আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫৬- পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৪৯৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৯১
২৮৪৪. যতক্ষণ পর্যন্ত কোন খাবারের নাম বলা না হতো এবং সে খাদ্য কি তা জানতে না পারতেন, ততক্ষণ পর্যন্ত নবী করীম (ﷺ) আহার করতেন না।
৪৯৯৯। মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল আবুল হাসান (রাহঃ) ......... ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ) যাকে ‘সায়ফুল্লাহ’ (আল্লাহর তরবারী) বলা হতো তার কাছে বর্ণনা করেছেন, যে তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সঙ্গে মায়মুনা (রাযিঃ) -এর গৃহে প্রবেশ করলেন। মায়মুনা (রাযিঃ) তাঁর ও ইবনে ‘আব্বাসের খালা ছিলেন। তিনি তার কাছে একটি ভুনা গুঁইসাপ দেখতে পেলেন, যা নজ্দ থেকে তাঁর (মায়মুনার) বোন হুফায়দা বিনতে হারিস নিয়ে এসেছিলেন। মায়মুনা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সামনে উপস্থিত করলেন। তাঁর অভ্যাস ছিল কোন খাদ্যের নাম ও তার বিবরন বলে না দেয়া পর্যন্ত তিনি খুব কমই তার প্রতি হাত বাড়াতেন।
তিনি গুঁই-এর দিকে হাত বাড়ালে উপস্থিত মহিলাদের মধ্য থেকে একজন বললোঃ তোমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামনে যা পেশ করছো সে সম্বন্ধে তাকে অবহিত করো। তারপর সে মহিলাই বললঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! ওটা গুঁই। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার হাত তুলে ফেললেন। খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! গুঁই খাওয়া কি হারাম? তিনি বললেনঃ না। কিন্তু যেহেতু এটি আমাদের এলাকায় নেই। তাই এটি খাওয়া আমি পছন্দ করি না। খালিদ (রাযিঃ) বলেনঃ আমি সেটি টেনে নিয়ে খেতে থাকলাম। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন।
তিনি গুঁই-এর দিকে হাত বাড়ালে উপস্থিত মহিলাদের মধ্য থেকে একজন বললোঃ তোমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামনে যা পেশ করছো সে সম্বন্ধে তাকে অবহিত করো। তারপর সে মহিলাই বললঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! ওটা গুঁই। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার হাত তুলে ফেললেন। খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! গুঁই খাওয়া কি হারাম? তিনি বললেনঃ না। কিন্তু যেহেতু এটি আমাদের এলাকায় নেই। তাই এটি খাওয়া আমি পছন্দ করি না। খালিদ (রাযিঃ) বলেনঃ আমি সেটি টেনে নিয়ে খেতে থাকলাম। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন।
باب مَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَأْكُلُ حَتَّى يُسَمَّى لَهُ فَيَعْلَمُ مَا هُوَ
5391 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَبُو الحَسَنِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو أُمَامَةَ بْنُ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ الأَنْصَارِيُّ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ خَالِدَ بْنَ الوَلِيدِ، الَّذِي يُقَالُ لَهُ سَيْفُ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ دَخَلَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مَيْمُونَةَ، وَهِيَ خَالَتُهُ وَخَالَةُ ابْنِ عَبَّاسٍ، فَوَجَدَ عِنْدَهَا ضَبًّا مَحْنُوذًا، قَدْ قَدِمَتْ بِهِ أُخْتُهَا حُفَيْدَةُ بِنْتُ الحَارِثِ مِنْ نَجْدٍ، فَقَدَّمَتِ الضَّبَّ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ قَلَّمَا يُقَدِّمُ يَدَهُ لِطَعَامٍ حَتَّى يُحَدَّثَ بِهِ وَيُسَمَّى لَهُ، فَأَهْوَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ إِلَى الضَّبِّ، فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ النِّسْوَةِ الحُضُورِ: أَخْبِرْنَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَدَّمْتُنَّ لَهُ، هُوَ الضَّبُّ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ عَنِ الضَّبِّ، فَقَالَ خَالِدُ بْنُ الوَلِيدِ: أَحَرَامٌ الضَّبُّ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «لاَ، وَلَكِنْ لَمْ يَكُنْ بِأَرْضِ قَوْمِي، فَأَجِدُنِي أَعَافُهُ» قَالَ خَالِدٌ: فَاجْتَرَرْتُهُ فَأَكَلْتُهُ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْظُرُ إِلَيَّ

তাহকীক: