আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫৬- পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৫০৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪৩০
২৮৬৫. ‘সালন’ প্রসঙ্গে
৫০৩৬। কুতায়বা ইবনে সা‘ঈদ (রাহঃ) ......... কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেনঃ বারীরার ঘটনায় শরীয়তের তিনটি বিধান প্রতিষ্ঠিত হয়। (১) ‘আয়েশা (রাযিঃ) তাকে ক্রয় করে মুক্ত করতে চাইলে তার মালিকেরা বলল, (বিক্রয় এ শর্তে করবে যে,) ‘ওয়ালা’ (উত্তরাধিকার) আমাদের থাকবে। ‘আয়েশা (রাযিঃ) বিষয়টি রাসূলুল্লাহ(ﷺ) -এর সমীপে উল্লেখ করলে তিনি বললেনঃ তুমি চাইলে তাদের জন্য ওলীর শর্ত মেনে নাও। কারণ, প্রকৃতপক্ষে ওয়ালীর অধিকার লাভ করবে মুক্তিদাতা। (২) তাকে আযাদ করে ইখতিয়ার দেওয়া হলো, চাইলে পূর্ব স্বামীর সংসারে থাকতে কিংবা চাইলে তার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
(৩) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদিন ‘আয়েশার গৃহে প্রবেশ করলেন। যে সময় চুলার উপর (গোশতের) ডেগচি ফুটছিল। তিনি সকালের খাবার আনতে বললে: তার কাছে রুটি ও ঘরের কিছু তরকারী পেশ করা হলো। তিনি বললেনঃ আমি কি গোশত দেখছি না? তারা বললেনঃ হ্যাঁ (গোশত রয়েছে) ইয়া রাসুলাল্লাহ! কিন্তু তা ঐ গোশত যা বারীরাকে সাদাকা করা হয়েছিল। এরপর সে তা আমাদের হাদিয়া দিয়েছে। তিনি বললেনঃ এটা তার জন্য সাদাকা, কিন্তু আমাদের জন্য হাদিয়া।
(৩) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদিন ‘আয়েশার গৃহে প্রবেশ করলেন। যে সময় চুলার উপর (গোশতের) ডেগচি ফুটছিল। তিনি সকালের খাবার আনতে বললে: তার কাছে রুটি ও ঘরের কিছু তরকারী পেশ করা হলো। তিনি বললেনঃ আমি কি গোশত দেখছি না? তারা বললেনঃ হ্যাঁ (গোশত রয়েছে) ইয়া রাসুলাল্লাহ! কিন্তু তা ঐ গোশত যা বারীরাকে সাদাকা করা হয়েছিল। এরপর সে তা আমাদের হাদিয়া দিয়েছে। তিনি বললেনঃ এটা তার জন্য সাদাকা, কিন্তু আমাদের জন্য হাদিয়া।
باب الأُدْمِ
5430 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ رَبِيعَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ القَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ، يَقُولُ: كَانَ فِي بَرِيرَةَ ثَلاَثُ سُنَنٍ: أَرَادَتْ عَائِشَةُ، أَنْ تَشْتَرِيَهَا فَتُعْتِقَهَا، فَقَالَ أَهْلُهَا: وَلَنَا الوَلاَءُ، فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «لَوْ شِئْتِ شَرَطْتِيهِ لَهُمْ، فَإِنَّمَا الوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» قَالَ: وَأُعْتِقَتْ فَخُيِّرَتْ فِي أَنْ تَقِرَّ تَحْتَ زَوْجِهَا أَوْ تُفَارِقَهُ، وَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا بَيْتَ عَائِشَةَ وَعَلَى النَّارِ بُرْمَةٌ تَفُورُ، فَدَعَا بِالْغَدَاءِ فَأُتِيَ بِخُبْزٍ وَأُدْمٍ مِنْ أُدْمِ البَيْتِ، فَقَالَ: «أَلَمْ أَرَ لَحْمًا؟» قَالُوا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَلَكِنَّهُ لَحْمٌ تُصُدِّقَ بِهِ عَلَى بَرِيرَةَ فَأَهْدَتْهُ لَنَا، فَقَالَ: «هُوَ صَدَقَةٌ عَلَيْهَا، وَهَدِيَّةٌ لَنَا»

তাহকীক: