আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪৪৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৫৫
সূরা নাজম

মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, ذُوْ مِرَّةٍ শক্তিসম্পন্ন। قَابَ قَوْسَيْنِ অর্থ দুই ধনুকের ছিলার পরিমাণ। ضِيْزَىْ বক্রতা وَأَكْدٰى সে তাঁর দান বন্ধ করে দেয়। رَبُّ الشِّعْرٰى জওযারাশীর মিরজাম নক্ষত্র। الَّذِيْ وَفّٰى সে তাঁর প্রতি অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছে। أَزِفَتْ الْاٰزِفَةُ কিয়ামত আসন্ন। سَامِدُوْنَ দ্বারা بَرْطَمَةُ নামক খেলাধুলা বোঝানো হয়েছে।
ইকরিমা বলেন, হিমইয়ারিয়্যাহ ভাষায় গান গাওয়াকে سَامِدُوْنَ বলা হয়।
ইবরাহীম (রাহঃ) বলেন, أَفَتُمَارُونَهُ তোমরা কি তাঁর সঙ্গে বিতর্ক করবে? যারা এ শব্দটিকে أَفَتَمْرُونَهُ পড়েন, তাদের কিরাআত অনুসারে এর অর্থ হবে أَفَتَجْحَدُوْنَه তোমরা কি তার কথাকে অস্বীকার করবে? مَا زَاغَ الْبَصَرُ (মুহাম্মাদ (ﷺ) এর) দৃষ্টি বিভ্রম হয়নি। وَمَاطَغٰى এবং তাঁর দৃষ্টি লক্ষ্যচ্যুতও হয়নি। فَتَمَارَوْا অর্থ তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করল।
হাসান (রাহঃ) বলেন, إِذَاهَوٰى অর্থ যখন সে অদৃশ্য হয়ে গেল।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, أَغْنٰى وَأَقْنٰى তিনি দান করলেন এবং খুশী করে দিলেন।
৪৪৯৫। ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... মাসরূক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আম্মাজান! মুহাম্মাদ (ﷺ) কি তাঁর রবকে দেখেছিলেন? তিনি বললেন, তোমার কথায় আমার গায়ের পশম কাঁটা দিয়ে খাড়া হয়ে গেছে। তিনটি কথা সম্পর্কে তুমি কি অবগত নও? যে তোমাকে এ তিনটি কথা বলবে সে মিথ্যা বলবে। যদি কেউ তোমাকে বলে যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর প্রতিপালককে দেখেছেন, তাহলে সে মিথ্যাবাদী। তারপর তিনি পাঠ করলেন, তিনি দৃষ্টির অধিগম্য নন কিন্তু দৃষ্টিশক্তি তাঁর অধিগত; এবং তিনিই সূক্ষদর্শী, সম্যক পরিজ্ঞাত। “মানুষের এমন মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ্ তাঁর সাথে কথা বলবেন, ওহীর মাধ্যম ছাড়া অথবা পর্দার অন্তরাল ব্যতিরেকে”। আর যে ব্যক্তি তোমাকে বলবে যে, আগামীকাল কি হবে সে তা জানে, তাহলে সে মিথ্যাবাদী। তারপর তিনি তিলওয়াত করলেন, “কেউ জানেনা আগামীকাল সে কি অর্জন করবে।” এবং তোমাকে যে বলবে যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) কোন কথা গোপন রেখেছেন, তাহলেও সে মিথ্যাবাদী। এরপর তিনি পাঠ করলেন, “হে রাসূল! তোমার প্রতিপালকের কাছ থেকে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা প্রচার কর।” হ্যাঁ, তবে রাসূল (ﷺ) জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) কে তাঁর নিজস্ব আকৃতিতে দু’বার দেখেছেন।
سورة النجم وقال مجاهد: {ذو مرة} [النجم: 6]: «ذو قوة»، {قاب قوسين} [النجم: 9]: «حيث الوتر من القوس»، {ضيزى} [النجم: 22]: «عوجاء»، {وأكدى} [النجم: 34]: «قطع عطاءه»، {رب الشعرى} [النجم: 49]: «هو مرزم الجوزاء»، {الذي وفى} [النجم: 37]: «وفى ما فرض عليه»، {أزفت الآزفة} [النجم: 57]: «اقتربت الساعة»، {سامدون} [النجم: 61]: «البرطمة» وقال عكرمة: «يتغنون، بالحميرية» وقال إبراهيم: {أفتمارونه} [النجم: 12]: " أفتجادلونه، ومن قرأ: (أفتمرونه): يعني أفتجحدونه " وقال: {ما زاغ البصر} [النجم: 17]: «بصر محمد صلى الله عليه وسلم»، {وما طغى} [النجم: 17]: «وما جاوز ما رأى»، {فتماروا} [القمر: 36]: «كذبوا» وقال الحسن: {إذا هوى} [النجم: 1]: «غاب» وقال ابن عباس: {أغنى وأقنى} [النجم: 48]: «أعطى فأرض»
4855 - حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ: قُلْتُ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: يَا أُمَّتَاهْ هَلْ رَأَى مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ؟ فَقَالَتْ: لَقَدْ قَفَّ شَعَرِي مِمَّا قُلْتَ، أَيْنَ أَنْتَ مِنْ ثَلاَثٍ، مَنْ حَدَّثَكَهُنَّ فَقَدْ كَذَبَ [ص:141]: مَنْ حَدَّثَكَ أَنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى رَبَّهُ فَقَدْ كَذَبَ، ثُمَّ قَرَأَتْ: {لاَ تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الأَبْصَارَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الخَبِيرُ} [الأنعام: 103] ، {وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَنْ يُكَلِّمَهُ اللَّهُ إِلَّا وَحْيًا أَوْ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ} [الشورى: 51] . وَمَنْ حَدَّثَكَ أَنَّهُ يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ فَقَدْ كَذَبَ، ثُمَّ قَرَأَتْ: {وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا} [لقمان: 34] . وَمَنْ حَدَّثَكَ أَنَّهُ كَتَمَ فَقَدْ كَذَبَ، ثُمَّ قَرَأَتْ: {يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ} [المائدة: 67] الآيَةَ وَلَكِنَّهُ «رَأَى جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فِي صُورَتِهِ مَرَّتَيْنِ»