আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫৬- পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৫০১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪০৬ - ৫৪০৭
২৮৫৩. বাহুর গোশত খাওয়া
৫০১৩। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা নবী করীম (ﷺ) এর সঙ্গে মক্কা অভিমুখে রওয়ানা হলাম।
অন্য সনদে ‘আব্দুল ‘আযীয ইবনে ‘আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি মক্কার পথে কোন এক মনযিলে নবী করীম (ﷺ) -এর কিছু সংখ্যক সাহাবীর সঙ্গে উপবিষ্ট ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের সামনেই অবস্থান করছিলেন। আমি ছাড়া দলের সকলেই ছিলেন ইহরাম অবস্থায়। আমি আমার জুতা সেলাইয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এমতাবস্থায় তারা একটি বন্য গাধা দেখতে পেল। কিন্তু আমাকে জানালো না। তবে তারা আশা করছিল, যদি আমি ওটা দেখতাম! তারপর আমি চোখ ফেরাতেই ওটা দেখে ফেললাম। এরপর আমি ঘোড়ার কাছে গিয়ে তার জ্বীন লাগিয়ে তার উপর আরোহন করলাম। কিন্তু চাবুক ও বর্শার কথা ভুলে গেলাম। কাজেই আমি তাদের বললাম, চাবুক ও বর্শাটি আমাকে তুলে দাও। তারা বললোঃ না, আল্লাহর কসম! এ ব্যাপারে তোমাকে আমরা কিছুই সাহায্য করবো না।
এতে আমি ক্রুদ্ধ হলাম এবং নিচে নেমে ওদু’টি নিয়ে পুনরায় সাওয়ার হলাম। তারপর আমি গাধাটির পেছনে দ্রুত ধাওয়া করে তাকে ঘায়েল করে ফেললাম। তখন সেটি মরে গেল এবং আমি তা নিয়ে এলাম। (পাকানোর পর) তারা সকলে এটা খাওয়া শুরু করলো। তারপর ইহরাম অবস্থায় এটা খাওয়া নিয়ে তারা সন্দেহে পড়লো। আমি সন্ধ্যার দিকে রওয়ানা দিলাম এবং এর একটি বাহু লুকিয়ে রাখলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে গেলাম এবং তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ তোমাদের কাছে এর কিছু আছে? একথা শুনে আমি বাহুটি তাঁর সামনে পেশ করলাম। তিনি মুহরিম অবস্থায় তা খেলেন, এমন কি এর হাড়ের সাথে জড়িত গোশতোও দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেলেন।
ইবনে জাফর বলেছেনঃ যায়দ ইবনে আসলাম (রাহঃ) আতা ইবনে ইয়াসার এর সূত্রে আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
অন্য সনদে ‘আব্দুল ‘আযীয ইবনে ‘আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি মক্কার পথে কোন এক মনযিলে নবী করীম (ﷺ) -এর কিছু সংখ্যক সাহাবীর সঙ্গে উপবিষ্ট ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের সামনেই অবস্থান করছিলেন। আমি ছাড়া দলের সকলেই ছিলেন ইহরাম অবস্থায়। আমি আমার জুতা সেলাইয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এমতাবস্থায় তারা একটি বন্য গাধা দেখতে পেল। কিন্তু আমাকে জানালো না। তবে তারা আশা করছিল, যদি আমি ওটা দেখতাম! তারপর আমি চোখ ফেরাতেই ওটা দেখে ফেললাম। এরপর আমি ঘোড়ার কাছে গিয়ে তার জ্বীন লাগিয়ে তার উপর আরোহন করলাম। কিন্তু চাবুক ও বর্শার কথা ভুলে গেলাম। কাজেই আমি তাদের বললাম, চাবুক ও বর্শাটি আমাকে তুলে দাও। তারা বললোঃ না, আল্লাহর কসম! এ ব্যাপারে তোমাকে আমরা কিছুই সাহায্য করবো না।
এতে আমি ক্রুদ্ধ হলাম এবং নিচে নেমে ওদু’টি নিয়ে পুনরায় সাওয়ার হলাম। তারপর আমি গাধাটির পেছনে দ্রুত ধাওয়া করে তাকে ঘায়েল করে ফেললাম। তখন সেটি মরে গেল এবং আমি তা নিয়ে এলাম। (পাকানোর পর) তারা সকলে এটা খাওয়া শুরু করলো। তারপর ইহরাম অবস্থায় এটা খাওয়া নিয়ে তারা সন্দেহে পড়লো। আমি সন্ধ্যার দিকে রওয়ানা দিলাম এবং এর একটি বাহু লুকিয়ে রাখলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে গেলাম এবং তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ তোমাদের কাছে এর কিছু আছে? একথা শুনে আমি বাহুটি তাঁর সামনে পেশ করলাম। তিনি মুহরিম অবস্থায় তা খেলেন, এমন কি এর হাড়ের সাথে জড়িত গোশতোও দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেলেন।
ইবনে জাফর বলেছেনঃ যায়দ ইবনে আসলাম (রাহঃ) আতা ইবনে ইয়াসার এর সূত্রে আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب تَعَرُّقِ الْعَضُدِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ مَكَّةَ.
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ السَّلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ يَوْمًا جَالِسًا مَعَ رِجَالٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي مَنْزِلٍ فِي طَرِيقِ مَكَّةَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَازِلٌ أَمَامَنَا، وَالْقَوْمُ مُحْرِمُونَ وَأَنَا غَيْرُ مُحْرِمٍ، فَأَبْصَرُوا حِمَارًا وَحْشِيًّا وَأَنَا مَشْغُولٌ أَخْصِفُ نَعْلِي، فَلَمْ يُؤْذِنُونِي لَهُ، وَأَحَبُّوا لَوْ أَنِّي أَبْصَرْتُهُ، فَالْتَفَتُّ فَأَبْصَرْتُهُ فَقُمْتُ إِلَى الْفَرَسِ فَأَسْرَجْتُهُ. ثُمَّ رَكِبْتُ وَنَسِيتُ السَّوْطَ وَالرُّمْحَ فَقُلْتُ لَهُمْ نَاوِلُونِي السَّوْطَ وَالرُّمْحَ. فَقَالُوا لاَ وَاللَّهِ لاَ نُعِينُكَ عَلَيْهِ بِشَىْءٍ. فَغَضِبْتُ فَنَزَلْتُ فَأَخَذْتُهُمَا، ثُمَّ رَكِبْتُ فَشَدَدْتُ عَلَى الْحِمَارِ فَعَقَرْتُهُ، ثُمَّ جِئْتُ بِهِ وَقَدْ مَاتَ فَوَقَعُوا فِيهِ يَأْكُلُونَهُ، ثُمَّ إِنَّهُمْ شَكُّوا فِي أَكْلِهِمْ إِيَّاهُ وَهُمْ حُرُمٌ، فَرُحْنَا وَخَبَأْتُ الْعَضُدَ مَعِي، فَأَدْرَكْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْنَاهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ " مَعَكُمْ مِنْهُ شَىْءٌ ". فَنَاوَلْتُهُ الْعَضُدَ فَأَكَلَهَا حَتَّى تَعَرَّقَهَا، وَهْوَ مُحْرِمٌ. قَالَ ابْنُ جَعْفَرٍ وَحَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ مِثْلَهُ.
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ السَّلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ يَوْمًا جَالِسًا مَعَ رِجَالٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي مَنْزِلٍ فِي طَرِيقِ مَكَّةَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَازِلٌ أَمَامَنَا، وَالْقَوْمُ مُحْرِمُونَ وَأَنَا غَيْرُ مُحْرِمٍ، فَأَبْصَرُوا حِمَارًا وَحْشِيًّا وَأَنَا مَشْغُولٌ أَخْصِفُ نَعْلِي، فَلَمْ يُؤْذِنُونِي لَهُ، وَأَحَبُّوا لَوْ أَنِّي أَبْصَرْتُهُ، فَالْتَفَتُّ فَأَبْصَرْتُهُ فَقُمْتُ إِلَى الْفَرَسِ فَأَسْرَجْتُهُ. ثُمَّ رَكِبْتُ وَنَسِيتُ السَّوْطَ وَالرُّمْحَ فَقُلْتُ لَهُمْ نَاوِلُونِي السَّوْطَ وَالرُّمْحَ. فَقَالُوا لاَ وَاللَّهِ لاَ نُعِينُكَ عَلَيْهِ بِشَىْءٍ. فَغَضِبْتُ فَنَزَلْتُ فَأَخَذْتُهُمَا، ثُمَّ رَكِبْتُ فَشَدَدْتُ عَلَى الْحِمَارِ فَعَقَرْتُهُ، ثُمَّ جِئْتُ بِهِ وَقَدْ مَاتَ فَوَقَعُوا فِيهِ يَأْكُلُونَهُ، ثُمَّ إِنَّهُمْ شَكُّوا فِي أَكْلِهِمْ إِيَّاهُ وَهُمْ حُرُمٌ، فَرُحْنَا وَخَبَأْتُ الْعَضُدَ مَعِي، فَأَدْرَكْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْنَاهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ " مَعَكُمْ مِنْهُ شَىْءٌ ". فَنَاوَلْتُهُ الْعَضُدَ فَأَكَلَهَا حَتَّى تَعَرَّقَهَا، وَهْوَ مُحْرِمٌ. قَالَ ابْنُ جَعْفَرٍ وَحَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ مِثْلَهُ.

তাহকীক: