আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫২- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৪৬৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫০০৬
২৬২৩. সূরা ফাতিহার ফযীলত
৪৬৪৪। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু সা‘ঈদ ইবনে মু’আল্লা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নামাযরত ছিলাম। রাসূল (ﷺ) আমাকে ডাকলেন; কিন্তু আমি তাঁর ডাকে সাড়া দিলাম না। পরে আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি নামাযরত ছিলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা কি বলেননি, “হে মু’মিনগণ, আল্লাহ ও রাসূল যখন তোমাদেরকে আহবান করেন তখন আল্লাহ ও রাসূলের আহবানে সাড়া দাও [৮:২৪]”। তারপর তিনি বললেন, মসজিদ থেকে বের হওয়ার পূর্বে আমি কি তোমাকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সূরা শিক্ষা দেব না? তখণ তিনি আমার হাত ধরলেন। যখন আমরা মসজিদ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করলাম তখন আমি বললাম, ইয়া, রাসূলাল্লাহ! আপনি তো বলেছেন মসজিদ থেকে বের হওয়ার পূর্বে আমাকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সূরার কথা বলবেন। তিনি বললেন, তা হলঃ “আল-হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন”। এটা বারবার পাঠিত সাতটি আয়াত (সাব‘আ মাছানী) এবং কুরআন আজীম যা আমাকে দেয়া হয়েছে।
باب فَضْلِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ
5006 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنِي خُبَيْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ المُعَلَّى، قَالَ: كُنْتُ أُصَلِّي، فَدَعَانِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ أُجِبْهُ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ أُصَلِّي، قَالَ: " أَلَمْ يَقُلِ اللَّهُ: اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ؟ "، ثُمَّ قَالَ: «أَلاَ أُعَلِّمُكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ فِي القُرْآنِ قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ مِنَ المَسْجِدِ» ، فَأَخَذَ بِيَدِي، فَلَمَّا أَرَدْنَا أَنْ نَخْرُجَ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّكَ قُلْتَ: «لَأُعَلِّمَنَّكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ مِنَ القُرْآنِ» قَالَ: «الحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ العَالَمِينَ، هِيَ السَّبْعُ المَثَانِي، وَالقُرْآنُ العَظِيمُ الَّذِي أُوتِيتُهُ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৬৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫০০৭
২৬২৩. সূরা ফাতিহার ফযীলত
৪৬৪৫। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আবু সা‘ঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা সফরে চলছিলাম। (পথিমধ্যে) অবতরণ করলাম। তখন একটি বালিকা এসে বলল, এখানকার গোত্র প্রধানকে সাপে কেটেছে। আমাদের পুরুষগণ অনুপস্থিত। অতএব, আপনাদের মধ্যে এমন কেউ আছেন কি, যিনি ঝাড়-ফুঁক করতে পারেন? তখন আমাদের মধ্য থেকে একজন ঐ বালিকাটির সঙ্গে গেলেন। যদিও আমরা ভাবিনি যে সে ঝাড়-ফুঁক জানে। এরপর সে ঝাড়-ফুঁক করল এবং গোত্রপ্রধান সুস্থ হয়ে উঠল। এতে সর্দার খুশী হয়ে তাকে ত্রিশটি বকরী দান করলেন এবং আমাদের সকলকে দুধ পান করালেন। ফিরে আসার পথে আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি ভালভাবে ঝাড়-ফুঁক করতে জান (অথবা রাবীর সন্দেহ) তুমি কি ঝাড়-ফুঁক করতে পার?
সে উত্তর করল, না, আমি তো কেবল উম্মুল কিতাব- সূরা ফাতিহা দিয়েই ঝাড়-ফুঁক করেছি। আমরা তখন বললাম, যতক্ষণ না আমরা রাসূল (ﷺ) এর কাছে পৌঁছে তাঁকে জিজ্ঞাসা করি ততক্ষণ কেউ কিছু বলবে না। এরপর আমরা মদীনায় পৌছে রাসূল (ﷺ) এর কাছে ঘটনাটি তুলে ধরলাম। তিনি বললেন, সে কেমন করে জানল যে, তা (সূরা ফাতিহা) চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে? তোমরা নিজেদের মধ্যে এগুলো বন্টন করে নাও এবং আমার জন্যও একাংশ রাখো।
আবু মা’মার ......... আবু সা‘ঈদ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
সে উত্তর করল, না, আমি তো কেবল উম্মুল কিতাব- সূরা ফাতিহা দিয়েই ঝাড়-ফুঁক করেছি। আমরা তখন বললাম, যতক্ষণ না আমরা রাসূল (ﷺ) এর কাছে পৌঁছে তাঁকে জিজ্ঞাসা করি ততক্ষণ কেউ কিছু বলবে না। এরপর আমরা মদীনায় পৌছে রাসূল (ﷺ) এর কাছে ঘটনাটি তুলে ধরলাম। তিনি বললেন, সে কেমন করে জানল যে, তা (সূরা ফাতিহা) চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে? তোমরা নিজেদের মধ্যে এগুলো বন্টন করে নাও এবং আমার জন্যও একাংশ রাখো।
আবু মা’মার ......... আবু সা‘ঈদ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب فَضْلِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ
5007 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا وَهْبٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ مَعْبَدٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ، قَالَ: كُنَّا فِي مَسِيرٍ لَنَا فَنَزَلْنَا، فَجَاءَتْ جَارِيَةٌ، فَقَالَتْ: إِنَّ سَيِّدَ الحَيِّ سَلِيمٌ، وَإِنَّ نَفَرَنَا غَيْبٌ، فَهَلْ مِنْكُمْ رَاقٍ؟ فَقَامَ مَعَهَا رَجُلٌ مَا كُنَّا نَأْبُنُهُ بِرُقْيَةٍ، فَرَقَاهُ فَبَرَأَ، فَأَمَرَ لَهُ بِثَلاَثِينَ شَاةً، وَسَقَانَا لَبَنًا، فَلَمَّا رَجَعَ قُلْنَا لَهُ: أَكُنْتَ تُحْسِنُ رُقْيَةً - [ص:188] أَوْ كُنْتَ تَرْقِي؟ - قَالَ: لاَ، مَا رَقَيْتُ إِلَّا بِأُمِّ الكِتَابِ، قُلْنَا: لاَ تُحْدِثُوا شَيْئًا حَتَّى نَأْتِيَ - أَوْ نَسْأَلَ - النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا قَدِمْنَا المَدِينَةَ ذَكَرْنَاهُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «وَمَا كَانَ يُدْرِيهِ أَنَّهَا رُقْيَةٌ؟ اقْسِمُوا وَاضْرِبُوا لِي بِسَهْمٍ» وَقَالَ أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ، حَدَّثَنِي مَعْبَدُ بْنُ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ بِهَذَا

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: