আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫৯- কুরবানীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৫১৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫৫০
২৯৩৯. যারা বলে যে, ইয়াওমুন-নাহারই কুরবানীর দিন
৫১৫২। মুহাম্মাদ ইবনে সালাম (রাহঃ) ......... আবু বাকরা (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ কাল আবর্তিত হয়েছে তার সেই অবস্থানের উপর যেভাবে আল্লাহ আকাশসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন। বছর বার মাসের। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। তিনটি পরপর যুল কা‘দা, যূল-হাজ্জাহ ও মুহাররম। আরেকটি মুদার গোত্রের রজব মাস, সেটি জুমাদা ও শা‘বানের মাঝখানে। (এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন) এটি কোন মাস? আমরা বললাম আল্লাহ ও তাঁর রাসুল অধিক জ্ঞাত। তখন তিনি নীরব রইলেন। এমন কি আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি হয়ত এটিকে অন্য নামে আখ্যায়িত করবেন। তিনি বললেন এটি কি যুল-হাজ্জ মাস নয়?
আমরা বললাম হ্যাঁ। তিনি আবার বললেনঃ এটি কোন শহর? আমরা বললাম আল্লাহ ও তার রাসুল অধিক জ্ঞাত। তিনি নীরব রইলেন এমন কি আমরা ভাবতে লাগলাম, হয়ত তিনি এটির জন্য কোন নাম রাখবেন। তিনি বললেনঃ এটি কি মক্কা নগর নয়? আমরা বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন এটি কোন দিন? আমরা বললাম আল্লাহ ও তাঁর রাসুল অধিক জ্ঞাত। তিনি নীরব রইলেন। এমনকি আমরা ধারণা করলাম যে হয়ত তিনি এর নামের পরিবর্তে অন্য নাম রাখবেন। তিনি বললেনঃ এটা কি কুরবানীর দিন নয়? আমরা উত্তর করলামঃ হ্যাঁ।
এরপর তিনি বললেনঃ তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-সম্পদ, বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ বলেনঃ সম্ভবত আবু বাকরা (রাযিঃ) বলেছেন এবং তোমাদের ইজ্জত তোমাদের পরস্পরের উপর এমন সম্মানিত যেমন সম্মানিত তোমাদের এই দিন, তোমাদের এই শহর, তোমাদের এই মাস। অচিরেই তোমরা তোমাদের রবের সাক্ষাত লাভ করবে। তখন তিনি তোমাদের সম্পর্কে তোমাদের জিজ্ঞাসা করবেন। সাবধান! আমার পরে তোমরা পথভ্রষ্ট হয়ে ফিরে যেয়ো না। তোমাদের কেউ যেন কাউকে হত্যা না করে।
মনে রেখ, উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে (আমার বাণী) পৌছে দেয়। হয়ত যাদের কাছে পৌছানো হবে তাদের কেউ কেউ বর্তমানে যারা শুনেছে তাদের কারো চাইতে অধিক সংরক্ষণকারী হবে। রাবী মুহাম্মাদ যখন এ হাদীস উল্লেখ করতেন তখন বলতেনঃ নবী করীম (ﷺ) সত্যই বলেছেন। এরপর নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ সাবধান, আমি কি পৌছে দিয়েছি? সাবধান, আমি কি পৌছে দিয়েছি?
আমরা বললাম হ্যাঁ। তিনি আবার বললেনঃ এটি কোন শহর? আমরা বললাম আল্লাহ ও তার রাসুল অধিক জ্ঞাত। তিনি নীরব রইলেন এমন কি আমরা ভাবতে লাগলাম, হয়ত তিনি এটির জন্য কোন নাম রাখবেন। তিনি বললেনঃ এটি কি মক্কা নগর নয়? আমরা বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন এটি কোন দিন? আমরা বললাম আল্লাহ ও তাঁর রাসুল অধিক জ্ঞাত। তিনি নীরব রইলেন। এমনকি আমরা ধারণা করলাম যে হয়ত তিনি এর নামের পরিবর্তে অন্য নাম রাখবেন। তিনি বললেনঃ এটা কি কুরবানীর দিন নয়? আমরা উত্তর করলামঃ হ্যাঁ।
এরপর তিনি বললেনঃ তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-সম্পদ, বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ বলেনঃ সম্ভবত আবু বাকরা (রাযিঃ) বলেছেন এবং তোমাদের ইজ্জত তোমাদের পরস্পরের উপর এমন সম্মানিত যেমন সম্মানিত তোমাদের এই দিন, তোমাদের এই শহর, তোমাদের এই মাস। অচিরেই তোমরা তোমাদের রবের সাক্ষাত লাভ করবে। তখন তিনি তোমাদের সম্পর্কে তোমাদের জিজ্ঞাসা করবেন। সাবধান! আমার পরে তোমরা পথভ্রষ্ট হয়ে ফিরে যেয়ো না। তোমাদের কেউ যেন কাউকে হত্যা না করে।
মনে রেখ, উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে (আমার বাণী) পৌছে দেয়। হয়ত যাদের কাছে পৌছানো হবে তাদের কেউ কেউ বর্তমানে যারা শুনেছে তাদের কারো চাইতে অধিক সংরক্ষণকারী হবে। রাবী মুহাম্মাদ যখন এ হাদীস উল্লেখ করতেন তখন বলতেনঃ নবী করীম (ﷺ) সত্যই বলেছেন। এরপর নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ সাবধান, আমি কি পৌছে দিয়েছি? সাবধান, আমি কি পৌছে দিয়েছি?
باب مَنْ قَالَ الأَضْحَى يَوْمَ النَّحْرِ
5550 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَهَّابِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ الزَّمَانَ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللَّهُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ، السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا، مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ، ثَلاَثٌ مُتَوَالِيَاتٌ: ذُو القَعْدَةِ، وَذُو الحِجَّةِ، وَالمُحَرَّمُ، وَرَجَبُ مُضَرَ الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ، أَيُّ شَهْرٍ هَذَا؟ " قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ، قَالَ: «أَلَيْسَ ذَا الحِجَّةِ؟» قُلْنَا: بَلَى، قَالَ: «أَيُّ بَلَدٍ هَذَا؟» قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ، قَالَ: «أَلَيْسَ البَلْدَةَ؟» قُلْنَا: بَلَى، قَالَ: «فَأَيُّ يَوْمٍ هَذَا؟» قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ، قَالَ: «أَلَيْسَ يَوْمَ النَّحْرِ؟» قُلْنَا: بَلَى، قَالَ: " فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ - قَالَ مُحَمَّدٌ: وَأَحْسِبُهُ قَالَ - وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي بَلَدِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا، وَسَتَلْقَوْنَ رَبَّكُمْ، فَيَسْأَلُكُمْ عَنْ أَعْمَالِكُمْ، أَلاَ فَلاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي ضُلَّالًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ، أَلاَ لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الغَائِبَ، فَلَعَلَّ بَعْضَ مَنْ يَبْلُغُهُ أَنْ يَكُونَ أَوْعَى لَهُ مِنْ بَعْضِ مَنْ سَمِعَهُ - وَكَانَ مُحَمَّدٌ إِذَا ذَكَرَهُ قَالَ: صَدَقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ - أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ، أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ مَرَّتَيْنِ "