আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫৪- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৪৮৮৪
২৭৭৩. যে ব্যক্তি তার স্ত্রীদেরকে ইখ্তিয়ার দিল।
মহান আল্লাহর বাণীঃ হে নবী ! আপনি আপনার সহধর্মিণীদের বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার ভূষণ কামনা কর, তবে এস আমি তোমাদের ভোগ সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেই এবং সৌজন্যের সাথে তোমাদেরকে বিদায় করে দেই।
মহান আল্লাহর বাণীঃ হে নবী ! আপনি আপনার সহধর্মিণীদের বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার ভূষণ কামনা কর, তবে এস আমি তোমাদের ভোগ সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেই এবং সৌজন্যের সাথে তোমাদেরকে বিদায় করে দেই।
৪৮৮৪। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) এর সহধর্মিণী ‘আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ স্বীয় স্ত্রীদেরকে ইখতিয়ার দেওয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আদিষ্ট হলে প্রথমে তিনি আমার নিকট এসে বললেনঃ আমি তোমার নিকট এমন একটি বিষয় উল্লেখ করছি, সে সম্পর্কে তুমি আপন মাতা-পিতার সাথে পরামর্শ ব্যতীত তড়িঘড়ি করে কোন সিদ্ধান্ত নিবে না। ‘আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ আর তিনি তো জানেন যে আমার মাতা-পিতা আমাকে তাঁর থেকে বিচ্ছেদের আদেশ দিবেন না। তিনি বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা বললেনঃ হে নবী! আপনার সহধর্মিণীদেরকে বলুন তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার ভূষণ চাও, তবে এস আমি তোমাদেরকে ভোগ সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেই ...।
‘আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি বললামঃ এই তুচ্ছ বিষয়ে আমাকে মাতা-পিতার সাথে পরামর্শ করতে হবে? আমি তো আল্লাহ, তার রাসুল ও পরকালের আবাসই কামনা করছি। তিনি বলেনঃ এরপর রাসুসুল্লাহ (ﷺ) -এর অন্যান্য স্ত্রীরাও আমার ন্যায় উত্তর দিলেন।
‘আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি বললামঃ এই তুচ্ছ বিষয়ে আমাকে মাতা-পিতার সাথে পরামর্শ করতে হবে? আমি তো আল্লাহ, তার রাসুল ও পরকালের আবাসই কামনা করছি। তিনি বলেনঃ এরপর রাসুসুল্লাহ (ﷺ) -এর অন্যান্য স্ত্রীরাও আমার ন্যায় উত্তর দিলেন।
باب مَنْ خَيَّرَ نِسَاءَهُ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {قُلْ لأَزْوَاجِكَ إِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا فَتَعَالَيْنَ أُمَتِّعْكُنَّ وَأُسَرِّحْكُنَّ سَرَاحًا جَمِيلاً
حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ح وَقَالَ اللَّيْثُ: حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ لَمَّا أُمِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَخْيِيرِ أَزْوَاجِهِ بَدَأَ بِي، فَقَالَ: «إِنِّي ذَاكِرٌ لَكِ أَمْرًا فَلاَ عَلَيْكِ أَنْ لاَ تَعْجَلِي حَتَّى تَسْتَأْمِرِي أَبَوَيْكِ» قَالَتْ: وَقَدْ عَلِمَ أَنَّ أَبَوَيَّ لَمْ يَكُونَا يَأْمُرَانِي بِفِرَاقِهِ، قَالَتْ: ثُمَّ قَالَ: " إِنَّ اللَّهَ جَلَّ ثَنَاؤُهُ قَالَ: {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ إِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ الحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا} [الأحزاب: 28] إِلَى {أَجْرًا عَظِيمًا} [النساء: 40] " قَالَتْ: فَقُلْتُ: فَفِي أَيِّ هَذَا أَسْتَأْمِرُ أَبَوَيَّ، فَإِنِّي أُرِيدُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الآخِرَةَ، قَالَتْ: ثُمَّ فَعَلَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ مَا فَعَلْتُ.
قال المحشي: وهذا الحديث لم يرد في أي من النسخ المطبوعة المتداولة لصحيح البخاري ووجه ذلك ما أشار اليه الحافظ ابن حجر رحـ في فتح الباري (16/53 ط.الرسالة) ما نصه:
"ووقع هنا في نسخة الصغاني قبل حديث مسروق عن عائشة حديث أبي سلمة عنها في المعنى قال فيه حدثنا أبو اليمان أنبأنا شعيب عن الزهري ح وقال الليث حدثنا يونس عن بن شهاب أخبرني أبو سلمة بن عبد الرحمن أن عائشة قالت لما أمر رسول الله صلى الله عليه وسلم بتخيير أزواجه الحديث وساقه على لفظ يونس وقد تقدم الطريقان في تفسير سورة الأحزاب وساق رواية شعيب (4785) وأولها أن عائشة أخبرته أن رسول الله صلى الله عليه وسلم جاء لها حين أمره الله بتخيير أزواجه الحديث ثم ساق رواية الليث (4786) معلقة أيضا في ترجمة أخرى" أهـ وبه تم الكشف عن المقام.
قال المحشي: وهذا الحديث لم يرد في أي من النسخ المطبوعة المتداولة لصحيح البخاري ووجه ذلك ما أشار اليه الحافظ ابن حجر رحـ في فتح الباري (16/53 ط.الرسالة) ما نصه:
"ووقع هنا في نسخة الصغاني قبل حديث مسروق عن عائشة حديث أبي سلمة عنها في المعنى قال فيه حدثنا أبو اليمان أنبأنا شعيب عن الزهري ح وقال الليث حدثنا يونس عن بن شهاب أخبرني أبو سلمة بن عبد الرحمن أن عائشة قالت لما أمر رسول الله صلى الله عليه وسلم بتخيير أزواجه الحديث وساقه على لفظ يونس وقد تقدم الطريقان في تفسير سورة الأحزاب وساق رواية شعيب (4785) وأولها أن عائشة أخبرته أن رسول الله صلى الله عليه وسلم جاء لها حين أمره الله بتخيير أزواجه الحديث ثم ساق رواية الليث (4786) معلقة أيضا في ترجمة أخرى" أهـ وبه تم الكشف عن المقام.

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৮৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৬২
২৭৭৩. যে ব্যক্তি তার স্ত্রীদেরকে ইখ্তিয়ার দিল।
৪৮৮৫। ‘উমর ইবনে হাফস (রাহঃ) ......... ‘আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের ইখতিয়ার দিলে আমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকেই গ্রহণ করলাম। আর এতে আমাদের প্রতি তালাক সাব্যস্ত হয়নি।
باب مَنْ خَيَّرَ نِسَاءَهُ
5262 - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «خَيَّرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاخْتَرْنَا اللَّهَ وَرَسُولَهُ، فَلَمْ يَعُدَّ ذَلِكَ عَلَيْنَا شَيْئًا»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৮৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৬৩
২৭৭৩. যে ব্যক্তি তার স্ত্রীদেরকে ইখ্তিয়ার দিল।
৪৮৮৬। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... মাসরুক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি ‘আয়েশা (রাযিঃ) -কে ইখতিয়ার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম (অর্থাৎ এতে তালাক হবে কিনা)। তিনি উত্তর দিলেনঃ নবী (ﷺ) আমাদেরকে ইখতিয়ার দিয়েছিলেন। তাহলে সেটা কি তালাক ছিল?
মাসরুক বলেনঃ তবে সে (স্ত্রী) আমাকে গ্রহণ করার পর আমি তাকে একবার ইখতিয়ার দেই বা শতবার দেই (তাতে কিছু মনে করব না)।
মাসরুক বলেনঃ তবে সে (স্ত্রী) আমাকে গ্রহণ করার পর আমি তাকে একবার ইখতিয়ার দেই বা শতবার দেই (তাতে কিছু মনে করব না)।
باب مَنْ خَيَّرَ نِسَاءَهُ
5263 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَامِرٌ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ، عَنِ الخِيَرَةِ، فَقَالَتْ: «خَيَّرَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَفَكَانَ طَلاَقًا؟» قَالَ مَسْرُوقٌ: «لاَ أُبَالِي أَخَيَّرْتُهَا وَاحِدَةً أَوْ مِائَةً، بَعْدَ أَنْ تَخْتَارَنِي»

তাহকীক: