আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫৬- পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৫০৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪২৫
২৮৬২. ‘হায়স’ প্রসঙ্গে
৫০৩১। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু তালহাকে বললেনঃ তোমাদের লোকদের মধ্য থেকে একটি ছেলে খুজে আন, যে আমার খিদমত করবে। আবু তালহা আমাকেই তাঁর সাওয়ারীর পেছনে বসিয়ে নিয়ে আসলেন। তাই আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর খিদমত করতে থাকলাম। যখনই তিনি কোন মনযিলে অবতরণ করতেন আমি তাকে প্রায়ই বলতে শুনতাম, আয় আল্লাহ! আমি তোমার কাছে, অস্বস্তি, দুশ্চিন্তা, অক্ষমতা, অলসতা, কৃপণতা, ভীরুতা, ঋণের ভার এবং মানুষের আধিপত্য থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আর আমি সর্বদা তার খিদমতে নিয়োজিত ছিলাম। এমতাবস্থায় আমরা খায়বার থেকে প্রত্যাবর্তন করলাম। তিনি (রাসুল (ﷺ)) গনিমত হিসাবে প্রাপ্ত সফিয়্যা বিনতে হুয়ায়কে সঙ্গে নিয়ে ফিরলেন।
আমি লক্ষ্য করলাম, তিনি তার সাওয়ারীর পেছনের দিকে তার আবা বা চাদর দিয়ে ঘিরে সেখানে তার পিছনে তাকে সাওয়ার করলেন। এভাবে যখন আমরা ‘সাহবা’ নামক স্থানে উপস্থিত হই, তখন তিনি চামড়ার দস্তরখানে ‘হায়স’ তৈরী করলেন। তারপর তিনি আমাকে পাঠালেন। আমি লোকজনকে দাওয়াত করলাম। (তারা এসে) আহার করলো। এই ছিল তার সঙ্গে তার বাসর যাপন। তারপর তিনি এগিয়ে চললেন। ওহুদ পাহাড় দৃষ্টিগোচর হলে তিনি বললেনঃ এ পাহাড়টি আমাদের ভালবাসে এবং আমরাও তাকে ভালবাসি। তারপর যখন মদীনা তার দৃষ্টিগোচর হল, তখন তিনি বললেনঃ আয় আল্লাহ! আমি এর দু’পাহাড়ের মধ্যবর্তী এলাকাকে হারাম (সম্মানিত) বলে ঘোষণা করছি, যেভাবে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) মক্কাকে হারাম (সম্মানিত) বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। ইয়া আল্লাহ! এর অধিবাসীদের মুদ ও সা‘ (দু’টি মাপ যন্ত্র) এর মধ্যে তুমি বরকত দাও।
باب الْحَيْسِ
5425 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، مَوْلَى المُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْطَبٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَبِي طَلْحَةَ: «التَمِسْ غُلاَمًا مِنْ غِلْمَانِكُمْ يَخْدُمُنِي» فَخَرَجَ بِي أَبُو طَلْحَةَ يُرْدِفُنِي وَرَاءَهُ، فَكُنْتُ أَخْدُمُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلَّمَا نَزَلَ، فَكُنْتُ أَسْمَعُهُ يُكْثِرُ أَنْ يَقُولَ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الهَمِّ وَالحَزَنِ، وَالعَجْزِ وَالكَسَلِ، وَالبُخْلِ وَالجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ» فَلَمْ أَزَلْ أَخْدُمُهُ حَتَّى أَقْبَلْنَا مِنْ خَيْبَرَ، وَأَقْبَلَ بِصَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيٍّ قَدْ حَازَهَا، فَكُنْتُ أَرَاهُ يُحَوِّي لَهَا وَرَاءَهُ بِعَبَاءَةٍ أَوْ بِكِسَاءٍ، ثُمَّ يُرْدِفُهَا وَرَاءَهُ، حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالصَّهْبَاءِ صَنَعَ حَيْسًا فِي نِطَعٍ، ثُمَّ أَرْسَلَنِي فَدَعَوْتُ رِجَالًا فَأَكَلُوا، وَكَانَ ذَلِكَ بِنَاءَهُ بِهَا " ثُمَّ أَقْبَلَ حَتَّى إِذَا بَدَا لَهُ أُحُدٌ، قَالَ: «هَذَا جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ» فَلَمَّا أَشْرَفَ عَلَى المَدِينَةِ قَالَ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أُحَرِّمُ مَا بَيْنَ جَبَلَيْهَا، مِثْلَ مَا حَرَّمَ بِهِ إِبْرَاهِيمُ مَكَّةَ، اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِي مُدِّهِمْ [ص:77] وَصَاعِهِمْ»