আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৪৫৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯০৫
২৫৬৯. আল্লাহর বাণীঃ سَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَسْتَغْفَرْتَ لَهُمْ أَمْ لَمْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ لَن يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ
"তুমি তাদের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থনা কর অথবা না কর, উভয়ই তাদের জন্য সমান। আল্লাহ তাদেরকে কখনও ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।" (৬৩ঃ ৬)
"তুমি তাদের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থনা কর অথবা না কর, উভয়ই তাদের জন্য সমান। আল্লাহ তাদেরকে কখনও ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।" (৬৩ঃ ৬)
৪৫৪৫। আলী (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক যুদ্ধে আমরা উপস্থিত ছিলাম। বর্ণনাকারী সুফিয়ান (রাহঃ) একবার غَزَاةٍ এর স্থলে جَيْشٍ বর্ণনা করেছেন। এ সময় জনৈক মুহাজির এক আনসারীর নিতম্বে আঘাত করলেন। তখন আনসারী “হে আনসারী ভাইগন! বলে সাহায্য প্রার্থনা করলেন এবং মুহাজির সাহাবী, ওহে মুহাজির ভাইগন! বলে সাহায্য প্রার্থনা করলেন। রাসূল(ﷺ) তা শুনে বললেন, কি খবর, আইয়্যামে জাহিলিয়্যাতের মত ডাকাডাকি করছ কেন? তখন উপস্থিত লোকেরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এক মুহাজির এক আনসারীর নিতম্বে আঘাত করেছে। তিনি বললেন, এরূপ ডাকাডাকি ছেড়ে দাও। এটা অত্যন্ত গন্ধময় কথা। এরপর ঘটনাটি আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইর কানে পৌঁছল। সে বলল, আচ্ছা মুহাজিররা কি এ কাজ করেছে? আল্লাহর কসম! আমরা মদীনায় প্রত্যাবর্তন করলে সেখান থেকে সবল লোকেরা দুর্বল লোকদেরকে বহিষ্কৃত করবেই। এ কথা নবী (ﷺ) এর কাছে পৌঁছল। তখন উমর (রাযিঃ) উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে অনুমতি দিন। আমি এখনই এ মুনাফিকের গর্দান উড়িয়ে দিচ্ছি। নবী (ﷺ) বললেন, তাকে ছেড়ে দাও। ভবিষ্যতে যেন কেউ এ কথা বলতে না পারে যে, মুহাম্মাদ(ﷺ) তাঁর সাথীদেরকে হত্যা করেন। মুহাজিররা যখন মদীনায় হিজরত করে আসেন, তখন মুহাজিরদের তুলনায় আনসাররা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন। অবশ্য পরে মুহাজিররা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যান।
সুফিয়ান (রাহঃ) ......... বলেন, এ হাদীসটি আমি আমর (রাহঃ) থেকে মুখস্ত করেছি। আমর (রাহঃ) বলেন, আমি জাবির (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি, আমরা নবী (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলম।
সুফিয়ান (রাহঃ) ......... বলেন, এ হাদীসটি আমি আমর (রাহঃ) থেকে মুখস্ত করেছি। আমর (রাহঃ) বলেন, আমি জাবির (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি, আমরা নবী (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলম।
بَابُ قَوْلِهِ: {سَوَاءٌ عَلَيْهِمْ [ص:154] أَسْتَغْفَرْتَ لَهُمْ أَمْ لَمْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ، لَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ، إِنَّ اللَّهَ لاَ يَهْدِي القَوْمَ الفَاسِقِينَ} [المنافقون: 6]
4905 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ عَمْرٌو: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كُنَّا فِي غَزَاةٍ - قَالَ سُفْيَانُ: مَرَّةً فِي جَيْشٍ - فَكَسَعَ رَجُلٌ مِنَ المُهَاجِرِينَ، رَجُلًا مِنَ الأَنْصَارِ، فَقَالَ الأَنْصَارِيُّ: يَا لَلْأَنْصَارِ، وَقَالَ المُهَاجِرِيُّ: يَا لَلْمُهَاجِرِينَ، فَسَمِعَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «مَا بَالُ دَعْوَى الجَاهِلِيَّةِ» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَسَعَ رَجُلٌ مِنَ المُهَاجِرِينَ رَجُلًا مِنَ الأَنْصَارِ، فَقَالَ: «دَعُوهَا فَإِنَّهَا مُنْتِنَةٌ» فَسَمِعَ بِذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ، فَقَالَ: فَعَلُوهَا، أَمَا وَاللَّهِ لَئِنْ رَجَعْنَا إِلَى المَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ، فَبَلَغَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَامَ عُمَرُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ: دَعْنِي أَضْرِبْ عُنُقَ هَذَا المُنَافِقِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعْهُ، لاَ يَتَحَدَّثُ النَّاسُ أَنَّ مُحَمَّدًا يَقْتُلُ أَصْحَابَهُ» وَكَانَتِ الأَنْصَارُ أَكْثَرَ مِنَ المُهَاجِرِينَ حِينَ قَدِمُوا المَدِينَةَ، ثُمَّ إِنَّ المُهَاجِرِينَ كَثُرُوا بَعْدُ، قَالَ سُفْيَانُ: فَحَفِظْتُهُ مِنْ عَمْرٍو، قَالَ عَمْرٌو: سَمِعْتُ جَابِرًا: كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক: