আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪৪৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮১৬
সূরা হা-মীম আস-সাজদা তাউস (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, ائْتِيَا طَوْعًا অর্থ أعطيا অর্থাৎ তোমরা উভয় আস; তারা উভয়ে বলল, أَتَيْنَا طَآئِعِيْنَ অর্থাৎ আমরা এলাম। মিনহাল (রাহঃ) সা‘ঈদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, জনৈক ব্যক্তি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে প্রশ্ন করল, আমি কুরআনে এমন বিষয় পাচ্ছি, যা আমার কাছে পরস্পর বিরোধী মনে হচ্ছে। আল্লাহ্ বলেছেন, (যে দিন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে) সেদিন পরস্পরের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না এবং একে অপরের খোঁজ-খবর নেবে না।’’ আবার বলেছেন, ‘‘তারা একে অপরের সামনা-সামনি হয়ে খোঁজ খবর নেবে।’’ অন্যত্র আল্লাহ বলেছেন, ‘‘তারা আল্লাহ্ থেকে কোন কথাই গোপন করতে পারবে না।’’ আবার বলেছেন, (তারা বলবে) ‘আমাদের প্রতিপালক আল্লাহর শপথ! আমরা মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না।’’ এতে বোঝা যাচ্ছে যে, তারা আল্লাহ্ থেকে নিজেদের মুশরিক হবার বিষয়টিকে লুকিয়ে রাখবে। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, (তোমাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিন) না আকাশ সৃষ্টি? তিনিই তা নির্মাণ করেছেন...... এরপর পৃথিবীকে করেছেন সুবিস্তৃত’’ পর্যন্ত। এখানে আকাশকে যমীনের পূর্বে সৃষ্টি করার কথা বলেছেন; কিন্তু অন্য এক স্থানে বর্ণিত আছে যে, ‘‘তোমরা কি তাঁকে স্বীকার করবেই যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে..... আমরা আসলাম অনুগত হয়ে।’’ এখানে যমীনকে আকাশের পূর্বে সৃষ্টির কথা উল্লেখ রয়েছে। অন্যত্র আল্লাহ্ বলেন, (وَكَانَ اللهُ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا) (عَزِيْزًا حَكِيْمًا) (سَمِيْعًا بَصِيْرًا) উপরোক্ত আয়াতসমূহের প্রেক্ষাপটে বোঝা যাচ্ছে যে, উপরোক্ত গুণাবলী প্রথমে আল্লাহর মধ্যে ছিল; কিন্তু এখন নেই। (জনৈক ব্যক্তির এসব প্রশ্ন শুনার পর) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, ‘‘যে দিন পরস্পরের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না।’’ এ আয়াতের সম্পর্ক হল প্রথমবার শিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার সঙ্গে। কেননা, ইরশাদ হয়েছে যে, এরপর শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে। ফলে যাদেরকে আল্লাহ্ ইচ্ছে করেন, তারা বাদে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সকলে মূর্ছিত হয়ে পড়বে। এ সময় পরস্পরের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না এবং একে অন্যের খোঁজ খবর নেবে না। তারপর শেষবারের মত শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়ার পর তারা একে অপরের সামনাসামনি হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। দ্বিতীয় প্রশ্ন সম্পর্কে এক আয়াতে আছে, ‘‘তারা আল্লাহ্ থেকে কোন কথাই গোপন করতে পারে না।’’ অন্য আয়াতে আছে ‘‘মুশরিকগণ বলবে যে, আমরা তো মুশরিক ছিলাম না।’’ এর সমাধান হচ্ছে এই যে, কিয়ামতের দিন প্রথমে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন মুখলিস এবং অকপট লোকদের গুনাহ্ মাফ করে দেবেন। এ দেখে মুশরিকরা বলবে, আস! আমরাও বলব, (হে আল্লাহ্!) আমরাও তো মুশরিক ছিলাম না। তখন আল্লাহ্ পাক তাদের মুখে মোহর লাগিয়ে দেবেন। তখন তাদের হাত কথা বলবে। এ সময় প্রকাশ পাবে যে, ‘‘তাদের কোন কথাই আল্লাহ্ থেকে গোপন রাখা যাবে না।’’ এবং এ সময়ই কাফিরগণ আকাঙ্ক্ষা করবে .....(হায়! যদি তারা মাটির সঙ্গে মিশে যেত)। তৃতীয় প্রশ্ন সম্বন্ধে সমাধান হচ্ছে এই যে, প্রথমে আল্লাহ্ তাআলা দু’দিনে যমীন সৃষ্টি করেছেন। এরপর আসমান সৃষ্টি করেন। তারপর তিনি আকাশের প্রতি মনোনিবেশ করেন এবং তাকে বিন্যস্ত করেন দু’দিনে। তারপর তিনি যমীনকে বিস্তৃত করেছেন। যমীনকে বিস্তৃত করার অর্থ হচ্ছে, এর মাঝে পানি ও চারণভূমির বন্দোবস্ত করা, পাহাড় পর্বত-টিলা, উট এবং আসমান ও মধ্যবর্তী সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা। এ সবকিছুও তিনি আরো দু’দিনে সৃষ্টি করেন। আল্লাহর বাণীঃ دَحَاهَا -এর মধ্যে এ কথাই বর্ণনা করা হয়েছে : خَلَقَ الْأَرْضَ فِيْ يَوْمَيْنِ ‘এবং তিনি দু’দিনে যমীন সৃষ্টি করেছেন’’ এ কথাও ঠিক; তবে যমীন এবং যত কিছু যমীনের মধ্যে বিদ্যমান আছে এসব তিনি চার দিনে সৃষ্টি করেছেন এবং আকাশমন্ডলী সৃষ্টি করা হয়েছে দু’দিনে। وَكَانَ اللهُ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا (জাতীয় আয়াতগুলো) সম্বন্ধে উত্তর এই যে, আল্লাহ্ রাববুল আলামীন নিজেই এ সমস্ত বিশেষণযুক্ত নামের দ্বারা নিজের নামকরণ করেছেন। উল্লিখিত গুণবাচক নামের অর্থ হচ্ছে এই যে, আল্লাহ্ রাববুল আলামীন সর্বদাই এই গুণে গুণান্বিত থাকবেন। কারণ, আল্লাহ্ রাববুল আলামীন যখন কারো প্রতি কিছু করার ইচ্ছে করেন, তখন তিনি তাঁর ইচ্ছে অনুযায়ী করেই থাকেন, সুতরাং কুরআনের আলোচ্য বিষয়ের একটিকে অপরটির বিপরীত সাব্যস্ত করবে না। কেননা, এগুলো সব আল্লাহর পক্ষ হতে অবতীর্ণ হয়েছে। ইমাম আবু আব্দুল্লাহ বুখারী (রাহঃ) বলেন, ইউসুফ ইবনে আদী......মিনহাল থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেছেন ممنون অর্থ গণনাকৃত। أَقْوَاتَهَا তাদের জীবিকা। فِيْ كُلِّ سَمَآءٍ أَمْرَهَا অর্থ যার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। نَحِسَاتٍ অর্থ অশুভ। وَقَيَّضْنَا لَهُمْ قُرَنَآءَ আমি তাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম তাদের সহচর। تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمْ الْمَلَآئِكَةُ তাদের নিকট অবতীর্ণ হয় ফেরেশতা। আর এ সময়টি হচ্ছে عِنْدَ الْمَوْتِ মৃত্যুর সময়। اهْتَزَّتْ ফলে ফুলে আন্দোলিত হয়ে উঠে। وَرَبَتْ বেড়ে যায় এবং স্ফীত হয়ে উঠে। মুজাহিদ ব্যতীত অন্যেরা বলেছেন, مِنْ أَكْمَامِهَا যখন তা আবরণ হতে বিকশিত হয়। لَيَقُوْلَنَّ هَذَالِيْ আমলের ভিত্তিতে এ সমস্ত অনুগ্রহের হকদার আমিই। سَوَآءً لِلسَّآئِلِيْنَ আমি সমভাবে নির্ধারণ করেছি। فَهَدَيْنَاهُمْ অর্থাৎ আমি তাদেরকে ভাল-মন্দ সম্বন্ধে পথ বলে দিয়েছি। যেমন, আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, ‘‘এবং আমি তাকে দু’টি পথই দেখিয়েছি।’’ অন্যত্র বর্ণিত আছে যে, ‘আমি তাকে ভাল পথের নির্দেশ দিয়েছি।’’ الْهُدٰى পথ দেখানো এবং গণ্তব্যস্থান পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেয়া। এ অর্থেই কুরআনে বর্ণিত আছে যে, ‘‘তাদেরই আল্লাহ্ সৎপথে পরিচালিত করেন। يُوْزَعُوْنَ তাদের আটক রাখা হবে। مِنْ أَكْمَامِهَا অর্থ বাকলের উপরের আবরণ। এটাকে كم ও বলা হয়। وَلِيٌّ حَمِيْمٌ নিকটতম বন্ধু। مِنْ مَحِيْصٍ শব্দটি حَاصَعَنْهُ থেকে নির্গত হয়েছে। যার অর্থ হচ্ছে, সে তার থেকে পলায়ন করেছে। مِرْيَةٌ এবং مُرْيَةٌ একার্থবোধক শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে সন্দেহ। মুজাহিদ বলেছেন, اعْمَلُوْامَاشِئْتُمْ (তোমাদের যা ইচ্ছে তা কর) বাক্যটি মূলত সতর্কবাণী হিসেবে এখানে ব্যবহৃত হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন, بِالَّتِيْ هِيَ أَحْسَنُ -এর মর্মার্থ হচ্ছে, রাগের মুহূর্তে ধৈর্যধারণ করা এবং অন্যায় আচারণকে ক্ষমা করে দেয়া। যখন কোন মানুষ ক্ষমা ও ধৈর্যধারণ করে তখন আল্লাহ্ তাআলা তাকে হেফাজত করেন এবং তার শত্রুকে তার সামনে নত করে দেন। ফলে সে তার অন্তরঙ্গ বন্ধুতে পরিণত হয়ে যায়।
৪৪৫৭। সালত ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। আল্লাহর বাণীঃ “তোমাদের কর্ণ ও তোমাদের চোখ তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে এ থেকে তোমরা কখনো নিজেদের লুকাতে পারবে না।” আয়াত সম্পর্কে বলেন, কুরাইশ গোত্রের দুই ব্যক্তি ছিল, যাদের জামাতা ছিল বনী সাকীফ গোত্রের অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) দুই ব্যক্তি ছিল বনী সাকীফ গোত্রের আর তাদের জামাতা ছিল কুরাইশ গোত্রের। তারা সকলেই একটি ঘরে ছিল। তারা পরস্পর বলল, তোমার কি ধারণা, আল্লাহ্ কি আমাদের কথা শুনতে পাচ্ছেন? একজন বলল, তিনি আমাদের কিছু কথা শুনছেন। এরপর দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, তিনি যদি আমাদের কিছু কথা শুনতে পান, তাহলে সব কথাও শুনতে পাবেন। তখন নাযিল হলঃ “তোমাদের কর্ণ ও তোমাদের চোখ তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে, এ থেকে তোমরা কখনো নিজেদের লুকাতে পারবে না। ...... আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
سورة حم السجدة وقال طاوس: عن ابن عباس، {ائتيا طوعا أو كرها} [فصلت: 11]: أعطيا، {قالتا أتينا طائعين} [فصلت: 11]: أعطينا
وقال المنهال: عن سعيد بن جبير، قال: قال رجل لابن عباس: إني أجد في القرآن أشياء تختلف علي، قال: {فلا أنساب بينهم يومئذ ولا يتساءلون} [المؤمنون: 101]، {وأقبل بعضهم على بعض يتساءلون} [الصافات: 27] {ولا يكتمون الله حديثا} [النساء: 42]، {والله ربنا ما كنا مشركين} [الأنعام: 23]، فقد كتموا في هذه الآية؟ وقال: {أم السماء بناها} [النازعات: 27] إلى قوله: {دحاها} [النازعات: 30] فذكر خلق السماء قبل خلق الأرض، ثم قال: {أئنكم لتكفرون بالذي خلق الأرض في يومين} [فصلت: 9] إلى قوله: {طائعين} [فصلت: 11] فذكر في هذه خلق الأرض قبل خلق السماء؟ وقال: {وكان الله غفورا رحيما} [النساء: 96]، {عزيزا حكيما} [النساء: 56]، {سميعا بصيرا} [النساء: 58] فكأنه كان ثم مضى؟ فقال: {فلا أنساب بينهم} [المؤمنون: 101]: " في النفخة الأولى، ثم ينفخ في الصور: {فصعق من في السموات ومن في الأرض إلا من شاء الله} فلا أنساب [ص:128] بينهم عند ذلك ولا يتساءلون، ثم في النفخة الآخرة، {أقبل بعضهم على بعض يتساءلون} [الصافات: 27] وأما قوله: {ما كنا مشركين} [الأنعام: 23]، {ولا يكتمون الله حديثا} [النساء: 42]، فإن الله يغفر لأهل الإخلاص ذنوبهم، وقال المشركون: تعالوا نقول لم نكن مشركين، فختم على أفواههم، فتنطق أيديهم، فعند ذلك عرف أن الله لا يكتم حديثا، وعنده: {يود الذين كفروا} [البقرة: 105] الآية، وخلق الأرض في يومين ثم خلق السماء، ثم استوى إلى السماء فسواهن في يومين آخرين، ثم دحا الأرض، ودحوها: أن أخرج منها الماء والمرعى، وخلق الجبال والجمال والآكام وما بينهما في يومين آخرين، فذلك قوله: {دحاها} [النازعات: 30]. وقوله: {خلق الأرض في يومين} [فصلت: 9]. فجعلت الأرض وما فيها من شيء في أربعة أيام، وخلقت السموات في يومين، {وكان الله غفورا رحيما} [النساء: 96] سمى نفسه ذلك، وذلك قوله، أي لم يزل كذلك، فإن الله لم يرد شيئا إلا أصاب به الذي أراد، فلا يختلف عليك القرآن، فإن كلا من عند الله " قال أبو عبد الله: حدثني يوسف بن عدي، حدثنا عبيد الله بن عمرو، عن زيد بن أبي أنيسة، عن المنهال بهذا، وقال مجاهد: {لهم أجر غير ممنون} [فصلت: 8]: «محسوب»، {أقواتها} [فصلت: 10]: «أرزاقها» {في كل سماء أمرها} [فصلت: 12]: «مما أمر به»، {نحسات} [فصلت: 16]: «مشائيم»، {وقيضنا لهم قرناء} [فصلت: 25]: «قرناهم بهم»، {تتنزل عليهم الملائكة} [فصلت: 30]: «عند الموت»، {اهتزت} [الحج: 5]: «بالنبات»، {وربت} [الحج: 5]: «ارتفعت»، {من أكمامها} [فصلت: 47]: «حين تطلع»، {ليقولن هذا لي} [فصلت: 50]: «أي بعملي أنا محقوق بهذا» وقال غيره: {سواء للسائلين} [فصلت: 10]: «قدرها سواء»، {فهديناهم} [فصلت: 17]: " دللناهم على الخير والشر، كقوله: {وهديناه النجدين} [البلد: 10] وكقوله: {هديناه السبيل} [الإنسان: 3]: والهدى الذي هو الإرشاد بمنزلة أصعدناه، ومن ذلك قوله: {أولئك الذين هدى الله فبهداهم اقتده} [الأنعام: 90]، {يوزعون} [النمل: 17]: يكفون، {من أكمامها} [فصلت: 47]: قشر الكفرى هي الكم " وقال غيره: " ويقال للعنب إذا خرج أيضا كافور وكفرى، {ولي حميم} [فصلت: 34]: القريب، {من محيص} [إبراهيم: 21]: حاص عنه أي حاد، {مرية} [هود: 17]: ومرية واحد، أي امتراء " وقال مجاهد: {اعملوا ما شئتم} [فصلت: 40]: «هي وعيد» وقال ابن عباس: {ادفع بالتي هي أحسن} [المؤمنون: 96]: «الصبر عند الغضب والعفو عند الإساءة، فإذا فعلوه عصمهم الله، وخضع لهم عدوهم» {كأنه ولي حميم} [فصلت: 34]
4816 - حَدَّثَنَا الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ رَوْحِ بْنِ القَاسِمِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، {وَمَا كُنْتُمْ تَسْتَتِرُونَ أَنْ يَشْهَدَ، عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلاَ أَبْصَارُكُمْ} [فصلت: 22] الآيَةَ، قَالَ: " كَانَ رَجُلاَنِ مِنْ قُرَيْشٍ وَخَتَنٌ لَهُمَا مِنْ [ص:129] ثَقِيفَ - أَوْ رَجُلاَنِ مِنْ ثَقِيفَ وَخَتَنٌ لَهُمَا مِنْ قُرَيْشٍ - فِي بَيْتٍ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: أَتُرَوْنَ أَنَّ اللَّهَ يَسْمَعُ حَدِيثَنَا؟ قَالَ: بَعْضُهُمْ يَسْمَعُ بَعْضَهُ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَئِنْ كَانَ يَسْمَعُ بَعْضَهُ لَقَدْ يَسْمَعُ كُلَّهُ، فَأُنْزِلَتْ: {وَمَا كُنْتُمْ تَسْتَتِرُونَ أَنْ يَشْهَدَ عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلاَ أَبْصَارُكُمْ} [فصلت: 22] الآيَةَ