আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫৬- পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৪৯৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৭৩
আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ “আমি যে রিযিক তোমাদের দিয়েছি তা থেকে পবিত্রগুলো আহার কর।”
তিনি আরও বলেনঃ “তোমাদের উপার্জিত পবিত্র বস্তু থেকে আহার কর।”
তিনি আরও বলেনঃ “পবিত্র বস্তু থেকে আহার কর এবং সৎকর্মশীল হও। তোমরা যা করছ আমি তা জানি।”
তিনি আরও বলেনঃ “তোমাদের উপার্জিত পবিত্র বস্তু থেকে আহার কর।”
তিনি আরও বলেনঃ “পবিত্র বস্তু থেকে আহার কর এবং সৎকর্মশীল হও। তোমরা যা করছ আমি তা জানি।”
৪৯৮২। মুহাম্মাদ ইবনে কাসীর (রাহঃ) ......... আবু মুসা আশ‘আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা ক্ষুধার্থকে আহার করাও, রোগীর পরিচর্যা করো এবং বন্দীকে মুক্ত করো।
সুফিয়ান বলেছেনঃ الْعَانِي অর্থঃ বন্দী।
সুফিয়ান বলেছেনঃ الْعَانِي অর্থঃ বন্দী।
بَابُ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} وَقَوْلِهِ: {أَنْفِقُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا كَسَبْتُمْ} وَقَوْلِهِ: {كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ}
5373 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَطْعِمُوا الجَائِعَ، وَعُودُوا المَرِيضَ، وَفُكُّوا العَانِيَ» قَالَ سُفْيَانُ: " وَالعَانِي: الأَسِيرُ "
হাদীস নং: ৪৯৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৭৪ - ৫৩৭৫
আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ “আমি যে রিযিক তোমাদের দিয়েছি তা থেকে পবিত্রগুলো আহার কর।”
তিনি আরও বলেনঃ “তোমাদের উপার্জিত পবিত্র বস্তু থেকে আহার কর।”
তিনি আরও বলেনঃ “পবিত্র বস্তু থেকে আহার কর এবং সৎকর্মশীল হও। তোমরা যা করছ আমি তা জানি।”
তিনি আরও বলেনঃ “তোমাদের উপার্জিত পবিত্র বস্তু থেকে আহার কর।”
তিনি আরও বলেনঃ “পবিত্র বস্তু থেকে আহার কর এবং সৎকর্মশীল হও। তোমরা যা করছ আমি তা জানি।”
৪৯৮৩। ইউসুফ ইবনে ‘ঈসা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মুহাম্মাদ (ﷺ) -এর পরিবার তার ইন্তিকাল অবধি একাধারে তিন দিন আহার করে পরিতৃপ্ত হন নি।
আরেকটি বর্ণনায় আবু হাযিম আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একদা আমি প্রচণ্ড ক্ষুধার যন্ত্রণায় আক্রান্ত হই। তখন ‘উমর ইবনে খাত্তারের সাথে সাক্ষাত করলাম এবং মহান আল্লাহর (কুরআনের) একটি আয়াতের পাঠ তার থেকে শুনতে চাইলাম। তিনি আয়াতটি পাঠ করে নিজ গৃহে প্রবেশ করলেন। এদিকে আমি কিছু দূর চলার পর ক্ষুধার যন্ত্রণায় উপুড় হয়ে পড়ে গেলাম। একটু পরে দেখি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার মাথার কাছে দাঁড়ানো। তিনি বললেনঃ হে আবু হুরায়রা। আমি লাব্বাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ ওয়া সা‘দায়কা (আমি হাজির! ইয়া রাসুলাল্লাহ, আপনার সমীপে) বলে সাড়া দিলাম। তিনি আমার হাত ধরে তুললেন এবং আমার অবস্থা বুঝতে পারলেন।
তিনি আমাকে খেতে নিয়ে গেলেন এবং আমাকে এক পেয়ালা দুধ দেওয়ার জন্য আদেশ করলেন। আমি কিছু পান করলাম। তিনি বললেনঃ আবু হুরায়রা! আরো পান কর। আবার পান করলাম। তিনি পুনবায় বললেনঃ আরো। আমি পূনর্বার পান করলাম। এমনি কি আমার পেট তীরের মত সমান হয়ে গেল। এরপর আমি ‘উমরের সাথে সাক্ষাত করে আমার অবস্থার কথা তাকে জানালাম এবং বললামঃ হে ‘উমর! আল্লাহ তা‘আলা এমন একজন লোকের মাধ্যমে এর বন্দোবস্ত করেছেন যিনি এ ব্যাপারে তোমার চেয়ে বেশী উপযুক্ত। আল্লাহর কসম! আমি তোমার কাছে আয়াতটির,পাঠ শুনতে চেয়েছি অথচ আমি তোমার চেয়ে তা ভাল পাঠ করতে পারি। ‘উমর (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! তোমাকে আপ্যায়ন করা আমার নিকট লাল বর্ণের উটের চেয়েও অধিক প্রিয়।
আরেকটি বর্ণনায় আবু হাযিম আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একদা আমি প্রচণ্ড ক্ষুধার যন্ত্রণায় আক্রান্ত হই। তখন ‘উমর ইবনে খাত্তারের সাথে সাক্ষাত করলাম এবং মহান আল্লাহর (কুরআনের) একটি আয়াতের পাঠ তার থেকে শুনতে চাইলাম। তিনি আয়াতটি পাঠ করে নিজ গৃহে প্রবেশ করলেন। এদিকে আমি কিছু দূর চলার পর ক্ষুধার যন্ত্রণায় উপুড় হয়ে পড়ে গেলাম। একটু পরে দেখি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার মাথার কাছে দাঁড়ানো। তিনি বললেনঃ হে আবু হুরায়রা। আমি লাব্বাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ ওয়া সা‘দায়কা (আমি হাজির! ইয়া রাসুলাল্লাহ, আপনার সমীপে) বলে সাড়া দিলাম। তিনি আমার হাত ধরে তুললেন এবং আমার অবস্থা বুঝতে পারলেন।
তিনি আমাকে খেতে নিয়ে গেলেন এবং আমাকে এক পেয়ালা দুধ দেওয়ার জন্য আদেশ করলেন। আমি কিছু পান করলাম। তিনি বললেনঃ আবু হুরায়রা! আরো পান কর। আবার পান করলাম। তিনি পুনবায় বললেনঃ আরো। আমি পূনর্বার পান করলাম। এমনি কি আমার পেট তীরের মত সমান হয়ে গেল। এরপর আমি ‘উমরের সাথে সাক্ষাত করে আমার অবস্থার কথা তাকে জানালাম এবং বললামঃ হে ‘উমর! আল্লাহ তা‘আলা এমন একজন লোকের মাধ্যমে এর বন্দোবস্ত করেছেন যিনি এ ব্যাপারে তোমার চেয়ে বেশী উপযুক্ত। আল্লাহর কসম! আমি তোমার কাছে আয়াতটির,পাঠ শুনতে চেয়েছি অথচ আমি তোমার চেয়ে তা ভাল পাঠ করতে পারি। ‘উমর (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! তোমাকে আপ্যায়ন করা আমার নিকট লাল বর্ণের উটের চেয়েও অধিক প্রিয়।
بَابُ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} وَقَوْلِهِ: {أَنْفِقُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا كَسَبْتُمْ} وَقَوْلِهِ: {كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ}
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ مَا شَبِعَ آلُ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم مِنْ طَعَامٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ حَتَّى قُبِضَ.
وَعَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَصَابَنِي جَهْدٌ شَدِيدٌ فَلَقِيتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَاسْتَقْرَأْتُهُ آيَةً مِنْ كِتَابِ اللَّهِ، فَدَخَلَ دَارَهُ وَفَتَحَهَا عَلَىَّ، فَمَشَيْتُ غَيْرَ بَعِيدٍ، فَخَرَرْتُ لِوَجْهِي مِنَ الْجَهْدِ وَالْجُوعِ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ عَلَى رَأْسِي فَقَالَ " يَا أَبَا هُرَيْرَةَ ". فَقُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ. فَأَخَذَ بِيَدِي فَأَقَامَنِي، وَعَرَفَ الَّذِي بِي، فَانْطَلَقَ بِي إِلَى رَحْلِهِ، فَأَمَرَ لِي بِعُسٍّ مِنْ لَبَنٍ فَشَرِبْتُ مِنْهُ، ثُمَّ قَالَ " عُدْ يَا أَبَا هِرٍّ ". فَعُدْتُ فَشَرِبْتُ، ثُمَّ قَالَ " عُدْ ". فَعُدْتُ فَشَرِبْتُ حَتَّى اسْتَوَى بَطْنِي فَصَارَ كَالْقِدْحِ ـ قَالَ ـ فَلَقِيتُ عُمَرَ وَذَكَرْتُ لَهُ الَّذِي كَانَ مِنْ أَمْرِي وَقُلْتُ لَهُ تَوَلَّى اللَّهُ ذَلِكَ مَنْ كَانَ أَحَقَّ بِهِ مِنْكَ يَا عُمَرُ، وَاللَّهِ لَقَدِ اسْتَقْرَأْتُكَ الآيَةَ وَلأَنَا أَقْرَأُ لَهَا مِنْكَ. قَالَ عُمَرُ وَاللَّهِ لأَنْ أَكُونَ أَدْخَلْتُكَ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ يَكُونَ لِي مِثْلُ حُمْرِ النَّعَمِ.
وَعَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَصَابَنِي جَهْدٌ شَدِيدٌ فَلَقِيتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَاسْتَقْرَأْتُهُ آيَةً مِنْ كِتَابِ اللَّهِ، فَدَخَلَ دَارَهُ وَفَتَحَهَا عَلَىَّ، فَمَشَيْتُ غَيْرَ بَعِيدٍ، فَخَرَرْتُ لِوَجْهِي مِنَ الْجَهْدِ وَالْجُوعِ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ عَلَى رَأْسِي فَقَالَ " يَا أَبَا هُرَيْرَةَ ". فَقُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ. فَأَخَذَ بِيَدِي فَأَقَامَنِي، وَعَرَفَ الَّذِي بِي، فَانْطَلَقَ بِي إِلَى رَحْلِهِ، فَأَمَرَ لِي بِعُسٍّ مِنْ لَبَنٍ فَشَرِبْتُ مِنْهُ، ثُمَّ قَالَ " عُدْ يَا أَبَا هِرٍّ ". فَعُدْتُ فَشَرِبْتُ، ثُمَّ قَالَ " عُدْ ". فَعُدْتُ فَشَرِبْتُ حَتَّى اسْتَوَى بَطْنِي فَصَارَ كَالْقِدْحِ ـ قَالَ ـ فَلَقِيتُ عُمَرَ وَذَكَرْتُ لَهُ الَّذِي كَانَ مِنْ أَمْرِي وَقُلْتُ لَهُ تَوَلَّى اللَّهُ ذَلِكَ مَنْ كَانَ أَحَقَّ بِهِ مِنْكَ يَا عُمَرُ، وَاللَّهِ لَقَدِ اسْتَقْرَأْتُكَ الآيَةَ وَلأَنَا أَقْرَأُ لَهَا مِنْكَ. قَالَ عُمَرُ وَاللَّهِ لأَنْ أَكُونَ أَدْخَلْتُكَ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ يَكُونَ لِي مِثْلُ حُمْرِ النَّعَمِ.