আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫৩- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৭২১
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৮৮
২৬৬১. স্বামী এবং স্ত্রীর একই দীনভুক্ত হওয়া। আল্লাহর বাণীঃ "এবং তিনিই পানি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তিনি তার বংশগত ও বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন করেছেন। তোমার প্রতিপালক সর্বশক্তিমান।’’
৪৭২১। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু হুযায়ফা (রাযিঃ) ইবনে উতবা ইবনে রাবিয়া ইবনে আব্দ শামস, যিনি বদরের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে উপস্থিত ছিলেন, তিনি সালিমকে পালক-পুত্র হিসাবে গ্রহণ করেন এবং তার সাথে তিনি তাঁর ভাতিজী, ওয়ালীদ ইবনে উতবা ইবনে রাবিয়া‘র কন্যা হিন্দাকে শাদী দেন। সে ছিল জনৈকা আনসারী মহিলার আযাদকৃত দাস। যেমন যায়দকে মহানবী (ﷺ) পালক-পুত্র হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। জাহিলী যুগের রীতি ছিল যে, কেউ যদি অন্য কোন ব্যক্তিকে পালক-পুত্র হিসাবে গ্রহণ করত, তবে লোকেরা তাকে ঐ ব্যক্তির পুত্র হিসাবে ডাকত এবং মৃত্যুর পর ঐ ব্যক্তির উত্তরাধিকারী হত।
যতক্ষণ না পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা এই আয়াত অবতীর্ণ করলেনঃ “তাদেরকে (পালক পুত্রদেরকে) তাদের জন্মদাতা পিতার নামে ডাক...... তারা তোমাদের মুক্ত করা গোলাম।” এরপর থেকে তাদেরকে পিতার নামেই শুধু ডাকা হত। যদি তাদের পিতা সম্পর্কে জানা না যেত, তাহলে তাকে মাওলা বা দ্বীনী ভাই হিসাবে ডাকা হত। তারপর [আবু হুযায়ফা ইবনে উতবা (রাযিঃ)-এর স্ত্রী] সাহলা বিনতে সুহাইল ইবনে আমর আল কুরাইশী আল আমিরী নবী (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা সালিমকে আমাদের পুত্র হিসাবে মনে করতাম’ অথচ এখন আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা তো আপনিই ভাল জানেন। এরপর তিনি পুরো হাদীস বর্ণনা করলেন।
যতক্ষণ না পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা এই আয়াত অবতীর্ণ করলেনঃ “তাদেরকে (পালক পুত্রদেরকে) তাদের জন্মদাতা পিতার নামে ডাক...... তারা তোমাদের মুক্ত করা গোলাম।” এরপর থেকে তাদেরকে পিতার নামেই শুধু ডাকা হত। যদি তাদের পিতা সম্পর্কে জানা না যেত, তাহলে তাকে মাওলা বা দ্বীনী ভাই হিসাবে ডাকা হত। তারপর [আবু হুযায়ফা ইবনে উতবা (রাযিঃ)-এর স্ত্রী] সাহলা বিনতে সুহাইল ইবনে আমর আল কুরাইশী আল আমিরী নবী (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা সালিমকে আমাদের পুত্র হিসাবে মনে করতাম’ অথচ এখন আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা তো আপনিই ভাল জানেন। এরপর তিনি পুরো হাদীস বর্ণনা করলেন।
باب الأَكْفَاءِ فِي الدِّينِ وَقَوْلِهِ: {وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ مِنَ الْمَاءِ بَشَرًا فَجَعَلَهُ نَسَبًا وَصِهْرًا وَكَانَ رَبُّكَ قَدِيرًا}
5088 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَنَّ أَبَا حُذَيْفَةَ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ، وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، تَبَنَّى سَالِمًا، وَأَنْكَحَهُ بِنْتَ أَخِيهِ هِنْدَ بِنْتَ الوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ وَهُوَ مَوْلًى لِامْرَأَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ، كَمَا " تَبَنَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدًا، وَكَانَ مَنْ تَبَنَّى رَجُلًا فِي الجَاهِلِيَّةِ دَعَاهُ النَّاسُ إِلَيْهِ وَوَرِثَ مِنْ مِيرَاثِهِ، حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ {ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ} [الأحزاب: 5] إِلَى قَوْلِهِ {وَمَوَالِيكُمْ} [الأحزاب: 5] فَرُدُّوا إِلَى آبَائِهِمْ، فَمَنْ لَمْ يُعْلَمْ لَهُ أَبٌ، كَانَ مَوْلًى وَأَخًا فِي الدِّينِ " فَجَاءَتْ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو القُرَشِيِّ ثُمَّ العَامِرِيِّ - وَهِيَ امْرَأَةُ أَبِي حُذَيْفَةَ بْنِ عُتْبَةَ - النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نَرَى سَالِمًا وَلَدًا، وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِ مَا قَدْ عَلِمْتَ فَذَكَرَ الحَدِيثَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৭২২
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৮৯
২৬৬১. স্বামী এবং স্ত্রীর একই দীনভুক্ত হওয়া।
৪৭২২। উবাইদ ইবনে ইসমা‘ঈল (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যুবা’আ বিনতে যুবাইর এর নিকট গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন। তোমার হজ্জে যাওয়ার ইচ্ছা আছে কি? সে উত্তর দিল, আল্লাহর কসম! আমি খুবই অসুস্থবোধ করছি (তবে হজ্জে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।) তার উত্তরে বললেন, তুমি হজ্জের নিয়তে বেরিয়ে যাও এবং আল্লাহর কাছে এই শর্ত আরোপ করে বল, হে আল্লাহ! যেখানেই আমি বাধাগ্রস্থ হব, সেখানেই আমি আমার ইহরাম শেষ করে হালাল হয়ে যাব। সে ছিল মিকদাদ ইবনে আসওয়াদের স্ত্রী।
باب الأَكْفَاءِ فِي الدِّينِ
5089 - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى ضُبَاعَةَ بِنْتِ الزُّبَيْرِ، فَقَالَ لَهَا: «لَعَلَّكِ أَرَدْتِ الحَجَّ؟» قَالَتْ: وَاللَّهِ لاَ أَجِدُنِي إِلَّا وَجِعَةً، فَقَالَ لَهَا: " حُجِّي وَاشْتَرِطِي، وَقُولِي: اللَّهُمَّ مَحِلِّي حَيْثُ حَبَسْتَنِي " وَكَانَتْ تَحْتَ المِقْدَادِ بْنِ الأَسْوَدِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৭২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৯০
২৬৬১. স্বামী এবং স্ত্রীর একই দীনভুক্ত হওয়া।
৪৭২৩। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। মহানবী (ﷺ) বলেন, চারটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে শাদী করা যায়- তার সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার সৌন্দর্য ও তার দীনদারী। সুতরাং তুমি দীনদারীকেই প্রাধান্য দেবে। অন্যথায় তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
باب الأَكْفَاءِ فِي الدِّينِ
5090 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " تُنْكَحُ المَرْأَةُ [ص:8] لِأَرْبَعٍ: لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ، تَرِبَتْ يَدَاكَ "
হাদীস নং:৪৭২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৯১
২৬৬১. স্বামী এবং স্ত্রীর একই দীনভুক্ত হওয়া।
৪৭২৪। ইবরাহীম ইবনে হামযা (রাহঃ) ......... সাহল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট দিয়ে গমন করছিল, তখন তিনি (সাহাবায়ে কিরাম কে) বললেন, তোমাদের এর সম্পর্কে কী ধারণা? তারা উত্তর দিলেন, ‘‘যদি কোথাও কোন মহিলার প্রতি এ লোকটি শাদীর প্রস্তাব করে, তার সাথে বিয়ে দেয়া যায়। যদি সে সুপারিশ করে, তাহলে সুপারিশ গ্রহণ করা যায়, যদি কথা বলে, তবে কান লাগিয়ে শোনা উচিত। তারপর সেখান দিয়ে একজন গরীব মুসলমান অতিক্রম করতেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, এ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমাদের কী ধারণা? তারা জবাব দিলেন, যদি এ ব্যক্তি কোথাও শাদীর প্রস্তাব করে, তো বিবাহ দেয়া ঠিক হবে না। যদি কারও সুপারিশ করে, তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। যদি কোন কথা বলে, তবে তা শোনার প্রয়োজন নেই। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সমস্ত পৃথিবীতে ঐ ব্যক্তির চেয়ে এ উত্তম (ধনীদের চেয়ে গরীবরা উত্তম)।
باب الأَكْفَاءِ فِي الدِّينِ
5091 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَهْلٍ، قَالَ: مَرَّ رَجُلٌ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «مَا تَقُولُونَ فِي هَذَا؟» قَالُوا: حَرِيٌّ إِنْ خَطَبَ أَنْ يُنْكَحَ، وَإِنْ شَفَعَ أَنْ يُشَفَّعَ، وَإِنْ قَالَ أَنْ يُسْتَمَعَ، قَالَ: ثُمَّ سَكَتَ، فَمَرَّ رَجُلٌ مِنْ فُقَرَاءِ المُسْلِمِينَ، فَقَالَ: «مَا تَقُولُونَ فِي هَذَا؟» قَالُوا: حَرِيٌّ إِنْ خَطَبَ أَنْ لاَ يُنْكَحَ، وَإِنْ شَفَعَ أَنْ لاَ يُشَفَّعَ، وَإِنْ قَالَ أَنْ لاَ يُسْتَمَعَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَذَا خَيْرٌ مِنْ مِلْءِ الأَرْضِ مِثْلَ هَذَا»