আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫৪- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৪৯৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৪৪
২৮১৮. (মহান আল্লাহর বাণীঃ) “তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাদের স্ত্রীরা চার মাস দশ দিন প্রতীক্ষায় থাকবে। যখন তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে, তখন যথাবিধি নিজেদের জন্য যা করবে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নাই। তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ্ সবিশেষ অবহিত।”
৪৯৫৩। ইসহাক ইবনে মানসুর (রাহঃ) ......... মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। মহান আল্লাহর বাণীঃ “তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মারা যায়”- তিনি এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করে এ ‘ইদ্দত পালন করা মহিলার জন্য ওয়াজিব ছিল। পরে মহান আল্লাহ নাযিল করেনঃ তোমাদের মধ্য স্বপত্নীক অবস্থায় যাদের মূত্যু আসন্ন তারা যেন তাদের স্ত্রীদেরকে গৃহ থেকে বহিষ্কার না করে তাদের এক বছরের ভরন-পোষণের ওসীয়্যত করে। কিন্তু যদি তারা বের হয়ে যায় তবে বিধিমত নিজেদের জন্য তারা যা করবে তাতে তোমাদের কোন পাপ নেই। (আল্লাহ পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়)।
মুজাহিদ বলেনঃ আল্লাহ তাআলা সাত মাস বিশ দিনকে তার জন্য পূর্ণ বছর সাব্যস্ত করেছেন। মহিলা ইচ্ছা করলে ওসীয়্যত অনুসারে থাকতে পারে, আবার চাইলে চলেও যেতে পারে। একথাই আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ “বহিষ্কার না করে, তবে যদি সেচ্ছায় বের হয়ে যায় তবে তাতে তোমাদের কোন পাপ নেই” তাই মহিলার উপর ‘ইদ্দত পালন করা যথারীতি ওয়াজিবই আছে। আবু নাজীহ এ কথাগুলো মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেছেন। ‘আতা বলেন, ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেনঃ আর আয়াতটি স্বামীর বাড়ীতে ‘ইদ্দত পালন করার হুকুমকে রহিত করে দিয়েছে। অতএব সে যেখানে ইচ্ছা ‘ইদ্দত পালন করতে পারে। আল্লাহ তা‘আলার বানী: তাদের স্ত্রীদেরকে গৃহ থেকে বহিষ্কার না।
আতা বলেনঃ ইচ্ছা হলে ওসীয়্যত অনুযায়ী সে স্বামীর পরিবারে অবস্থান করতে পারে। আবার ইচ্ছা হলে অন্যত্রও ‘ইদ্দত পালন করতে পাবে। কেননা, মহান আল্লাহ বলেছেনঃ তারা নিজেদের জন্য বিধিমত যা করবে, তাতে তোমাদের কোন পাপ নেই।
আতা বলেন- এরপর মিরাসের আয়াত নাযিল হলে ‘বাসস্থান দেওয়ার’ হুকুমও রহিত হয়ে যায়। এখন সে যেখানে মনে চায় ‘ইদ্দত পালন করতে পারে, তাকে বাসস্থান দেওয়া জরুরী নয়।
মুজাহিদ বলেনঃ আল্লাহ তাআলা সাত মাস বিশ দিনকে তার জন্য পূর্ণ বছর সাব্যস্ত করেছেন। মহিলা ইচ্ছা করলে ওসীয়্যত অনুসারে থাকতে পারে, আবার চাইলে চলেও যেতে পারে। একথাই আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ “বহিষ্কার না করে, তবে যদি সেচ্ছায় বের হয়ে যায় তবে তাতে তোমাদের কোন পাপ নেই” তাই মহিলার উপর ‘ইদ্দত পালন করা যথারীতি ওয়াজিবই আছে। আবু নাজীহ এ কথাগুলো মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেছেন। ‘আতা বলেন, ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেনঃ আর আয়াতটি স্বামীর বাড়ীতে ‘ইদ্দত পালন করার হুকুমকে রহিত করে দিয়েছে। অতএব সে যেখানে ইচ্ছা ‘ইদ্দত পালন করতে পারে। আল্লাহ তা‘আলার বানী: তাদের স্ত্রীদেরকে গৃহ থেকে বহিষ্কার না।
আতা বলেনঃ ইচ্ছা হলে ওসীয়্যত অনুযায়ী সে স্বামীর পরিবারে অবস্থান করতে পারে। আবার ইচ্ছা হলে অন্যত্রও ‘ইদ্দত পালন করতে পাবে। কেননা, মহান আল্লাহ বলেছেনঃ তারা নিজেদের জন্য বিধিমত যা করবে, তাতে তোমাদের কোন পাপ নেই।
আতা বলেন- এরপর মিরাসের আয়াত নাযিল হলে ‘বাসস্থান দেওয়ার’ হুকুমও রহিত হয়ে যায়। এখন সে যেখানে মনে চায় ‘ইদ্দত পালন করতে পারে, তাকে বাসস্থান দেওয়া জরুরী নয়।
بَابُ: {وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا} إِلَى قَوْلِهِ: {بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ}
5344 - حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا شِبْلٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، {وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا} [البقرة: 234] قَالَ: " كَانَتْ هَذِهِ العِدَّةُ تَعْتَدُّ عِنْدَ أَهْلِ زَوْجِهَا وَاجِبًا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا وَصِيَّةً لِأَزْوَاجِهِمْ مَتَاعًا إِلَى الحَوْلِ غَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِي أَنْفُسِهِنَّ مِنْ مَعْرُوفٍ} قَالَ: " جَعَلَ اللَّهُ لَهَا تَمَامَ السَّنَةِ سَبْعَةَ أَشْهُرٍ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً وَصِيَّةً، إِنْ شَاءَتْ [ص:61] سَكَنَتْ فِي وَصِيَّتِهَا، وَإِنْ شَاءَتْ خَرَجَتْ، وَهُوَ قَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى: {غَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ} [البقرة: 240] فَالعِدَّةُ كَمَا هِيَ وَاجِبٌ عَلَيْهَا " زَعَمَ ذَلِكَ عَنْ مُجَاهِدٍ وَقَالَ عَطَاءٌ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: " نَسَخَتْ هَذِهِ الآيَةُ عِدَّتَهَا عِنْدَ أَهْلِهَا، فَتَعْتَدُّ حَيْثُ شَاءَتْ، وَقَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى: {غَيْرَ إِخْرَاجٍ} [البقرة: 240] وَقَالَ عَطَاءٌ: " إِنْ شَاءَتْ اعْتَدَّتْ عِنْدَ أَهْلِهَا، وَسَكَنَتْ فِي وَصِيَّتِهَا، وَإِنْ شَاءَتْ خَرَجَتْ لِقَوْلِ اللَّهِ: {فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِي أَنْفُسِهِنَّ} [البقرة: 234] قَالَ عَطَاءٌ: «ثُمَّ جَاءَ المِيرَاثُ فَنَسَخَ السُّكْنَى، فَتَعْتَدُّ حَيْثُ شَاءَتْ، وَلاَ سُكْنَى لَهَا»
হাদীস নং: ৪৯৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৪৫
২৮১৮. (মহান আল্লাহর বাণীঃ) “তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাদের স্ত্রীরা চার মাস দশ দিন প্রতীক্ষায় থাকবে। যখন তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে, তখন যথাবিধি নিজেদের জন্য যা করবে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নাই। তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ্ সবিশেষ অবহিত।”
৪৯৫৪। মুহাম্মাদ ইবনে কাসীর (রাহঃ) ......... উম্মে হাবীবা বিনতে আবু সুফিয়ান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। যখন তার কাছে পিতার মৃত্যু সংবাদ পৌছালো, তখন তিনি সুগন্ধি আনিয়ে তার উভয় হাতে লাগালেন এবং বললেনঃ সুগন্ধি লাগানোর কোন প্রয়োজন আমার নেই। কিন্তু যেহেতু আমি নবী (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোন মহিলার জন্য কারো মৃত্যুতে তিন দিনের অধিক শোক পালন করা বৈধ হবে না। তবে স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন শোক পালন করতে হবে।
بَابُ: {وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا} إِلَى قَوْلِهِ: {بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ}
5345 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، حَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ، لَمَّا جَاءَهَا نَعِيُّ أَبِيهَا، دَعَتْ بِطِيبٍ فَمَسَحَتْ ذِرَاعَيْهَا، وَقَالَتْ: مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ، لَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لاَ يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ تُحِدُّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثٍ، إِلَّا عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: