আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪৫১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৭৮
সূরা আর-রহমান
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, উভয়ের আবর্তন চাকার আবর্তনের অনুরূপ। অন্যরা বলেন, وَأَقِيْمُوا الْوَزْنَ এর মাঝে বর্ণিত الْوَزْنَ এর অর্থ হচ্ছে পাল্লার ডাণ্ডি। وَالْعَصْفُ অর্থ ঘাস, ফসল পাকার পূর্বে যে চারাগুলোকে কেটে ফেলা হয় তাদেরকেই اَلْعَصْفُ বলা হয়। الرَّيْحَانُ অর্থ শস্যের পাতা এবং যমীন থেকে উৎপাদিত দানা যা ভক্ষণ করা হয় আরবী ভাষায় রিযকের অর্থে ব্যবহৃত হয়। কারো মতে, الْعَصْفُ খাওয়ার উপযোগী দানা এবং الرَّيْحَانُ অর্থ খাওয়ার অনুপযোগী পাকা দানা।
মুজাহিদ ব্যতীত অন্যান্য মুফাসসির বলেছেন, اَلْعَصْفُ অর্থ গমের পাতা।
দাহ্হাক (রাহঃ) বলেন, اَلْعَصْفُ মানে ভূষি।
আবু মালিক (রাহঃ) বলেন, সর্বপ্রথম যা উৎপন্ন হয় তাকে اَلْعَصْفُ বলা হয়। হাবশী ভাষায় তাকে هَبُوْرًا (হাবুর) বলা হয়।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, اَلْعَصْفُ অর্থ গমের পাতা। الرَّيْحَانُ অর্থ খাদ্য। الْمَارِجُ অর্থ হলুদ এবং সবুজ বর্ণের অগ্নিশিখা; যা আগুনের উপরিভাগে পরিদৃষ্ট হয় যখন তা প্রজ্জ্বলিত করা হয়।
মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে কোন কোন মুফাসসির বলেন, رَبُّ الْمَشْرِقَيْنِ এর الْمَشْرِقَيْنِ সূর্যের শীতকালীন উদয়স্থাল ও গ্রীষ্মকালীন উদয়াচল। অনুরূপভাবে رَبُّ الْمَغْرِبَيْنِ এর الْمَغْرِبَيْنِ অর্থ শীত ও গ্রীস্মকালে সূর্যের দুই অন্তস্থল।
لَا يَبْغِيَانِ অর্থ তারা মিলিত হয় না। الْمُنْشَاٰتُ অর্থ নদীতে পাল তোলা নৌকা। আর যে নৌকার পাল তোলা হয়নি তাকে مُنْشَأَةٍ বলা হয় না।
মুজাহিদ বলেন, كَالفَخَّارِ যেভাবে মৃত্তিকাপাত্র তৈরি করা হয়। الشُّوَاظُ অর্থ অগ্নি শিখা। نُحَاسٌ অর্থ পিতল, যা তাদের মাথার উপর ঢালা হবে এবং এর দ্বারা তাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে। خَافَ مَقَامَ رَبِّهٰ অর্থ হচ্ছে, সে গুনাহ্ করার ইচ্ছে করে; কিন্তু তার আল্লাহর কথা স্মরণ পড়ে যায়। অবশেষে সে গুনাহ্ করার ইচ্ছা বর্জন করে ফেলে। مُدْهَآمَّتَانِ অর্থ দেখতে কালো হবে সজীবতার কারণে। صَلْصَالٍ অর্থ মাটি বালির সাথে মিশে পোড়ামাটির মত ঝনঝন করে। বলা হয় صَلْصَالٍ অর্থ مُنْتِنٌ মানে দুর্গন্ধময়। শব্দটির মূল ছিল صَلَّ। صَلْصَالٍ বলা হয় যেমন صَرَّالْبَابُ বলা হয় এবং صَرَّصَرَّ الْبَابُ ও বলা হয়। (অর্থাৎ مضاعف رباعى থেকে مضاعف ثلاثى এর উৎপত্তি)। যেমন كَبْكَبْتُه ব্যবহার করা হয়। যার মূল فَاكِهَةٌ وَّنَخْلٌ وَّرُمَّانٌ অর্থ ফলমূল, খেজুর ও আনার।
কারো মতে খেজুর ও আনার ফল নয়; কিন্তু আরবীয় লোকেরা এগুলোকেও ফল বলে গণ্য করে। খেজুর ও আনার ফলমূলের মধ্যে শামিল থাকা সত্ত্বেও উপরোক্ত আয়াতে ফলমূলের কথা উল্লেখ করে এরপর খেজুর ও আনারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন حَافِظُوْا عَلَى الصَّلَوٰتِ এর মাঝে সকল নামাযের প্রতি যত্নবান হবার নির্দেশ প্রদান করতঃ পরে আবার বিশেষভাবে আসরের নামাযের প্রতি বিশেষ যত্নবান হবার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যেমনভাবে أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللهَ يَسْجُدُ لَه مَنْ فِي السَّمَوٰتِ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ্কে সিজদা করে যা কিছু আছে আকাশমন্ডলীতে ও পৃথিবীতে....। (সূরাহ হজ্জ ২২ঃ২৮)-এর মধ্যে সকল মানুষ অন্তর্ভুক্ত থাকা সত্ত্বেও وَكَثِيْرٌ مِّنَ النَّاسِ وَكَثِيْرٌ حَقَّ عَلَيْهِ الْعَذَابُ আয়াতাংশটি পরে উল্লেখ করা হয়েছে (সুতরাং খেজুর ও আনারকে ফলমূল বহির্ভূত বলা ঠিক নয়)।
মুজাহিদ (রাহঃ) ছাড়া অন্যান্য মুফাসসির বলেন, أَفْنَانٍ অর্থ ডালসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই উদ্যানের ফল হবে তাদের নিকটবর্তী- (সূরাহ আর্ রহমান ৫৫ঃ৫৪)। উভয় উদ্যানের ফল যা পাড়া হবে তা খুবই নিকটবর্তী হবে।
হাসান (রাহঃ) বলেন, فَبِأَيِّاٰلَآءِ মানে আল্লাহর কোন অনুগ্রহকে?
ক্বাতাদাহ (রাহঃ) বলেন, মানব এবং দানব জাতিকে বোঝাবার জন্য رَبِّكُمَا দ্বি-বচনের صيغه ব্যবহার করা হয়েছে।
আবুদ্ দারদা (রাযিঃ) বলেন, كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِيْ شَأْنٍ (তিনি প্রত্যহ গুরুত্বপূর্ণ কার্যরত)-এর ভাবার্থ হচ্ছে, প্রত্যহ তিনি মানুষের গুনাহ মাফ করেন, বিপদ বিদূরিত করেন, এক সম্প্রদায়কে সুউচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন এবং অপর সম্প্রদায়ের অবনতি ঘটান।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, بَرْزَخٌ অর্থ অন্তরাল। الْأَنَامُ অর্থ সৃষ্ট জীব। نَضَّاخَتَانِ মানে খায়র ও বরকতে উচ্ছলিত। ذُو الْجَلَالِ অর্থ মহিমাময়।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) ব্যতীত অন্যান্য মুফাসসির বলেছেন, مَارِجُ অর্থ নির্ধূম অগ্নিশিখা। রাজা প্রজাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দেয়ার পর তারা যখন পরস্পর পরস্পরের প্রতি অবাধে অত্যাচার করতে আরম্ভ করে তখন বলা হয়, اَلَامِيْرُ مَرَجَ الَامِيْرُ- رِعَيَّتَه مَرَجَ اَمْرُ النَّاسِ অর্থ মানুষের বিষয়টি গোলমেলে হয়ে পড়েছে।
مَرِيْجٍ মানে দোদুল্যমান। مَرَجَ الْبَحْرَيْنٍ অর্থ দুই সমুদ্র পরস্পর মিলিত হয়ে গিয়েছে। مَرَجْتَ دَابَّتَكَ এর উৎপত্তি অর্থাৎ তুমি ছেড়ে দিয়েছ। سَنَفْرُغُ لَكُمْ অর্থ অচিরেই আমি তোমাদের বিচারকার্য গ্রহণ করব, কারণ কোন অবস্থা আল্লাহ্ তাআলাকে অন্য অবস্থা হতে গাফিল করতে পারে না। এ ধরনের ব্যবহার-বিধি আরবী ভাষায় সুপ্রসিদ্ধ। যেমন বলা হয়, لَا تَفَرَّ غَنَّ لَكَ অথচ তার কোন ব্যস্ততা নেই (বরং এ ধরনের কথা ধমক-স্বরূপ বলা হয়ে থাকে)। এ বাক্যের মাধ্যমে বক্তা শ্রোতাকে এ কথাই বোঝাতে চায় যে, অবশ্যই আমি তোমাকে তোমার এ গাফলতের মজা আস্বাদন করাব।
৪৫১৮। আব্দুল্লাহ ইবনে আবুল আসওয়াদ (রাহঃ) ......... কায়স (রাহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল (ﷺ) বলেছেন, (জান্নাতের মধ্যে) দুটি উদ্যান থাকবে। এই দুটির সকল পাত্র এবং এর অভ্যন্তরের সকল বস্তু রৌপ্য নির্মিত হবে এবং (জান্নাতে) আরো দুটি উদ্যান থাকবে। এই দুটির সকল পাত্র এবং এর অভ্যন্তরের সকল বস্তু সোনার তৈরী হবে। জান্নাতে-আদনের মধ্যে জান্নাতী লোকেরা তাদের প্রতিপালকের দর্শন লাভ করবে।
এ জান্নাতবাসী এবং তাদের প্রতিপালকের এ দর্শনের মাঝে আল্লাহর সত্তার উপর জড়ানো তাঁর বড়ত্বের চাদর ব্যতীত আর কোনো বস্তু বাধা থাকবে না।
سُورَةُ الرَّحْمَنِ وَقَالَ مُجَاهِدٌ: {بِحُسْبَانٍ} [الرحمن: 5]: «كَحُسْبَانِ الرَّحَى» وَقَالَ غَيْرُهُ: {وَأَقِيمُوا الوَزْنَ} [الرحمن: 9]: " يُرِيدُ لِسَانَ المِيزَانِ، وَالعَصْفُ: بَقْلُ الزَّرْعِ إِذَا قُطِعَ مِنْهُ شَيْءٌ قَبْلَ أَنْ يُدْرِكَ فَذَلِكَ العَصْفُ "، {وَالرَّيْحَانُ} [الرحمن: 12]: «رِزْقُهُ»، {وَالحَبُّ} [الرحمن: 12]: " الَّذِي يُؤْكَلُ مِنْهُ، وَالرَّيْحَانُ فِي كَلاَمِ العَرَبِ الرِّزْقُ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: وَالعَصْفُ يُرِيدُ: المَأْكُولَ مِنَ الحَبِّ، وَالرَّيْحَانُ: النَّضِيجُ الَّذِي لَمْ يُؤْكَلْ " وَقَالَ غَيْرُهُ: «العَصْفُ وَرَقُ الحِنْطَةِ» وَقَالَ الضَّحَّاكُ: " العَصْفُ: التِّبْنُ " وَقَالَ أَبُو مَالِكٍ: " العَصْفُ أَوَّلُ مَا يَنْبُتُ، تُسَمِّيهِ النَّبَطُ: هَبُورًا " وَقَالَ مُجَاهِدٌ: " العَصْفُ وَرَقُ الحِنْطَةِ، وَالرَّيْحَانُ: الرِّزْقُ، وَالمَارِجُ: اللَّهَبُ الأَصْفَرُ وَالأَخْضَرُ الَّذِي يَعْلُو النَّارَ إِذَا أُوقِدَتْ " وَقَالَ بَعْضُهُمْ: عَنْ مُجَاهِدٍ، {رَبُّ المَشْرِقَيْنِ} [الرحمن: 17]: " لِلشَّمْسِ: فِي الشِّتَاءِ مَشْرِقٌ، وَمَشْرِقٌ فِي الصَّيْفِ "، {وَرَبُّ المَغْرِبَيْنِ} [الرحمن: 17]: «مَغْرِبُهَا فِي الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ»، {لاَ يَبْغِيَانِ} [الرحمن: 20]: «لاَ يَخْتَلِطَانِ»، {المُنْشَآتُ} [الرحمن: 24]: «مَا رُفِعَ قِلْعُهُ مِنَ السُّفُنِ، فَأَمَّا مَا لَمْ يُرْفَعْ قَلْعُهُ فَلَيْسَ بِمُنْشَأَةٍ» وَقَالَ مُجَاهِدٌ: {كَالفَخَّارِ} [الرحمن: 14]: " كَمَا يُصْنَعُ الفَخَّارُ، الشُّوَاظُ: لَهَبٌ مِنْ نَارٍ "، {وَنُحَاسٌ} [الرحمن: 35]: «النُّحَاسُ الصُّفْرُ يُصَبُّ عَلَى رُءُوسِهِمْ، فَيُعَذَّبُونَ بِهِ»، {خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ} [الرحمن: 46]: «يَهُمُّ بِالْمَعْصِيَةِ فَيَذْكُرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فَيَتْرُكُهَا»، {مُدْهَامَّتَانِ} [الرحمن: 64]: «سَوْدَاوَانِ مِنَ الرِّيِّ»، {صَلْصَالٍ} [الحجر: 26]: " طِينٌ خُلِطَ بِرَمْلٍ فَصَلْصَلَ كَمَا يُصَلْصِلُ الفَخَّارُ، وَيُقَالُ: مُنْتِنٌ، يُرِيدُونَ بِهِ: صَلَّ، يُقَالُ: صَلْصَالٌ كَمَا يُقَالُ: صَرَّ البَابُ عِنْدَ الإِغْلاَقِ وَصَرْصَرَ، مِثْلُ: كَبْكَبْتُهُ يَعْنِي كَبَبْتُهُ "، {فَاكِهَةٌ وَنَخْلٌ وَرُمَّانٌ} [الرحمن: 68]: " وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَيْسَ الرُّمَّانُ وَالنَّخْلُ بِالفَاكِهَةِ، وَأَمَّا العَرَبُ فَإِنَّهَا تَعُدُّهَا فَاكِهَةً "، كَقَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ: {حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ [ص:145] وَالصَّلاَةِ الوُسْطَى} [البقرة: 238]: " فَأَمَرَهُمْ بِالْمُحَافَظَةِ عَلَى كُلِّ الصَّلَوَاتِ، ثُمَّ أَعَادَ العَصْرَ تَشْدِيدًا لَهَا، كَمَا أُعِيدَ النَّخْلُ وَالرُّمَّانُ، وَمِثْلُهَا: {أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يَسْجُدُ لَهُ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَمَنْ فِي الأَرْضِ} ثُمَّ قَالَ: {وَكَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ، وَكَثِيرٌ حَقَّ عَلَيْهِ العَذَابُ} [الحج: 18] وَقَدْ ذَكَرَهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي أَوَّلِ قَوْلِهِ: {مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَمَنْ فِي الأَرْضِ} " وَقَالَ غَيْرُهُ: {أَفْنَانٍ} [الرحمن: 48]: «أَغْصَانٍ»، {وَجَنَى الجَنَّتَيْنِ دَانٍ} [الرحمن: 54]: «مَا يُجْتَنَى قَرِيبٌ» وَقَالَ الحَسَنُ: {فَبِأَيِّ آلاَءِ} [النجم: 55]: «نِعَمِهِ» وَقَالَ قَتَادَةُ: {رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ} [الرحمن: 13]: «يَعْنِي الجِنَّ وَالإِنْسَ» وَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ: {كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِي شَأْنٍ} [الرحمن: 29]: «يَغْفِرُ ذَنْبًا، وَيَكْشِفُ كَرْبًا، وَيَرْفَعُ قَوْمًا، وَيَضَعُ آخَرِينَ» وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: {بَرْزَخٌ} [المؤمنون: 100]: " حَاجِزٌ الأَنَامُ: الخَلْقُ "، {نَضَّاخَتَانِ} [الرحمن: 66]: «فَيَّاضَتَانِ»، {ذُو الجَلاَلِ} [الرحمن: 27]: «ذُو العَظَمَةِ» وَقَالَ غَيْرُهُ: {مَارِجٌ} [الرحمن: 15]: " خَالِصٌ مِنَ النَّارِ، يُقَالُ: مَرَجَ الأَمِيرُ رَعِيَّتَهُ إِذَا خَلَّاهُمْ يَعْدُو بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ، وَيُقَالُ: مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ " {مَرِيجٍ} [ق: 5]: «مُلْتَبِسٌ»، {مَرَجَ البَحْرَيْنِ} [الفرقان: 53]: «اخْتَلَطَ البَحْرَانِ مِنْ مَرَجْتَ دَابَّتَكَ تَرَكْتَهَا»، {سَنَفْرُغُ لَكُمْ} [الرحمن: 31]: " سَنُحَاسِبُكُمْ، لاَ يَشْغَلُهُ شَيْءٌ عَنْ شَيْءٍ، وَهُوَ مَعْرُوفٌ فِي كَلاَمِ العَرَبِ، يُقَالُ: لَأَتَفَرَّغَنَّ لَكَ، وَمَا بِهِ شُغْلٌ، يَقُولُ: لَآخُذَنَّكَ عَلَى غِرَّتِكَ "
4878 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ العَمِّيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الجَوْنِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «جَنَّتَانِ مِنْ فِضَّةٍ، آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا، وَجَنَّتَانِ مِنْ ذَهَبٍ، آنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا، وَمَا بَيْنَ القَوْمِ وَبَيْنَ أَنْ يَنْظُرُوا إِلَى رَبِّهِمْ إِلَّا رِدَاءُ الكِبْرِ، عَلَى وَجْهِهِ فِي جَنَّةِ عَدْنٍ»
tahqiq

তাহকীক: