আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫- হায়েয-ইস্তিহাযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৫
২২৬। একই মাসে তিন হায়য হলে সম্ভাব্য হায়য ও গর্ভধারণের ব্যাপারে স্ত্রীলোকের কথা গ্রহণযোগ্য। কারণ আল্লাহর ঘোষণা রয়েছেঃ وَلاَ يَحِلُّ لَهُنَّ أَنْ يَكْتُمْنَ مَا خَلَقَ اللَّهُ فِي أَرْحَامِهِنَّ মহিলাদের গর্ভে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন সে বিষয়টি গোপন করা তাদের পক্ষে বৈধ নয়। (২ঃ ২২৮)
আলী (রাযিঃ) ও শুরায়হ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, যদি মহিলার নিজ পরিবারের দ্বীনদার কেউ সাক্ষ্য দেয় যে, এ মহিলা মাসে তিনবার ঋতুবতী হয়েছে, তবে তাঁর কথা গ্রহণযোগ্য হবে।
আতা (রাহঃ) বলেনঃ মহিলার হায়যের দিন গণনা করা হবে তাঁর পূর্ব অভ্যাস অনুযায়ী।
ইবরাহীম (রাহঃ)-ও অনুরূপ বলেন। আতা (রাহঃ) আরো বলেনঃ হায়য একদিন থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত হতে পারে।**
মু’তামির তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেনঃ আমি ইবনে সীরীন (রাহঃ)-কে এমন মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে তার পূর্ব অভ্যাস অনুযায়ী হায়যের পাঁচ দিন পূর্ণ হওয়ার পরও রক্ত দেখে? তিনি জবাবে বললেনঃ এ ব্যাপারে মহিলারা ভালো জানে।

** বিভিন্ন হাদীসের আলোকে ইমাম আবূ হানীফা (রাহঃ)-এর মত হলো হায়যের মুদ্দত কমপক্ষে তিন দিন এবং উর্ধ্বে দশ দিন। (আইনী, ৩খ, ৩০৯ পৃ.)
৩১৯। আহমদ ইবনে আবু রাজা’ (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ফাতিমা বিনতে আবু হুবায়শ (রাযিঃ) নবী (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলেন, আমার ইস্তিহাযা হয়েছে এবং পবিত্র হচ্ছি না। আমি কি নামায ছেড়ে দেব? নবী (ﷺ) বললেনঃ না, এ হল রগ-নির্গত রক্ত। তবে এরূপ হওয়ার আগে যতদিন হায়য হতো সে কয়দিন নামায অবশ্যই ছেড়ে দাও। তারপর গোসল করে নিবে ও নামায আদায় করবে।
بَابُ إِذَا حَاضَتْ فِي شَهْرٍ ثَلاَثَ حِيَضٍ، وَمَا يُصَدَّقُ النِّسَاءُ فِي الحَيْضِ وَالحَمْلِ، فِيمَا يُمْكِنُ مِنَ الحَيْضِ لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَلاَ يَحِلُّ لَهُنَّ أَنْ يَكْتُمْنَ مَا خَلَقَ اللَّهُ فِي أَرْحَامِهِنَّ} [البقرة: 228] وَيُذْكَرُ عَنْ عَلِيٍّ، وَشُرَيْحٍ: «إِنِ امْرَأَةٌ جَاءَتْ بِبَيِّنَةٍ مِنْ بِطَانَةِ أَهْلِهَا مِمَّنْ يُرْضَى دِينُهُ، أَنَّهَا حَاضَتْ ثَلاَثًا فِي شَهْرٍ صُدِّقَتْ» وَقَالَ عَطَاءٌ: «أَقْرَاؤُهَا مَا كَانَتْ وَبِهِ» قَالَ إِبْرَاهِيمُ: وَقَالَ عَطَاءٌ: «الحَيْضُ يَوْمٌ إِلَى خَمْسَ عَشْرَةَ» وَقَالَ مُعْتَمِرٌ: عَنْ أَبِيهِ: سَأَلْتُ ابْنَ سِيرِينَ عَنِ المَرْأَةِ تَرَى الدَّمَ بَعْدَ قُرْئِهَا بِخَمْسَةِ أَيَّامٍ؟ قَالَ: «النِّسَاءُ أَعْلَمُ بِذَلِكَ»
325 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ ابْنُ أَبِي رَجَاءٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ عُرْوَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ، سَأَلَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: إِنِّي أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ، أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ، فَقَالَ: «لاَ إِنَّ ذَلِكِ عِرْقٌ، وَلَكِنْ دَعِي الصَّلاَةَ قَدْرَ الأَيَّامِ الَّتِي كُنْتِ تَحِيضِينَ فِيهَا، ثُمَّ اغْتَسِلِي وَصَلِّي»