আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫৮- যবাহ করা ও শিকারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৫১৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫৪৪
২৯৩৩. কোন দলের উট ছুটে গেলে তাদের কেউ যদি সেটিকে তাদের উপকারের উদ্দেশ্যে তীর নিক্ষেপ করে এবং হত্যা করে, তাহলে রাফি‘ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর হাদীস অনুযায়ী তা জায়েয
৫১৪৬। মুহাম্মাদ ইবনে সালাম (রাহঃ) ......... রাফী ইবনে খাদীজ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন এক সফরে আমরা নবী করীম (ﷺ) -এর সঙ্গে ছিলাম। তখন উটগুলোর মধ্য থেকে একটি উট পালিয়ে যায়। তিনি বলেন তখন এক ব্যক্তি সেটির প্রতি তীর নিক্ষেপ করলে আল্লাহ সেটিকে থামিয়ে দেন। তিনি বলেন, এরপর নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ এ সকল পশুর মধ্যে বন্যপশুর চাঞ্চল্য আছে। সুতরাং তার মধ্যে যেটি তোমাদের উপর প্রবল হয়ে উঠলে সেটির সঙ্গে অনুরূপ ব্যবহার করো। তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা অনেক সময় যুদ্ধ অভিযানে বা সফরে থাকি, যবেহ করতে ইচ্ছা করি কিন্তু ছুরি থাকে না। তখন নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ আঘাত করো এমন জিনিস দ্বারা যা রক্ত প্রবাহিত করে অথবা তিনি বলেছেনঃ এমন জিনিস দ্বারা যা রক্ত ঝরায় এবং যার উপরে আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে সেটি খাও, তবে দাঁত ও নখ ব্যতীত। কেননা দাঁত হল হাড়, আর নখ হল হাবশীদের ছুরি।

পরিচ্ছেদঃ ২৯৩৪. অনন্যোপায় ব্যক্তির খাওয়া।

আল্লাহ তা‘আলার বাণী: “হে মু’মিনগণ, তোমাদের আমি সেসব পবিত্র বস্তু দিয়েছি তা থেকে তোমরা আহার কর, এবং আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। যদি তোমরা শুধু তাঁরই ইবাদত কর। নিশ্চয় আল্লাহ মৃত জন্তু, রক্ত, শূকর-এর মাংস এবং যার উপর আল্লাহর নাম ব্যতীত অন্যের নাম উচ্চারিত হয়েছে, তা তোমাদের জন্য হারাম করেছেন। কিন্তু যে অনন্যোপায় অথচ নাফরমান কিংবা সীমালংঘনকারী নয়, তার কোন পাপ হবে না ( ২: ১৭২-১৭৩)।

আল্লাহ আরো বলেন: “তোমরা আল্লাহর নিদর্শনে বিশ্বাসী হলে, যে জন্তুর উপর তাঁর নাম নেয়া হয়েছে, তা আহার কর। তোমাদের কী হয়েছে যে, যাতে আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে, তোমরা তা আহার করবে না? যা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ তা তিনি বিশেষভাবেই তোমাদের নিকট বিবৃত করেছেন তবে তোমরা নিরূপায় হলে তা আলাদা। অনেক অজ্ঞানতাবশত: নিজেদের খেয়াল-খুশী দ্বারা অবশ্যই অন্যকে বিপদগামী করে, আপনার প্রতিপালক সীমালংঘনকারীদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত (৬: ১১৮-১১৯)।

আল্লাহ আরো বলেন: “বলুন, আমার প্রতি যে প্রত্যাদেশ হয়েছে তাতে লোকে যা আহার করে তার মধ্যে আমি কিছুই নিষিদ্ধ পাই না, মরা, বহমান রক্ত ইবনে আব্বাস (রাযি:) বলেন, مَسْفُوحًا মানে مُهْرَاقًا অর্থ প্রবাহিত ও শূকরের মাংস ব্যতীত- কেননা, এটা অবশ্যই অপবিত্র”- অথবা যা অবৈধ, আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গের কারণে, “তবে কেউ অবাধ্য না হয়ে এবং সীমালংঘন না করে তা গ্রহণে নিরূপায় হলে, আপনার প্রতিপালক ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (৬: ১৪৫)।

আল্লাহ আরো বলেনঃ আল্লাহ তোমাদের যা দিয়েছেন তার মধ্যে যা বৈধ ও পবিত্র তা তোমরা আহার কর এবং তোমরা যদি কেবল আল্লাহরই ইবাদত কর, তবে তাঁর অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। আল্লাহ তো কেবল মরা, রক্ত, শূকর-মাংস এবং যা যবেহকালে আল্লাহর পরিবর্তে অন্যের নাম নেয়া হয়েছে, তা-ই তোমাদের জন্য হারাম করেছেন। কিন্তু কেউ অন্যায়কারী কিংবা সীমালংঘনকারী না হয়ে অনন্যোপায় হলে, আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়াল (১৬:১১৪-১১৫)।
بَابُ إِذَا نَدَّ بَعِيرٌ لِقَوْمٍ فَرَمَاهُ بَعْضُهُمْ بِسَهْمٍ فَقَتَلَهُ فَأَرَادَ إِصْلاَحَهُمْ فَهْوَ جَائِزٌ لِخَبَرِ رَافِعٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
5544 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ عُبَيْدٍ الطَّنَافِسِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ جَدِّهِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، فَنَدَّ بَعِيرٌ مِنَ الإِبِلِ، قَالَ: فَرَمَاهُ رَجُلٌ بِسَهْمٍ فَحَبَسَهُ، قَالَ: ثُمَّ قَالَ: «إِنَّ لَهَا أَوَابِدَ كَأَوَابِدِ الوَحْشِ، فَمَا غَلَبَكُمْ مِنْهَا فَاصْنَعُوا بِهِ هَكَذَا» قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا نَكُونُ فِي المَغَازِي وَالأَسْفَارِ، فَنُرِيدُ أَنْ نَذْبَحَ فَلاَ تَكُونُ مُدًى، قَالَ: «أَرِنْ، مَا نَهَرَ - أَوْ أَنْهَرَ - الدَّمَ وَذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ فَكُلْ، غَيْرَ السِّنِّ وَالظُّفُرِ، فَإِنَّ السِّنَّ عَظْمٌ، وَالظُّفُرَ مُدَى الحَبَشَةِ»