আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫২- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪৬৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৪৩
২৬৩৭. সুস্পষ্ট ও ধীরে কুরআন তিলাওয়াত করা। এ সম্পর্কে আল্লাহর বাণীঃ কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরে ধীরে সুস্পষ্টভাবে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেনঃ আমি কুরআন নাযিল করেছি যাতে তুমি তা মানুষের নিকট পাঠ করতে পার ক্রমে ক্রমে।
কবিতা পাঠের মতো দ্রুতগতিতে কুরআন পাঠ করা অপছন্দনীয়। يُفْرَقُ অর্থ-ধীরে ধীরে বর্ণনা করা হয়।
ইবনে আব্বাস বলেছেন, فَرَقْنَاهُ অর্থ- আমি তাকে ধীরে ধীরে বর্ণনা করেছি।
৪৬৭৮। আবু নু’মান (রাহঃ) ......... আবু ওয়ায়িল (রাহঃ) সূত্রে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। আবু ওয়ায়িল (রাহঃ) বলেন, আমরা একদিন সকালে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর কাছে গেলাম। একজন লোক বলল, গতকাল সকালে আমি মুফাসসাল সূরা পাঠ করেছি। এ কথা শুনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, এত তাড়াতাড়ি পাঠ করা যেন কবিতা পাঠ করার মতো; অথচ আমরা রাসূল (ﷺ)-এর পাঠ শুনেছি এবং তা আমার ভালভাবে স্মরণ আছে। রাসূল (ﷺ) থেকে যে সমস্ত সূরা পাঠ করতে আমি শুনেছি, তার সংখ্যা মুফাসসাল হতে আঠারটি এবং আলিফ-লাম হামিম’ হতে দু’টি।
باب التَّرْتِيلِ فِي الْقِرَاءَةِ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلاً} وَقَوْلِهِ: {وَقُرْآنًا فَرَقْنَاهُ لِتَقْرَأَهُ عَلَى النَّاسِ عَلَى مُكْثٍ} وَمَا يُكْرَهُ أَنْ يُهَذَّ كَهَذِّ الشِّعْرِ. {يُفْرَقُ} يُفَصَّلُ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: {فَرَقْنَاهُ} فَصَّلْنَاهُ
5043 - حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا وَاصِلٌ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: غَدَوْنَا عَلَى عَبْدِ اللَّهِ، فَقَالَ رَجُلٌ: قَرَأْتُ المُفَصَّلَ البَارِحَةَ، فَقَالَ: «هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ إِنَّا قَدْ سَمِعْنَا القِرَاءَةَ، وَإِنِّي لَأَحْفَظُ القُرَنَاءَ الَّتِي كَانَ يَقْرَأُ بِهِنَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثَمَانِيَ عَشْرَةَ سُورَةً مِنَ المُفَصَّلِ، وَسُورَتَيْنِ مِنْ آلِ حم»
হাদীস নং: ৪৬৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৪৪
২৬৩৭. সুস্পষ্ট ও ধীরে কুরআন তিলাওয়াত করা।
৪৬৭৯। কুতায়বা ইবনে সা‘ঈদ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। আল্লাহর বাণীঃ “হে নবী! আপনার জিহ্বাকে তাড়াতাড়ি মুখস্ত করার জন্য নাড়াবেন না”। আল্লাহর এই কালাম সম্পর্কে তিনি বলেন, যখনই জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) ওহী নিয়ে রাসূল (ﷺ)-এর নিকট আসতেন, তখন রাসূল (ﷺ) খুব তাড়াতাড়ি জিহ্বা এবং ঠোঁট নাড়াতেন এবং এটা তার জন্য খুব কষ্টের ব্যাপার হত। আর এ অবস্থা সহজেই অন্য একজন অনুমান করতে পারত। সুতরাং এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা এই আয়াত নাযিল করেন। “আমি কিয়ামত দিবসের কসম করছি, হে নবী! তাড়াতাড়ি ওহী মুখস্থ করার জন্য আপনি আপনার জিহ্বা নাড়াবেন না। এ মুখস্থ করিয়ে দেয়া ও পাঠ করিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমারই। যখন আমি তা পাঠ করিতে থাকি, তখন আপনি সে পাঠকে মনোযোগ সহকারে শুনতে থাকুন। পরে এর অর্থ বুঝিয়ে দেয়াও আমার দায়িত্ব”। সুতরাং যখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) পাঠ করেন আপনি তার অনুসরণ করুন। এরপর থেকে যখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বলে যেতেন তখন রাসূল (ﷺ) তা নীরবে শুনতেন। যখন তিনি চলে যেতেন, আল্লাহর ওয়াদা অনুযায়ী তিনি তা পাঠ করতেন।
باب التَّرْتِيلِ فِي الْقِرَاءَةِ
5044 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فِي قَوْلِهِ: {لاَ تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ} [القيامة: 16] ، قَالَ: " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا نَزَلَ جِبْرِيلُ بِالوَحْيِ، وَكَانَ مِمَّا يُحَرِّكُ بِهِ لِسَانَهُ وَشَفَتَيْهِ، فَيَشْتَدُّ عَلَيْهِ، وَكَانَ يُعْرَفُ مِنْهُ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ الآيَةَ الَّتِي فِي: {لاَ أُقْسِمُ بِيَوْمِ القِيَامَةِ} [القيامة: 1] ، {لاَ تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ، إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ} [القيامة: 17] فَإِنَّ عَلَيْنَا أَنْ نَجْمَعَهُ فِي صَدْرِكَ {وَقُرْآنَهُ فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ} [القيامة: 17] فَإِذَا أَنْزَلْنَاهُ فَاسْتَمِعْ {ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ} [القيامة: 19] " قَالَ: «إِنَّ عَلَيْنَا أَنْ نُبَيِّنَهُ بِلِسَانِكَ» ، قَالَ: «وَكَانَ إِذَا أَتَاهُ جِبْرِيلُ أَطْرَقَ، فَإِذَا ذَهَبَ قَرَأَهُ كَمَا وَعَدَهُ اللَّهُ»