আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫৪- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪৯০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৮৬ - ৫২৮৭
২৭৮৭. মুশরিক নারী মুসলমান হলে তার বিবাহ ও ইদ্দত
৪৯০৭। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) ......... ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) ও মুমিনদের বিষয়ে মুশরিকরা দুটি দলে বিভক্ত ছিল। একদল ছিল হরবী মুশরিক, তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেন এবং তারাও তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত। অন্যদল ছিল চুক্তিবদ্ধ মুশরিক। তিনি তাদের সঙ্গে লড়তেন না এবং তারাও তার সাথে লড়ত না। হরবীদের কোন মহিলা যদি হিজরত করে (মুসলমানদের) কাছে চলে আসত! তাহলে সে ঋতুবতী হয়ে পূনরায় পবিত্র না-হওয়া পর্যন্ত তার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হতো না। পবিত্র হলে পরেই তার সাথে বিবাহ বৈধ হত। তবে যদি বিয়ের পূর্বেই তার স্বামী হিজরত করত তাহলে মহিলাকে তার কাছেই ফিরিয়ে দিতে হত। আর যদি তাদের কোন দাস বা দাসী হিজরত করত তবে তারা মুক্ত হয়ে যেত এবং মুহাজিরদের সমান অধিকার লাভ করত।
এরপর বর্ণনাকারী (আতা) চুক্তিবদ্ধ মুশরিকদের প্রসঙ্গে মুজাহিদের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। যদি চুক্তিবদ্ধ মুশরিকদের কোন দাস বা দাসী হিজরত করে আসত, তাহলে তাদেরকে পূনরায় পাঠিয়ে দেওয়া হতো না। তবে তাদের মুল্য ফিরিয়ে দেওয়া হতো।
‘আতা (রাহঃ), ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু উমাইয়্যার কন্যা কুরায়বা ‘উমর ইবনে খাত্তাবের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিল। তিনি তাকে তালাক দিলে মু‘আবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান তাকে বিবাহ করেন। আর আবু সুফিয়ানের কন্যা উম্মুল হাকাম ‘ইয়ায ইবনে গানম ফিহরীর বিবাহে আবদ্ধ ছিল। তিনি তাকে তালাক দিলে ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ‘উসমান সাকাফী (রাযিঃ) তাকে বিয়ে করেন।
باب نِكَاحِ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ الْمُشْرِكَاتِ وَعِدَّتِهِنَّ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، وَقَالَ، عَطَاءٌ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، كَانَ الْمُشْرِكُونَ عَلَى مَنْزِلَتَيْنِ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالْمُؤْمِنِينَ، كَانُوا مُشْرِكِي أَهْلِ حَرْبٍ يُقَاتِلُهُمْ وَيُقَاتِلُونَهُ، وَمُشْرِكِي أَهْلِ عَهْدٍ لاَ يُقَاتِلُهُمْ وَلاَ يُقَاتِلُونَهُ، وَكَانَ إِذَا هَاجَرَتِ امْرَأَةٌ مِنْ أَهْلِ الْحَرْبِ لَمْ تُخْطَبْ حَتَّى تَحِيضَ وَتَطْهُرَ، فَإِذَا طَهُرَتْ حَلَّ لَهَا النِّكَاحُ، فَإِنْ هَاجَرَ زَوْجُهَا قَبْلَ أَنْ تَنْكِحَ رُدَّتْ إِلَيْهِ، وَإِنْ هَاجَرَ عَبْدٌ مِنْهُمْ أَوْ أَمَةٌ فَهُمَا حُرَّانِ وَلَهُمَا مَا لِلْمُهَاجِرِينَ. ثُمَّ ذَكَرَ مِنْ أَهْلِ الْعَهْدِ مِثْلَ حَدِيثِ مُجَاهِدٍ وَإِنْ هَاجَرَ عَبْدٌ أَوْ أَمَةٌ لِلْمُشْرِكِينَ أَهْلِ الْعَهْدِ لَمْ يُرَدُّوا، وَرُدَّتْ أَثْمَانُهُمْ.
وَقَالَ عَطَاءٌ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، كَانَتْ قَرِيبَةُ بِنْتُ أَبِي أُمَيَّةَ عِنْدَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَطَلَّقَهَا، فَتَزَوَّجَهَا مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَكَانَتْ أُمُّ الْحَكَمِ ابْنَةُ أَبِي سُفْيَانَ تَحْتَ عِيَاضِ بْنِ غَنْمٍ الْفِهْرِيِّ فَطَلَّقَهَا، فَتَزَوَّجَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ الثَّقَفِيُّ.