আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৪৬১০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৭০
২৬১১. আল্লাহর বাণীঃ فسبح بحمد ربك واستغفره إنه كان توابا "অতঃপর তুমি তোমার প্রতিপালকের প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি তো তওবা কবুলকারী (১১০ঃ ৩) تَوَّابٌ মানে تَوَّابٌ عَلَى الْعِبَادِ বান্দাদের তওবা কবুলকারী। التَّوَّابُ مِنَ النَّاسِ ঐ ব্যক্তিকে বলা হয় যে গুনাহ থেকে তওবা করে।
৪৬১০। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর (রাযিঃ) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রবীণ সাহাবীদের সঙ্গে আমাকেও শামিল করতেন। এ কারণে কারো কারো মনে প্রশ্ন দেখা দিল। একজন বললেন, আপনি তাঁকে আমাদের সাথে কেন শামিল করছেন। আমাদের তো তাঁর মত সন্তানই রয়েছে। উমর (রাযিঃ) বললেন, এর কারণ তো আপনারাও জানেন। সুতরাং একদিন তিনি তাঁকে ডাকলেন এবং তাঁদের সাথে বসলেন। ইবনে আব্বাস (রাহঃ) বলেন, আমি বুঝতে পারলাম, আজকে তিনি আমাকে ডেকেছেন এজন্য যে, তিনি আমার প্রজ্ঞা তাঁদেরকে দেখাবেন। তিনি তাদেরকে বললেন। আল্লাহর বাণীঃ إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে আপনারা কি বলেন, তখন তাঁদের কেউ বললেন, আমরা সাহায্য প্রাপ্ত হলে এবং আমরা বিজয় লাভ করলে। এ আয়াতে আমাদেরকে আল্লাহর প্রশংসা এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আবার কেউ কিছু না বলে চুপ করে থাকলেন। এরপর তিনি আমাকে বললেন, হে ইবনে আব্বাস! তুমিও কি তাই বল? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তাহলে তুমি কি বলতে চাও? উত্তরে আমি বললাম, “এ আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রাসূল (ﷺ) কে তাঁর ইন্তিকালের সংবাদ জানিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসলে’ এটাই হবে তোমার মৃত্যুর আলামত। তখন তুমি তোমার প্রতিপালকের প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি তো তওবা কবুলকারী”। এ কথা শুনে উমর (রাযিঃ) বললেন, তুমি যা বলছ, এ আয়াতের ব্যাখ্যা আমিও তা-ই জানি।
باب قوله فسبح بحمد ربك واستغفره إنه كان توابا تواب على العباد والتواب من الناس التائب من الذنب
4970 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: كَانَ عُمَرُ يُدْخِلُنِي مَعَ أَشْيَاخِ بَدْرٍ فَكَأَنَّ بَعْضَهُمْ وَجَدَ فِي نَفْسِهِ، فَقَالَ: لِمَ تُدْخِلُ هَذَا مَعَنَا وَلَنَا أَبْنَاءٌ مِثْلُهُ، فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّهُ مَنْ قَدْ عَلِمْتُمْ، فَدَعَاهُ ذَاتَ يَوْمٍ فَأَدْخَلَهُ مَعَهُمْ، فَمَا رُئِيتُ أَنَّهُ دَعَانِي يَوْمَئِذٍ إِلَّا لِيُرِيَهُمْ، قَالَ: مَا تَقُولُونَ فِي قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالفَتْحُ} [النصر: 1] ؟ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: أُمِرْنَا أَنْ نَحْمَدَ اللَّهَ وَنَسْتَغْفِرَهُ إِذَا نُصِرْنَا، وَفُتِحَ عَلَيْنَا، وَسَكَتَ بَعْضُهُمْ فَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا، فَقَالَ لِي: أَكَذَاكَ تَقُولُ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ؟ فَقُلْتُ: لاَ، قَالَ: فَمَا تَقُولُ؟ قُلْتُ: «هُوَ أَجَلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْلَمَهُ لَهُ» ، قَالَ: {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالفَتْحُ} [النصر: 1] «وَذَلِكَ عَلاَمَةُ أَجَلِكَ» ، {فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا} [النصر: 3] ، فَقَالَ عُمَرُ: «مَا أَعْلَمُ مِنْهَا إِلَّا مَا تَقُولُ»