا تُزِيرَهُ القُبُورَ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَنَعَمْ إِذًا»