আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫৩- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৭৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫১২৬
২৬৮১. শাদী করার পূর্বে মেয়ে দেখে নেয়া
৪৭৫৪। কুতায়বা (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একজন মহিলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি নিজেকে আপনার কাছে সমর্পণ করতে এসেছি। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার দিকে দেখলেন এবং অত্যন্ত সতর্কতার সাথে দৃষ্টি দিলেন। আপাদমস্তক দেখা শেষ করে তিনি মাথা নিচু করলেন। যখন মহিলা দেখতে পেল, মহানবী (ﷺ) তার সম্পর্কে কোন ফায়সালা দিচ্ছেন না, তখন সে বসে পড়ল।
তারপর একজন সাহাবী দাঁড়িয়ে অনুরোধ করলেন। ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আপনার এ মহিলার কোন প্রয়োজন না থাকে, তাহলে আমার সাথে তাকে শাদী দিয়ে দিন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমার কাছে কোন সম্পদ আছে কি? সে বলল- না, আল্লাহর কসম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার কাছে কোন সম্পদ নেই। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি তোমার পরিবারের কাছে গিয়ে দেখ, কোন কিছু পাও কিনা? তারপর সে চলে গেল, ফিরে এসে বলল, না, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি কিছুই পেলাম না। তখন তিনি বললেন, দেখ, একটি লোহার আংটি পাও কিনা! এরপর সে চলে গেল, ফিরে এসে বলল, না, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর কসম, একটি লোহার আংটিও পেলাম না; কিন্তু আমার তদবন্দ আছে।

[বর্ণনাকারী সাহল (রাযিঃ) বলেন, তার অন্য কোন চাঁদর ছিল না] এর অর্ধেক তাকে দিয়ে দেব। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তোমার এ তদবন্দ দ্বারা কি হবে? যদি তুমি পরিধান কর, তার ওপর কিছুই থাকবে না, আর যদি সে পরিধান করে তাহলে তোমার জন্যও কিছুই থাকবে না। এরপর লোকটি বসে পড়ল। দীর্ঘক্ষণ পরে যাওয়ার জন্য উদ্যত হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কুরআন কতটুকু জানা আছে? সে বলল, হ্যাঁ, আমার অমুক, অমুক, অমুক সূরা জানা আছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি কি এগুলো মুখস্থ পড়তে পার? সে বলল, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, যাও যে পরিমাণ কুরআন শরীফ মুখস্থ জানো, এর বিনিময়ে এই মহিলাকে তোমার সাথে শাদী করিয়ে দিলাম।
باب النَّظَرِ إِلَى الْمَرْأَةِ قَبْلَ التَّزْوِيجِ
5126 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّ امْرَأَةً جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ [ص:15]: يَا رَسُولَ اللَّهِ، جِئْتُ لِأَهَبَ لَكَ نَفْسِي، فَنَظَرَ إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَعَّدَ النَّظَرَ إِلَيْهَا وَصَوَّبَهُ، ثُمَّ طَأْطَأَ رَأْسَهُ، فَلَمَّا رَأَتِ المَرْأَةُ أَنَّهُ لَمْ يَقْضِ فِيهَا شَيْئًا جَلَسَتْ، فَقَامَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَقَالَ: أَيْ رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ لَمْ تَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ فَزَوِّجْنِيهَا، فَقَالَ: «هَلْ عِنْدَكَ مِنْ شَيْءٍ؟» قَالَ: لاَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «اذْهَبْ إِلَى أَهْلِكَ فَانْظُرْ هَلْ تَجِدُ شَيْئًا» فَذَهَبَ ثُمَّ رَجَعَ، فَقَالَ: لاَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا وَجَدْتُ شَيْئًا، قَالَ: «انْظُرْ وَلَوْ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ» ، فَذَهَبَ ثُمَّ رَجَعَ، فَقَالَ: لاَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلاَ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ، وَلَكِنْ هَذَا إِزَارِي - قَالَ سَهْلٌ: مَا لَهُ رِدَاءٌ - فَلَهَا نِصْفُهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا تَصْنَعُ بِإِزَارِكَ؟ إِنْ لَبِسْتَهُ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهَا مِنْهُ شَيْءٌ، وَإِنْ لَبِسَتْهُ لَمْ يَكُنْ عَلَيْكَ مِنْهُ شَيْءٌ» فَجَلَسَ الرَّجُلُ حَتَّى طَالَ مَجْلِسُهُ، ثُمَّ قَامَ، فَرَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُوَلِّيًا فَأَمَرَ بِهِ فَدُعِيَ، فَلَمَّا جَاءَ قَالَ: «مَاذَا مَعَكَ مِنَ القُرْآنِ؟» قَالَ: مَعِي سُورَةُ كَذَا وَسُورَةُ كَذَا وَسُورَةُ كَذَا - عَدَّدَهَا - قَالَ: «أَتَقْرَؤُهُنَّ عَنْ ظَهْرِ قَلْبِكَ؟» قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: «اذْهَبْ فَقَدْ مَلَّكْتُكَهَا بِمَا مَعَكَ مِنَ القُرْآنِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান