আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫৩- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৭৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৫১৬৬
২৭১২. ওয়ালীমা একটি অধিকার।
‘আব্দুর রহমান ইবনে ‘আউফ (রাযিঃ) বলেছেন, মহানবী (ﷺ) আমাকে বললেন, ওয়ালীমার ব্যবস্থা কর, যদি একটি মাত্র বকরির দ্বারাও হয়।
‘আব্দুর রহমান ইবনে ‘আউফ (রাযিঃ) বলেছেন, মহানবী (ﷺ) আমাকে বললেন, ওয়ালীমার ব্যবস্থা কর, যদি একটি মাত্র বকরির দ্বারাও হয়।
৪৭৯২। ইয়াহিয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন মহানবী (ﷺ) মদীনায় আসেন তখন আমার বয়স দশ বছর ছিল। আমার মা, চাচী ও ফুফুরা আমাকে রাসূল (ﷺ) -এর খাদেম হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছিল। এরপর আমি দশ বছরকাল তাঁর খেদমত করি। যখন মহানবী (ﷺ) -এর ইন্তিকাল হয় তখন আমার বয়স ছিল বিশ বছর। আমি পর্দা সম্পর্কে অন্যদের চেয়ে বেশী জানি। পর্দা সম্পর্কীয় প্রাথমিক আয়াতসমূহ যয়নাব বিনতে জাহাশ (রাযিঃ) -এর সাথে মহানবী (ﷺ) এর বাসর রাত যাপনের সময় অবতীর্ণ হয়েছিল। সেদিন সকাল বেলা মহানবী (ﷺ) দুলহা ছিলেন এবং লোকদেরকে ওয়ালীমার দাওয়াত করলেন। সুতরাং তাঁরা এসে খানা খেলেন। কিছুসংখ্যক ছাড়া সবাই চলে গেলেন। তাঁরা দীর্ঘক্ষণ মহানবী (ﷺ) -এর সাথে কাটালেন। তারপর মহানবী (ﷺ) উঠে বাইরে গেলেন।
আমি তাঁর পিছু পিছু চলে এলাম, যাতে করে অন্যেরাও বের হয়ে আসে। মহানবী (ﷺ) সামনের দিকে এগিয়ে গেলেন, এমনকি তিনি ‘আয়েশা (রাযিঃ) -এর কক্ষের দ্বারপ্রান্তে গেলেন, এরপরে বাকি লোকগুলো হয়ত চলে গেছে এ কথা ভেবে তিনি ফিরে এলেন, আমি তাঁর সাথে ফিরে এলাম। মহানবী (ﷺ) যয়নাব (রাযিঃ) -এর কক্ষে প্রবেশ করে দেখতে পেলেন যে, লোকগুলো বসে রয়েছে- চলে যায়নি। সুতরাং মহানবী (ﷺ) পুনরায় বাইরে বের হলেন এবং আমি তাঁর সাথে এলাম। যখন আমরা ‘আয়েশা (রাযিঃ) -এর কক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছলাম, তিনি ভাবলেন যে, এতক্ষণে হয়ত লোকগুলো চলে গিয়েছে। তিনি ফিরে এলেন। আমিও তাঁর সাথে ফিরে এসে দেখলাম যে, লোকগুলো চলে গেছে। এরপর মহানবী (ﷺ) আমার ও তাঁর মাঝখানে একটি পর্দা টেনে দিলেন। এ সময়ে পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হল।
আমি তাঁর পিছু পিছু চলে এলাম, যাতে করে অন্যেরাও বের হয়ে আসে। মহানবী (ﷺ) সামনের দিকে এগিয়ে গেলেন, এমনকি তিনি ‘আয়েশা (রাযিঃ) -এর কক্ষের দ্বারপ্রান্তে গেলেন, এরপরে বাকি লোকগুলো হয়ত চলে গেছে এ কথা ভেবে তিনি ফিরে এলেন, আমি তাঁর সাথে ফিরে এলাম। মহানবী (ﷺ) যয়নাব (রাযিঃ) -এর কক্ষে প্রবেশ করে দেখতে পেলেন যে, লোকগুলো বসে রয়েছে- চলে যায়নি। সুতরাং মহানবী (ﷺ) পুনরায় বাইরে বের হলেন এবং আমি তাঁর সাথে এলাম। যখন আমরা ‘আয়েশা (রাযিঃ) -এর কক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছলাম, তিনি ভাবলেন যে, এতক্ষণে হয়ত লোকগুলো চলে গিয়েছে। তিনি ফিরে এলেন। আমিও তাঁর সাথে ফিরে এসে দেখলাম যে, লোকগুলো চলে গেছে। এরপর মহানবী (ﷺ) আমার ও তাঁর মাঝখানে একটি পর্দা টেনে দিলেন। এ সময়ে পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হল।
باب الْوَلِيمَةُ حَقٌّ وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ قَالَ لِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ‘أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ
5166 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّهُ كَانَ ابْنَ عَشْرِ سِنِينَ، مَقْدَمَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَدِينَةَ، فَكَانَ أُمَّهَاتِي يُوَاظِبْنَنِي عَلَى خِدْمَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَدَمْتُهُ عَشْرَ سِنِينَ، وَتُوُفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا ابْنُ عِشْرِينَ سَنَةً، فَكُنْتُ أَعْلَمَ النَّاسِ بِشَأْنِ الحِجَابِ حِينَ أُنْزِلَ، وَكَانَ أَوَّلَ مَا أُنْزِلَ فِي مُبْتَنَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِزَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ: «أَصْبَحَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَا عَرُوسًا، فَدَعَا القَوْمَ فَأَصَابُوا مِنَ الطَّعَامِ، ثُمَّ خَرَجُوا وَبَقِيَ رَهْطٌ مِنْهُمْ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَطَالُوا المُكْثَ، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَرَجَ، وَخَرَجْتُ مَعَهُ لِكَيْ يَخْرُجُوا، فَمَشَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَشَيْتُ، حَتَّى جَاءَ عَتَبَةَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ، ثُمَّ ظَنَّ أَنَّهُمْ خَرَجُوا فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ، حَتَّى إِذَا دَخَلَ عَلَى زَيْنَبَ فَإِذَا هُمْ [ص:24] جُلُوسٌ لَمْ يَقُومُوا، فَرَجَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ، حَتَّى إِذَا بَلَغَ عَتَبَةَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ وَظَنَّ أَنَّهُمْ خَرَجُوا، فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ، فَإِذَا هُمْ قَدْ خَرَجُوا، فَضَرَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ بِالسِّتْرِ، وَأُنْزِلَ الحِجَابُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান