আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪৫৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯০৮
সূরা তাগাবুন
আলক্বামাহ (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর বাণীঃ وَمَنْ يُؤْمِنْ بِاللَّهِ يَهْدِ قَلْبَهُ ‘এবং যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে, তিনি তার অন্তরকে সুপথে পরিচালিত করেন।’’ (৬৪ঃ ১১)-
এর ব্যাখ্যায় বলেন যে, এর দ্বারা এমন লোককে বোঝানো হয়েছে, যে যখন বিপদগ্রস্ত হয় তখন আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থাকে এবং এ কথা মনে করে যে, এ বিপদ আল্লাহর পক্ষ হতেই এসেছে।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, التغابن অর্থ হলো জান্নাতী কর্তৃক জাহান্নামীদের ধোঁকায় ফেলা।

সূরা তালাক
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, إِنْ ارْتَبْتُمْ যদি তোমরা অবগত না থাক যে তারা ঋতুবতী হবে কি না, যারা ঋতু হতে অবসর গ্রহণ করেছে আর যাদের এখনও তা শুরু হয়নি, তাদের ‘ইদ্দত হলো তিন মাস। وبال أمرها অর্থ جزاء أمرها মানে তাদের কৃতকর্মের শাস্তি।
৪৫৪৮। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তাঁর ঋতুবতী স্ত্রীকে তালাক দেয়ার পর উমর (রাযিঃ) তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে উল্লেখ করলেন। এতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হলেন। এরপর তিনি বললেন, সে যেন তাকে ফিরিয়ে নেয়। এরপর পবিত্রাবস্থা না আসা পর্যন্ত তাকে নিজের কাছে রেখে দেয়। এরপর ঋতু এসে আবার পবিত্র হলে তখন যদি তালাক দেয়ার প্রয়োজন মনে করে, তাহলে পবিত্রাবস্থায় স্পর্শ করার পূর্বে সে যেন তাকে তালাক প্রদান করে। আল্লাহ যে ইদ্দত পালনের নির্দেশ দিয়েছেন, এটি সেই ইদ্দত।
سورة التغابن وقال علقمة: عن عبد الله، {ومن يؤمن بالله يهد قلبه} [التغابن: 11]: «هو الذي إذا أصابته مصيبة رضي وعرف أنها من الله» وقال مجاهد: " التغابن: غبن أهل الجنة أهل النار "

سورة الطلاق وقال مجاهد: {إن ارتبتم} [المائدة: 106]: " إن لم تعلموا: أتحيض أم لا تحيض فاللائي قعدن عن المحيض، واللائي لم يحضن بعد فعدتهن ثلاثة أشهر وبال أمرها جزاء أمرها "
4908 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَالِمٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَخْبَرَهُ: أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ، فَذَكَرَ عُمَرُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَتَغَيَّظَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: «لِيُرَاجِعْهَا، ثُمَّ يُمْسِكْهَا حَتَّى تَطْهُرَ، ثُمَّ تَحِيضَ فَتَطْهُرَ، فَإِنْ بَدَا لَهُ أَنْ يُطَلِّقَهَا فَلْيُطَلِّقْهَا طَاهِرًا قَبْلَ أَنْ يَمَسَّهَا، فَتِلْكَ العِدَّةُ كَمَا أَمَرَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ»