আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৪৫৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯২৯
২৫৮৮. আল্লাহর বাণীঃ فإذا قرأناه فاتبع قرآنه قال ابن عباس قرأناه "সুতরাং আমি যখন তা পাঠ করি তুমি সে পাঠের অনুসরণ কর" (৭৫ঃ ১৮)
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, قرأناه অর্থ আমি যখন তা বর্ণনা করি فاتبع অর্থ এ অনুযায়ী আমল কর।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, قرأناه অর্থ আমি যখন তা বর্ণনা করি فاتبع অর্থ এ অনুযায়ী আমল কর।
৪৫৬৮। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি আল্লাহর বাণীঃ لاَ تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ - এর ব্যাখ্যায় বলেন যে, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) যখন ওহী নিয়ে আসতেন তখন রাসুল (সা) তাঁর জিহ্বা ও ঠোঁট দুটো দ্রুত নাড়তেন। এটা তাঁর জন্য কষ্টকর হত এবং তাঁর চেহারা দেখেই বোঝা যেত। তাই আল্লাহ তাআলা لاَ تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ وَقُرْآنَهُ তাড়াতাড়ি ওহী আয়ত্ত করার জন্য তোমার জিহ্বা সঞ্চালন করবেন না। এ কুর’আন সংরক্ষণ ও পাঠ করিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমারই” নাযিল করলেন।[১] এতে আল্লাহ বলেছেনঃ এ কুরআনকে তোমার বক্ষে সংরক্ষণ করা ও পড়িয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমারই। সুতরাং আমি যখন তা পাঠ করি, তুমি সে পাঠের অনুসরণ কর, অর্থাৎ আমি যখন ওহী নাযিল করি তখন তুমি মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর। তারপর এর বিশদ ব্যাখ্যার দায়িত্ব আমারই অর্থাৎ তোমার মুখে তা বর্ণনা করার দায়িত্ব আমারই।
রাবী বলেন, এরপর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) চলে গেলে, আল্লাহর ওয়াদা ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ মুতাবিক তিনি তা পাঠ করতেন। أَوْلَى لَكَ فَأَوْلَى অর্থ দুর্ভোগ তোমার জন্য, দুর্ভোগ! تَوَعُّدٌ এ আয়াতে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে।
[১] শুরুতে ওহী নাযিল হওয়ার প্রাক্কালে জিবরাঈল (আ) কুরআনের আয়াত আবৃত্তি করতে থাকেন । রাসূলুল্লাহ (সা) সঙ্গে সঙ্গে আবৃত্তি করতেন, যাতে নাযিলকৃত আয়াত ভুলে না যান । এতে তাঁর অনেক কষ্ট হত।
রাবী বলেন, এরপর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) চলে গেলে, আল্লাহর ওয়াদা ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ মুতাবিক তিনি তা পাঠ করতেন। أَوْلَى لَكَ فَأَوْلَى অর্থ দুর্ভোগ তোমার জন্য, দুর্ভোগ! تَوَعُّدٌ এ আয়াতে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে।
[১] শুরুতে ওহী নাযিল হওয়ার প্রাক্কালে জিবরাঈল (আ) কুরআনের আয়াত আবৃত্তি করতে থাকেন । রাসূলুল্লাহ (সা) সঙ্গে সঙ্গে আবৃত্তি করতেন, যাতে নাযিলকৃত আয়াত ভুলে না যান । এতে তাঁর অনেক কষ্ট হত।
بَابُ قَوْلِهِ: {فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ} [القيامة: 18] قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: {قَرَأْنَاهُ} [القيامة: 18]: «بَيَّنَّاهُ»، {فَاتَّبِعْ} [القيامة: 18]: «اعْمَلْ بِهِ»
4929 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ: {لاَ تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ} [القيامة: 16] ، قَالَ: " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا نَزَلَ جِبْرِيلُ بِالوَحْيِ، وَكَانَ مِمَّا يُحَرِّكُ بِهِ لِسَانَهُ وَشَفَتَيْهِ فَيَشْتَدُّ عَلَيْهِ، وَكَانَ يُعْرَفُ مِنْهُ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ الآيَةَ الَّتِي فِي: لا أُقْسِمُ بِيَوْمِ القِيَامَةِ: {لاَ تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ، إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ وَقُرْآنَهُ} [القيامة: 17] قَالَ: عَلَيْنَا أَنْ نَجْمَعَهُ فِي صَدْرِكَ، {وَقُرْآنَهُ فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ} [القيامة: 17] : فَإِذَا أَنْزَلْنَاهُ فَاسْتَمِعْ، {ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ} [القيامة: 19] : عَلَيْنَا أَنْ نُبَيِّنَهُ بِلِسَانِكَ، قَالَ: فَكَانَ إِذَا أَتَاهُ جِبْرِيلُ أَطْرَقَ، فَإِذَا ذَهَبَ قَرَأَهُ كَمَا وَعَدَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ. {أَوْلَى لَكَ فَأَوْلَى} [القيامة: 34] تَوَعُّدٌ "

তাহকীক: