আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৪৩৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭২৭
২৪৫০. আল্লাহ তাআলার বাণীঃ যখন তারা আরও অগ্রসর হল, মুসা তার সাথীকে বললেন, আমাদের নাস্তা আন, আমরা তো আমাদের এ সফরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। (বলল আপনি কি লক্ষ করেছেন, আমরা যখন শিলা খণ্ডে বিশ্রাম করছিলাম, তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম? শয়তান এ কথা বলতে আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল।) মাছটি আশ্চর্যজনক ভাবে নিজের পথ করে সমুদ্রে নেমে গেল। صنعا কাজ, حولا ঘুরে যাওয়া, পরিবর্তন হওয়া । قال ذلك ما كنا نبغ فارتدا على آثارهما قصصا মুসা বললেন, আমরা তো সে স্থানটি অনুসন্ধান করছিলাম। এরপর তারা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চলল। إمرا ও و نكرا উভয়ের একি অর্থ, অন্যায় কাজ। ينقض শব্দের অর্থ নিপতিত হবে। لتخذت- واتخذت উভয়ের একই অর্থ। رحما শব্দটি رحم থেকে গঠিত। অত্যধিক দয়া ও করুনা। কারও মতে এটা رحيم থেকে গঠিত। মক্কাকে বলা হয় أم رحم যেহেতু সেখানে রহমত নাযিল হয়।
৪৩৭২। কুতায়বা ইবনে সাইদ (রাহঃ) ......... সাইদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে বললাম, নাওফ আল বাককালির ধারণা, বনী ইসরাইলের মুসা, (আলাইহিস সালাম) খিযির (আ) -এর সাথী মুসা একই ব্যক্তি নয়। এ কথা শুনে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর শত্রু মিথ্যা বলেছে। উবাই ইবনে কা’ব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, একদা মুসা (আলাইহিস সালাম) বনী ইসরাইলের সামনে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হল, সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি কে? তিনি বললেন, আমি। আল্লাহ তার এ কথায় অসন্তুষ্ট হলেন। কেননা, তিনি এ কথাটি আল্লাহর দিকে নিসবত করেন নি। আল্লাহ তার উপর ওহী নাযিল করে বললেন, (হে মুসা!) দু’সমুদ্রের সঙ্গমস্থলে আমার এক বান্দা আছে। সে তোমার চাইতে অধিক জ্ঞানী। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, হে রব! আমি তার কাছে কিভাবে যেতে পারি? আল্লাহ বললেন, থলের মধ্যে একটি মাছ নিয়ে রওয়ানা হও। যেখানে মাছটি হারিয়ে যাবে সেখানেই তার অনুসরণ করবে।
মুসা (আলাইহিস সালাম) রওয়ানা হলেন এবং তার সাথে ছিল তার খাদেম ইউশা ইবনে নুন। তারা মাছ সাথে নিলেন। তারা চলতে চলতে সমুদ্রের তীরে একটি বিশাল শিলা খণ্ডের কাছে পৌঁছে গেলেন। সেখানে তারা বিশ্রামের জন্য থামলেন। বর্ণনাকারী বলেন, মুসা (আলাইহিস সালাম) শিলা খণ্ডের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন। সুফিয়ান বলেন, আমর ইবনে দীনার ছাড়া সকল বর্ণনাকারী বলেছেন, শিলা খণ্ডের তলদেশে একটি ঝরনা ছিল। তাকে হায়াত বলা হত। কেননা যে মৃতের উপর তার পানি পড়ে, সে অমনি জীবিত হয়ে উঠে। সে মাছটির উপরও ওই ঝরনার পানি পড়ল এবং সাথে সাথে সে লাফিয়ে উঠল। তারপর মাছটি বের হয়ে সমুদ্রে চলে গেল। এরপরে মুসা (আলাইহিস সালাম) যখন জেগে উঠলেন। “মুসা তার খাদেমকে বললেন, আমাদের নাস্তা আন। আমরা তো আমাদের এ সফরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি”। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে স্থান সম্পর্কে তাকে বলা হয়েছিল সে স্থান অতিক্রম করার পর থেকেই তিনি ক্লান্তি অনুভব করছিলেন।
তার খাদেম ইউশা ইবনে নুন তাকে বললেন, আপনি কি লক্ষ করেছেন আমরা যখন শিলা খণ্ডে বিশ্রাম করছিলাম তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম? বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তারা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে (সে স্থানে) প্রত্যাবর্তন করলেন। তারা সমুদ্রে মাছটির চলে যাওয়ার জায়গায় সুড়ঙ্গের মত দেখতে পেলেন। যা মুসা (আলাইহিস সালাম) এর সাথী যুবক কে আশ্চর্যান্বিত করে দিল। যখন তারা শিলা খণ্ডের কাছে পৌঁছলেন, সেখানে এক ব্যক্তিকে কাপড় আবৃত অবস্থায় দেখতে পেলেন। মুসা (আলাইহিস সালাম) তাকে সালাম দিলেন। তিনি বললেন, তোমাদের এলাকায় সালামের প্রথা কিভাবে এল? মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, আমি মুসা। তিনি (খিযির) বললেন, বনী ইসরাইলের মুসা? মুসা (আলাইহিস সালাম) উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। তারপর বললেন, সত্য পথের যে জ্ঞান আপনাকে দান করা হয়েছে তা থেকে আমাকে শিক্ষা দিবেন - এ শর্তে আমি আপনার অনুসরণ করব কি?
খিযির আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে মুসা! তুমি আল্লাহ কর্তৃক যে জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছ তা আমি (সম্পূর্ণভাবে) জানিনা। আর আমি আল্লাহর থেকে যে ‘ইলম’ লাভ করেছি তাও (সম্পূর্ণভাবে) তুমি জাননা। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, আমি আপনার অনুসরণ করব। খিযির (আলাইহিস সালাম) বললেন, আচ্ছা তুমি যদি আমার অনুসরণ করই, তবে কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেনা, যতক্ষণ না আমি সে বিষয়ে তোমাকে কিছু বলি।
তারপর তারা সমুদ্রের তীর দিয়ে চলতে লাগলেন। একটি নৌকা তাদের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। নৌকার লোকেরা খিযির (আ) কে দেখে চিনতে পারল। তারা বিনা পারিশ্রমিকে তাদের নৌকায় উঠিয়ে নিল। তারা নৌকায় আরোহণ করলেন। এ সময় একটি চড়ুই পাখি এসে নৌকার অগ্রভাগে বসলো। পাখিটি সমুদ্রে ঠোঁট ডুবিয়ে দিল। খিযির (আলাইহিস সালাম) মুসা (আলাইহিস সালাম) কে বললেন, তোমার, আমার এবং সৃষ্টি জগতের জ্ঞান আল্লাহর জ্ঞানের তুলনায় অতখানি, যতখানি এ চড়ুই পাখি তার ঠোঁট দিয়ে সমুদ্র থেকে পানি উঠাল।
বর্ণনাকারী বলেন, মুসা (আলাইহিস সালাম) স্থান পরিবর্তন করেন নি। খিযির (আলাইহিস সালাম) অগ্রসর হওয়ার ইচ্ছা করলেন। এমতাবস্থায় খিযির (আলাইহিস সালাম) নৌকা বিদীর্ণ করে দিলেন। তখন মুসা (আলাইহিস সালাম) তাকে বললেন, এরা আমাদেরকে বিনা পারিশ্রমিকে তাদের নৌকায় নিয়ে এল আর আপনি আরোহীদের নিমজ্জিত করার জন্য নৌকাটি বিদীর্ণ করে দিলেন। আপনি তো এক গর্হিত কাজ করলেন।
তারপর তারা আবার চলতে লাগলেন (পথে) এবং দেখতে পেলেন যে, একটি বালক কতগুলো বালকের সাথে খেলা করছে। খিযির (আলাইহিস সালাম) সে বালকটির শিরোশ্ছেদ করে দিলেন। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, আপনি কি এক নিষ্পাপ জীবন নাশ করলেন অপরাধ ছাড়াই? আপনি তো এক গর্হিত কাজ করে ফেলেছেন। তিনি বললেন, আমি কি বলিনি যে তুমি আমার সঙ্গে কিছুতেই ধৈর্যধারণ করতে পারবেনা? মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, এরপর যদি আমি আপনাকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস করি, তবে আপনি আমাকে সঙ্গে রাখবেন না। আমার ওযরের চূড়ান্ত হয়েছে।
তারপর তারা চলতে লাগলেন। তারা এক জনপদের অধিবাসীদের কাছে পৌঁছলেন এবং তাদের কাছে খাদ্য চাইলেন। তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। তারপর সেখানে তারা এক পতনোম্মুখ প্রাচীর দেখতে পেল। বর্ণনাকারী হাতের ইশারায় দেখালেন যে, এভাবে খিযির (আলাইহিস সালাম) পতনোম্মুখ প্রাচীর সোজা করে দিলেন। মুসা (আলাইহিস সালাম) খিযির (আলাইহিস সালাম) কে বললেন, আমরা যখন এ জনপদে প্রবেশ করছিলাম, তখন জনপদের অধিবাসীরা আমাদের মেহমানদারী করেনি এবং আমাদের খেতে দেয়নি। এ জন্য আপনি ইচ্ছা করলে পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারতেন। খিযির (আলাইহিস সালাম) বললেন, এখানেই তোমার এবং আমার মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হল।
যে বিষয়ে তুমি ধৈর্য ধরতে পারনি আমি তার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মুসা (আলাইহিস সালাম) যদি আরেকটু ধৈর্যধারণ করতেন তবে আমরা তাদের দুজনের ঘটনাবলী সম্পর্কে আরও জানতে পারতাম। সাঈদ বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) وراهم ملك এর স্থানে أَمَامَهُمْ مَلِكٌ পড়তেন। অর্থ তাদের সম্মুখে ছিল এক রাজা। , যে বল প্রয়োগে ভাল নৌকা ছিনিয়ে নিত। আর বালকটি ছিল কাফের”।
মুসা (আলাইহিস সালাম) রওয়ানা হলেন এবং তার সাথে ছিল তার খাদেম ইউশা ইবনে নুন। তারা মাছ সাথে নিলেন। তারা চলতে চলতে সমুদ্রের তীরে একটি বিশাল শিলা খণ্ডের কাছে পৌঁছে গেলেন। সেখানে তারা বিশ্রামের জন্য থামলেন। বর্ণনাকারী বলেন, মুসা (আলাইহিস সালাম) শিলা খণ্ডের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন। সুফিয়ান বলেন, আমর ইবনে দীনার ছাড়া সকল বর্ণনাকারী বলেছেন, শিলা খণ্ডের তলদেশে একটি ঝরনা ছিল। তাকে হায়াত বলা হত। কেননা যে মৃতের উপর তার পানি পড়ে, সে অমনি জীবিত হয়ে উঠে। সে মাছটির উপরও ওই ঝরনার পানি পড়ল এবং সাথে সাথে সে লাফিয়ে উঠল। তারপর মাছটি বের হয়ে সমুদ্রে চলে গেল। এরপরে মুসা (আলাইহিস সালাম) যখন জেগে উঠলেন। “মুসা তার খাদেমকে বললেন, আমাদের নাস্তা আন। আমরা তো আমাদের এ সফরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি”। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে স্থান সম্পর্কে তাকে বলা হয়েছিল সে স্থান অতিক্রম করার পর থেকেই তিনি ক্লান্তি অনুভব করছিলেন।
তার খাদেম ইউশা ইবনে নুন তাকে বললেন, আপনি কি লক্ষ করেছেন আমরা যখন শিলা খণ্ডে বিশ্রাম করছিলাম তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম? বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তারা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে (সে স্থানে) প্রত্যাবর্তন করলেন। তারা সমুদ্রে মাছটির চলে যাওয়ার জায়গায় সুড়ঙ্গের মত দেখতে পেলেন। যা মুসা (আলাইহিস সালাম) এর সাথী যুবক কে আশ্চর্যান্বিত করে দিল। যখন তারা শিলা খণ্ডের কাছে পৌঁছলেন, সেখানে এক ব্যক্তিকে কাপড় আবৃত অবস্থায় দেখতে পেলেন। মুসা (আলাইহিস সালাম) তাকে সালাম দিলেন। তিনি বললেন, তোমাদের এলাকায় সালামের প্রথা কিভাবে এল? মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, আমি মুসা। তিনি (খিযির) বললেন, বনী ইসরাইলের মুসা? মুসা (আলাইহিস সালাম) উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। তারপর বললেন, সত্য পথের যে জ্ঞান আপনাকে দান করা হয়েছে তা থেকে আমাকে শিক্ষা দিবেন - এ শর্তে আমি আপনার অনুসরণ করব কি?
খিযির আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে মুসা! তুমি আল্লাহ কর্তৃক যে জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছ তা আমি (সম্পূর্ণভাবে) জানিনা। আর আমি আল্লাহর থেকে যে ‘ইলম’ লাভ করেছি তাও (সম্পূর্ণভাবে) তুমি জাননা। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, আমি আপনার অনুসরণ করব। খিযির (আলাইহিস সালাম) বললেন, আচ্ছা তুমি যদি আমার অনুসরণ করই, তবে কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেনা, যতক্ষণ না আমি সে বিষয়ে তোমাকে কিছু বলি।
তারপর তারা সমুদ্রের তীর দিয়ে চলতে লাগলেন। একটি নৌকা তাদের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। নৌকার লোকেরা খিযির (আ) কে দেখে চিনতে পারল। তারা বিনা পারিশ্রমিকে তাদের নৌকায় উঠিয়ে নিল। তারা নৌকায় আরোহণ করলেন। এ সময় একটি চড়ুই পাখি এসে নৌকার অগ্রভাগে বসলো। পাখিটি সমুদ্রে ঠোঁট ডুবিয়ে দিল। খিযির (আলাইহিস সালাম) মুসা (আলাইহিস সালাম) কে বললেন, তোমার, আমার এবং সৃষ্টি জগতের জ্ঞান আল্লাহর জ্ঞানের তুলনায় অতখানি, যতখানি এ চড়ুই পাখি তার ঠোঁট দিয়ে সমুদ্র থেকে পানি উঠাল।
বর্ণনাকারী বলেন, মুসা (আলাইহিস সালাম) স্থান পরিবর্তন করেন নি। খিযির (আলাইহিস সালাম) অগ্রসর হওয়ার ইচ্ছা করলেন। এমতাবস্থায় খিযির (আলাইহিস সালাম) নৌকা বিদীর্ণ করে দিলেন। তখন মুসা (আলাইহিস সালাম) তাকে বললেন, এরা আমাদেরকে বিনা পারিশ্রমিকে তাদের নৌকায় নিয়ে এল আর আপনি আরোহীদের নিমজ্জিত করার জন্য নৌকাটি বিদীর্ণ করে দিলেন। আপনি তো এক গর্হিত কাজ করলেন।
তারপর তারা আবার চলতে লাগলেন (পথে) এবং দেখতে পেলেন যে, একটি বালক কতগুলো বালকের সাথে খেলা করছে। খিযির (আলাইহিস সালাম) সে বালকটির শিরোশ্ছেদ করে দিলেন। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, আপনি কি এক নিষ্পাপ জীবন নাশ করলেন অপরাধ ছাড়াই? আপনি তো এক গর্হিত কাজ করে ফেলেছেন। তিনি বললেন, আমি কি বলিনি যে তুমি আমার সঙ্গে কিছুতেই ধৈর্যধারণ করতে পারবেনা? মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, এরপর যদি আমি আপনাকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস করি, তবে আপনি আমাকে সঙ্গে রাখবেন না। আমার ওযরের চূড়ান্ত হয়েছে।
তারপর তারা চলতে লাগলেন। তারা এক জনপদের অধিবাসীদের কাছে পৌঁছলেন এবং তাদের কাছে খাদ্য চাইলেন। তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। তারপর সেখানে তারা এক পতনোম্মুখ প্রাচীর দেখতে পেল। বর্ণনাকারী হাতের ইশারায় দেখালেন যে, এভাবে খিযির (আলাইহিস সালাম) পতনোম্মুখ প্রাচীর সোজা করে দিলেন। মুসা (আলাইহিস সালাম) খিযির (আলাইহিস সালাম) কে বললেন, আমরা যখন এ জনপদে প্রবেশ করছিলাম, তখন জনপদের অধিবাসীরা আমাদের মেহমানদারী করেনি এবং আমাদের খেতে দেয়নি। এ জন্য আপনি ইচ্ছা করলে পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারতেন। খিযির (আলাইহিস সালাম) বললেন, এখানেই তোমার এবং আমার মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হল।
যে বিষয়ে তুমি ধৈর্য ধরতে পারনি আমি তার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মুসা (আলাইহিস সালাম) যদি আরেকটু ধৈর্যধারণ করতেন তবে আমরা তাদের দুজনের ঘটনাবলী সম্পর্কে আরও জানতে পারতাম। সাঈদ বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) وراهم ملك এর স্থানে أَمَامَهُمْ مَلِكٌ পড়তেন। অর্থ তাদের সম্মুখে ছিল এক রাজা। , যে বল প্রয়োগে ভাল নৌকা ছিনিয়ে নিত। আর বালকটি ছিল কাফের”।
باب فلما جاوزا قال لفتاه آتنا غداءنا لقد لقينا من سفرنا هذا نصبا قال أرأيت إذ أوينا إلى الصخرة فإني نسيت الحوت إلى قوله عجبا صنعا عملا حولا تحولا قال ذلك ما كنا نبغ فارتدا على آثارهما قصصا إمرا و نكرا داهية ينقض ينقاض كما تنقاض السن لتخذت واتخذت واحد رحما من الرحم وهي أشد مبالغة من الرحمة ونظن أنه من الرحيم وتدعى مكة أم رحم أي الرحمة تنزل بها
4727 - حَدَّثَنِي قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ: إِنَّ نَوْفًا البَكَالِيَّ يَزْعُمُ أَنَّ مُوسَى بَنِي إِسْرَائِيلَ لَيْسَ بِمُوسَى الخَضِرِ، فَقَالَ: كَذَبَ عَدُوُّ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " قَامَ مُوسَى خَطِيبًا فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ فَقِيلَ لَهُ: [ص:92] أَيُّ النَّاسِ أَعْلَمُ؟ قَالَ: أَنَا، فَعَتَبَ اللَّهُ عَلَيْهِ إِذْ لَمْ يَرُدَّ العِلْمَ إِلَيْهِ، وَأَوْحَى إِلَيْهِ: بَلَى عَبْدٌ مِنْ عِبَادِي بِمَجْمَعِ البَحْرَيْنِ، هُوَ أَعْلَمُ مِنْكَ، قَالَ: أَيْ رَبِّ، كَيْفَ السَّبِيلُ إِلَيْهِ؟ قَالَ: تَأْخُذُ حُوتًا فِي مِكْتَلٍ، فَحَيْثُمَا فَقَدْتَ الحُوتَ فَاتَّبِعْهُ، قَالَ: فَخَرَجَ مُوسَى وَمَعَهُ فَتَاهُ يُوشَعُ بْنُ نُونٍ، وَمَعَهُمَا الحُوتُ حَتَّى انْتَهَيَا إِلَى الصَّخْرَةِ، فَنَزَلاَ عِنْدَهَا، قَالَ: فَوَضَعَ مُوسَى رَأْسَهُ فَنَامَ، - قَالَ سُفْيَانُ: وَفِي حَدِيثِ غَيْرِ عَمْرٍو، قَالَ: وَفِي أَصْلِ الصَّخْرَةِ عَيْنٌ يُقَالُ لَهَا: الحَيَاةُ لاَ يُصِيبُ مِنْ مَائِهَا شَيْءٌ إِلَّا حَيِيَ، فَأَصَابَ الحُوتَ مِنْ مَاءِ تِلْكَ العَيْنِ - قَالَ: فَتَحَرَّكَ وَانْسَلَّ مِنَ المِكْتَلِ، فَدَخَلَ البَحْرَ فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ مُوسَى قَالَ لِفَتَاهُ: {آتِنَا غَدَاءَنَا} [الكهف: 62] الآيَةَ، قَالَ: وَلَمْ يَجِدِ النَّصَبَ حَتَّى جَاوَزَ مَا أُمِرَ بِهِ، قَالَ لَهُ فَتَاهُ يُوشَعُ بْنُ نُونٍ: {أَرَأَيْتَ إِذْ أَوَيْنَا إِلَى الصَّخْرَةِ فَإِنِّي نَسِيتُ الحُوتَ} [الكهف: 63] الآيَةَ، قَالَ: فَرَجَعَا يَقُصَّانِ فِي آثَارِهِمَا، فَوَجَدَا فِي البَحْرِ كَالطَّاقِ مَمَرَّ الحُوتِ، فَكَانَ لِفَتَاهُ عَجَبًا، وَلِلْحُوتِ سَرَبًا، قَالَ: فَلَمَّا انْتَهَيَا إِلَى الصَّخْرَةِ، إِذْ هُمَا بِرَجُلٍ مُسَجًّى بِثَوْبٍ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ مُوسَى، قَالَ: وَأَنَّى بِأَرْضِكَ السَّلاَمُ، فَقَالَ: أَنَا مُوسَى، قَالَ: مُوسَى بَنِي إِسْرَائِيلَ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: هَلْ أَتَّبِعُكَ عَلَى أَنْ تُعَلِّمَنِي مِمَّا عُلِّمْتَ رَشَدًا؟ قَالَ لَهُ الخَضِرُ: يَا مُوسَى، إِنَّكَ عَلَى عِلْمٍ مِنْ عِلْمِ اللَّهِ عَلَّمَكَهُ اللَّهُ لاَ أَعْلَمُهُ، وَأَنَا عَلَى عِلْمٍ مِنْ عِلْمِ اللَّهِ عَلَّمَنِيهِ اللَّهُ لاَ تَعْلَمُهُ، قَالَ: بَلْ أَتَّبِعُكَ، قَالَ: فَإِنِ اتَّبَعْتَنِي فَلاَ تَسْأَلْنِي عَنْ شَيْءٍ حَتَّى أُحْدِثَ لَكَ مِنْهُ ذِكْرًا، فَانْطَلَقَا يَمْشِيَانِ عَلَى السَّاحِلِ فَمَرَّتْ بِهِمْ سَفِينَةٌ فَعُرِفَ الخَضِرُ فَحَمَلُوهُمْ فِي سَفِينَتِهِمْ بِغَيْرِ نَوْلٍ - يَقُولُ بِغَيْرِ أَجْرٍ - فَرَكِبَا السَّفِينَةَ، قَالَ: وَوَقَعَ عُصْفُورٌ عَلَى حَرْفِ السَّفِينَةِ فَغَمَسَ مِنْقَارَهُ فِي البَحْرِ، فَقَالَ الخَضِرُ لِمُوسَى: مَا عِلْمُكَ وَعِلْمِي وَعِلْمُ الخَلاَئِقِ فِي عِلْمِ اللَّهِ إِلَّا مِقْدَارُ مَا غَمَسَ هَذَا العُصْفُورُ مِنْقَارَهُ، قَالَ: فَلَمْ يَفْجَأْ مُوسَى إِذْ عَمَدَ الخَضِرُ إِلَى قَدُومٍ فَخَرَقَ السَّفِينَةَ، فَقَالَ لَهُ مُوسَى: قَوْمٌ حَمَلُونَا بِغَيْرِ نَوْلٍ، عَمَدْتَ إِلَى سَفِينَتِهِمْ فَخَرَقْتَهَا لِتُغْرِقَ أَهْلَهَا {لَقَدْ جِئْتَ} [الكهف: 71] الآيَةَ، فَانْطَلَقَا إِذَا هُمَا بِغُلاَمٍ يَلْعَبُ مَعَ الغِلْمَانِ، فَأَخَذَ الخَضِرُ بِرَأْسِهِ فَقَطَعَهُ، قَالَ لَهُ مُوسَى: {أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةً بِغَيْرِ نَفْسٍ، لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا نُكْرًا قَالَ أَلَمْ أَقُلْ لَكَ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِي صَبْرًا} [الكهف: 75] إِلَى قَوْلِهِ {فَأَبَوْا أَنْ يُضَيِّفُوهُمَا فَوَجَدَا فِيهَا جِدَارًا يُرِيدُ أَنْ يَنْقَضَّ} [الكهف: 77]- فَقَالَ بِيَدِهِ: هَكَذَا - فَأَقَامَهُ، فَقَالَ لَهُ مُوسَى: إِنَّا دَخَلْنَا هَذِهِ القَرْيَةَ فَلَمْ يُضَيِّفُونَا وَلَمْ يُطْعِمُونَا، {لَوْ شِئْتَ لاَتَّخَذْتَ عَلَيْهِ أَجْرًا، قَالَ: هَذَا فِرَاقُ بَيْنِي وَبَيْنِكَ، سَأُنَبِّئُكَ بِتَأْوِيلِ مَا لَمْ تَسْتَطِعْ عَلَيْهِ صَبْرًا} [الكهف: 77] ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَدِدْنَا أَنَّ مُوسَى صَبَرَ حَتَّى يُقَصَّ عَلَيْنَا مِنْ أَمْرِهِمَا " قَالَ: وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقْرَأُ: «وَكَانَ أَمَامَهُمْ مَلِكٌ يَأْخُذُ كُلَّ سَفِينَةٍ صَالِحَةٍ [ص:93] غَصْبًا، وَأَمَّا الغُلاَمُ فَكَانَ كَافِرًا»

তাহকীক: