আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪৪১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৭৭
২৪৮৮. আল্লাহ তাআলার বাণীঃ "নিশ্চয়ই আল্লাহ, তারই কাছে রয়েছে কিয়ামতের জ্ঞান (অর্থাৎ কখন কিয়ামত সংঘটিত হবে)।
৪৪১৯। ইসহাক (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদিন রাসূল (ﷺ) লোকদের সাথে বসেছিলেন। এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ঈমান কী? তিনি বললেন, “আল্লাহতে ঈমান আনবে এবং তাঁর ফিরিশতাগণ, তাঁর নবী ও রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনবে এবং (কিয়ামতে) আল্লাহর দর্শন লাভ ও পুনরুত্থানের ওপর ঈমান আনবে।” লোকটি জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইসলাম কী? তিনি বললেন, ইসলাম (হল) আল্লাহর ইবাদত করবে ও তার সঙ্গে অন্য কাউকে শরীক সাব্যস্ত করবে না এবং নামায কায়েম করবে, ফরয যাকাত দিবে ও রমযানের রোযা পালন করবে। লোকটি জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইহ্সান কী? তিনি বললেন, ইহ্সান হচ্ছে আল্লাহর ইবাদত এমন একাগ্রতার সাথে করবে, যেন তুমি তাঁকে দেখছ। আর যদি তুমি তাঁকে দেখতে না পাও, তবে (মনে করবে) আল্লাহ্ তোমাকে দেখছেন।
লোকটি আরও জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কখন কিয়ামত সংঘটিত হবে? রাসূল (ﷺ) বললেন, এ বিষয়ে প্রশ্নকারীর চাইতে যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে, সে বেশী জানে না। তবে আমি তোমার কাছে এর (কিয়ামতের) কতগুলো লক্ষণ বলছি। তা হল, যখন দাসী তার মনিবকে প্রসব করবে, এটা তার (কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার) একটি নিদর্শন। আর যখন দেখবে, নগ্নপদ ও নগ্নদেহ লোকেরা মানুষের নেতা হবে, এও তার একটি লক্ষণ। এটি ঐ পাঁচটি বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত, যা আল্লাহ্ ছাড়া আর কেউ জানেন নাঃ
(১) ‘কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহর নিকটই রয়েছে। (২) তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন, (৩) তাঁরই জ্ঞানে রয়েছে, মাতৃগর্ভে কি আছে। এরপরে সে লোকটি চলে গেল। রাসূল (ﷺ) বললেন, তাকে আমার নিকট ফিরিয়ে আন। সাহাবাগণ তাঁকে ফিরিয়ে আনতে গেলেন, কিন্তু কিছুই দেখতে পাননি। রাসূল (ﷺ) বললেন, তিনি জিবরাঈল, লোকদের তাদের দ্বীন শিক্ষা দেয়ার জন্য এসেছিলেন।
بَابُ قَوْلِهِ: {إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ} [لقمان: 34]
4777 - حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي حَيَّانَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَوْمًا بَارِزًا لِلنَّاسِ، إِذْ أَتَاهُ رَجُلٌ يَمْشِي، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِيمَانُ؟ قَالَ: «الإِيمَانُ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ، وَكُتُبِهِ، وَرُسُلِهِ، وَلِقَائِهِ، وَتُؤْمِنَ بِالْبَعْثِ الآخِرِ» قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِسْلاَمُ؟ قَالَ: «الإِسْلاَمُ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا، وَتُقِيمَ الصَّلاَةَ، وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ المَفْرُوضَةَ، وَتَصُومَ رَمَضَانَ» ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِحْسَانُ؟ قَالَ: الإِحْسَانُ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى السَّاعَةُ؟ قَالَ: " مَا المَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ، وَلَكِنْ سَأُحَدِّثُكَ عَنْ أَشْرَاطِهَا: إِذَا وَلَدَتِ المَرْأَةُ رَبَّتَهَا، فَذَاكَ مِنْ أَشْرَاطِهَا، وَإِذَا كَانَ الحُفَاةُ العُرَاةُ رُءُوسَ النَّاسِ، فَذَاكَ مِنْ أَشْرَاطِهَا، فِي خَمْسٍ لاَ يَعْلَمُهُنَّ إِلَّا اللَّهُ: (إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنْزِلُ الغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الأَرْحَامِ) ثُمَّ انْصَرَفَ الرَّجُلُ، فَقَالَ: «رُدُّوا عَلَيَّ» فَأَخَذُوا لِيَرُدُّوا فَلَمْ يَرَوْا شَيْئًا، فَقَالَ: «هَذَا جِبْرِيلُ جَاءَ لِيُعَلِّمَ النَّاسَ دِينَهُمْ»