আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫৩- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৭৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫১৩১
২৬৮৩. ওলী বা অভিভাবক নিজেই যদি শাদীর প্রার্থী হয়।
মুগীরা ইবনে শু‘বা (রাযিঃ) এমন এক মহিলার সাথে শাদীর প্রস্তাব দেন, যার নিকটতম অভিভাবক তিনিই ছিলেন। সুতরাং তিনি অন্য একজনকে তার সাথে শাদী বন্ধনে আদেশ দিলে সে ব্যক্তি তার সঙ্গে শাদী করিয়ে দিলেন।
আব্দুর রহমান ইবনে ‘আউফ (রাযিঃ) উম্মে হাকীম বিনতে কারিয (রাযিঃ)-কে বললেন, তুমি কি তোমার শাদীর ব্যাপারে আমাকে দায়িত্ব দেবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। ‘আব্দুর রহমান (রাযিঃ) বললেন, আমি তোমাকে শাদী করলাম।
‘আতা (রাযিঃ) বলেন, অভিভাবক লোকদেরকে সাক্ষী রেখে বলবে, আমি তোমাকে শাদী করলাম, অথবা ঐ মহিলার নিকটতম আত্মীয়দের কাউকে তার কাছে তাকে শাদী দেয়ার জন্য বলবে।
সাহল (রাযিঃ) বলেন, একজন মহিলা এসে নবী (ﷺ)-এর কাছে বলল, আমি নিজেকে আপনার কাছে সমর্পন করলাম। এরপর একজন লোক বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এই মহিলাকে যদি আপনার প্রয়োজন না থাকে তাহলে আমার সাথে শাদী দিয়ে দিন।
মুগীরা ইবনে শু‘বা (রাযিঃ) এমন এক মহিলার সাথে শাদীর প্রস্তাব দেন, যার নিকটতম অভিভাবক তিনিই ছিলেন। সুতরাং তিনি অন্য একজনকে তার সাথে শাদী বন্ধনে আদেশ দিলে সে ব্যক্তি তার সঙ্গে শাদী করিয়ে দিলেন।
আব্দুর রহমান ইবনে ‘আউফ (রাযিঃ) উম্মে হাকীম বিনতে কারিয (রাযিঃ)-কে বললেন, তুমি কি তোমার শাদীর ব্যাপারে আমাকে দায়িত্ব দেবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। ‘আব্দুর রহমান (রাযিঃ) বললেন, আমি তোমাকে শাদী করলাম।
‘আতা (রাযিঃ) বলেন, অভিভাবক লোকদেরকে সাক্ষী রেখে বলবে, আমি তোমাকে শাদী করলাম, অথবা ঐ মহিলার নিকটতম আত্মীয়দের কাউকে তার কাছে তাকে শাদী দেয়ার জন্য বলবে।
সাহল (রাযিঃ) বলেন, একজন মহিলা এসে নবী (ﷺ)-এর কাছে বলল, আমি নিজেকে আপনার কাছে সমর্পন করলাম। এরপর একজন লোক বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এই মহিলাকে যদি আপনার প্রয়োজন না থাকে তাহলে আমার সাথে শাদী দিয়ে দিন।
৪৭৫৯। ইবনে সালাম (রাযিঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) ‘‘তারা আপনার কাছে নারীদের সম্পর্কে ফয়সালা চায়। আপনি বলে দিন, আল্লাহ তাদের সম্পর্কে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন .....।’’ এ আয়াতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে বলেন, এ আয়াত হচ্ছে ইয়াতীম বালিকাদের সম্পর্কে, যারা কোন অভিভাবকের অধীনে আছে এবং তারা ঐ অভিভাবকের ধন-সম্পদেও অংশীদার; অথচ সে নিজে ওকে শাদী করতে ইচ্ছুক নয় এবং অন্য কেউ তাদেরকে শাদী করুক এবং ধন-সম্পদে ভাগ বসাক তাও পছন্দ করে না। তাই সে তার শাদীতে বাধা সৃষ্টি করে। সুতরাং আল্লাহ তাআলা এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
باب إِذَا كَانَ الْوَلِيُّ هُوَ الْخَاطِبَ وَخَطَبَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ امْرَأَةً هُوَ أَوْلَى النَّاسِ بِهَا فَأَمَرَ رَجُلاً فَزَوَّجَهُ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ لأُمِّ حَكِيمٍ بِنْتِ قَارِظٍ أَتَجْعَلِينَ أَمْرَكِ إِلَيَّ قَالَتْ نَعَمْ فَقَالَ قَدْ تَزَوَّجْتُكِ. وَقَالَ عَطَاءٌ لِيُشْهِدْ أَنِّي قَدْ نَكَحْتُكِ أَوْ لِيَأْمُرْ رَجُلاً مِنْ عَشِيرَتِهَا. وَقَالَ سَهْلٌ قَالَتِ امْرَأَةٌ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَبُ لَكَ نَفْسِي فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ لَمْ تَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ فَزَوِّجْنِيهَا
5131 - حَدَّثَنَا ابْنُ سَلاَمٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فِي قَوْلِهِ: {وَيَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاءِ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِيهِنَّ} [النساء: 127] إِلَى آخِرِ الآيَةِ، قَالَتْ: «هِيَ اليَتِيمَةُ تَكُونُ فِي حَجْرِ الرَّجُلِ، قَدْ شَرِكَتْهُ فِي مَالِهِ، فَيَرْغَبُ [ص:17] عَنْهَا أَنْ يَتَزَوَّجَهَا، وَيَكْرَهُ أَنْ يُزَوِّجَهَا غَيْرَهُ، فَيَدْخُلَ عَلَيْهِ فِي مَالِهِ، فَيَحْبِسُهَا، فَنَهَاهُمُ اللَّهُ عَنْ ذَلِكَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৭৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৫১৩২
২৬৮৩. ওলী বা অভিভাবক নিজেই যদি শাদীর প্রার্থী হয়।
৪৭৬০। আহমদ ইবনে মিকদাম (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, একদা আমরা নবী (ﷺ) -এর নিকটে বসা ছিলাম। এমন সময় মহানবী (ﷺ) -এর নিকট একজন মহিলা এসে নিজেকে পেশ করল। মহানবী (ﷺ) তার আপাদমস্তক সুন্দর করে দেখলেন; কিন্তু তার কথার কোন প্রতি-উত্তর দিলেন না। একজন সাহাবী আরয করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তাকে আমার সাথে শাদী দিয়ে দিন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কাছে কিছু আছে কি? লোকটি উত্তর করল, না, আমার কাছে কিছু নেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, একটি লোহার আংটিও নেই? লোকটি উত্তর করল, না, একটি লোহার আংটিও নেই। কিন্তু আমি আমার পরিধানের তহবন্দের অর্ধেক তাকে দেব আর অর্ধেক নিজে পরব। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, না। তোমার কুরআন মজীদের কিছু জানা আছে? সে বলল, হ্যাঁ। নবী (ﷺ) বললেন, তুমি যে পরিমাণ কুরআন জানো, তার পরিবর্তে তাকে তোমার সাথে শাদী দিলাম।
باب إِذَا كَانَ الْوَلِيُّ هُوَ الْخَاطِبَ
5132 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ المِقْدَامِ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ، كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جُلُوسًا، فَجَاءَتْهُ امْرَأَةٌ تَعْرِضُ نَفْسَهَا عَلَيْهِ، فَخَفَّضَ فِيهَا النَّظَرَ وَرَفَعَهُ، فَلَمْ يُرِدْهَا، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ: زَوِّجْنِيهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «أَعِنْدَكَ مِنْ شَيْءٍ؟» قَالَ: مَا عِنْدِي مِنْ شَيْءٍ، قَالَ: «وَلاَ خَاتَمٌ مِنْ حَدِيدٍ؟» قَالَ: وَلاَ خَاتَمٌ مِنْ حَدِيدٍ، وَلَكِنْ أَشُقُّ بُرْدَتِي هَذِهِ فَأُعْطِيهَا النِّصْفَ، وَآخُذُ النِّصْفَ، قَالَ: «لاَ، هَلْ مَعَكَ مِنَ القُرْآنِ شَيْءٌ؟» قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: «اذْهَبْ فَقَدْ زَوَّجْتُكَهَا بِمَا مَعَكَ مِنَ القُرْآنِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান