আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫৩- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ৪৬৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৬৩
শাদী করতে উৎসাহ দান। আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ “তোমরা শাদী করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে”
৪৬৯৭। সা‘ঈদ ইবনে আবু মারয়াম (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিন জনের একটি দল রাসূল (ﷺ)-এর ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য রাসূল (ﷺ)-এর বিবিগণের গৃহে আগমন করল। যখন তাঁদেরকে এ সম্পর্কে অবহিত করা হলো, তখন তারা এ ইবাদতের পরিমাণ যেন কম মনে করল এবং বলল, আমরা রাসূল (ﷺ) - এর সমকক্ষ হতে পারি না। কারণ, তার আগে ও পরের সকল গুনাহ্ মাফ করে দেয়া হয়েছে। এমন সময় তাদের মধ্য থেকে একজন বলল, আমি সারা জীবন রাতে নামায আদায় করতে থাকব। অপর একজন বলল, আমি সারা বছর রোযা পালন করব এবং কখনও বিরতি দিব না। অপরজন বলল, আমি নারী বিবর্জিত থাকব-কখনও শাদী করব না।
এরপর রাসূল (ﷺ) তাদের নিকট এলেন এবং বললেন, “তোমরা কি ঐ সকল ব্যক্তি যারা এরূপ কথাবার্তা বলেছ? আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহকে তোমাদের চেয়ে বেশী ভয় করি এবং তোমাদের চেয়ে তাঁর প্রতি আমি বেশী আনুগত্যশীল; অথচ আমি রোযা পালন করি, আবার রোযা থেকে বিরতও থাকি। নামায আদায় করি এবং ঘুমাই ও বিয়ে-শাদী করি। সুতরাং যারা আমার সুন্নতের প্রতি বিরাগ ভাব পোষণ করবে, তারা আমার দলভুক্ত নয়।
এরপর রাসূল (ﷺ) তাদের নিকট এলেন এবং বললেন, “তোমরা কি ঐ সকল ব্যক্তি যারা এরূপ কথাবার্তা বলেছ? আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহকে তোমাদের চেয়ে বেশী ভয় করি এবং তোমাদের চেয়ে তাঁর প্রতি আমি বেশী আনুগত্যশীল; অথচ আমি রোযা পালন করি, আবার রোযা থেকে বিরতও থাকি। নামায আদায় করি এবং ঘুমাই ও বিয়ে-শাদী করি। সুতরাং যারা আমার সুন্নতের প্রতি বিরাগ ভাব পোষণ করবে, তারা আমার দলভুক্ত নয়।
باب التَّرْغِيبُ فِي النِّكَاحِ لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ}
5063 - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ أَبِي حُمَيْدٍ الطَّوِيلُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: جَاءَ ثَلاَثَةُ رَهْطٍ إِلَى بُيُوتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَسْأَلُونَ عَنْ عِبَادَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا أُخْبِرُوا كَأَنَّهُمْ تَقَالُّوهَا، فَقَالُوا: وَأَيْنَ نَحْنُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَدْ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ، قَالَ أَحَدُهُمْ: أَمَّا أَنَا فَإِنِّي أُصَلِّي اللَّيْلَ أَبَدًا، وَقَالَ آخَرُ: أَنَا أَصُومُ الدَّهْرَ وَلاَ أُفْطِرُ، وَقَالَ آخَرُ: أَنَا أَعْتَزِلُ النِّسَاءَ فَلاَ أَتَزَوَّجُ أَبَدًا، فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ: «أَنْتُمُ الَّذِينَ قُلْتُمْ كَذَا وَكَذَا، أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لَأَخْشَاكُمْ لِلَّهِ وَأَتْقَاكُمْ لَهُ، لَكِنِّي أَصُومُ وَأُفْطِرُ، وَأُصَلِّي وَأَرْقُدُ، وَأَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ، فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي»
হাদীস নং: ৪৬৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৬৪
শাদী করতে উৎসাহ দান।
৪৬৯৮। আলী (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উরওয়া (রাহঃ) আমাকে অবহিত করেছেন যে, তিনি আয়েশা (রাযিঃ)-কে আল্লাহর এই বাণী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেনঃ তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে, ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে শাদী কর নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে- দুই, তিন অথবা চার। কিন্তু তোমাদের মনে যদি ভয় হয় যে, তোমরা সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীকে। এতে পক্ষপাতিত্ব না করার অধিকতর সম্ভাবনা”।
আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, হে ভাগ্নে! একটি ইয়াতীম বালিকা এমন একজন অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে ছিল, যে তার সম্পদ ও রূপের প্রতি আকৃষ্ট ছিল। সে তাকে তার সমকক্ষ মহিলাদের চেয়ে কম মোহর দিয়ে শাদী করার ইচ্ছ করে। তখন লোকদেরকে নিষেধ করা হলো, ঐসব ইয়াতীমের শাদী করার ব্যাপারে; তবে যদি তারা তোমাদের ব্যাপারে সুবিচার করে ও পূর্ণ মোহর আদায় করে (তাহলে পারবে)। যদি না পারে, তাহলে তাদের ব্যতীত অন্য নারীদের শাদী করার আদেশ করা হল।
আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, হে ভাগ্নে! একটি ইয়াতীম বালিকা এমন একজন অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে ছিল, যে তার সম্পদ ও রূপের প্রতি আকৃষ্ট ছিল। সে তাকে তার সমকক্ষ মহিলাদের চেয়ে কম মোহর দিয়ে শাদী করার ইচ্ছ করে। তখন লোকদেরকে নিষেধ করা হলো, ঐসব ইয়াতীমের শাদী করার ব্যাপারে; তবে যদি তারা তোমাদের ব্যাপারে সুবিচার করে ও পূর্ণ মোহর আদায় করে (তাহলে পারবে)। যদি না পারে, তাহলে তাদের ব্যতীত অন্য নারীদের শাদী করার আদেশ করা হল।
باب التَّرْغِيبُ فِي النِّكَاحِ
5064 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، سَمِعَ حَسَّانَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي اليَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ مَثْنَى وَثُلاَثَ وَرُبَاعَ، فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ذَلِكَ أَدْنَى أَلَّا تَعُولُوا} [النساء: 3] قَالَتْ: «يَا ابْنَ أُخْتِي اليَتِيمَةُ، تَكُونُ فِي حَجْرِ وَلِيِّهَا فَيَرْغَبُ فِي [ص:3] مَالِهَا وَجَمَالِهَا، يُرِيدُ أَنْ يَتَزَوَّجَهَا بِأَدْنَى مِنْ سُنَّةِ صَدَاقِهَا، فَنُهُوا أَنْ يَنْكِحُوهُنَّ إِلَّا أَنْ يُقْسِطُوا لَهُنَّ، فَيُكْمِلُوا الصَّدَاقَ، وَأُمِرُوا بِنِكَاحِ مَنْ سِوَاهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৬৫
২৬৪৭. রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর বাণী “ তোমাদের মধ্যে যাদের শাদীর সামর্থ্য আছে, সে যেন শাদী করে। কেননা, শাদী তার দৃষ্টিকে অবনমিত রাখতে সাহায্য করবে এবং তার লজ্জাস্থান রক্ষা করবে”। এবং যার দরকার নেই সে শাদী করবে কি না?
৪৬৯৯। উমর ইবনে হাফস (রাহঃ) ......... আলকামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমি আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর সাথে ছিলাম, উসমান (রাযিঃ) তাঁর সাথে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে আব্দুর রহমানের পিতা! আপনার কাছে আমার কিছু প্রয়োজন আছে। এরপর তারা উভয়েই এক পার্শ্বে গেলেন। তারপর উসমান (রাযিঃ) বললেন, হে আব্দুর রহমানের পিতা! আমি আপনার সাথে এমন একটি কুমারী মেয়ের শাদী দেব, যে আপনাকে আপনার অতীত দিনকে স্মরণ করিয়ে দিবে? আব্দুল্লাহ যখন দেখলেন, তার এ শাদীর প্রয়োজন নেই তখন তিনি আমাকে ‘হে আলকামা’ বলে ডাক দিলেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি যখন আমাকে একথা বলেছেন তখন আমার স্মরণে এর চেয়ে বড় কথা আসছে আর তা হচ্ছে রাসূল (ﷺ) আমাদেরকে বললেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে শাদীর সামর্থ্য রাখে, সে যেন শাদী করে এবং যে শাদীর সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘রোযা’ পালন করে। কেননা, রোযা যৌন ক্ষমতাকে অবদমন করবে।
بَابُ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ، لأَنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ ، وَهَلْ يَتَزَوَّجُ مَنْ لاَ أَرَبَ لَهُ فِي النِّكَاحِ
5065 - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ: كُنْتُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ، فَلَقِيَهُ عُثْمَانُ بِمِنًى، فَقَالَ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً فَخَلَوَا، فَقَالَ عُثْمَانُ: هَلْ لَكَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ فِي أَنْ نُزَوِّجَكَ بِكْرًا، تُذَكِّرُكَ مَا كُنْتَ تَعْهَدُ؟ فَلَمَّا رَأَى عَبْدُ اللَّهِ أَنْ لَيْسَ لَهُ حَاجَةٌ إِلَى هَذَا أَشَارَ إِلَيَّ، فَقَالَ: يَا عَلْقَمَةُ، فَانْتَهَيْتُ إِلَيْهِ وَهُوَ يَقُولُ: أَمَا لَئِنْ قُلْتَ ذَلِكَ، لَقَدْ قَالَ لَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ البَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৭০০
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৬৬
২৬৪৮. যে শাদী করার সামর্থ্য রাখে না, সে রোযা পালন করবে
৪৭০০। উমর ইবনে হাফস ইবনে গিয়াস (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘উদ (রাযিঃ) বলেন, আমরা যুবক বয়সে রাসূল (ﷺ)-এর সাথে ছিলাম; অথচ আমাদের কোনো কিছু (সম্পদ) ছিল না। এমনি অবস্থায় আমাদেরকে রাসূল (ﷺ) বলেন, হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যারা শাদী করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন শাদী করে। কেননা, শাদী তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং যৌনতাকে সংযমী করে এবং যাদের শাদী করার সামর্থ্য নেই, সে যেন রোযা পালন করে। কেননা, রোযা তার যৌনতাকে দমন করবে।
باب مَنْ لَمْ يَسْتَطِعِ الْبَاءَةَ فَلْيَصُمْ
5066 - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَارَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: دَخَلْتُ مَعَ عَلْقَمَةَ، وَالأَسْوَدِ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَبَابًا لاَ نَجِدُ شَيْئًا، فَقَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ، مَنِ اسْتَطَاعَ البَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭০১
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৬৭
২৬৪৯. বহুবিবাহ
৪৭০১। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) ......... আতা (রাহঃ) বলেন, আমরা ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর সঙ্গে ‘সারিফ’ নামক স্থানে রাসূল (ﷺ)-এর সহধর্মিনী মায়মুনা (রাযিঃ) এর জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, ইনি রাসূল (ﷺ)-এর সহধর্মিনী। সুতরাং যখন তোমরা তাঁর জানাযা উঠাবে তখন ধাক্কা-ধাক্কি এবং জোরে নাড়া-চাড়া করো না; বরং ধীরে ধীরে নিয়ে চলবে। কেননা, রাসূল (ﷺ) এর নয়জন বিবি ছিলেন। তিনি আট জনের সাথে পালাক্রমে রাত্রি যাপন করতেন। কিন্তু একজনের সাথে রাত্রি যাপনের পালা ছিল না।
باب كَثْرَةِ النِّسَاءِ
5067 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ أَخْبَرَهُمْ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، قَالَ: حَضَرْنَا مَعَ ابْنِ عَبَّاسٍ جِنَازَةَ مَيْمُونَةَ بِسَرِفَ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: هَذِهِ زَوْجَةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِذَا رَفَعْتُمْ نَعْشَهَا فَلاَ تُزَعْزِعُوهَا، وَلاَ تُزَلْزِلُوهَا، وَارْفُقُوا فَإِنَّهُ «كَانَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِسْعٌ، كَانَ يَقْسِمُ لِثَمَانٍ، وَلاَ يَقْسِمُ لِوَاحِدَةٍ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭০২
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৬৮
২৬৪৯. বহুবিবাহ
৪৭০২। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একই রাতে রাসূল (ﷺ) তাঁর সকল বিবির নিকট গমন করতেন এবং রাসূল (ﷺ)-এর নয়’জন স্ত্রী ছিল। অন্য সনদে “মুসাদ্দাদ” এর স্থলে খলীফা নাম উল্লেখ আছে।
باب كَثْرَةِ النِّسَاءِ
5068 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَطُوفُ عَلَى نِسَائِهِ فِي لَيْلَةٍ وَاحِدَةٍ، وَلَهُ تِسْعُ نِسْوَةٍ» ، وَقَالَ لِي خَلِيفَةُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ أَنَسًا حَدَّثَهُمْ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৬৯
২৬৪৯. বহুবিবাহ
৪৭০৩। আলী ইবনে হাকাম (রাহঃ) ......... সা‘ঈদ ইবনে জুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) আমাকে বললেন, তুমি শাদী করেছ? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, শাদী কর। কেননা, এই উম্মতের মধ্যে যিনি শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, তাঁর অধিক সংখ্যক বিবি ছিল।
باب كَثْرَةِ النِّسَاءِ
5069 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الحَكَمِ الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ رَقَبَةَ، عَنْ طَلْحَةَ اليَامِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: قَالَ لِي ابْنُ عَبَّاسٍ: هَلْ تَزَوَّجْتَ؟ قُلْتُ: لاَ، قَالَ: «فَتَزَوَّجْ فَإِنَّ خَيْرَ هَذِهِ الأُمَّةِ أَكْثَرُهَا نِسَاءً»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৭০
২৬৫০. যদি কেউ কোন নারীকে শাদী করার উদ্দেশ্যে হিজরত করে অথবা কোন সৎ কাজ করে তবে তার নিয়ত অনুসারে (ফল) পাবে।
৪৭০৪। ইয়াহয়া ইবনে কাযা’আ (রাহঃ) ......... উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহানবী (ﷺ) বলেছেন, নিয়তের ওপরেই কাজের ফলাফল নির্ভর করে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। সুতরাং যার হিজরত হবে আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের সন্তুষ্টির জন্য তার হিজরত আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের জন্যই। আর যার হিজরত পার্থিব স্বার্থের জন্য অথবা কোন মহিলাকে শাদী করার জন্য, সে তাই পাবে, যে উদ্দেশ্যে সে হিজরত করেছে।
باب مَنْ هَاجَرَ أَوْ عَمِلَ خَيْرًا لِتَزْوِيجِ امْرَأَةٍ فَلَهُ مَا نَوَى
5070 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ قَزَعَةَ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ [ص:4] مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الحَارِثِ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «العَمَلُ بِالنِّيَّةِ، وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ، فَهِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا، أَوِ امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا، فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ»
হাদীস নং: ৪৭০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৭১
২৬৫১. এমন দরিদ্র ব্যক্তির সাথে শাদী যিনি কুরআন ও ইসলাম সম্পর্কে অবহিত। সাহল ইবনে সা’দ মহানবী (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
৪৭০৫। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... ইবনে মাস‘উদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা মহানবী (ﷺ)-এর সাথে জিহাদে অংশ গ্রহণ করি। আমাদের সাথে আমাদের স্ত্রীগণ থাকত না। তাই আমরা বলেছিলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা কি খাসি হয়ে যাব? তিনি আমাদেরকে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ দিলেন।
بَابُ تَزْوِيجِ المُعْسِرِ الَّذِي مَعَهُ القُرْآنُ وَالإِسْلاَمُ فِيهِ سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
5071 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي قَيْسٌ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كُنَّا نَغْزُو مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ لَنَا نِسَاءٌ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلاَ نَسْتَخْصِي؟ «فَنَهَانَا عَنْ ذَلِكَ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৭২
২৬৫২. যদি কেউ তার (মুসলিম) ভাইকে বলে, আমার স্ত্রীগণের মধ্যে তুমি যাকে চাও আমি তোমার জন্য তাকে তালাক দেব। এ প্রসঙ্গে আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন।
৪৭০৬। মুহাম্মাদ ইবনে কাসীর (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) মদীনায় এলে মহানবী (ﷺ) তাঁর এবং সা’দ ইবনে রাবী আল আনসারী (রাযিঃ) এর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে দেন। এ আনসারীর দু’জন স্ত্রী ছিল। সা’দ (রাযিঃ) আব্দুর রহমান (রাযিঃ)-কে বললেন, আপনি আমার স্ত্রী এবং সম্পদের অর্ধেক নিন। তিনি উত্তর দিলেন, আল্লাহ আপনার স্ত্রী ও সম্পদের বরকত দিন। আপনি আমাকে বাজার দেখিয়ে দিন। এরপর তিনি বাজারে গিয়ে পনির ও মাখনের ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করলেন। কিছুদিন পরে রাসূল (ﷺ) তাঁর শরীরে হলুদ রং-এর ছিটা দেখতে পেলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, হে আব্দুর রহমান। তোমার কি হয়েছে? তিনি উত্তরে বললেন, আমি জনৈকা আনসারী রমণীকে শাদী করেছি। মহানবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি তাকে কত মোহর দিয়েছ। তিনি উত্তরে বললেন, একটি খেজুরের আটির সমপরিমাণ স্বর্ণ। মহানবী (ﷺ) বললেন, ওয়ালীমার (বিবাহ ভোজ) ব্যবস্থা কর, যদি একটি বকরি দিয়েও হয়।
باب قَوْلِ الرَّجُلِ لأَخِيهِ انْظُرْ أَىَّ زَوْجَتَىَّ شِئْتَ حَتَّى أَنْزِلَ لَكَ عَنْهَا رَوَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ
5072 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ: قَدِمَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ فَآخَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ الأَنْصَارِيِّ وَعِنْدَ الأَنْصَارِيِّ امْرَأَتَانِ، فَعَرَضَ عَلَيْهِ أَنْ يُنَاصِفَهُ أَهْلَهُ وَمَالَهُ، فَقَالَ: بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ، دُلُّونِي عَلَى السُّوقِ، فَأَتَى السُّوقَ فَرَبِحَ شَيْئًا مِنْ أَقِطٍ، وَشَيْئًا مِنْ سَمْنٍ، فَرَآهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ أَيَّامٍ وَعَلَيْهِ وَضَرٌ مِنْ صُفْرَةٍ، فَقَالَ: «مَهْيَمْ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ» ، فَقَالَ: تَزَوَّجْتُ أَنْصَارِيَّةً، قَالَ: «فَمَا سُقْتَ إِلَيْهَا؟» قَالَ: وَزْنَ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ، قَالَ: «أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ»
হাদীস নং: ৪৭০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৭৩
২৬৫৩. শাদী না করা এবং খাসি হয়ে যাওয়া অপছন্দনীয়।
৪৭০৭। আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) ......... সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহানবী (ﷺ) উসমান ইবনে মায‘উনকে শাদী থেকে বিরত থাকতে নিষেধ করেছেন। মহানবী (ﷺ) তাঁকে যদি অনুমতি দিতেন, তাহলে আমরাও খাসি হয়ে যেতাম।
باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّبَتُّلِ وَالْخِصَاءِ
5073 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ المُسَيِّبِ، يَقُولُ: سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، يَقُولُ: «رَدَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ التَّبَتُّلَ، وَلَوْ أَذِنَ لَهُ لاَخْتَصَيْنَا»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৭৪
২৬৫৩. শাদী না করা এবং খাসি হয়ে যাওয়া অপছন্দনীয়।
৪৭০৮। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহানবী (ﷺ) উসমান ইবনে মায‘উনকে শাদী থেকে বিরত থাকতে নিষেধ করেছেন। তিনি তাকে অনুমতি দিলে, আমরাও খাসি হয়ে যেতাম।
باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّبَتُّلِ وَالْخِصَاءِ
5074 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ المُسَيِّبِ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، يَقُولُ: لَقَدْ رَدَّ ذَلِكَ، يَعْنِي النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ، وَلَوْ أَجَازَ لَهُ التَّبَتُّلَ لاَخْتَصَيْنَا

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৭৫ - ৫০৭৬
২৬৫৩. শাদী না করা এবং খাসি হয়ে যাওয়া অপছন্দনীয়।
৪৭০৯। কুতায়বা ইবনে সা‘ঈদ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘উদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূল (ﷺ)-এর সাথে জিহাদে অংশ নিতাম; কিন্তু আমাদের কোন কিছু ছিল না। সুতরাং আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে বললাম, আমরা কী খাসি হয়ে যাব? তিনি আমাদেরকে খাসি হতে নিষেধ করলেন এবং কোন মহিলার সাথে একখানা কাপড়ের বিনিময়ে হলেও শাদী করার অনুমতি দিলেন এবং আমাদেরকে এই আয়াত পাঠ করে শোনালেনঃ হে মু’মিনগণ! আল্লাহ যে পবিত্র জিনিসগুলো তোমাদের জন্য হালাল করেছেন তোমরা তা হারাম করো না এবং সীমালংঘন করো না। আল্লাহ সীমালংঘনকারীদের পছন্দ করেন না।
আসবাগ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)-এর কাছে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি একজন যুবক। আমার ভয় হয় যে, আমার দ্বারা না জানি কোন গুনাহর কাজ সংঘটিত হয়ে যায়; অথচ আমার শাদী করার মতো পর্যাপ্ত সম্পদ নেই। এই কথা শুনে মহানবী (ﷺ) চুপ রইলেন। আমি আমার প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করলাম। তিনি চুপ রইলেন। আমি আবারও অনুরূপভাবে বললাম। তিনি চুপ থাকলেন। আবারও অনুরূপভাবে বললে তিনি উত্তর করলেন, হে আবু হুরায়রা! যা কিছু তোমার ভাগ্যে আছে, তা লেখার পর কলমের কালি শুকিয়ে গেছে। তুমি খাসি হও বা না হও, তাতে কিছু আসে যায় না। [১]
[১] খাসি হও বা না হও তোমার ভাগ্যে যা আছে, তা অবশ্যই ঘটবে। সুতরাং খাসি হওয়ার দরকার নেই।
আসবাগ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)-এর কাছে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি একজন যুবক। আমার ভয় হয় যে, আমার দ্বারা না জানি কোন গুনাহর কাজ সংঘটিত হয়ে যায়; অথচ আমার শাদী করার মতো পর্যাপ্ত সম্পদ নেই। এই কথা শুনে মহানবী (ﷺ) চুপ রইলেন। আমি আমার প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করলাম। তিনি চুপ রইলেন। আমি আবারও অনুরূপভাবে বললাম। তিনি চুপ থাকলেন। আবারও অনুরূপভাবে বললে তিনি উত্তর করলেন, হে আবু হুরায়রা! যা কিছু তোমার ভাগ্যে আছে, তা লেখার পর কলমের কালি শুকিয়ে গেছে। তুমি খাসি হও বা না হও, তাতে কিছু আসে যায় না। [১]
[১] খাসি হও বা না হও তোমার ভাগ্যে যা আছে, তা অবশ্যই ঘটবে। সুতরাং খাসি হওয়ার দরকার নেই।
باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّبَتُّلِ وَالْخِصَاءِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ كُنَّا نَغْزُو مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَيْسَ لَنَا شَىْءٌ فَقُلْنَا أَلاَ نَسْتَخْصِي فَنَهَانَا عَنْ ذَلِكَ ثُمَّ رَخَّصَ لَنَا أَنْ نَنْكِحَ الْمَرْأَةَ بِالثَّوْبِ، ثُمَّ قَرَأَ عَلَيْنَا (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تُحَرِّمُوا طَيِّبَاتِ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكُمْ وَلاَ تَعْتَدُوا إِنَّ اللَّهَ لاَ يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ).
وَقَالَ أَصْبَغُ أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَجُلٌ شَابٌّ وَأَنَا أَخَافُ عَلَى نَفْسِي الْعَنَتَ وَلاَ أَجِدُ مَا أَتَزَوَّجُ بِهِ النِّسَاءَ، فَسَكَتَ عَنِّي، ثُمَّ قُلْتُ مِثْلَ ذَلِكَ، فَسَكَتَ عَنِّي ثُمَّ قُلْتُ مِثْلَ ذَلِكَ، فَسَكَتَ عَنِّي ثُمَّ قُلْتُ مِثْلَ ذَلِكَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " يَا أَبَا هُرَيْرَةَ جَفَّ الْقَلَمُ بِمَا أَنْتَ لاَقٍ، فَاخْتَصِ عَلَى ذَلِكَ أَوْ ذَرْ ".
وَقَالَ أَصْبَغُ أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَجُلٌ شَابٌّ وَأَنَا أَخَافُ عَلَى نَفْسِي الْعَنَتَ وَلاَ أَجِدُ مَا أَتَزَوَّجُ بِهِ النِّسَاءَ، فَسَكَتَ عَنِّي، ثُمَّ قُلْتُ مِثْلَ ذَلِكَ، فَسَكَتَ عَنِّي ثُمَّ قُلْتُ مِثْلَ ذَلِكَ، فَسَكَتَ عَنِّي ثُمَّ قُلْتُ مِثْلَ ذَلِكَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " يَا أَبَا هُرَيْرَةَ جَفَّ الْقَلَمُ بِمَا أَنْتَ لاَقٍ، فَاخْتَصِ عَلَى ذَلِكَ أَوْ ذَرْ ".

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭১০
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৭৭
২৬৫৪. কুমারী মেয়ের শাদী সম্পর্কে।
ইবনে আবী মুলাইকা (রঃ) বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) আয়িশা (রাযিঃ)-কে বললেন, আপনাকে ছাড়া নবী (ﷺ) আর কোন কুমারী মেয়ে শাদী করেননি।
ইবনে আবী মুলাইকা (রঃ) বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) আয়িশা (রাযিঃ)-কে বললেন, আপনাকে ছাড়া নবী (ﷺ) আর কোন কুমারী মেয়ে শাদী করেননি।
৪৭১০। ইসমা‘ঈল ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! মনে করুন আপনি এমন একটি ময়দানে গিয়ে পৌঁছলেন, যেখানে একটি গাছের কিছু অংশ খাওয়া হয়ে গেছে। আর এমন কটি গাছ পেলেন, যার কিছুই খাওয়া হয়নি। এর মধ্যে কোন গাছের পাতা আপনার উটকে খাওয়াবেন। মহানবী (ﷺ) উত্তরে বললেন, যে গাছ থেকে কিছুই খাওয়া হয়নি। এ কথার দ্বারা আয়েশা (রাযিঃ) এর উদ্দেশ্য ছিল মহানবী (ﷺ) তাঁকে ছাড়া অন্য কোন কুমারীকে শাদী করেননি।
باب نِكَاحِ الأَبْكَارِ وَقَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لِعَائِشَةَ لَمْ يَنْكِحِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكْرًا غَيْرَكِ
5077 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرَأَيْتَ لَوْ نَزَلْتَ وَادِيًا وَفِيهِ شَجَرَةٌ قَدْ أُكِلَ مِنْهَا، وَوَجَدْتَ شَجَرًا لَمْ يُؤْكَلْ مِنْهَا، فِي أَيِّهَا كُنْتَ تُرْتِعُ بَعِيرَكَ؟ قَالَ: «فِي الَّذِي لَمْ يُرْتَعْ مِنْهَا» تَعْنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَتَزَوَّجْ بِكْرًا غَيْرَهَا

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭১১
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৭৮
২৬৫৪. কুমারী মেয়ের শাদী সম্পর্কে।
৪৭১১। উবাইদুল্লাহ্ ইবনে ইসমা‘ঈল (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, দু’বার করে আমাকে স্বপ্নযোগে তোমাকে দেখানো হয়েছে। এক ব্যক্তি রেশমী কাপড়ে জড়িয়ে তোমাকে নিয়ে যাচ্ছিল, আমাকে দেখে বলল, এই হচ্ছে তোমার স্ত্রী। তখন আমি পর্দা খুলে দেখি, সে তুমিই। তখন আমি বললাম, এ স্বপ্ন যদি আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে হয়, তবে তিনি বাস্তবে পরিণত করবেন।
باب نِكَاحِ الأَبْكَارِ
5078 - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أُرِيتُكِ فِي المَنَامِ مَرَّتَيْنِ، إِذَا رَجُلٌ يَحْمِلُكِ فِي سَرَقَةِ حَرِيرٍ، فَيَقُولُ: هَذِهِ امْرَأَتُكَ، فَأَكْشِفُهَا فَإِذَا هِيَ أَنْتِ، فَأَقُولُ: إِنْ يَكُنْ هَذَا مِنْ عِنْدِ اللَّهِ يُمْضِهِ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭১২
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৭৯
২৬৫৫. তালাকপ্রাপ্তা অথবা বিধবা রমণীকে শাদী করা (প্রসঙ্গে)।
উম্মে হাবীবা (রাযিঃ) বলেন, মহানবী (ﷺ) আমাকে বললেন, তোমাদের কন্যা বা বোনকে আমার সঙ্গে বিবাহের প্রস্তাব দিও না।
উম্মে হাবীবা (রাযিঃ) বলেন, মহানবী (ﷺ) আমাকে বললেন, তোমাদের কন্যা বা বোনকে আমার সঙ্গে বিবাহের প্রস্তাব দিও না।
৪৭১২। আবু নু’মান (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা মহানবী (ﷺ) এর সঙ্গে এক জিহাদ থেকে ফিরছিলাম। আমি আমার দুর্বল উটটি দ্রুত চালাতে চেষ্টা করছিলাম। এমন সময় কোন একজন আরোহী আমার পিছন থেকে এসে আমার উটটিকে ছড়ি দ্বারা খোঁচা দিলে উটটি দ্রুত চলতে লাগল। পিছনে ফিরে দেখি মহানবী (ﷺ)। তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন, জাবির, তোমার এত তাড়াতাড়ি করার কারণ কী? আমি উত্তর দিলাম, আমি নতুন শাদী করেছি। তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি কুমারী শাদী করেছ, না বিধবাকে? আমি উত্তর দিলাম বিধবাকে। তিনি বললেন, তুমি কেন কুমারী মেয়েকে শাদী করলে না? যার সাথে ক্রীড়া-কৌতুক করতে আর সেও তোমার সাথে খেল-তামাসা করত।
বর্ণনাকারী বলেন, যখন আমরা মদীনায় প্রবেশ করব এমন সময় মহানবী (ﷺ) আমাকে বললেন, তুমি অপেক্ষা কর এবং রাতে প্রবেশ কর, যেন তোমার মহিলাটি (স্ত্রী, যার স্বামী এতদিন কাছে ছিল না) নিজের অগোছালো কেশরাশি বিন্যাস করে নিতে পারে এবং ক্ষৌরকার্য করতে পারে।
বর্ণনাকারী বলেন, যখন আমরা মদীনায় প্রবেশ করব এমন সময় মহানবী (ﷺ) আমাকে বললেন, তুমি অপেক্ষা কর এবং রাতে প্রবেশ কর, যেন তোমার মহিলাটি (স্ত্রী, যার স্বামী এতদিন কাছে ছিল না) নিজের অগোছালো কেশরাশি বিন্যাস করে নিতে পারে এবং ক্ষৌরকার্য করতে পারে।
بَابُ تَزْوِيجِ الثَّيِّبَاتِ وَقَالَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ: قَالَ لِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ تَعْرِضْنَ عَلَيَّ بَنَاتِكُنَّ وَلاَ أَخَوَاتِكُنَّ»
5079 - حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا سَيَّارٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَفَلْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ غَزْوَةٍ، فَتَعَجَّلْتُ عَلَى بَعِيرٍ لِي قَطُوفٍ، فَلَحِقَنِي رَاكِبٌ مِنْ خَلْفِي، فَنَخَسَ بَعِيرِي بِعَنَزَةٍ كَانَتْ مَعَهُ، فَانْطَلَقَ بَعِيرِي كَأَجْوَدِ مَا أَنْتَ رَاءٍ مِنَ الإِبِلِ، فَإِذَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «مَا يُعْجِلُكَ» قُلْتُ: كُنْتُ حَدِيثَ عَهْدٍ بِعُرُسٍ، قَالَ: «أَبِكْرًا أَمْ ثَيِّبًا؟» ، قُلْتُ: ثَيِّبًا، قَالَ: «فَهَلَّا جَارِيَةً تُلاَعِبُهَا وَتُلاَعِبُكَ» ، قَالَ: فَلَمَّا ذَهَبْنَا لِنَدْخُلَ، قَالَ: «أَمْهِلُوا حَتَّى تَدْخُلُوا لَيْلًا - أَيْ عِشَاءً - لِكَيْ تَمْتَشِطَ الشَّعِثَةُ وَتَسْتَحِدَّ المُغِيبَةُ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৮০
২৬৫৫. তালাকপ্রাপ্তা অথবা বিধবা রমণীকে শাদী করা (প্রসঙ্গে)।
৪৭১৩। আদম (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শাদী করলে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কেমন মেয়ে শাদী করেছ? আমি বললাম, পূর্ব বিবাহিতা রমণীকে বিয়ে করেছি। তিনি বললেন, কুমারী মেয়ে এবং তাদের কৌতুকের প্রতি তোমার আগ্রহ নেই?
(রাবী বলেন) আমি এ ঘটনা আমর ইবনে দীনার (রাহঃ)-কে অবগত করালে তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, মহানবী (ﷺ) আমাকে বলেছেন, তুমি কেন কুমারী মেয়েকে শাদী করলে না, যাতে তুমি তার সাথে এবং সে তোমার সাথে ক্রীড়া-কৌতুক করতে পারত?
(রাবী বলেন) আমি এ ঘটনা আমর ইবনে দীনার (রাহঃ)-কে অবগত করালে তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, মহানবী (ﷺ) আমাকে বলেছেন, তুমি কেন কুমারী মেয়েকে শাদী করলে না, যাতে তুমি তার সাথে এবং সে তোমার সাথে ক্রীড়া-কৌতুক করতে পারত?
بَابُ تَزْوِيجِ الثَّيِّبَاتِ
5080 - حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا مُحَارِبٌ، قَالَ: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، يَقُولُ: تَزَوَّجْتُ، فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا تَزَوَّجْتَ؟» فَقُلْتُ: تَزَوَّجْتُ ثَيِّبًا، فَقَالَ: «مَا لَكَ وَلِلْعَذَارَى وَلِعَابِهَا» فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، فَقَالَ عَمْرٌو: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلَّا جَارِيَةً تُلاَعِبُهَا وَتُلاَعِبُكَ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৮১
২৬৫৬. বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে অল্প বয়স্কা মেয়ের শাদী
৪৭১৪। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... উরওয়া (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) আবু বকর (রাযিঃ) এর কাছে আয়িশা (রাযিঃ)-এর শাদীর পয়গাম দিলেন। আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আমি আপনার ভাই। নবী (ﷺ) বললেন, তুমি আমার আল্লাহর দ্বীনের এবং কিতাবের ভাই। তবে, সে আমার জন্য হালাল।
باب تَزْوِيجِ الصِّغَارِ مِنَ الْكِبَارِ
5081 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ، عَنْ عِرَاكٍ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ عَائِشَةَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ: إِنَّمَا أَنَا أَخُوكَ، فَقَالَ: «أَنْتَ أَخِي فِي دِينِ اللَّهِ وَكِتَابِهِ، وَهِيَ لِي حَلاَلٌ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৭১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৮২
২৬৫৭. কোন্ প্রকৃতির মেয়ে শাদী করা উচিত এবং কোন্ ধরনের মেয়ে উত্তম এবং নিজের ঔরসের জন্য কোন্ ধরনের মেয়ে পছন্দ করা মুস্তাহাব।
৪৭১৫। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন, মহানবী (ﷺ) বলেছেন, উষ্ট্রারোহী মহিলাদের মধ্যে কুরাইশ বংশীয় মহিলারা সর্বোত্তম। তারা শিশুদের প্রতি স্নেহশীলা এবং স্বামীর মর্যাদা রক্ষার্থে উত্তম হেফাজতকারিণী।
باب إِلَى مَنْ يَنْكِحُ وَأَىُّ النِّسَاءِ خَيْرٌ، وَمَا يُسْتَحَبُّ أَنْ يَتَخَيَّرَ لِنُطَفِهِ مِنْ غَيْرِ إِيجَابٍ
5082 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خَيْرُ نِسَاءٍ رَكِبْنَ الإِبِلَ صَالِحُ نِسَاءِ قُرَيْشٍ، أَحْنَاهُ عَلَى وَلَدٍ فِي صِغَرِهِ، وَأَرْعَاهُ عَلَى زَوْجٍ فِي ذَاتِ يَدِهِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৮৩
২৬৫৮. দাসী গ্রহণ এবং আপন দাসীকে মুক্ত করে শাদী করা
৪৭১৬। মুসা ইবনে ইসমা‘ঈল (রাহঃ) ......... আবু মুসা আশ’আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে আপন ক্রীতদাসীকে উত্তম শিক্ষা দান করে এবং শিষ্টচার শিক্ষা দেয়। এরপর তাকে মুক্ত করে শাদী করে, তার জন্য দ্বিগুণ সাওয়াব। ঐ আহলে কিতাব, যে তার নবীর ওপর ঈমান আনে এবং আমার ওপর ঈমান এনেছে, তার জন্য দ্বিগুণ সাওয়াব রয়েছে। আর ঐ গোলাম, যে তার প্রভুর হক আদায় করে এবং আল্লাহরও হক আদায় করে তার জন্য দ্বিগুণ সাওয়াব।
باب اتِّخَاذِ السَّرَارِيِّ وَمَنْ أَعْتَقَ جَارِيَتَهُ ثُمَّ تَزَوَّجَهَا
5083 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَاحِدِ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ صَالِحٍ الهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا الشَّعْبِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّمَا رَجُلٍ كَانَتْ عِنْدَهُ وَلِيدَةٌ، فَعَلَّمَهَا فَأَحْسَنَ تَعْلِيمَهَا، وَأَدَّبَهَا فَأَحْسَنَ تَأْدِيبَهَا، ثُمَّ أَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا فَلَهُ أَجْرَانِ، وَأَيُّمَا رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الكِتَابِ، آمَنَ بِنَبِيِّهِ وَآمَنَ بِي فَلَهُ أَجْرَانِ، وَأَيُّمَا مَمْلُوكٍ أَدَّى حَقَّ مَوَالِيهِ وَحَقَّ رَبِّهِ فَلَهُ أَجْرَانِ» قَالَ الشَّعْبِيُّ: خُذْهَا بِغَيْرِ شَيْءٍ، قَدْ كَانَ الرَّجُلُ يَرْحَلُ فِيمَا دُونَهَا إِلَى المَدِينَةِ وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَعْتَقَهَا ثُمَّ أَصْدَقَهَا»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: