আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫৪- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৪৯২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩০৯
২৭৯৮. মসজিদে লি‘আন করা
৪৯২৬। ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... ইবনে জুরাইজ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে ইবনে শিহাব (রাহঃ) লি‘আন ও তার হুকুম সম্বন্ধে সা’দ গোত্রের সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেন যে, আনসারদের জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে এসে বলল ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কি বলেন, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে অপর ব্যক্তিকে দেখতে পায়, তবে কি সে তাকে হত্যা করবে? অথবা কি করবে? এরপর আল্লাহ তা‘আলা তার ব্যাপারে কুরআনে উল্লেখিত লি‘আনের বিধান অবতীর্ণ করেন। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ তোমার ও তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে ফয়সালা দিয়েছেন।
রাবী বলেনঃ আমি উপস্থিত থাকতেই তারা উভয়ে মসজিদে লি‘আন করল। উভয়ের লি‘আন কাজ সমাধা হলে সে ব্যক্তি বললঃ ইয়া রাসুলাল্লা! যদি আমি তাকে স্ত্রী হিসাবে রেখে দেই; তবে তার উপর মিথ্যারোপ করেছি বলে সাব্যস্ত হবে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে আদেশ দেয়ার পূর্বেই সে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সামনেই তারা পৃথক হয়ে গেল। তিনি বললেনঃ এই সম্পর্কোচ্ছেদই লি‘আনকারীদ্বয়ের জন্য বিধান।
ইবনে জুরাইজ বলেনঃ ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেছেনঃ তাদের পর লি‘আনকারীদ্বয়ের মধো পৃথক করার হুকুম প্রবর্তিত হয়। উপরোক্ত মহিলা ছিল সন্তান সম্ভবা। তার বাচ্চাকে মায়ের পরিচয়ে ডাকা হত। বর্ণনাকারী বলেনঃ এরপর উত্তরাধিকারের ব্যাপারেও হুকুম প্রবর্তিত হল যে, মহিলা সন্তানের উত্তরাধিকারী হবে এবং সন্তানও তার উত্তরাধিকারী হবে, যতটুকু আল্লাহ তা‘আলা নির্ধারণ করেছেন।
হাদীসে ইবনে জুরাইজ, ইবনে শিহাবের সূত্রে সাহল ইবনে সা’দ সা‘ঈদী থেকে বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যদি ঐ মহিলা ওহরার (এক প্রকার ছোট প্রাণী) এর মতো লাল ও বেটে সন্তান প্রসব করে, তবে বুঝবো মহিলাই সত্য বলেছে, আর সেই তার উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। আর যদি সে কালো চক্ষু বিশিষ্ট বড় নিতম্বযুক্ত সন্তান প্রসব করে, তবে বুঝবো, সে ব্যক্তি সত্যই বলেছে। পরে মহিলাটি কালো সন্তানই প্রসব করেছিল।
রাবী বলেনঃ আমি উপস্থিত থাকতেই তারা উভয়ে মসজিদে লি‘আন করল। উভয়ের লি‘আন কাজ সমাধা হলে সে ব্যক্তি বললঃ ইয়া রাসুলাল্লা! যদি আমি তাকে স্ত্রী হিসাবে রেখে দেই; তবে তার উপর মিথ্যারোপ করেছি বলে সাব্যস্ত হবে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে আদেশ দেয়ার পূর্বেই সে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সামনেই তারা পৃথক হয়ে গেল। তিনি বললেনঃ এই সম্পর্কোচ্ছেদই লি‘আনকারীদ্বয়ের জন্য বিধান।
ইবনে জুরাইজ বলেনঃ ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেছেনঃ তাদের পর লি‘আনকারীদ্বয়ের মধো পৃথক করার হুকুম প্রবর্তিত হয়। উপরোক্ত মহিলা ছিল সন্তান সম্ভবা। তার বাচ্চাকে মায়ের পরিচয়ে ডাকা হত। বর্ণনাকারী বলেনঃ এরপর উত্তরাধিকারের ব্যাপারেও হুকুম প্রবর্তিত হল যে, মহিলা সন্তানের উত্তরাধিকারী হবে এবং সন্তানও তার উত্তরাধিকারী হবে, যতটুকু আল্লাহ তা‘আলা নির্ধারণ করেছেন।
হাদীসে ইবনে জুরাইজ, ইবনে শিহাবের সূত্রে সাহল ইবনে সা’দ সা‘ঈদী থেকে বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যদি ঐ মহিলা ওহরার (এক প্রকার ছোট প্রাণী) এর মতো লাল ও বেটে সন্তান প্রসব করে, তবে বুঝবো মহিলাই সত্য বলেছে, আর সেই তার উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। আর যদি সে কালো চক্ষু বিশিষ্ট বড় নিতম্বযুক্ত সন্তান প্রসব করে, তবে বুঝবো, সে ব্যক্তি সত্যই বলেছে। পরে মহিলাটি কালো সন্তানই প্রসব করেছিল।
باب التَّلاَعُنِ فِي الْمَسْجِدِ
5309 - حَدَّثَنَا يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنِ المُلاَعَنَةِ، وَعَنِ السُّنَّةِ فِيهَا، عَنْ حَدِيثِ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، أَخِي بَنِي سَاعِدَةَ: أَنَّ رَجُلًا مِنَ الأَنْصَارِ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرَأَيْتَ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا، أَيَقْتُلُهُ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ؟ فَأَنْزَلَ اللَّهُ فِي شَأْنِهِ مَا ذَكَرَ فِي القُرْآنِ مِنْ أَمْرِ المُتَلاَعِنَيْنِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَدْ قَضَى اللَّهُ فِيكَ وَفِي امْرَأَتِكَ» قَالَ: فَتَلاَعَنَا فِي المَسْجِدِ وَأَنَا شَاهِدٌ، فَلَمَّا فَرَغَا قَالَ: كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ أَمْسَكْتُهَا، فَطَلَّقَهَا ثَلاَثًا، قَبْلَ أَنْ يَأْمُرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ فَرَغَا مِنَ التَّلاَعُنِ، فَفَارَقَهَا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: ذَاكَ تَفْرِيقٌ بَيْنَ كُلِّ مُتَلاَعِنَيْنِ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ: قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: فَكَانَتِ السُّنَّةُ بَعْدَهُمَا أَنْ يُفَرَّقَ بَيْنَ المُتَلاَعِنَيْنِ. وَكَانَتْ حَامِلًا، وَكَانَ ابْنُهَا يُدْعَى لِأُمِّهِ، قَالَ: ثُمَّ جَرَتِ السُّنَّةُ فِي مِيرَاثِهَا أَنَّهَا تَرِثُهُ وَيَرِثُ مِنْهَا مَا فَرَضَ اللَّهُ لَهُ، قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ: عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ فِي هَذَا الحَدِيثِ، إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنْ جَاءَتْ بِهِ أَحْمَرَ قَصِيرًا، كَأَنَّهُ وَحَرَةٌ، فَلاَ أُرَاهَا إِلَّا قَدْ صَدَقَتْ وَكَذَبَ عَلَيْهَا، وَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَسْوَدَ أَعْيَنَ، ذَا أَلْيَتَيْنِ، فَلاَ أُرَاهُ إِلَّا قَدْ صَدَقَ عَلَيْهَا» فَجَاءَتْ بِهِ عَلَى المَكْرُوهِ مِنْ ذَلِكَ

তাহকীক: