আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
হাদীস নং: ৪৪৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৯০
২৪৯৬ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ لا تدخلوا ... عند الله عظيما (হে মু’মিনগণ) তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে আহারের জন্য নবীর গৃহে প্রবেশ করবে না; বরং যখন তোমাদের ডাকা হয়, তখন তোমরা প্রবেশ করবে । আহারের শেষে তোমরা চলে যাবে, তোমরা পরস্পর আলাপ-আলোচনায় মশগুল হয়ে পড়বে না, কারণ তোমাদের এ আচরণ নবীকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদেরকে উঠিয়ে দিতে সংকোচবোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ্ সত্য বলতে সংকোচবোধ করেন না। তোমরা তার পত্মীদের থেকে কিছু চাইলে পর্দার অন্তরালে থেকে চাইবে, এ বিধান তোমাদের অন্তর ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র। তোমাদের কারও পক্ষে আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া অথবা তাঁর মৃত্যুর পর তার পত্নীদের বিয়ে করা কখনও সঙ্গত নহে । আল্লাহর কাছে এটি গুরুতর অপরাদ। বলা হয় إِنَاهُ খাদ্য পরিপাক হওয়া। এটা أَنَى يَأْنِيْ أَنَاةً থেকে গঠিত। لَعَلَّ السَّاعَةَ تَكُوْنُ قَرِيْبًا সম্ভবত ক্বিয়ামাত অতি নিকটবর্তী। যদি তুমি مؤنث হিসেবে ব্যবহার কর, তবে قَرِيْبَةً বলবে। আর যদি الصِّفَةَ না ধর ظَرْفًا বা بَدَلً হিসেবে ব্যবহার কর, তবে এতে ’তা’ সংযোগ করবে না। তদ্রূপ এ শব্দটি একবচন, দ্বি-বচন, বহুবচন এবং مذكر- مؤنث সকল ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়।
৪৪৩১। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার কাছে ভাল ও মন্দ লোক আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মু’মিনীনদের ব্যাপারে পর্দার আদেশ দিতেন (তবে ভাল হত) তারপর আল্লাহ্ তাআলা পর্দার আয়াত নাযিল করেন।
باب قوله لا تدخلوا بيوت النبي إلا أن يؤذن لكم إلى طعام غير ناظرين إناه ولكن إذا دعيتم فادخلوا فإذا طعمتم فانتشروا ولا مستأنسين لحديث إن ذلكم كان يؤذي النبي فيستحيي منكم والله لا يستحيي من الحق وإذا سألتموهن متاعا فاسألوهن من وراء حجاب ذلكم أطهر لقلوبكم وقلوبهن وما كان لكم أن تؤذوا رسول الله ولا أن تنكحوا أزواجه من بعده أبدا إن ذلكم كان عند الله عظيما يقال إناه إدراكه أنى يأني أناة فهو آن لعل الساعة تكون قريبا إذا وصفت صفة المؤنث قلت قريبة وإذا جعلته ظرفا وبدلا ولم ترد الصفة نزعت الهاء من المؤنث وكذلك لفظها في الواحد والاثنين والجميع للذكر والأنثى
4790 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قُلْتُ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ يَدْخُلُ عَلَيْكَ البَرُّ وَالفَاجِرُ، فَلَوْ أَمَرْتَ أُمَّهَاتِ المُؤْمِنِينَ بِالحِجَابِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ آيَةَ الحِجَابِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৯১
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ لا تدخلوا ... عند الله عظيما (হে মু’মিনগণ) তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে আহারের জন্য নবীর গৃহে প্রবেশ করবে না; বরং যখন তোমাদের ডাকা হয়, তখন তোমরা প্রবেশ করবে । আহারের শেষে তোমরা চলে যাবে, তোমরা পরস্পর আলাপ-আলোচনায় মশগুল হয়ে পড়বে না, কারণ তোমাদের এ আচরণ নবীকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদেরকে উঠিয়ে দিতে সংকোচবোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ্ সত্য বলতে সংকোচবোধ করেন না। তোমরা তার পত্মীদের থেকে কিছু চাইলে পর্দার অন্তরালে থেকে চাইবে, এ বিধান তোমাদের অন্তর ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র। তোমাদের কারও পক্ষে আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া অথবা তাঁর মৃত্যুর পর তার পত্নীদের বিয়ে করা কখনও সঙ্গত নহে । আল্লাহর কাছে এটি গুরুতর অপরাদ।
৪৪৩২। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ রকাশী (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যয়নাব বিনতে জাহাশকে যখন রাসূল (ﷺ) বিয়ে করেন, তখন তিনি লোকদের দাওয়াত দিলেন। লোকেরা আহারের পর বসে কথাবার্তা বলতে লাগল। তিনি উঠে যেতে উদ্যত হচ্ছিলেন, কিন্তু লোকেরা উঠছিল না। এ অবস্থা দেখে তিনি উঠে দাঁড়ালেন। তিনি উঠে যাওয়ার পর যারা উঠবার তারা উঠে গেল। কিন্তু তিন ব্যক্তি বসেই রইল। নবী (ﷺ) ঘরে প্রবেশের জন্য ফিরে এসে দেখেন, তারা তখনও বসে রয়েছে (তাই তিনি চলে গেলেন)। এরপর তারাও উঠে গেল। আমি গিয়ে নবী (ﷺ) কে তাদের চলে যাওয়ার সংবাদ দিলাম। তারপর তিনি এসে প্রবেশ করলেন। এরপরও আমি প্রবেশ করতে চাইলে তিনি আমার ও তার মাঝে পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃيَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ الآيَةَ “হে মু’মিনগণ! তোমরা নবীর গৃহে প্রবেশ করো না ...... শেষ পর্যন্ত।
باب قوله لا تدخلوا بيوت النبي إلا أن يؤذن لكم إلى طعام غير ناظرين إناه ولكن إذا دعيتم فادخلوا فإذا طعمتم فانتشروا ولا مستأنسين لحديث إن ذلكم كان يؤذي النبي فيستحيي منكم والله لا يستحيي من الحق وإذا سألتموهن متاعا فاسألوهن من وراء حجاب ذلكم أطهر لقلوبكم وقلوبهن وما كان لكم أن تؤذوا رسول الله ولا أن تنكحوا أزواجه من بعده أبدا إن ذلكم كان عند الله عظيما
4791 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: حَدَّثَنَا أَبُو مِجْلَزٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: " لَمَّا تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ، دَعَا القَوْمَ فَطَعِمُوا ثُمَّ جَلَسُوا يَتَحَدَّثُونَ، وَإِذَا هُوَ كَأَنَّهُ يَتَهَيَّأُ لِلْقِيَامِ، فَلَمْ يَقُومُوا فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ قَامَ، فَلَمَّا قَامَ قَامَ مَنْ قَامَ، وَقَعَدَ ثَلاَثَةُ نَفَرٍ، فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَدْخُلَ فَإِذَا القَوْمُ جُلُوسٌ، ثُمَّ إِنَّهُمْ قَامُوا، فَانْطَلَقْتُ فَجِئْتُ فَأَخْبَرْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ قَدِ انْطَلَقُوا، فَجَاءَ حَتَّى دَخَلَ فَذَهَبْتُ أَدْخُلُ، فَأَلْقَى الحِجَابَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ [ص:119]، فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ} [الأحزاب: 53] الآيَةَ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৯২
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ لا تدخلوا ... عند الله عظيما (হে মু’মিনগণ) তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে আহারের জন্য নবীর গৃহে প্রবেশ করবে না; বরং যখন তোমাদের ডাকা হয়, তখন তোমরা প্রবেশ করবে । আহারের শেষে তোমরা চলে যাবে, তোমরা পরস্পর আলাপ-আলোচনায় মশগুল হয়ে পড়বে না, কারণ তোমাদের এ আচরণ নবীকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদেরকে উঠিয়ে দিতে সংকোচবোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ্ সত্য বলতে সংকোচবোধ করেন না। তোমরা তার পত্মীদের থেকে কিছু চাইলে পর্দার অন্তরালে থেকে চাইবে, এ বিধান তোমাদের অন্তর ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র। তোমাদের কারও পক্ষে আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া অথবা তাঁর মৃত্যুর পর তার পত্নীদের বিয়ে করা কখনও সঙ্গত নহে । আল্লাহর কাছে এটি গুরুতর অপরাদ।
৪৪৩৩। সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি পর্দার আয়াত সম্পর্কে লোকদের চেয়ে বেশী জানি। যখন নবী (ﷺ) এর নিকট যয়নাবকে বাসর যাপনের জন্য পাঠানো হয় এবং তিনি তাঁর ঘরে তাঁর সঙ্গে অবস্থান করেন, তখন রাসূল (ﷺ) খাবার তৈরী করে লোকদের দাওয়াত দিলেন। তারা (খাওয়ার পর) বসে কথাবার্তা বলতে লাগল। রাসূল (ﷺ) বাইরে গিয়ে আবার ঘরে ফিরে এলেন, তখনও তারা বসে আলাপ-আলোচনা করছিল। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেন। “হে মু’মিনগণ, তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে আহারের জন্য নবী (ﷺ) গৃহে প্রবেশ করবে না।” ...... পর্দার আড়াল থেকে’ পর্যন্ত। এরপর পর্দার বিধান কার্যকর হল এবং লোকেরা চলে গেল।
باب قوله لا تدخلوا بيوت النبي إلا أن يؤذن لكم إلى طعام غير ناظرين إناه ولكن إذا دعيتم فادخلوا فإذا طعمتم فانتشروا ولا مستأنسين لحديث إن ذلكم كان يؤذي النبي فيستحيي منكم والله لا يستحيي من الحق وإذا سألتموهن متاعا فاسألوهن من وراء حجاب ذلكم أطهر لقلوبكم وقلوبهن وما كان لكم أن تؤذوا رسول الله ولا أن تنكحوا أزواجه من بعده أبدا إن ذلكم كان عند الله عظيما
4792 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ: أَنَا أَعْلَمُ النَّاسِ بِهَذِهِ الآيَةِ: آيَةِ الحِجَابِ " لَمَّا أُهْدِيَتْ زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَتْ مَعَهُ فِي البَيْتِ صَنَعَ طَعَامًا وَدَعَا القَوْمَ، فَقَعَدُوا يَتَحَدَّثُونَ، فَجَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْرُجُ ثُمَّ يَرْجِعُ، وَهُمْ قُعُودٌ يَتَحَدَّثُونَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلَّا أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ} [الأحزاب: 53] إِلَى قَوْلِهِ {مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ} [الأحزاب: 53] فَضُرِبَ الحِجَابُ وَقَامَ القَوْمُ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৯৩
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ لا تدخلوا ... عند الله عظيما (হে মু’মিনগণ) তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে আহারের জন্য নবীর গৃহে প্রবেশ করবে না; বরং যখন তোমাদের ডাকা হয়, তখন তোমরা প্রবেশ করবে । আহারের শেষে তোমরা চলে যাবে, তোমরা পরস্পর আলাপ-আলোচনায় মশগুল হয়ে পড়বে না, কারণ তোমাদের এ আচরণ নবীকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদেরকে উঠিয়ে দিতে সংকোচবোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ্ সত্য বলতে সংকোচবোধ করেন না। তোমরা তার পত্মীদের থেকে কিছু চাইলে পর্দার অন্তরালে থেকে চাইবে, এ বিধান তোমাদের অন্তর ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র। তোমাদের কারও পক্ষে আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া অথবা তাঁর মৃত্যুর পর তার পত্নীদের বিয়ে করা কখনও সঙ্গত নহে । আল্লাহর কাছে এটি গুরুতর অপরাদ।
৪৪৩৪। আবু মা’আমার (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যয়নাব বিনতে জাহশের বাসর যাপন উপলক্ষে নবী (ﷺ) কিছু রুটি-গোশতের ব্যবস্থা করলেন। তারপর খানা খাওয়াবার জন্য আমাকে লোকদের ডেকে আনতে পাঠালেন। একদল লোক এসে খেয়ে বের হয়ে গেল। তারপর আর একদল এসে খেয়ে বের হয়ে গেল। এরপর আবার আমি ডাকতে গেলাম; কিন্তু কাউকে আর ডেকে পেলাম না। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আর কাউকে ডেকে পাচ্ছি না। তিনি বললেন, খানা উঠিয়ে নাও। তখন তিন ব্যক্তি ঘরে রয়ে গেল, তারা কথাবার্তা বলছিল। তখন নবী (ﷺ) বের হয়ে আয়েশা (রাযিঃ) এর হুজরার দিকে গেলেন এবং বললেন, আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল বায়ত ওয়া রহমাতুল্লাহ্! আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, ওয়া আলাইকাস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্। আল্লাহ্ আপনাকে বরকত দিন, আপনার স্ত্রীকে কেমন পেলেন? এভাবে তিনি পর্যায়ক্রমে সব স্ত্রীর হুজরায় গেলেন এবং আয়েশাকে যেমন বলেছিলেন তাদেরও অনুরূপ বললেন। আর তাঁরা তাঁকে সে জবাবই দিয়েছিলেন, যেমন আয়েশা (রাযিঃ) দিয়েছিলেন। তারপর নবী (ﷺ) ফিরে এসে সে তিন ব্যক্তিকেই ঘরে আলাপরত দেখতে পেলেন। নবী (ﷺ) খুব লাজুক ছিলেন। (তাই তাদের দেখে লজ্জা পেয়ে) আবার আয়েশা (রাযিঃ) এর হুজরার দিকে গেলেন। তখন, আমি স্মরণ করতে পারছি না, অন্য কেউ না আমি তাকে লোকদের বের হয়ে যাওয়ার খবর দিলাম। তিনি ফিরে এসে দরজার চৌকাঠের ভিতরে এক পা ও বাইরে এক পা রেখে আমার ও তাঁর মধ্যে পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন এবং আল্লাহ্ তাআলা পর্দার আয়াত নাযিল করেন।
باب قوله لا تدخلوا بيوت النبي إلا أن يؤذن لكم إلى طعام غير ناظرين إناه ولكن إذا دعيتم فادخلوا فإذا طعمتم فانتشروا ولا مستأنسين لحديث إن ذلكم كان يؤذي النبي فيستحيي منكم والله لا يستحيي من الحق وإذا سألتموهن متاعا فاسألوهن من وراء حجاب ذلكم أطهر لقلوبكم وقلوبهن وما كان لكم أن تؤذوا رسول الله ولا أن تنكحوا أزواجه من بعده أبدا إن ذلكم كان عند الله عظيما
4793 - حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: بُنِيَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِزَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ بِخُبْزٍ وَلَحْمٍ، فَأُرْسِلْتُ عَلَى الطَّعَامِ دَاعِيًا فَيَجِيءُ قَوْمٌ فَيَأْكُلُونَ وَيَخْرُجُونَ، ثُمَّ يَجِيءُ قَوْمٌ فَيَأْكُلُونَ وَيَخْرُجُونَ، فَدَعَوْتُ حَتَّى مَا أَجِدُ أَحَدًا أَدْعُو، فَقُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا أَجِدُ أَحَدًا أَدْعُوهُ، قَالَ: «ارْفَعُوا طَعَامَكُمْ» وَبَقِيَ ثَلاَثَةُ رَهْطٍ يَتَحَدَّثُونَ فِي البَيْتِ، فَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَانْطَلَقَ إِلَى حُجْرَةِ عَائِشَةَ فَقَالَ: «السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ البَيْتِ وَرَحْمَةُ اللَّهِ» ، فَقَالَتْ: وَعَلَيْكَ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ، كَيْفَ وَجَدْتَ أَهْلَكَ بَارَكَ اللَّهُ لَكَ، فَتَقَرَّى حُجَرَ نِسَائِهِ كُلِّهِنَّ، يَقُولُ لَهُنَّ كَمَا يَقُولُ لِعَائِشَةَ، وَيَقُلْنَ لَهُ كَمَا قَالَتْ عَائِشَةُ، ثُمَّ رَجَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِذَا ثَلاَثَةٌ مِنْ رَهْطٍ فِي البَيْتِ يَتَحَدَّثُونَ، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَدِيدَ الحَيَاءِ، فَخَرَجَ مُنْطَلِقًا نَحْوَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ فَمَا أَدْرِي آخْبَرْتُهُ أَوْ أُخْبِرَ أَنَّ القَوْمَ خَرَجُوا فَرَجَعَ، حَتَّى إِذَا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي أُسْكُفَّةِ البَابِ دَاخِلَةً، وَأُخْرَى خَارِجَةً أَرْخَى السِّتْرَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ، وَأُنْزِلَتْ آيَةُ الحِجَابِ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৯৪
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ لا تدخلوا ... عند الله عظيما (হে মু’মিনগণ) তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে আহারের জন্য নবীর গৃহে প্রবেশ করবে না; বরং যখন তোমাদের ডাকা হয়, তখন তোমরা প্রবেশ করবে । আহারের শেষে তোমরা চলে যাবে, তোমরা পরস্পর আলাপ-আলোচনায় মশগুল হয়ে পড়বে না, কারণ তোমাদের এ আচরণ নবীকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদেরকে উঠিয়ে দিতে সংকোচবোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ্ সত্য বলতে সংকোচবোধ করেন না। তোমরা তার পত্মীদের থেকে কিছু চাইলে পর্দার অন্তরালে থেকে চাইবে, এ বিধান তোমাদের অন্তর ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র। তোমাদের কারও পক্ষে আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া অথবা তাঁর মৃত্যুর পর তার পত্নীদের বিয়ে করা কখনও সঙ্গত নহে । আল্লাহর কাছে এটি গুরুতর অপরাদ।
৪৪৩৫। ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, যয়নাব বিনতে জাহাশের সাথে বাসর উদ্যাপনের সময় রাসূল (ﷺ) ওয়ালীমা করলেন। লোকদের তিনি গোশত-রুটি তৃপ্তি সহকারে খাওয়ালেন। তারপর তিনি উম্মুল মু’মিনীনদের কক্ষে যাওয়ার জন্য বের হলেন। যেমন বাসর রাত্রির ভোরে তার অভ্যাস ছিল যে, তিনি তাঁদের সালাম দিতেন ও তাঁদের জন্য দু'আ করতেন এবং তাঁরাও তাঁকে সালাম বলতেন, তাঁর জন্য দু'আ করতেন। তারপর ঘরে ফিরে এসে দু’ব্যক্তিকে আলাপরত দেখতে পেলেন। তাদের দেখে তিনি ঘর থেকে ফিরে গেলেন। সে দু’জন নবী (ﷺ) কে ঘর থেকে ফিরে যেতে দেখে দ্রুত বের হয়ে গেল। এরপরে, আমার স্মরণ নেই যে আমি তাঁকে তাদের বের হয়ে যাওয়ার সংবাদ দিলাম, না অন্য কেউ দিল। তখন তিনি ফিরে এসে ঘরে প্রবেশ করলেন এবং আমার ও তাঁর মধ্যে পর্দা লটকিয়ে দিলেন এবং পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হয়।
ইবনে আবী মারইয়াম..... আনাস (রা) সূত্রে মহানবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত।
ইবনে আবী মারইয়াম..... আনাস (রা) সূত্রে মহানবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত।
باب قوله لا تدخلوا بيوت النبي إلا أن يؤذن لكم إلى طعام غير ناظرين إناه ولكن إذا دعيتم فادخلوا فإذا طعمتم فانتشروا ولا مستأنسين لحديث إن ذلكم كان يؤذي النبي فيستحيي منكم والله لا يستحيي من الحق وإذا سألتموهن متاعا فاسألوهن من وراء حجاب ذلكم أطهر لقلوبكم وقلوبهن وما كان لكم أن تؤذوا رسول الله ولا أن تنكحوا أزواجه من بعده أبدا إن ذلكم كان عند الله عظيما
4794 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ السَّهْمِيُّ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «أَوْلَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ بَنَى بِزَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ، فَأَشْبَعَ النَّاسَ خُبْزًا وَلَحْمًا، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى حُجَرِ أُمَّهَاتِ المُؤْمِنِينَ كَمَا كَانَ يَصْنَعُ صَبِيحَةَ بِنَائِهِ، فَيُسَلِّمُ عَلَيْهِنَّ وَيُسَلِّمْنَ عَلَيْهِ، وَيَدْعُو لَهُنَّ وَيَدْعُونَ لَهُ، فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى بَيْتِهِ رَأَى رَجُلَيْنِ جَرَى بِهِمَا الحَدِيثُ، فَلَمَّا رَآهُمَا رَجَعَ عَنْ بَيْتِهِ، فَلَمَّا رَأَى الرَّجُلاَنِ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجَعَ عَنْ بَيْتِهِ وَثَبَا مُسْرِعَيْنِ، فَمَا أَدْرِي أَنَا أَخْبَرْتُهُ بِخُرُوجِهِمَا أَمْ أُخْبِرَ، فَرَجَعَ حَتَّى دَخَلَ البَيْتَ وَأَرْخَى السِّتْرَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ، وَأُنْزِلَتْ آيَةُ الحِجَابِ» ، وَقَالَ ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ: أَخْبَرَنَا [ص:120] يَحْيَى، حَدَّثَنِي حُمَيْدٌ، سَمِعَ أَنَسًا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীস নং: ৪৪৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৯৫
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ لا تدخلوا ... عند الله عظيما (হে মু’মিনগণ) তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে আহারের জন্য নবীর গৃহে প্রবেশ করবে না; বরং যখন তোমাদের ডাকা হয়, তখন তোমরা প্রবেশ করবে । আহারের শেষে তোমরা চলে যাবে, তোমরা পরস্পর আলাপ-আলোচনায় মশগুল হয়ে পড়বে না, কারণ তোমাদের এ আচরণ নবীকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদেরকে উঠিয়ে দিতে সংকোচবোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ্ সত্য বলতে সংকোচবোধ করেন না। তোমরা তার পত্মীদের থেকে কিছু চাইলে পর্দার অন্তরালে থেকে চাইবে, এ বিধান তোমাদের অন্তর ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র। তোমাদের কারও পক্ষে আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া অথবা তাঁর মৃত্যুর পর তার পত্নীদের বিয়ে করা কখনও সঙ্গত নহে । আল্লাহর কাছে এটি গুরুতর অপরাদ।
৪৪৩৬। যাকারিয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, পর্দার বিধান অবতীর্ণ হওয়ার পর সাওদা প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাইরে যান। সাওদা এমন মোটা শরীরের অধিকারিণী ছিলেন যে, পরিচিত লোকদের থেকে তিনি নিজেকে গোপন রাখতে পারতেন না। উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) তাঁকে দেখে বললেন, হে সাওদা! জেনে রাখ, আল্লাহর কসম, আমাদের দৃষ্টি থেকে গোপন থাকতে পারবে না। এখন দেখ তো, কেমন করে বাইরে যাবে? আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, (এ কথা শুনে) সাওদা (রাযিঃ) ফিরে আসলেন। আর এ সময় রাসূল (ﷺ) আমার ঘরে রাতের খানা খাচ্ছিলেন। তাঁর হাতে ছিল টুকরা হাড়। সাওদা (রাযিঃ) ঘরে প্রবেশ করে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাইরে গিয়েছিলাম। তখন উমর (রাযিঃ) আমাকে এমন এমন কথা বলেছে। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, এ সময় আল্লাহ্ তাআলা তাঁর নিকট ওহী নাযিল করেন। ওহী অবতীর্ণ হওয়া শেষ হল, হাড় টুকরা তখনও তাঁর হাতেই ছিল, তিনি তা রাখেননি। রাসূল (ﷺ) বললেন, অবশ্যই প্রয়োজনে তোমাদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
باب قوله لا تدخلوا بيوت النبي إلا أن يؤذن لكم إلى طعام غير ناظرين إناه ولكن إذا دعيتم فادخلوا فإذا طعمتم فانتشروا ولا مستأنسين لحديث إن ذلكم كان يؤذي النبي فيستحيي منكم والله لا يستحيي من الحق وإذا سألتموهن متاعا فاسألوهن من وراء حجاب ذلكم أطهر لقلوبكم وقلوبهن وما كان لكم أن تؤذوا رسول الله ولا أن تنكحوا أزواجه من بعده أبدا إن ذلكم كان عند الله عظيما
4795 - حَدَّثَنِي زَكَرِيَّاءُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: خَرَجَتْ سَوْدَةُ بَعْدَمَا ضُرِبَ الحِجَابُ لِحَاجَتِهَا، وَكَانَتِ امْرَأَةً جَسِيمَةً لاَ تَخْفَى عَلَى مَنْ يَعْرِفُهَا، فَرَآهَا عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ فَقَالَ: يَا سَوْدَةُ، أَمَا وَاللَّهِ مَا تَخْفَيْنَ عَلَيْنَا، فَانْظُرِي كَيْفَ تَخْرُجِينَ، قَالَتْ: فَانْكَفَأَتْ رَاجِعَةً، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِي، وَإِنَّهُ لَيَتَعَشَّى وَفِي يَدِهِ عَرْقٌ، فَدَخَلَتْ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي خَرَجْتُ لِبَعْضِ حَاجَتِي، فَقَالَ لِي عُمَرُ كَذَا وَكَذَا، قَالَتْ: فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ ثُمَّ رُفِعَ عَنْهُ، وَإِنَّ العَرْقَ فِي يَدِهِ مَا وَضَعَهُ، فَقَالَ: «إِنَّهُ قَدْ أُذِنَ لَكُنَّ أَنْ تَخْرُجْنَ لِحَاجَتِكُنَّ»

তাহকীক: